"আশিয়া" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
আশিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পটিয়ায় অজ্ঞাত রোগে মরছে ফার্মের মুরগী, রোগাক্রান্ত মুরগী কমদরে বিক্রির অভিযোগ; পটিয়া; ইউনিয়ন; আশিয়া; মুরগী; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় অজ্ঞাত রোগে মরছে ফার্মের মুরগী, রোগাক্রান্ত মুরগী কমদরে বিক্রির অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় অজ্ঞাত রোগে মরছে বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মের মুরগী। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এতে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেক খামারি বলে জানা যায়। 
অভিযোগ উঠেছে, খামারিরা লোকসান পুষিয়ে নিতে রোগাক্রান্ত প্রতিটি মুরগী ৫০ টাকা দরে গ্রামের লোকজনের কাছে বিক্রি করছে। 

এদিকে প্রতিদিন এক ফার্ম থেকে অন্য ফার্মে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 
উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নাধীন পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকার বেশ কয়েকটি ফার্মের মুরগী মারা গেছে। একের পর এক ফার্মে অজ্ঞাত এ রোগ ছাড়াচ্ছে। এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুরগী মারা গেছে শুধু আশিয়া ইউনিয়নে। অজ্ঞাত রোগে মুরগী মারা যাওয়ায় এ শিল্পে ধস দেখা দিয়েছে। রোগ নির্ণয় করতে না পারায় ফার্মের মুরগীর মৃত্যু থামানো যাচ্ছে না। এতে ফার্ম মালিকরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে বলে সূত্র জানায়। 

ক্ষতিগ্রস্ত ফার্ম মালিকরা জানান, বেশিরভাগ ফার্মের মুরগী হলুদ রং-এর মল ত্যাগ করে এক থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু ফার্মের মুরগী প্রথমে ঝিমাচ্ছে, খাবার খাচ্ছে না। এসব মুরগী সাদা ও রক্তমাখা পাতলা মল ত্যাগ করে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। ফার্ম মালিকদের ধারণা, বার্ড ফ্লুর মতো কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব মুরগী মারা যাচ্ছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগাক্রান্ত এসব মুরগী প্রতিটি ৫০ টাকা দরে গ্রামের লোকজনের কাছে বিক্রি করছে খামারিরা। এ কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে- এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কিছু ফার্মের মালিক মরা মুরগী মাটিচাপা না দিয়ে বিভিন্ন স্থানে উন্মুক্তভাবে ফেলে রাখছে। যার ফলে গৃহপালিত ছাড়াও বিভিন্ন পশু-পাখি এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ফার্মের মালিকদের অবহেলা ও সময়মত ভ্যাকসিন না দেয়ায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। নিয়মিত ভ্যাকসিন না দিলে আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে ঠান্ডা-গরম এবং ধূলোবালিতে আক্রান্ত হয়ে মুরগীর মধ্যে সিআরডি, সিসিআরডি এবং রাণীক্ষেত রোগের সংক্রমণ ঘটে। হয়ত এসব ফার্মের মুরগীর বেলায় তাই ঘটেছে। 

ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ তারেক জানান, তিনি কয়েকটি মুরগী দেখেছেন। এতে তার মনে হয়েছে বার্ড ফ্লু নয়, এসব মুরগী অবহেলার কারণে রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ভ্যাকসিন দেয়া না হলে এবং রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ নিয়মে না হলে এই আবহাওয়ায় এমন রোগের প্রকোপে আক্রান্ত হতে পারে।
টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার বিচ্ছিন্ন সড়ক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও বন্যার ফলে সৃষ্ট জমে থাকা পানি নামতে শুরু করলেও পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে ঈদ আনন্দে ‍দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের আমেজে থাকা উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ, জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম, কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাদামতল, আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নসহ কয়েকটি স্পটে বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বর্তমানে যার পানি নামতে শুরু করেছে। 

প্রবল পানিরস্রোতে জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার একটি চলাচলের রাস্তাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ঈদ আনন্দ করতে যাওয়া লোকজন। বিচ্ছিন্ন রাস্তায় লাফ দিয়ে যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর-বৃদ্ধরা পারাপার হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত একটানা তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গ্রামীণ সড়কের এই দশা হয়েছে। 

এদিকে, গ্রামীণ সড়কে এহেন বেহাল দশা হলেও জনপ্রতিনিধিরা দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেননি। বরংচ তারা এর দায় চাপিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর উপর।

টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; আশিয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করে থাকে। মহাজন হাট থেকে শুরু করে রশিদাবাদ সড়কটি দীর্ঘতম। বর্তমানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুল হকের বাড়ি ঘাটাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ঈদ আনন্দে দুর্ভোগ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও চলতি বর্ষা মওসুমে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ওই সড়কের কয়েকটি স্পটে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিন শোভনদন্ডী ইউনিয়নে ভাঙ্গা রাস্তায় ইট ও বালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান। একইভাবে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম সড়কের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঈদ আনন্দ করতে যাওয়াদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহ-সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ক্ষোভ প্রকাশ করে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্যের বাড়ি তাদের এলাকায় হলেও দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া পটিয়াতে যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে তার কোন সঠিক তদারকি হয়নি। যার কারণে প্রতিটি কাজেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।’

এদিকে, আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. হাশেম ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার পানি নামতে শুরু করলেও বিভিন্ন ব্রিক সলিং ও কার্পেটিং রাস্তা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এলাকার লোকজনকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বর্ষা মওসুমে যেসব রাস্তা ভেঙে গেছে তা নতুন অর্থবছরে টেন্ডারের মাধ্যমে মেরামতের কাজ শুরু করবেন। আশিয়া কেরিঞ্জা সড়ক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ৭০ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে এই সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পটিয়ার আশিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার আশিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সামশুল হক চৌধুরী এমপি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ার আশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্যা কবলিত প্রায় দুই হাজার পরিবারের মাঝে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। উক্ত ত্রাণ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী এমপি। 

এ সময় সামশুল হক চৌধুরী এমপি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য মনে সাহস রেখে বন্যার পানি নামার সাথে সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কৃষকদের ধানবীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করতে পরামর্শ দেন। এছাড়া উপজেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়ন আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়াসহ পার্শবর্তী বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন সামশুল হক চৌধুরী। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম. রাশেদ মনোয়ার, চেয়ারম্যান এম.এ হাশেম, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবু সালেহ চৌধুরী, পশ্চিম পটিয়া উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মাহমুদুল হক, আশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলামুর রহমান মঞ্জু , সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী চৌধুরী, এম. এজাজ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, বাবু মেম্বার, আবদুল গফুর, মন্সেফ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, শাহেদ, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন, ইমরান উদ্দিন বশির, আবদুর রহিম, কামরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ শওকত, রনি প্রমুখ।