"ফিচারড" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
ফিচারড লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; ঢাকা; কক্সবাজার; রেল; কক্সবাজার রেল; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Coxsbazar rail, Patiya; Chittagong; Chattogram
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ তৎকালীন আরাকানের রাজধানী পটিয়া, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার পটিয়া, বঙ্গবন্ধু ঘোষিত জেলা সাবেক মহকুমা পটিয়া, হালের দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজধানী পটিয়া - যুগ যুগ ধরে বঞ্চনার শিকার ব্রিটিশ আমলে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত জংশন পটিয়া, একবিংশ শতাব্দির উন্নয়নের মহীসোপানে এসে বারবার মুর্ছা যাওয়া পটিয়া এবারও অবহেলার শিকার।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সারাদেশের সাথে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন। 

আগামী ০১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এর বাণিজ্যিক যাত্রা। শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে একটি করে দুটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় সবকয়টি রেল স্টেশনে স্টপেজ থাকলেও এবারও বঞ্চনার শিকার পটিয়া। 

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথের ভাড়া তালিকা ও সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, কক্সবাজারের রেলপথের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। 

ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; Dhaka Coxsbazar rail fare
ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুটে চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা

তবে রেলের একটি সূত্র থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা থেকে শোভন চেয়ারের টিকিট ৫০০ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৯৬১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার ৭৭১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ/সিট ১১৫০ টাকা এবং এসি বার্থের টিকিট ১ হাজার ৭২৫ টাকা। 
আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের টিকিট ২০৫ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার/সিট ৩১১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ ও এসি সিট ৪৬৬ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৩৮৬ টাকা এবং এসি বার্থ টিকিট ৬৯৬ টাকা। 

তবে ওই ভাড়ার চার্টে কম গুরুত্বপূর্ণ বেশকয়েকটি স্টেশনের নাম স্টপেজ হিসেবে উল্লেখ করলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ পটিয়া রেল স্টেশন জংশনে কোন স্টপেজ রাখা হয় নি। এমনকি মেইল এক্সপ্রেস/কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। 
পটিয়াবাসীকে বারবার এভাবে বঞ্চনার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অবিলম্বে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের পটিয়ায় স্টপেজ প্রদানের দাবি উঠেছে।
ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবান পাহাড়ে জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে খুন নও মুসলিম ইমাম ওমর ফারুক; বান্দরবান; রোয়াংছড়ি; তুলাছড়ি; পাহাড়; পার্বত্য চট্টগ্রাম; সন্ত্রাসী; পাহাড়ী সন্ত্রাসী; জেএসএস সন্ত্রাসী; জেএসএস; শান্তিবাহিনী; জনসংহতি সমিতি; সন্ত্রাসী সংগঠন, জঙ্গি; ঢাকা; সারাদেশ; ইসলামিক; চট্টগ্রাম; ইসলাম; দাঈ; ইসলামী দাঈ; ইসলাম প্রচারক; Bandarban, Hill tracts; Chittagong; Chattogram; Dhaka; Islamic Preacher; Islam; Bangladesh
ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবান পাহাড়ে জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে খুন নও মুসলিম ইমাম ওমর ফারুক

ভয়েস অব পটিয়া-পার্বত্য চট্টগ্রাম ডেস্কঃ ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম এক ইমামকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা। 

শুক্রবার এশার নামায শেষ করে মসজিদ থেকে বের হলে তাকে গুলি করে হত্যা করে জেএসএস সন্ত্রাসীরা।

হত্যার শিকার নওমুসলিম ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরা (৫৪) ইতিপূর্বে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছিলেন। মুসলিম হওয়ার পর তিনি পাহাড়ে অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতেন। তাঁর এ দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে অনেক পরিবার স্ব-ইচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। 

ওমর ফারুক ২০১৪ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। বান্দরবানের রোয়াংছড়ির দুর্গম পার্বত্য এলাকা তুলাছড়িতে নওমুসলিম ওমর ফারুক নিজের জমিতে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম চর্চা করতে শুরু করেন। এ কারণে পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা একের পর এক তাঁকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু ওমর ফারুক হত্যার হুমকি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলামের দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যহত রাখেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় শুধু নিজের পরিবার নয়, রোয়াংছড়ি এলাকায় তাঁর দাওয়াতে প্রায় ৩২টি উপজাতীয় পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ কারণে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাঁকে থামাতে গত ১৮ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতে মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে ফেরার পথে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাজ করছে শোকের ছায়া । তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। হত্যাকারী উপজাতি সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে শাস্তি দাবি করেছেন তারা। পাশাপাশি সরকার ও পাহাড়ে আইন-শৃংখলা ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের প্রতি অনতিবিলম্বে এসব শান্তিবিনষ্টকারী দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

ফ্রান্সে মহানবী (সাঃ)’র অবমাননার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ
ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর অবমাননার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়ায় তৌহিদি জনতার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বাদে জুমা পটিয়া রেল স্টেশন চত্বর হতে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পটিয়ার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে থানার মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সাঃ) এঁর ব্যাঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী ম্যাগাজিন শার্লি এব্দো ও এর সমর্থনকারী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। 

ফ্রান্সের ইসলাম বিদ্বেষ ও মহানবী (সাঃ) এর অবমাননায় বিশ্বের দুইশত কোটি মুসলমান ব্যথিত হয়েছে। ফ্রান্সের এহেন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। ইসলাম ও মহানবী (সাঃ) এঁর অবমাননা কোনভাবেই বিশ্ব মুসলিম বরদাস্ত করবে না। বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের হৃদয়ের ক্ষত মুছতে হলে ফ্রান্সকে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন।

মহানবী (সাঃ) কে অবমাননা, প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক; #boycottfrance #boycottfranceproducts #hashtag
#boycottfrance #boycottfranceproducts #hashtag


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’কে অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে মুসলিমরা।

ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে হ্যাশ ট্যাগ (#boycottfranceproducts) ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাদের এ আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বিশ্বব্যাপী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কুয়েতের বিভিন্ন মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়ার নানা ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই #boycottfranceproducts হ্যাশট্যাগের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন এসব ছবি ও ভিডিও। 

গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে এক স্কুল শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ফ্রান্স পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন দেখিয়ে ছিলেন। এই অবমাননার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তাকে ব্যাঙ্গকারীকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়। 

এ ঘটনার জের ধরে ফ্রান্সের পুলিশ দেশটির অন্তত অর্ধশতাধিক মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক-ধরপাকড় চালায়। পাঁচ বছর আগে ফ্রান্সের ব্যাঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদো’ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’কে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক অবমাননাকর কার্টুন ছাপানোর বিরুদ্ধে ওই দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর পুনরাবৃত্তি করে এবারও কার্টুন ছাপিয়েছে ম্যাগাজিনটি। 

ফ্রান্সের দুটো সরকারি বিল্ডিংয়ে মুহাম্মদ (সাঃ)’র ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠলেও ব্যাঙ্গকারীদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, ‘তারা ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। এটা তাদের ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ (বাক-স্বাধীনতা)। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র বিতর্কিত কার্টুন ছাপানো নিয়ে নিন্দা জানাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। 

ফ্রান্স সরকার কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র কার্টুন বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়া এবং শার্লি এবদোর পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ছে মুসলিম দেশগুলো। এরই প্রতিবাদে ফ্রান্সের সব ধরনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে কুয়েত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী বিশেষ করে ফেসবুক-টুইটারে ফ্রান্সের অবমাননাকর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ফ্রান্স রাষ্ট্রীয়ভাবে মুহাম্মদ (সাঃ) এবং ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে ফ্রান্স সরকার প্রায় অর্ধশতাধিক মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে। আরও অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধের তালিকায় আছে।

এদিকে আন্দোলনকারীরা ফেসবুক-টুইটার পোস্টে ফ্রান্সের বিভিন্ন কোম্পানির একটি তালিকা প্রকাশ করছেন। যেখানে ফ্রান্সের মালিকানাধীন কোম্পানীগুলোর লোগো ও নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে ফ্রান্সের সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দেয়ালে শার্লি এবদোর সেই বিতর্কিত ১২টি কার্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে। 

#boycottfrance #boycottfranceproducts #hashtag
#boycottfranceproducts তালিকা

দেশটির সরকার এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। ফ্রান্সের কয়েকটি ভবনের সামনে এবং সরকারের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামকে সম্পৃক্ত করা এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’কে অপমানজনক প্রচারণার সমালোচনা করেছে সংস্থাটি। 

ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর প্রতি অবমাননা, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্রমাগত আঘাতের তীব্র নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্রান্সের নাগরিক ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করছেন কতিপয় ফরাসী সরকারি কর্মকর্তারা। বাক-স্বাধীনতার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’

সংস্থাটি ফ্রান্সকে তার বৈষম্যমূলক নীতিগুলো পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। 


এদিকে ১৯৪৭ সালের ১০ ডিসেম্বর সবার জন্য মানবাধিকার বিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন গৃহীত হয়। এটি গোটা বিশ্বের মানুষের মানবাধিকারের দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী এ অবস্থান জাতিসংঘের সেই ঘোষণাপত্রটি সরাসরি লঙ্ঘন করেছে। 

ঘোষণাপত্রের প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীর সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সমান। প্রত্যেকেই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক বজায় রাখবে, একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করবে।’ 

কিন্তু ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী আচরণ, তার কার্টুন প্রদর্শন সরাসরি জাতিসংঘের এ ঘোষণা লঙ্ঘন করে। এতে কার্যত জাতিসংঘকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে ফ্রান্স। 

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় রাসূল এবং সর্বশেষ নবী। তাঁর কোনও ধরনের অবয়ব আঁকা ধর্ম অবমাননা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এবারও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর কার্টুন নিয়ে মুসলিম বিশ্বে চরম সমালোচনা চলছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিতর্কিত কার্টুনটির পক্ষেই অবস্থানের কথা জানালেন লেবানেন সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো। এদিকে ফান্স সরকারের এরকম ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে মানসিক চিকিৎসা নেয়ার কথা বলেছেন।


অবিক্রিত লাল চিনি, বেতন না পেয়ে শ্রমিকদের মানবেতর জীবন; রাজশাহী, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম, ভারত, বাংলাদেশ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চিনি, আখ, রাষ্ট্রায়াত্ত মিল, সুগার মিল, brown sugar, sugar mill, white sugar

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ রাষ্ট্রায়াত্ত চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত লাল চিনি বিক্রি না হওয়ায় গত ৪ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না চিনিকল শ্রমিকরা। যার ফলে বেতনহীন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে রাজশাহী-ঠাকুরগাঁওয়ের লাল চিনিকলে উৎপাদনকারী শ্রমিকদের।

চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে ৫৪ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে প্রায় ৩ হাজার ৩৫৮ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৪৫ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রিত রয়েছে।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি টন চিনির মিল গেটে মূল্য ৬০ হাজার টাকা। কর্পোরেশনের নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে বেসরকারি চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের চিনির বিক্রয়মূল্য কম হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চিনি বিক্রি না হওয়ার ফলে ৪ মাস ধরে বেতন বন্ধ শ্রমিকদের। যার ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে তারা।

বাংলাদেশ চিনি শিল্প কর্পোরেশনের ডিলাররা জানায়, ‘বেসরকারি চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চিনি কেজি প্রতি মূল্য ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয়াত্ত চিনিকলের উৎপাদিত চিনির মিল গেট মূল্য কেজি প্রতি ৬০ টাকা হওয়ায় আমরা অল্প পরিমাণে চিনি বিক্রির জন্য সরবরাহ করছি। বেসরকারি শোধনাগারের সাদা চিনি প্রতি গ্রাহকদের পছন্দ থাকায় বাজারে রাষ্ট্রীয় কলের উৎপাদিত লাল চিনির চাহিদা কম বলে মনে করছেন ডিলাররা। যার ফলে বেশিরভাগ চিনিই চিনিকলে অবিক্রিত অবস্থায় থেকে যাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও আখ চাষি সমিতির সভাপতি ইউনুস আলী বলেন, ‘প্রতি বছর আখ সরবরাহ করার পর আখের মূল্য দিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কৃষকরা আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। যথাসময়ে আখের মূল্য পরিশোধ এবং বাজারে লাল চিনি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হলে নতুন ভোক্তা তৈরি হবে, এতে কৃষক এবং মিলগুলোও লাভবান হবে।’

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের চিনি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন দিতে হয়। চিনি বিক্রির গতি খুব ধীর হওয়ায় তাদেরকে সময়মতো বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে মানবেতন দিন কাটাতে হচ্ছে চিনিকল শ্রমিকদের। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিনিকলগুলোকে বাঁচাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চিনি তৈরির উপকরণের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়াতে হবে। যাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চিনিকলগুলোতে উৎপাদিত চিনির বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো চিনি বিক্রি করতে না পারে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় চিনিকল প্রতিষ্ঠানগুলোসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাজার-হাজার পরিবারের জীবন-জীবিকা রক্ষা পাবে’ বলেও মনে করেন তিনি।

সাদা চিনি খেয়ে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, লিভার বিকলের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন না তো?

আসুন জেনে নিয়ে লাল চিনি ও সাদা চিনির মধ্যে পার্থক্য

•  লাল চিনি হলো সরাসরি আখ থেকে তৈরি অপরিশোধিত চিনি। লাল চিনিতে থাকে আখের সব উপাদান। যেমনঃ- শর্করা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিঙ্ক, থায়ামিন, রাইবোফ্লেবিন, ফলিক এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। 

লাল চিনির উপকারী কয়েকটি দিকঃ-
১) প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লাল চিনি খেলে হাড় শক্তপোক্ত হয়। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। ক্যাভিটি এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কাও দূর হয়। 

২) আখের অ্যাটিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং শরীরের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। 

৩) লিভার সুস্থ রাখে। 

৪) জন্ডিসের প্রকোপ কমায়। 

৫) কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করে। 

৬) আখে থাকা অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 
৭) শরীরের মিনারেল তথা খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে যা স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। 

৮) শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু লাল চিনি রিফাইন বা পরিশোধন করতে গিয়ে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারি পুষ্টি উপাদান দূর হয়ে যায়। চিনি পরিশোধন করতে ব্যবহার করা হয় সালফার এবং হাড়ের গুঁড়ো। 

সাদা চিনি বা রিফাইন করা চিনি যে শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সে সম্পর্কে ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন এক গবেষণাপত্র বের করেছিলেন। 
ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন গবেষণাপত্রে বলেনঃ- ‘চিনি রিফাইন করে সাদা করার জন্য চিনির সাথে যুক্ত প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল সরিয়ে শুধু কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা রাখা হয়। কিন্তু শুধু কার্বোহাইড্রেট শরীর গ্রহণ করতে পারে না। মিনারেল ও ভিটামিনবিহীন কার্বোহাইড্রেট দেহের মধ্যে টক্সিক মেটাবোলাইট সৃষ্টি করে। এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। ফলে কোষ অক্সিজেন পায় না এবং অনেক কোষ মারা যায়।’

ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন গবেষণা লব্ধ ফলাফল প্রমাণ করে- রিফাইন করা চিনি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। হার্ট ও কিডনী ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং ব্রেনের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। 

সাদা চিনির ক্ষতিকারক দিক 


১) যেহেতু পরিশোধনের সময় চিনির মিনারেল বা প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান দূর হয়ে যায়। তাই সহজেই বলা যায়, এতে করে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। নিউরন কোষগুলো ধীরে ধীরে মারা যায়। যা স্ট্রোক ঘটায়। 

২) ভিটামিন সরিয়ে ফেলায় শরীর পুষ্টি উপাদান পায় না। 

৩) সাদা চিনিতে অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে। ফ্রুক্টোজ হজম করাতে সাহায্য করে লিভার বা কলিজা। কিন্তু অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ লিভার হজম করাতে না পারায় লিভারে তা ফ্যাট আকারে জমা হয়। এতে করে লিভার ড্যামেজ বা লিভার নষ্ট হয়ে যায়।

৪) চিনি পরিশোধনে ব্যবহার হয় সালফার আর হাড়ের গুড়ো যা কিডনি বিকলাঙ্ক করে দেয়। 

৫) সালফার ইনসুলিন নিঃসরণে প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিস হয়। 

এত এত অপকারী বা বিধ্বংসী দিক থাকার কারণেই ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন সাদা চিনিকে বলেছেন বিষ। 

আমাদের দেশের মানুষ টাকা দিয়ে ধবধবে সাদা বিষ খাবে তবুও লাল চিনি কিনবে না! নিজে তো মরছেন, দেশীয় চিনিকলের শ্রমিকদেরও বিনাবেতনে মারছেন!

আসুন সবাই লাল চিনি কিনি, নিজেদের শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি দেশ ও দশের কথা চিন্তা করি।
করোনা; করোনা ভাইরাস; কোভিড; কোভিড১৯; স্যানিটাইজার; বিআইটিআইডি; আইইডিসিআর; স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; কেরু এন্ড কোম্পানী; Carew & Company; Corona; Corona Virus; Covid; Covid19; Sanitizer; BITID; IEDCR; Health Ministry
রাষ্ট্রয়াত্ত কোম্পানি কেরু এন্ড কোম্পানীর স্যানিটাইজার ‘কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার’

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে জাতীয় চাহিদার প্রেক্ষিতে তড়িৎ গতিতে স্যানিটাইজার উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই বদলি করা হয়েছে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রয়াত্ত ডিস্ট্রিলারি প্রতিষ্ঠান ‘কেরু অ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাহিদ আলী আনছারীকে। 

২৪ মার্চ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চীফ অব পার্সোনাল মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে ‘ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা পরিদফতরে’ সংযুক্ত করা হয়েছে। আকস্মিক এই বদলিতে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের মতে, ‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে যখনই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিপুল চাহিদা-তখনই তড়িৎ গতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেন এমডি জাহিদ আলী আনছারী। তার এই তড়িৎ সিদ্ধান্তের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। এ কারণেই অযৌক্তিকভাবে বদলি করা হয় জাহিদ আলী আনছারীকে।’ 

এই বদলির ফলে সুলভমূল্যে দেশীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশেও উদ্ভব হয়েছে নজিরবিহীন সঙ্কটময় পরিস্থিতির। দেশে সঙ্কট তৈরি হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। ঝোপ বুঝে কয়েকটি স্যানিটাইজার উৎপাদনকারী কয়েকটি কোম্পানিও দাম বাড়িয়েছে কয়েকগুণ বেশি। এহেন পরিস্থিতিতে তড়িৎ সিদ্ধান্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বিপণন শুরু করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাহিদ আলী আনছারীর তত্ত্বাবধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটির বাজারজাত শুরু হয়। এ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মাধ্যমে ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবাণু নষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন কেরুর রসায়নবিদরা। 

‘কেরুজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ নামে এ পণ্য বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গত ২৩ মার্চ থেকে ‘কেরুজ স্যানিটাইজারের’ বিপণন শুরু হয়। প্রথম দিকে প্রায় ৫০ কার্টন (প্রতি কার্টনে ১০০ বোতল) উৎপাদন করা হয়েছে। এর পরদিনই ২৪ মার্চ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চিফ অব পার্সোনাল মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে অবসর গমনের সুবিধার্থে কেরু এন্ড কোম্পানির এমডি জাহিদ আলী আনছারীকে সদর দফতরের ‘ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা পরিদফতরে’ সংযুক্ত করতে বলা হয়।
চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন ইউএনও পটিয়া হাবিবুল হাসান

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আজ বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা হতে থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী বাসকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া রুটে চট্টগ্রাম শহর তথা নতুনব্রীজ হতে নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা পরিবর্তে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দফায় দফার সংবাদ, মানববন্ধন-প্রতিবাদের পরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে প্রতি বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার পটিয়াগামী গাড়িগুলোর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় বাসমালিক-ড্রাইভারদের দৌরাত্ম অব্যহত রয়েছে। 
এসব অভিযোগের সূত্র ধরে বুধবার (১৭ অক্টোবর) পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসানের এক বিশেষ অভিযানে সাধারণ যাত্রীদের নজর কেড়েছে।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী বাসকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে তিনি যে কোন সময় অভিযান চালাবেন। সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের জরিমানা করা হচ্ছে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পরবর্তীতে কারাদন্ডও দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পটিয়ায় মানববন্ধন, ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পটিয়ায় মানববন্ধন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসতম হত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন, হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবিতে পটিয়ায় আজ বৃহষ্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করে পটিয়ার সর্বস্তরের সাধারণ ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণ।

সমাবেশে উপস্থিতিরা আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিসহ ৩ দফা দাবি উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিঃ- 
১। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যাকারী ও মদতদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে।
২। বাংলাদেশের সকল ছাত্রছাত্রীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শিক্ষাজীবনসহ জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।,
৩। ছাত্রবীর শহীদ আবরারের মতের পক্ষে ছাত্র ও জনতার সাধারণ আকাঙ্খা অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
টাকার বিনিময়ে পটিয়ায় রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক!; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; রোহিঙ্গা; Patiya; Chittagong; Chattogram; Rohingya; Refugee
টাকার বিনিময়ে পটিয়ায় রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক! উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের সহযোগীতায় রোহিঙ্গাদের মিলছে জাতীয়তা সনদপত্র। 

আছমিদা আকতার নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া এসব সনদপত্র নিয়ে ভোটার হতে ইউনিয়ন পরিষদে ছবি তুলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই মহিলা। 

সূত্র জানায়, পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নাধীন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সালের সহযোগীতায় রোহিঙ্গা নারীর পরিচয় আছমিদা আকতার, পিতা- মোঃ আমির হোসেন, সাং-পূর্ব বাড়ৈকাড়া, পোষ্ট অফিস- মৌলভী হাট উল্লেখ করে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন বড়লিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত ওই সনদগুলো মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের তদন্তের প্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত একটি জাতীয়তা সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। 

ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সাল ও মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের সহযোগীতায় মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৭ এপ্রিল ২০১৭ সনে ওই রোহিঙ্গা নারীর জন্য জন্মসনদ ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়, যার প্রেক্ষিতে তাকে ভোটার হওয়ার ব্যবস্থা করে ছবি তুলার জন্য বোরকা পড়ে তারা ওই মহিলাকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন।
বৃহস্পতিবার ওই রোহিঙ্গা মহিলা ভোটার হতে আসলে ছবি তোলার সময় উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মফিজ মেম্বার তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদে  রোহিঙ্গা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি মেয়েটির বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে বলে দাবি করেন। 
ওই রোহিঙ্গা মহিলাকে শাহগদী মাজারবাড়ির কাশেমের বোন হিসেবে পরিচয় করে দেয়া হয় এবং ভোটার হতে আসলে তাদের পরিবারের সদস্যদের আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে সংযুক্ত ছিল যা ইতিপূর্বে টাকার বিনিময়ে নিয়ে দেয়া হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানু বলেন, ‘আমার এক মহিলা মেম্বার তথ্য গোপন করে ওই রোহিঙ্গা নারীকে জাতীয়তা সনদপত্র দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করেছে। ভোটার হতে এসে ওই মহিলার কথাবার্তায় অসংগতি দেখা দিলে আমার সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার শ্বশুর বাড়ি আমার এলাকায় এবং সে আমার এলাকার এক পুরুষকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে।’
টাকার বিনিময়ে সনদ ইস্যু করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টা মিথ্যা বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।
স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও পটিয়া সহ চট্টগ্রামের বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেই কোন উদ্যোগ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; রায়েরবাজার; মুক্তিযুদ্ধ; স্বাধীনতা; মুক্তিযোদ্ধা; রাজাকার; আল বদর; ১৯৭১; বুদ্ধিজীবী; শহীদ; স্মৃতিসৌধ
স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও পটিয়া সহ চট্টগ্রামের বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেই কোন উদ্যোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হতে চললেও পটিয়াসহ চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমি সংরক্ষণ করতে পারেনি প্রশাসন। ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক স্মৃতিচিহ্ন। এজন্য প্রশাসনের সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, নতুন প্রজম্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরতে শিগগিরই বধ্যভুমি সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বধ্যভূমি চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ৮৯টি স্থান চিহ্নিতও করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরররা বাঙ্গালীদের নৃশংসভাবে হত্যার পর যেসব স্থানে গণকবর দেয়া হয় তার মধ্যে পাহাড়তলীর বধ্যভূমি অন্যতম। সেটিও বেদখল হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থান এবং বধ্যভূমি স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও সংরক্ষণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে চট্টগ্রামের পটিয়া এবং আনোয়ারায় দু’টি বধ্যভূমি নির্মাণের প্রস্তাব তৈরীর কথা জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের কার্যকর কোন উদ্যোগ এখনো নেয়া যায়নি বলে জানায় গণপূর্ত বিভাগ। যদিও বধ্যভুমি সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এসব স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী চট্টগ্রামবাসীর।

পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন; পটিয়া; চট্টগ্রাম; খাল দূষণ; ফুলকলি; সার্জেন্ট মহি আলম খাল; পরিবেশ; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন সার্জেন্ট মহি আলম খালে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ফলে সৃষ্ট দূষণ বন্ধের দাবীতে গতকাল (শুক্রবার, ০৫ জুলাই) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া শাহগদী মার্কেট চত্বরে ‘ক্লিন বাংলাদেশ’ সংগঠনের ব্যানারে সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণ রোধে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন খালে বন্ধের দাবী জানান।

এতে বক্তারা বলেন, পটিয়ার বেশ কয়েকটি শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে সরাসরি খালে নিষ্কাশনের ফলে খাল সংলগ্ন আবাদি জমিগুলোতে প্রায় ৮ বছর ধরে বোরো ফসলের চাষ হয়না। শিল্প-কারখানার এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। শিল্প-কারখানার এসব বর্জ্যের প্রভাবে ফসলি জমির সেচের পানি দূষিত হওয়ার প্রভাবে উপজেলার তিন শতাধিক একর ধানি জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। খালের পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে যা ওই এলাকার পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিনিয়তই এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ছে। শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পানি দূষিত করে তুললেও পরিবেশ অধিদপ্তর অজানা কারণে নীরব। 

জোয়ার-ভাটার এই খালটির সঙ্গে চাঁনখালী, বোয়ালখালী খাল ও কর্ণফুলী নদীর সংযোগ রয়েছে। এর ফলে জোয়ার ও ভাটার সময় বিষাক্ত বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশছে। দূষিত পানির কারণে খালে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাবে সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানি নষ্ট হয়ে নীল ও কালচে রং ধারণ করছে ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধের প্রভাবে খালের আশপাশের বাড়িঘর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বহু মসজিদের মুসল্লিরা নামাজ পর্যন্ত আদায় করতে পারছেন না। খালের পাশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রীকে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে। 

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্বে পটিয়া উপজেলার আমজুর হাট মোড় থেকে শুরু করে মনসা বাদামতল এলাকার প্রায় ১৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ সার্জেন্ট মহি আলম খাল। এই খালের পানি দিয়ে উপজেলার উজিরপুর, নাইখাইন, গৈড়লা, লড়িহরা, দক্ষিণ হুলাইন, এয়াকুবদন্ডী, তিয়ারকুল, উজিরপুর, উনাইনপুরা ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার কয়েকশ কৃষক ধানি জমিতে প্রতি মৌসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। খালের সম্মুখে গড়ে উঠা শাহ আমানত নিটিং এ্যান্ড ডাইং, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসের বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি খালে ছেড়ে দেয়ার কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খালের পানি পরীক্ষা করে পানি দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। খালের এই পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন যারা এই রুট দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করেন তাদের গৈড়লার মোড় হতে বাদামতল এলাকা পর্যন্ত পানির বাজে দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়।

এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে শিল্প-কারখানার বর্জ্য খালে নিষ্কাশন বন্ধের দাবী জানান। তারা এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পটিয়া শিশুপার্ক ভেঙে সড়ক প্রশস্তকরণ; অধিগ্রহণ ছাড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন সাধারণ স্থাপনা ভাঙচুর; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়া শিশুপার্ক ভেঙে সড়ক প্রশস্তকরণ; অধিগ্রহণ ছাড়াই ব্যক্তি মালিকানাধীন সাধারণ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ জেলা সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ত উন্নীতকরণ (চট্টগ্রাম অঞ্চল) প্রকল্পের আওতায় পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে হাইদগাঁও পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প উদ্বোধনের পরমুহুর্তে কোন ধরনের পূর্বনোটিশ, ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়াই চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পটিয়া শিশুপার্কের এক-তৃতীয়াংশ স্থাপনা বাউন্ডারীওয়ালসহ এবং শিশু পার্ক সংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন বৈধ সাধারণ স্থাপনা বুলডোজাড় দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। 

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্র জানায়, জেলা সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে হাইদগাঁও পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশীদ, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান’সহ অন্যান্যরা। তাদের উপস্থিতিতে এর পরপরি কোন ধরনের পূর্বনোটিশ, ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগ আকস্মিকভাবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পটিয়া শিশু পার্কের বাউন্ডারীওয়ালসহ স্থানীয় ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন সাধারণ স্থাপনা, দোকানপাট, কিন্ডারগার্টেন স্কুল বুলডোজাড় দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। দুপুর ২টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত এ ভাঙনযজ্ঞ চলে। 

এদিকে বিনানোটিশে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনার মালিকদের সাথে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি-বাদানুবাদ হয়। কয়েকজন সাংবাদিক স্থাপনা গুঁড়ানোর চিত্র ধারণ করতে গেলে তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। 
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন ধরনের পূর্বনোটিশ, ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া তাদের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। এতে তারা কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন। তারা এর প্রতিবাদ জানান। 

এ ব্যাপারে উপস্থিত সড়ক ও জনপদ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলতে চাইলে, তারা এ সম্পর্কে জানাতে অস্বীকৃতি জানান। রিপোর্টারের সাথে অসাদচরণ করেন। 

জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (পটিয়া জোন সদস্য) দেবব্রত দাশের সাথে মোবাইলে কয়েক দফা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল কেটে দেন। এ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পরিবেশ দূষণের দায়ে ফুলকলিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা | Voice of Patiya; পটিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে পরিবেশ দূষণের দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর।

বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) অকার্যকর রেখে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য পার্শ্ববর্তী খালের মাধ্যমে নদী দূষণের দায়ে বুধবার (২৭ মার্চ) এ জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন এর নেতৃত্বে পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন নাইখাইন এলাকায় অবস্থিত ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফ্যাক্টরী পরিদর্শন করে পরিবেশ দূষণের প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ইটিপি অকার্যকর রেখে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে বর্জ্য পার্শ্ববর্তী সার্জেন্ট মহিউল আলম খালে নির্গমন করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে আসছিল। খালে নির্গমন করে খালের পানি দূষণ করায় ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে এক মাসের মধ্যে ইটিপি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।’

পটিয়ার লবণ শিল্পের ফিরছে সুদিন, যাচ্ছে সারাদেশে; পটিয়া; চট্টগ্রাম; লবণ শিল্প; পটিয়া সদর; ইন্দ্রপুল; চাঁনখালী; খাল; Salt; Patiya; Chattogram; Chittagong
পটিয়ার লবণ শিল্পের ফিরছে সুদিন, যাচ্ছে সারাদেশে

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ বিলুপ্তপ্রায় পটিয়ার লবণ শিল্পের আবার ফিরেছে সুদিন। সরকারী গৃহীত নানান পদক্ষেপের সুফল পেতে শুরু করেছে পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকার লবণ মিল মালিকরা। বৃটিশ আমল থেকে পটিয়া সদরে চাঁনখালী খালের পাড়ে গড়ে উঠা দেশের অন্যতম বৃহৎ লবণ পরিশোধন এলাকা ইন্দ্রপুল থেকে পরিশোধিত লবণ যাচ্ছে সারাদেশে। 
এ লবণ শিল্পকে কেন্দ্র করে প্রায় ১০ হাজারের অধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকরা এসে এখানে কাজ করছেন। বছরের ছয় মাস এখানে পুরোধমে চলে লবণ পরিশোধন প্রক্রিয়া। 

জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, উখিয়া, মগনামা এলাকায় মাঠে উৎপাদিত কাঁচা লবণ সাঙ্গু নদী থেকে মুরালীঘাট হয়ে চাঁনখালী খাল দিয়ে লবণ বোঝাই বড় বড় নৌকা আসত পটিয়ার ইন্দ্রপুল এলাকার লবণ মিলগুলোতে। 

কিন্তু ৯০ দশকের পর থেকে চাঁনখালী খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প। চাঁনখালী ভরাট হয়ে যাওয়ার পরেও কর্ণফুলী নদী দিয়ে বোয়ালখালী খাল হয়ে ইন্দ্রপুলে লবণবোঝাই ট্রলার আসতো। কিন্তু ধলঘাট এলাকার চন্দ্রকলা সেতু ভেঙে খালে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে ইন্দ্রপুল লবণ শিল্পের কপালে শেষ পেরেকটি ঠুঁকে দেয়া হয়। পরবর্তীতে চাঁনখালী খাল খনন হলেও নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকে এ শিল্পটি। এক সময় ধীরে ধীরে অনেক লবণ মিল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় একশ লবণ মিল থেকে ডজনে নেমে আসে লবণ মিলের সংখ্যা। পরে ট্রাকে করে লবণ আসতে থাকে ইন্দ্রপুলে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে সরকারী গৃহীত নানান পদক্ষেপের ফলে ইন্দ্রপুলের লবণ মিলগুলোতে আবারো কাঁচা লবণ আসতে শুরু করে। বর্তমানে ট্রলার ও ট্রাকে করে নিয়মিত কাঁচা লবণ আসে এখানে। 

বর্তমানে ইন্দ্রপুল এলাকায় রয়েছে প্রায় ৪৮টি লবণ মিল। যেখানে বিগত কয়েক বছর আগেও ২০টি মিলও ভালোভাবে চলতো না, কিন্তু এখন পুরোদমে চলছে লবণ পরিশোধের কাজ। চাঁনখালী খাল হয়ে ট্রলারে করে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে ট্রাকে করে লবণের কাঁচামাল আসে এখানে। আবার পরিশোধন করে পটিয়া থেকে যেসব লবণ সারাদেশে যাচ্ছে। যা দেশের ৪০ শতাংশ চাহিদা মেটাচ্ছে। 

ট্রলার মালিক মোঃ আজগর জানান, তিনি নিয়মিত কুতুবদিয়া থেকে লবণের কাঁচামাল নিয়ে পটিয়া ইন্দ্রপুলে আসেন। তার ট্রলারে সর্বোচ্চ দুই হাজার মন কাঁচা লবণ আনা যায়। মেসার্স মমতাজিয়া সল্টের মার্কেটিং অফিসার আনোয়ার রহমান বলেন, তাদের মিলে বর্তমানে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক লবণ পরিশোধনের কাজে নিয়োজিত। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব কাঁচা লবণ ট্রাকে এবং ট্রলারে করে আনা হয়। কাঁচা লবণ মিলে পরিশোধন করে প্যাকেটজাত করে সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। ইসলামাবাদ সল্টের পরিচালক মুহাম্মদ আশেক এলাহী বলেন, ইন্দ্রপুলের মিলে পরিশোধিত লবণ প্যাকেটজাত করে সিলেট, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ভৈরব, নরসিংদী, নোয়াখালীসহ আরো অনেক জেলায় সরবরাহ করা হয়। সরকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ এর কারণে বর্তমানে লবণ শিল্প সঠিক পথেই এগুচ্ছে। কথা হলে কয়েকজন শ্রমিক জানান, তারা ভোলা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ইন্দ্রপুল লবণ শিল্পে শ্রমিকের কাজে নিয়োজিত প্রায় ৫ বছর ধরে। প্রত্যেক মিলে অন্তত দুই শতাধিকের অধিক শ্রমিক রয়েছেন। ইন্দ্রপুল এলাকায় যেসব মিল রয়েছে সেসব মিলে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য একটি সমিতিও রয়েছে বলে জানান তারা। 

বিসিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে লবণের চাহিদা রয়েছে ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। এতে আরও ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণের ঘাটতি রয়েছে। তাই আপদকালীন মজুতসহ প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে প্রায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টন লবণের আমদানি করা প্রয়োজন রয়েছে।

সম্প্রতি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন কলকারখানায় শিল্প লবণ হিসেবে ব্যবহৃত সোডিয়াম সালফাইড আমদানি করে থাকে। তা ধবধবে সাদা বিধায় ভোজ্য লবণ বলে বিক্রি করে আসছে। সোডিয়াম সালফাইড নামের বস্তার গায়ে লিখে সোডিয়াম ক্লোরাইড (ভোজ্য লবণ) আমদানি করে লাভবান হচ্ছে। কারণ, সোডিয়াম সালফাইড আমদানিতে সরকারকে ৭% ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু সোডিয়াম ক্লোরাইড আমদানিতে শতভাগ ট্যাক্স দিতে হয়। তাই তারা ৭% ট্যাক্স দিয়ে প্রতারণা করে ভোজ্য লবণ আমদানিতে ব্যয় কম হচ্ছে এবং অধিক মুনাফা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী লাভবান হলেও অধিকাংশ লবণ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া এ লবণ সরাসরি মানবদেহের জন্য ক্ষতিক্ষর। সাধারণ জনগণ এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানান। 

তবে সম্প্রতি সরকারী নজরদারী বাড়ানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীদের সোডিয়াম সালফাইডের আমদানি কমেছে। এছাড়াও চাঁনখালী খাল খনন, মহাসড়কে যান চলাচলে হয়রানি বন্ধসহ বেশ কয়েকটি গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে পটিয়া ইন্দ্রপুলে নতুন নতুন কারখানা তৈরি হচ্ছে। 

পটিয়া ইন্দ্রপুল লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, কয়েক বছর আগেও ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প থেকে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে সরকারের বেশ কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে এখানে নতুন করে লবণ শিল্পের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে লবণ বোঝাই ট্রাক হয়রানী বন্ধ, চাঁনখালী খাল খনন করার ফলে সহজে ট্রলার চলাচল করতে পারছে। তাছাড়া লবণ শিল্পের প্রসারে পটিয়া বিসিক শিল্প নগরীর প্রতিনিধি সবসময় তাদের সহায়তা করছেন বলে জানান।
চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক যেন এক মরণফাঁদ!; চট্টগ্রাম; কক্সবাজার; পটিয়া; পটিয়া উপজেলা
চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক যেন এক মরণফাঁদ!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী নদীর শাহ্‌ আমানত সেতু হতে দোহাজারী শঙ্খ নদী সেতু পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ৫০ বাঁক যেন এক মরণফাঁদ!

বান্দরবান, টেকনাফ, কক্সবাজারগামী পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কিন্তু এ সড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধি না করায় শাহ্‌ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ) হতে দোহাজারী পর্যন্ত ৫০টি বাঁকের কোন সংস্কার হয়নি। কক্সবাজার থেকে দোহাজারী সেতু পর্যন্ত সড়কটি ২ লেনের হওয়ায় এবং এর বাঁক কম থাকায় এ ১১৫ কিলোমিটার সড়কটি পাড়ি দিতে সময় লাগে মাত্র আড়াই ঘন্টা। অথচ দোহাজারী সেতু থেকে শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ) চট্টগ্রাম অভিমুখ পর্যন্ত বাঁকি ৪৫ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘন্টা। এর মধ্যে পটিয়া বাস স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম যেতে প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও সড়কের দুই পাশ ঘেষে রাস্তার উচুঁ নিচু স্থান থাকায় প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দুর্ঘটনায় দিন দিন লাশের মিছিল বাড়ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পটিয়া ক্রসিং হতে মনসার টেক, বাদামতল, গৈড়লার টেক, আমজুর হাট মোড়, পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়, আদালত গেইট মোড়, থানার মোড়, ডাকবাংলোর মোড়, কমল মুন্সির হাট মিলে ৩০টি পয়েন্টে এবং চন্দনাইশের ২০ পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।

সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, পটিয়া মনসা থেকে দোহাজারী শঙ্খ সেতু পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়কে অদক্ষ চালকের দ্বারা অধিকাংশ ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে। এদের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে শিশু-কিশোরও রয়েছে। প্রায় সময় দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে শাহ্‌ আমানত সেতু থেকে পটিয়া ভেল্লাপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত ৪ লেনের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া পটিয়া ভেল্লাপড়া ব্রীজ হতে চন্দনাইশের শঙ্খ ব্রীজ পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি এ মহাসড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত মহাসড়ক হওয়ায় যদি এ সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করা হয় তাহলে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। 

গাড়ির চালকরা জানান, মহাসড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে এতবেশি দোকানপাট, গাড়ির স্ট্যান্ড-গ্যারেজ গড়ে উঠেছে তা ছাড়া, সড়কটি এত বেশি আঁকাবাঁকা যে, প্রতিনিয়ত অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়। চট্টগ্রাম থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত ৬৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দেড় ঘন্টার স্থলে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আরকান সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী এ ব্যাপারে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এতোবেশি আঁকা-বাঁকা যে, অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়। দু’পাশে দোকানপাট গড়ে উঠার কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা লেগেই আছে।’

অপরদিকে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সড়কের চার লেনের কাজ শুরু হলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো ঠিক করা হবে। সড়কের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন যান-বাহনের স্ট্যান্ড-গ্যারেজ ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাজ বলে তিনি জানান।’

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বেশ কটি সেতু ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এর মধ্যে মাতামুহুরী ও সাঙ্গু সেতু ১৯৬০ সালে নির্মিত। দুটির একটি বিচ্ছিন্ন হলে কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এ বিবেচনায় সরকার অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় চারটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো হলো, পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু, চন্দনাইশের বরগুনি সেতু, দোহাজারীর সাঙ্গু সেতু ও চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৩০৮ কোটি টাকা অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সেতুগুলো নির্মাণে ফিজিবিলিটি স্টাডির পর ডিজাইন চূড়ান্ত করেছে। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিশীঘ্রই চার সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হবে। ঠিকাদার নির্বাচনে তিন থেকে চার মাস লাগবে। এর দুই বছরের মধ্যে সেতুগুলো নির্মিত হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে বাঁকখালী নদীর উপরও একটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ সেতু রয়েছে। নতুন এই প্রকল্পে সেটিকে কেন রাখা হয়নি জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ূয়া বলেন, ‘জাইকার প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সড়কপথে সীমান্ত বাণিজ্য বাড়ানো। তাই সেখানে কক্সবাজার শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সড়কটি রামু হয়ে ঘুনধুম ও মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত দুই বছরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ২ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে, আহতে হয়েছেন প্রায় ৫’শ। এ সড়কে ফিটনেস বিহীন যানবাহনের দৌরাত্মের কারণে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক আরিফুর রহমান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘অদক্ষ চালক ও ফিটনেস বিহীন যানবাহনের সংখ্যা কমে আসলে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে।’
হার্টে ছিদ্রজনিত কারণে অসুস্থ শিশু রবিউলের পাশে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ পটিয়ায় হার্টে ছিদ্রজনিত কারণে অসুস্থ শিশু রবিউল হাসান মুন্নার পাশে দাঁড়িয়েছে সামাজিক সংগঠন ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’। আজ সোমবার (২৯/০১/২০১৮ ইং) বেলা ৩ ঘটিকায় পটিয়া পৌরসদরের রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় শিশু রবিউলের মা কলি বেগমের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ রাশেদ, পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ পটিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মো. বেলাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি রয়েল দত্ত, হুমায়ুন কবির, শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আকাশ, দপ্তর সম্পাদক মো. আমানত উল্লাহ সবুজ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ শিশু রবিউলের চিকিৎসার জন্য বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, শিশু রবিউল পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত মো. হারুনের একমাত্র ছেলে। বর্তমানে রবিউলের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অতিস্বত্বর হার্টের অপারেশন করা জরুরী। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। যার জন্য কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। পিতৃহারা একমাত্র সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না মা কলি বেগমের। তাই তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আপনিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ- 
কলি বেগম,
হিসাব নং- ০২০০০১১৫৭১৩১৮,
অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড,
পটিয়া শাখা।
বিকাশঃ- ০১৮৭৯২৬৬৩৩৭ (পার্সোনাল) -এ হিসাবে পাঠানো যাবে।
যোগাযোগের জন্যঃ- ০১৮৮১৬৩৫১৮২।

শুকিয়ে যাচ্ছে নদী-নালাঃ পটিয়াসহ চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ সংকটে কৃষকরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; হালদা
শুকিয়ে যাচ্ছে নদী-নালাঃ পটিয়াসহ চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ সংকটে কৃষকরা

ভয়েস অব পটিয়া-বিশেষ প্রতিনিধিঃ শীতের শুরু হতেই শুকিয়ে যাচ্ছে বর্ষায় টইটম্বুরে থাকা কর্ণফুলীর ৩টি শাখা খাল ও দুটি নদী। পানি শুকিয়ে বালুর চরে পরিণত হচ্ছে এসব খাল ও নদী। ফলে চট্টগ্রামের আবাদী বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ইরি-বোরো ও সবজি চাষাবাদে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। অনাবাদি হয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ডলুখাল, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী; পদুয়া, শিলক ও সরফভাটা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শিলক খাল, ডং খাল; রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী এলাকাধীন বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। ধান ও সবজিসহ নানা ফসল উৎপাদনে এসব খাল ও নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে বলে জানিয়েছেন এতদঞ্চলের কৃষকরা। 

চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শস্যভান্ডার খ্যাত গুমাইবিলসহ রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি ধান ও পাঁচ হাজার হেক্টর সবজি আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। রাউজান উপজেলায় রয়েছে ১৪ হাজার ১০০ হেক্টর ধান ও ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর সবজি, বোয়ালখালী উপজেলায় ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর ধান ও ২ হাজার ৭০০ হেক্টর সবজি আবাদযোগ্য জমি। যা সম্পূর্ণ এসব খাল ও নদীর পানি সেচের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া হাটহাজারী উপজেলার একাংশের প্রায় ২ হাজার ১০০ হেক্টর ধান, ৬০০ হেক্টর সবজি, পটিয়া উপজেলার একাংশের ১ হাজার ৯০০ হেক্টর ধান, ৭০০ হেক্টর সবজি আবাদযোগ্য জমিও এসব খাল ও নদীর পানি সেচের আওতায় রয়েছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এসব জমিতে চাষাবাদ হলেও শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে অর্ধেক জমিতেও ইরি-বোরো ও সবজি চাষাবাদ হয় না। 

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রাঙ্গুুনিয়ায় ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ও দেড় হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ, রাউজান উপজেলায় ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ও ৯০০ হেক্টর জমিতে সবজি, বোয়ালখালী উপজেলায় ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ও ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণাংশে এক হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ও ৪০০ হেক্টর জমিতে সবজি, পটিয়া উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ও ৩৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

পানি সেচ সুবিধা থাকলে আবাদযোগ্য সব জমিতে ইরি-বোরো ও সবজি চাষাবাদ করতে পারত কৃষকরা। এতে জড়িত প্রায় ৩০ হাজার কৃষকের ভাগ্য বদলে যেত। ঘুরে যেত জেলার অর্থনীতির চাকা। 

কৃষকরা জানান, ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য থেকে হালদা ও ইছামতি নদীর উৎপত্তি। শিলক খাল, ডং ভাল ও ডলু খালের উৎপত্তি বান্দরবান জেলা থেকে। ফলে প্রতিবছর বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পলিতে এসব খাল ও নদী ক্রমশ ভরাট হতে থাকে। হ্রাস পেতে থাকে পানির গভীরতা। ফলে বর্ষায় এসব খাল ডুবে উপচে পড়ে জনপদে। আর শীতে শুকিয়ে প্রায় মৃত হয়ে পড়ে। এতে দেখা দেয় সেচ সংকট। ব্যাহত হয় ধান ও সবজি চাষাবাদ। গত দুই দশক ধরে চলছে এ অবস্থা। চলতি মৌসুমেও শীত শুরু হতে না হতে কর্ণফুলীর এসব শাখা খাল ও নদী শুকিয়ে বালুরচরে পরিণত হচ্ছে। চরের কারনে এসব নদীতে একটি নৌকাও চলাচল করতে পারছে না। সবকটি খাল ও নদী পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। 
স্থানীয়রা জানান, এসব খাল ও নদীতে বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৩-৪ ফুট পানি থাকে। জোয়ার-ভাটায় কর্ণফুলী নদী থেকে এসব খাল ও নদীতে পানি প্রবেশ করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে কর্ণফুলী নদীর পানিও হ্রাস পাওয়ায় এসব খাল ও নদী শুকিয়ে যায়। ফলে খাল ও নদী তীরবর্তী পাঁচ উপজেলায় চাষাবাদে ব্যাপক সেচ সংকট দেখা দেয়। সেচের অভাবে অর্ধেক জমি অনাবাদি থেকে যায়।

বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের কৃষক আবদুর রশিদ (৪৩) জানান, ইউনিয়নের শাকপুরা চরে তার আড়াই একর জমি রয়েছে। যেখানে সারাবছর শুধু সবজি চাষ হত। কর্ণফুলী নদীর শাখা ডলু খালের পানিই ছিল চরের জমি চাষাবাদের মূল উৎস। কিন্তু গত ১০-১২ বছর ধরে শীত মৌসুমে ডলু খাল শুকিয়ে মরে যায়। তিনি বলেন, ১০-১২ বছর আগেও ডলু খালের গভীরতা ছিল প্রচুর। এ নদীতে তখন প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছও পাওয়া যেত। এ নদীর পানি দিয়ে শাকসবজি ও ধান চাষাবাদ করত চাষিরা। শাকপুরার চরসহ বোয়ালখালী উপজেলার সবকয়টি চরের জমিতে সবজি ও ধান চাষ করে স্বাবলম্বি হয়েছে অনেক কৃষক। 

রাউজান উপজেলার উত্তর ভুর্ষি এলাকার কৃষক আমিনুল ইসলাম (৫১) বলেন, কর্ণফুলীর শাখা হালদা নদীর পানি সেচ দিয়ে ভূর্ষি চরের সবজি চাষ করে সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ করতাম আমি। কিন্তু বর্তমানে নদীর উজানে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ সুবিধা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে ইরি-বোরো ধান ও সবজি চাষাবাদ। ফলে বিলের জমিতে অনেকে ধান ও সবজি চাষাবাদ করতে পারছেন না। 

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মুরাদনগর পৌর এলাকার ইছামতি চরের সবজি চাষি কফিল উদ্দিন (৩৮) জানান, চরে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক চাষি সবজি ও অন্যান্য অর্থকরি ফসলের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু ইছামতি নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদ করতে পারছে না। ফলে কৃষক পরিবারগুলো অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে। 

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন জানান, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নের ৪টি চরের প্রায় ৪ হাজার একর জমির ফসল উৎপাদন ইছামতি নদীর পানি সেচের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু গত দুই দশক ধরে ইছামতি নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে ৪টি চরের ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি অনুৎপাদনশীল হয়ে পড়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম বিভাগ-১ এর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্ণফুলীর শাখা খাল ও নদীর পানির উপর গুমাই বিলসহ চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলার ধান ও সবজি চাষাবাদ নির্ভরশীল। কিন্তু এসব খাল ও নদী ভরাট হয়ে এখন মৃত প্রায়। হালদা নদীতেও পানির স্তর হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ। এ নদী রক্ষায় এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে অদুর ভবিষ্যতে খাল ও নদী তীরবর্তি উপজেলার বিলগুলো মরুভুমিতে পরিণত হবে। 

চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলীর শাখা খাল ও নদীগুলো রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া না হলে আগামী কয়েক দশকে তা হারিয়ে যাবে। ফলে পানির অভাবে পাঁচ উপজেলায় খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে আসবে। দেখা দেবে খাদ্যভাব। এ ব্যাপারে বিভাগীয় পর্যায়ে একাধিকবার প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে সরকারী জমি; পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে থানার মোড়ের সরকারী জমি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে থানার মোড়ের সরকারী জমি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ
পটিয়া পৌরসভার থানার মোড়স্থ অর্ধশত কোটি টাকার সম্পত্তি ভূমিদস্যুদের দখলে। 
দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ২৭ শতক জায়গা থানার মোড়ের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। 

পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে সরকারী জমি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে সরকারী জমি

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ওই জায়গা লোহার বেড়াপূর্বক দখলে নিয়ে পাকা স্থাপনা তৈরীর কাজ শুরু করেছে উক্ত ভূমিদস্যু ব্যবসায়ীরা। ভূমিদস্যু চক্রটি ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের সাইন বোর্ডও সরিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, পটিয়া পৌরসভার স্থাপনকৃত ড্রেনও দখলে নিয়েছে চক্রটি। ড্রেনের উপরও স্থাপনা নির্মাণে কাজও এগিয়ে চলছে তড়িৎগতিতে। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ২৭ শতক জায়গা দখল করে নিজেদের জায়গা বলে দাবি করে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে ‘ডিউ গ্রুপ’ নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। ‘ডিউ ক্রাউন সেন্টার’ নাম দেয়ার মাধ্যমে বর্তমানে বিল্ডিং নির্মাণের পর বিভিন্ন দোকানও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাবেক মহকুমা পটিয়া পৌর সদরের ঐতিহ্যবাহী থানার মোড় এলাকায় ২৭ শতক জায়গা রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের। ২০১০ সালে এখানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও রাজনৈতিক মদদপুষ্ট একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের হাত থেকে আজ পর্যন্ত সরকারী এ সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সরকারী জায়গায় মন্দির স্থাপন করে ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে ভূমিদস্যু চক্রটি।

পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে সরকারী জমি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে সরকারী জমি

জেলা পরিষদের নকশা অনুযায়ী এ জায়গার উপর নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল ১১টি দোকান, ১৯৭১ সালে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে গৌরব সংসদের দাবি অনুযায়ী একটি স্থায়ী শহীদ বেদী এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির গৌরাঙ্গ নিকেতনে যাতায়াতের রাস্তা, ফুটপাথ ও পার্কিং।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সরোয়ার জাহান সরকারের ২৭ শতক সম্পত্তি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে আধুনিক বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই বছর টেন্ডারের মাধ্যমে ১১টি দোকান প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ। পরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জায়গা নির্ধারণ করে লে-আউট বুঝিয়ে দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ১১টি দোকান নিমার্ণের জন্য মাটি কাটার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করলেও রাতে আঁধারে সরকারী উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ করতে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রটি সংঘবদ্ধ হয়ে রাতের বেলায় মাটি ভরাট করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আজ পর্যন্ত এ ভূমিদস্যু চক্রটির হাত থেকে ২৭ শতক জায়গার উদ্ধার করতে পারেনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ।

পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে সরকারী জমি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় ভূমিদস্যুদের দখলে সরকারী জমি

ব্যস্ততম এ এলাকায় সরকারীভাবে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হলে পটিয়ার ব্যবসায়ী মহলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এবং কয়েক’শ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এখান থেকে বছরে সরকার প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে পারবে।
পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ, দূর্ভোগ চরমে; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ : দূর্ভোগ চরমে

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে পৌর সদরে যানজট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকায় যাত্রী সাধারণ নিদারুণ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মহাসড়কের দুই পার্শ্বের গাছপালা কেটে ফেলার দরুণ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। এ ড্রেন নির্মাণের ফলে একদিকে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে পৌরসভার মহাসড়ক এলাকার মহাসড়ক সংকোচনপূর্বক দুই পার্শ্বের অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স এন্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (MGSP) প্রকল্পের আওতায় পটিয়া পৌরসভাস্থ মহাসড়কের পার্শ্বে মাজার গেইট থেকে মুন্সেফবাজার কালিবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ড্রেন, ফুটপাত, স্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য ১২ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নেজাম আলী চৌধুরী (জেবি) কনস্ট্রাকশন কাজটির টেন্ডার প্রাপ্তি সহ কার্যাদেশ পেয়ে বিগত ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে পটিয়া বাস স্টেশন থেকে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে। মহাসড়কের দুই প্রান্তে কাজের জন্য খুঁড়ে ফেলার দরুণ মহাসড়কের উপর বিশাল মাটির স্তুপ, বালি, কনক্রিট, ইট, সিমেন্ট ও ভাঙ্গা পিলার রাখা হয়। যার ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদরের ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে ড্রেনের কোন দিকে উঁচু কোন দিকে নিচু হয়ে ঢেউ আকারের সৃষ্টি হয়েছে। 

পটিয়া থানার মোড় থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত অধিকাংশ বানিজ্যিক ভবন সরকারী জমি দখল করে মহাসড়ক ঘেষে গঁড়ে উঠায় এখানে ড্রেন সৃষ্টি করা দুষ্কর ব্যাপার। যে নিয়মে ড্রেন হচ্ছে এ নিয়মে ড্রেন করতে গেলে মহাসড়কের সরকারী জমি উদ্ধারপূর্বক ভবনগুলোর প্রায় অংশ ভাঙতে হবে। নয়তো ড্রেন মহাসড়কের উপর দিতে হবে। কোন কোন স্থানে আরসিসি ওয়াল নিষ্প্রয়োজনভাবে উঁচু করা হয়েছে। মহাসড়কের মাজার গেইট, বৈলতলী রোড, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আনোয়ারা রোড, ডাকবাংলোর মোড়, ছবুর রোড, দেওয়ানী আদালত রোড, পোষ্ট অফিস মোড় সহ আঞ্চলিক সড়কের সংযোগস্থল পাহাড়সম উঁচু করায় স্বাভাবিক যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনটির সাথে কোন খালের সংযোগ নেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এতে প্রকল্পের অর্থ অপচয় এবং মহাসড়কের দুই পার্শ্বের অবকাঠামো নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ‘অপরিকল্পিতভাবে পটিয়া পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনসহ নান্দনিক ড্রেন নির্মাণের কাজ করায় সরকারের উদ্দেশ্য মুখ থুবড়ে পড়বে। ড্রেনটি পৌরবাসীর কোন কাজে আসবে না। এটি পৌর ও জনস্বার্থ বিরোধী। এতে কিছু লোকের পকেট ভারী হচ্ছে। ড্রেনস্থলস্থ মহাসড়কের পার্শ্বে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য দুই পার্শ্বে লেভেল সাইড দিয়ে রাস্তা প্রশস্থ না করায় সড়ক সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দুই পার্শ্বের বৃক্ষ নিধনের ফলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।’ 

এদিকে MGSP প্রকল্পে থানার মোড় থেকে তালতলাচৌকি পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের জন্য আরো ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। 
এ ড্রেন পরিকল্পিতভাবে না হলে জনভোগান্তি বাড়বে বলে পটিয়া পৌর ব্যবসায়ীদের অভিমত। 

এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘যানজট সৃষ্টির জন্য তাদের কার্যক্রম দায়ী নয়। তবে ড্রেন নিয়ে যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা ড্রেনের কাজ সমাপ্তি হলে সমাধান হবে।’