"ভাটিখাইন" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
ভাটিখাইন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি; পটিয়া বাইপাস; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প; পটিয়া লবণ শিল্প; চাঁনখালী খাল; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Patiya Bypass; Chittagong-Coxsbazar Highway; Chittagong; Chattogram; Highway; Patiya Salt industry
পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি। আজ রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২.৩০টার সময় পটিয়া বাইপাস সড়কের ভাটিখাইন ইউনিয়নাধীন বাকখালী বড়ুয়ার টেক সম্মুখ এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্যরা বসতি এলাকা থেকে ৩ টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। মসজিদের মাইকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই গরুচোর ডাকাতদলের সদস্যরা কমলমুন্সির হাটের দিকে পালিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ডাকাত দলের কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।

দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া বাইপাস সড়কে দিনে-দুপুরে কিশোর গ্যাংয়ের চুরি-ছিনতাই, রাতে ডাকাতদলের উৎপাতে আতঙ্কগ্রস্থ বাইপাস সড়ক সংলগ্ন বসতির এলাকাবাসীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এখন অবধি এই এলাকা চোর-ডাকাতদের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এলাকাবাসী উক্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন-সংস্কার না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের আতঙ্কে এলাকাবাসী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন কবলিত অংশ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পটিয়ার শ্রীমাই খাল বেড়িবাঁধের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশ ব্যাপক ভাঙনের সম্মুখীন হয়। বরাদ্দের অভাবে বেড়িবাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আরো বড় ধরনের ভাঙনের অাতঙ্ক বিরাজ করছে। পাহাড়ী ঢলের পানি থেকে রক্ষাকল্পে উক্ত বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অসময়ে বরাদ্দ পাওয়া ও বর্ষার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলায় ভাঙনের কবলে পড়া বেড়িবাঁধের কেবল ১টি স্পটে সামান্য কাজ করা হলেও বাকী আরও ৫টি অংশে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়।

প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে শ্রীমাই খালের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশে ব্যাপক অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে ছনহরা, ভাটিখাইন এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিতে পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যায়। এলাকাবাসীর অনেকের ঘরবাড়ি পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ও ছোট-বড় পোনার পুকুর ভেসে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত না করায় ২য় বারের বর্ষণেও পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।

এ ব্যাপারে কথা বললে, স্থানীয় ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী ও ভাটিখাইন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দীন ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর থেকে স্থানীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফর আহমদ চৌধুরী টিপুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অতি দ্রুত ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিলেও বরাদ্দের অভাবে তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও ভাটিখাইন এলাকার সামান্য অংশে দায়সাড়া গোছের মেরামত কাজ করে। ফলে গত অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়াতে যথাসময়ে কাজ না করায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত চলে যায়। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে ছনহরা, ভাটিখাইন ও আশিয়া ইউনিয়নের শত শত লোকজন, স্কুল-কলেজের ছাত্র–ছাত্রী পটিয়া সদরে যাতায়াত করে থাকেন। বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণেকে চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর চৌধুরী ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে মেরামত কাজ করতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন; কিন্তু চলতি অর্থ বছর শুরু হওয়াতে কোন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়ার মত কোন বরাদ্দ নেই। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে স্বেচ্ছাশ্রম কিংবা অংশীধারিত্বের ভিত্তিতে জরুরিভাবে এই ভাঙ্গন মেরামত করা সম্ভব হবে। অন্যথায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইউছুপের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, চলতি অর্থ বছরে শুরুতেই জরুরি ভিত্তিতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের মেরামত কাজ করার জন্য ডিজি মহোদয়ের সাথে আলাপ করে বরাদ্দ পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটিয়ায় কর্মরত এসডি মোহাম্মদ শওকত জানান, শ্রীমাই খালের ৫টি অংশে মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ টাকা বর্ষার কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। আগামী শুষ্ক মৌসুমে পুনরায় বরাদ্দ নিয়ে কাজ করা হবে। তাছাড়া সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের ঢলের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মেরামত কাজ করা সম্ভব হবে বলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান।
সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দরিদ্র পথশিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দরিদ্র পথশিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ পটিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে ভাটিখাইন ইউনিয়নের দরিদ্র পথশিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ও সংবাদ সংস্থা দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক এম এ হামিদ, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা তাপস দে, সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন, সহ-সভাপতি সহিদুল ইসলাম শিমুল, সাধারন সম্পাদক রুবেল সরকার সঞ্জয়, রুবেল কান্তি গুহ, হোসেন রাজ, সাহেদুল ইসলাম, নাঈম উদ্দিন রিপন, সরোয়ার আলমসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
ঠেগরপুনি-ছনহরা সংযোগ সেতুর ভাঙনঃ সংস্কার হয়নি এক দশকেও, দুর্ভোগে এলাকাবাসী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ঠেগরপুনি-ছনহরা সংযোগ সেতুর ভাঙনঃ সংস্কার হয়নি এক দশকেও, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নাধীন ঠেগরপুনি এলাকায় শ্রীমতি খালের উপর নির্মিত সেতুর ভাঙন। সংস্কার হয়নি এক দশকেও। দুর্ভোগে এতদঞ্চলের জনগণ।

জানা যায়, ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলের কবলে ভেঙে পড়ে ঠেগরপুনি-ছনহরা সড়ককে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি। গত এক দশকেও সংস্কারের মুখ দেখেনি সেতুটি। যার ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে এই ইউনিয়নের ছয় গ্রামের বাসিন্দারা। ভাটিখাইন ঠেগরপুনি-ছনহরা-আশিয়া সড়কের ভাটিখাইন-ছনহরা সীমানার দিকে সেতুটির অবস্থান। 

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ভাটিখাইন, ছনহরা ও আশিয়াসহ তিন ইউনিয়নের ছয় গ্রামের কৃষক, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ পটিয়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। সংস্কারের অভাবে সেতুটি ব্যবহার করতে না পারায় সবাইকে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। 

সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া পৌর সদরের ছন্দা সিনেমা এলাকা থেকে সড়কটির শুরু। উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে গেলে ভাটিখাইন ঠেগরপুনি এলাকা। আর এ ঠেগরপুনি এলাকায় শ্রীমতি খালের ওপর বাঁশের সাঁকোটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ ফুট। সেতু ব্যবহার করতে না পারায় সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী, বয়স্কসহ গ্রামবাসীরা। 

ঠেগরপুনি গ্রামের এক বাসিন্দা ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, তার মেয়ে পাশের ছনহরা টিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। এই সাঁকো পার হয়ে মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তিনি এই ভেবে যে, সাঁকো পার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি শিশু খালে পড়ে যায়। ভাটিখাইন নলিনীকান্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অর্পণ বড়ুয়া বলে, বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় সাঁকোতে উঠলে তা দুলতে থাকে। বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলে সাঁকো নড়বড়ে হয়ে যায়। ফলে আমরা ভয়ের ভিতর থাকি। ছনহরা ইউনিয়নের উত্তর ছনহরা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবদুল গফুর (৬৫) বলেন, সাঁকো দিয়ে মাঠের ফসল নিয়ে বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় কষ্টের সীমা থাকে না।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সাঁকোর জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণের জন্য পটিয়ার সাংসদ নিজেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও সেতুটি হয়নি। ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতেয়ার ভয়েস অব পটিয়াকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। 

পটিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান আমলের জরাজীর্ণ সেতুটি ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। সেখানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
পটিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিময়-দুর্নীতি, ভাঙ্গন আতঙ্কে ২০ হাজার মানুষ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিময়-দুর্নীতি, ভাঙ্গন আতঙ্কে ২০ হাজার মানুষ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নে সাড়ে ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। যার ফলে গত কয়েক দিন আগে ভাটিখাইনে শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কৃষক ও পুকুর ডুবে মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে আবারো ভাঙ্গন আতঙ্ক নিয়ে দুই উইনিয়নের ২০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।

জানা যায়, প্রতিবছর পাহাড়ী ঢলের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত কয়েক দিন আগে টানা বর্ষণে শ্রীমাই খালের দু’পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কৃষক ও পুকুর ডুবে মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের টাকা হরিলুটের কারণে উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যে বসবাস করছে। আবারো যে কোন মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানির প্রবল স্রোতে পুনরায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শ্রীমতি খাল এলাকার একাধিক জায়গায় গত কয়েক দিন আগের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পাহাড়ি ঢলের বিভিন্ন স্থানে পানিতে বিলীন হয়ে যায়। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বেড়িবাঁধগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব পয়েন্ট দিয়ে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবাহিত হয়ে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার পুকুরের মাছ। ফসলি জমি ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে সদ্য রোপণ করা আমন ফসল।

এদিকে ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে শ্রীমতি খালের পানি স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে গিয়ে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ভাটিখাইন এলাকার ২ উইনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দ্রত বেড়িবাঁধ মেরামত করা না গেলে লক্ষ লক্ষ টাকার জমির ফসল পাহাড়ি ঢলে বিলীন হয়ে যাবে। 

পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপজেলার শোভনদন্ডী, খরনা, কচুয়াই এলাকায় ২৫ কিলোমিটার খাল খনন, পাঁচটি স্লুইস গেইট মেরামত ও ভাটিখাইন-ছনহরা এলাকায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করে। আর এ কাজটি মূল ঠিকাদার ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড পেয়ে থাকলেও সরকারী দলের প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট করে সাব ঠিকাদার হিসেবে বেড়িবাঁধের কাজ ভাগিয়ে নিয়ে অনিয়ম ও টাকা হরিলুট করেছে বলে পটিয়া উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় অভিযোগ করেছিলেন ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। 

ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করে টাকা আতৎসাত করেছে। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনরকম নিয়মকানুন মানেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। বেড়িবাঁধ নির্মাণে উপরের অংশ ১৪ ফুট চওড়া ও নিচের অংশে ২৮ ফুট বাঁধ নির্মার্ণের কথা থাকলেও ৫০ ভাগ কাজও করেনি ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকার ঘাস লাগানোর কথা থাকলেও এক টাকারও ঘাস লাগায়নি। ফলে প্রতি বছর বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতিতে সহযোগীতা করেছে পানি উন্নয়ন বোডের ঘুষখোর কর্মকর্তারা। ফলে গত কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টিতে ভাটিখাইন-ছনহরা সীমান্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।’
তিনি আরো জানান, শ্রীমতি খালের ভাঙনের বিষয়টি ইতোমধ্যে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে ভাটিখাইন ইউনিয়নের শহিদুল আলম নামের এক ভুক্তভুগী ব্যাক্তি বলেন, ‘বেড়িবাঁধের মাটি মানুষ দিয়ে কাটার কথা থাকলেও তা এস্কেলেটর দিয়ে তড়িঘড়ি করে কেটেছে। এস্কেলেটর দিয়ে মাটি কাটার ফলে খালের পাড়ের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার প্রাচীনতম হাজার হাজার গাছপালা নষ্ট করেছে।’

এ প্রসঙ্গে পটিয়া পানি উন্নয়ন বোডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ। গত কয়েক দিন আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড় থেকে আসা শ্রীমাই খালের বাঁধ ভেঙ্গে ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভাটিখাইন ও ছনহরা সীমান্তে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি। শ্রীমতি খালের ব্যাপক ভাঙনের কথা স্বীকার করেন এবং অতি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।’
পটিয়ায় প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ মহাসড়কে সিএনজি এবং তিন চাকার যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার নির্বাহী আদেশ জারির করার পর থেকে পটিয়ার অভ্যন্তরীণ রোডগুলোতে সিএনজি চলাচলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে প্রায় প্রতিদিন যাত্রীদের সাথে কম-বেশী বাড়াবাড়ি থেকে শুরু করে মারামারি অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে সিএনজি কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের দূর্ভোগে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে সিএনজি ধর্মঘট থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন এলাকার সার্ভিস বন্ধ রাখে। এ সমস্যা লাঘবে এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে পটিয়া অটো-টেম্পো, টেক্সী, মাহেন্দ্র, রাবি, টাটা এইচ পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতি কার্যালয়ে ভাড়া বাড়ানোর জন্য এক পরামর্শ সভা করে এরপর গত ২২ শে আগষ্ট আলমদার পাড়া টেম্পো স্টেশনে, স্থানীয় যাত্রীদের নিয়ে এক পরামর্শ সভা করে, এতেও কোন সুরাহা হয় নি।

পটিয়ায় প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram


সর্বশেষ আজ থেকে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, এসপি সার্কেল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জ্ঞাতসারে পটিয়া সদর হতে মূরালী ঘাট ও ছনহরা রোড়ের ভাড়া পুনঃ নির্ধারণ করা হয়েছে বলা হয় মর্মে এক নোটিশ জারী করে সিএনজি-টেম্পো সমিতি। এতে পটিয়া সদর হতে ধাউরডেঙ্গা রাস্তার মাথা মুরালী ২০/-, চাটরা ও বরিয়া স্কুল ১৮/- ভাটিখাইন স্কুল ও আলমদার পাড়া ১৩/-, ভাটিখাইন ব্রীজ ১০/-, উত্তর ও দক্ষিণ ছনহরা ২০/- নির্ধারণ করে এবং সে পরিমাণে ভাড়া আজ সকাল থেকে আদায় করা শুরু করেছে সিএনজি-টেম্পোগুলো। 

এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন। ইউএনও এলাকাবাসীদের সান্ত্বনা দেন এবং এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘থানা কর্তৃপক্ষের ভাড়া বাড়ানোর কোন এখতিয়ার নেই। তাছাড়া প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে যদি ভাড়া আদায় করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে ভাটিখাইন, আলমদার পাড়া, চাটরা, ধাউরডেঙ্গা, মুরালী, ছনহরার বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি সম্পুর্ণ অযৌক্তিক আর তা যদি করতে হয় তাহলে এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সাপেক্ষে করতে হবে। এখানে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি নুরুল আলমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবগত আছেন।’
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমদ টিপু; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ টিপু

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 
আজ শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ভাটিখাইন-ছনহরা সড়কে শ্রীমাই খাল ভেঙে যাওয়ায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

এদিকে খালের ভাঙ্গন এলাকা তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেছেন পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু। এ সময় তিনি বৃষ্টি কমে আসলে শ্রীমাই খালের যে স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে তা জরুরী ভিত্তিতে পুনঃনির্মাণ করে দিবেন বলে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেন।

পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

জানা যায়, প্রবল বর্ষণে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ভাটিখাইন-ছনহরা সড়কের মাঝখানে শনিবার সকাল থেকেই শ্রীমাই খালের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। 

পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত; পটিয়া; চট্টগ্রাম
পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

এতে করে ধানি জমি, মাছ চাষের পুকুর, সবজি ক্ষেত, ঘরবাড়ি ডুবে কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। 

স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন জানান, তার ৩০টির অধিক মাছ চাষের পুকুর ডুবে যায়। মোঃ ইদ্রিস নামের এক কৃষক জানান, তার চাষকৃত গুড়াকচু পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় রয়েছেন তিনি। এছাড়াও পানিতে বিভিন্ন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শ্রীমাই খালের ভাঙ্গনে বর্তমানে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
টানা বর্ষনে পটিয়া-ভাটিখাইন কেরিঞ্জা সড়ক বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত;পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
টানা বর্ষনে পটিয়া-ভাটিখাইন কেরিঞ্জা সড়ক বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণে শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পটিয়া-ভাটিখাইন কেরিঞ্জা সড়ক, ভট্টাচার্য্য রাস্তার মাথা, বলির টেক, জসিম ড্রাইভার বাড়ী সংলগ্ন রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া ভাটিখাইন ব্রীজের আশেপাশে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। শ্রীমাই খালের আশেপাশে আর দুইদিন বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতে থাকলে পুরো বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেড়িবাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর অনিয়ম থাকায় ভাঙ্গনকৃত স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। বেড়িবাঁধ নির্মাণ যেভাবে করার কথা ছিল সেভাবে না করাতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও একবছর অতিবাহিত না হলে বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে যায়। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ সিকদার জানান, ‘আমি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সহযোগীতায় আপাতত ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে বালি ও গাছ দিয়ে ভরাট করছি। আশা করছি অতিদ্রুত এটার একটি স্থায়ী সমাধান করতে পারব।’
পটিয়ার ডেঙ্গাপাড়ায় শিশু কিশোর ও বয়োবৃদ্ধদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামত
পটিয়ার ডেঙ্গাপাড়ায় শিশু কিশোর ও বয়োবৃদ্ধদের স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামত 


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ার ডেঙ্গাপাড়া এলাকার শিশু-কিশোর ও বয়োবৃদ্ধারা স্বেচ্ছাশ্রমে একটি সড়ক সংস্কার করার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

গতকাল সোমবার এলাকার অর্ধ শতাধিক শিশু-কিশোর ও সাধারণ মানুষ যার যা আছে তাই নিয়ে দত্তপাড়া সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করেন।

সংস্কারকর্মীর একজন মাহমুদুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছরেও এ সড়কটি সংস্কার বঞ্চিত ছিল। আমরা জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েছি সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে। কিন্তু তারা শুধু আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কেউ কথা রাখেনি। তাই আজ আমরা এলাকার লোকজন  সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যার যা আছে তাই নিয়ে সড়কটি সংস্কারে কাজ শুরু করেছি। আমাদেরকে বিত্তবানরা কথা দিয়েছেন, সড়ক সম্প্রসারণ হলে তারা ইটা দিয়ে সহযোগিতা করবেন। ইতিমধ্যে আমাদের এলাকার ১১ জন বিত্তবান প্রায় ১১ হাজার ইটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ করব। ইটা সংগ্রহ হলে সড়কটির আরো উন্নয়ন হবে।’

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, ‘বারবার উপজেলা পরিষদ-স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তাগাদা দেয়ার পরও এ সড়কের জন্য কোনরূপ বরাদ্দ না পাওয়ায় সড়কটি কোন সংস্কার কাজ করতে পারি নি। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে আসায় সড়কটির সংস্কারে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।’ 
অর্ধশতাধিক শিশুকিশোর ও বয়োবৃদ্ধদের স্বেচ্ছাশ্রমে উক্ত সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়।