"কোলাগাঁও" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
কোলাগাঁও লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এক যুগেও শেষ হয়নি পটিয়ার কালারপুল সেতুর নির্মাণকাজ, পটিয়া, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, পটিয়া জেলা, কালারপুল, শিকলবাহা, কোলাগাঁও, ভেল্লাপাড়া, কর্ণফুলী
এক যুগেও শেষ হয়নি পটিয়ার কালারপুল সেতুর নির্মাণকাজ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও মুরারী খালের উপর নির্মাণাধীন কালারপুল আখতারুজ্জামান সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় এক যুগেও। ১ সপ্তাহ পর সেতুটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফিলতি-অবহেলায় শেষ হয়নি ৭০ শতাংশ কাজও। তার আগেই গত শুক্রবার ৩টি গার্ডার ধসে শিকলবাহা খালে তলিয়ে যায়। 

সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, পটিয়ার কোলাগাঁও (শিকলবাহা) মুরারী খালের উপর নির্মিত পটিয়া-কর্ণফুলীর সংযোগ সেতু কালারপুল সেতু নির্মাণে টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩য় দফায় সেতু নির্মাণ করার সময় বর্ধিত করা সত্বেও সম্পন্ন করতে পারেনি সেতুর নির্মাণযজ্ঞ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

এ রিমধ্যে শুক্রবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাইড্রোলিক জ্যাকের মাধ্যমে গার্ডার সংযোগের সময় ক্রেনের তার ছিঁড়ে ৩টি গার্ডার খালে ধসে পড়ে। এ সময় আহত হয় অন্তত ৫ শ্রমিক। এর মধ্যে একজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

সওজ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান শাসনামলে পটিয়ার কোলাগাঁও (শিকলবাহা) মুরারী খালের ওপর একটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লেও মেরামত কিংবা নতুন সেতুর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সেতুটি ইতিপূর্বে জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে খালে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই ভাঙা অংশে সড়ক বিভাগ স্টীলের বেইলি সেতু নির্মাণ করে কোনরকম জোড়াতালি দিয়ে চলাচলের জন্য উপযোগী করে। 

এরপর এ স্থানে পাকা কালারপুল সেতু নির্মাণে ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করে সড়ক ও সেতু বিভাগ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, দোহাজারী কর্তৃক ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজের টেন্ডার আহবান করা হয়। আর এতে রানা বিল্ডার্স ও হাসান বিল্ডার্স নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতি ও যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ৩য় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২০ সালের ৩০ জুন বর্ধিত করা হয়।

সর্বশেষ  হাইড্রোলিক জ্যাকের মাধ্যমে গার্ডার সংযোগের সময় ক্রেনের তার ছিঁড়ে ৩টি গার্ডার খালে তলিয়ে যায়। 

উল্লেখ্য, এ কালারপুল সেতু দিয়ে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, ধলঘাট, কুসুমপুরা, আশিয়া, কাশিয়াইশ ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে সেতুটি না হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে বন্দর নগরীতে যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে এ সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক; পটিয়া; চট্টগ্রাম; শিকলবাহা; কোলাগাঁও; ধর্ষক; আটক; কর্ণফুলী; অপরাধ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Shikolbaha; Kolagaon; Rapist; Arrest; Criminal
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। 

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাট এলাকা থেকে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামস্থ তিতা গাজীর মাজার জেয়ারতে যায় তিন কিশোরীসহ দুই কিশোর। মাজার জেয়ারত শেষে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ৬ অপহরণকারী বাণীগ্রাম নতুনপুল এলাকায় বাঁশ ঝাড়ের কাছে জঙ্গলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা অপর এক কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে অপহৃত কিশোরীকে জঙ্গলে বিবস্ত্র করে অপহরণকারী ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করে। ওই সময় কিশোরীর অমানবিক চালায় পাষন্ড অপহরণকারীরা। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে রাত ৩টার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় দুই সিএনজি চালক দেখতে পেয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাড়ী থেকে কাপড় এনে দেয়ার পর তাদের সিএনজি করে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেয়। 

এ ঘটনার ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা স্থানীয় কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। পরে গতকাল ধর্ষকদের সাথে ধর্ষিতার মাঝে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে সমঝোতা বৈঠকের নামে কৌশলে ডেকে আনা হয়। সেখান থেকে পুলিশ ধর্ষকদের আটক করে। এ সময় ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়। আটককৃত ধর্ষকরা হলো, ফজল আহমদের পুত্র হাসান (২০), ইদ্রিসের পুত্র মাসুদ (২০) ও লেদু আহমদের পুত্র ওসমান (২৮)। পলাতক ধর্ষকরা হলো, জালাল আহমদের পুত্র মঞ্জুর আলম (২২), মুত নুরুল ইসলামের পুত্র সুমন (২৭) ও এরফান (২৮)। তাদের সকলের বাড়ি কোলাগাাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামে। অধিকাংশ ধর্ষক পেশায় সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ির চালক বলে জানা গেছে। 

পটিয়া থানা পুলিশ জানায়, ৩ ধর্ষককে আটকের পর পুলিশ তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এতে আর কারা কারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর অন্য আসামিদের আটকে অভিযান শুরুর কথা জানায় পুলিশ। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আরো দুই সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে। তারা ওই ঘটনায় জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ নূর জানান, কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে গত সোমবার তাকে অবহিত করেন। এরপর তিনি কৌশলে ধর্ষকদের নাম ঠিকানা নিয়ে বৈঠকের নামে এক স্থানে জড়ো করেন। এরপর তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্য ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়।
টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার বিচ্ছিন্ন সড়ক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও বন্যার ফলে সৃষ্ট জমে থাকা পানি নামতে শুরু করলেও পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে ঈদ আনন্দে ‍দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের আমেজে থাকা উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ, জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম, কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাদামতল, আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নসহ কয়েকটি স্পটে বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বর্তমানে যার পানি নামতে শুরু করেছে। 

প্রবল পানিরস্রোতে জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার একটি চলাচলের রাস্তাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ঈদ আনন্দ করতে যাওয়া লোকজন। বিচ্ছিন্ন রাস্তায় লাফ দিয়ে যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর-বৃদ্ধরা পারাপার হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত একটানা তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গ্রামীণ সড়কের এই দশা হয়েছে। 

এদিকে, গ্রামীণ সড়কে এহেন বেহাল দশা হলেও জনপ্রতিনিধিরা দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেননি। বরংচ তারা এর দায় চাপিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর উপর।

টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; আশিয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করে থাকে। মহাজন হাট থেকে শুরু করে রশিদাবাদ সড়কটি দীর্ঘতম। বর্তমানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুল হকের বাড়ি ঘাটাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ঈদ আনন্দে দুর্ভোগ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও চলতি বর্ষা মওসুমে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ওই সড়কের কয়েকটি স্পটে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিন শোভনদন্ডী ইউনিয়নে ভাঙ্গা রাস্তায় ইট ও বালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান। একইভাবে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম সড়কের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঈদ আনন্দ করতে যাওয়াদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহ-সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ক্ষোভ প্রকাশ করে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্যের বাড়ি তাদের এলাকায় হলেও দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া পটিয়াতে যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে তার কোন সঠিক তদারকি হয়নি। যার কারণে প্রতিটি কাজেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।’

এদিকে, আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. হাশেম ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার পানি নামতে শুরু করলেও বিভিন্ন ব্রিক সলিং ও কার্পেটিং রাস্তা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এলাকার লোকজনকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বর্ষা মওসুমে যেসব রাস্তা ভেঙে গেছে তা নতুন অর্থবছরে টেন্ডারের মাধ্যমে মেরামতের কাজ শুরু করবেন। আশিয়া কেরিঞ্জা সড়ক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ৭০ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে এই সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে।