"শোভনদন্ডী" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
শোভনদন্ডী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কান্ত কাজীর বাড়ী প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের গরীব দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; প্রবাসী; ইউনিয়ন; শোভনদন্ডী; সংবাদ; Patiya; Chittagong; Chattogram
কান্ত কাজীর বাড়ী প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের গরীব দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রশিদাবাদ কান্ত কাজীর বাড়ী প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে ৩য় বারের মত গত ০৫ রমজান ১৪৪০ হিজরী (১১ মে ২০১৯ ইং শনিবার) বিকাল ৪ ঘটিকায় সমাজের গরীব ও দুস্থ শতাধিক পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-অর্থ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক নূর উদ্দিন সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ। উক্ত ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আর্থিক সহযােগিতা করেন প্রবাসী মােঃ ইসমাইল, মােঃ এমদাদুল হক, মােঃ শহীদুল হক, হাবিবুর রহমান, মােঃ এনামুল হক, মােঃ মুছা, মােঃ সােহেল, মােঃ শাহাদাত হােসেন, মােঃ আহমদ দ্বীন, মোঃ মহিউদ্দীন, মােঃ রুবেল, মােঃ রাশেদুল ইসলাম, মােঃ ইসহাক, মােঃ হারুন, মােঃ আব্দুস শুকুর, মােঃ মহিউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মোঃ মামুন, মোঃ ফোরকান, মােঃ আমিন, আলী আক্কাস, আমজাদ হােসেন, লােকমান রােমান, মােঃ রুবেল, কামরুল ইসলাম, মােঃ লিটন, নিখিল, মােঃ রফিক, নূর হাসান পিন্টু, মােঃ এরশাদ, মােঃ নূর উদ্দিন, মােঃ মাঈনুদ্দীন প্রমুখ। 

উল্লেখ্য যে, সংগঠনের সভাপতি মােঃ মুছা “আল লেমছা আল ছেহেরিয়া রেষ্টুরেন্ট” শারজাহ এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহযােগিতা প্রদান করেন। উক্ত সংগঠনটির মাধ্যমে বিগত তিন বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে সমাজের গরীব ও দুস্থ পরিবারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, কন্যা বিয়ে, অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা খরচ ও গরীব ছেলে-মেয়েদের পবিত্র কুরআন শিক্ষার জন্য ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। 

এ ধরনের মহৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসী ভাই ও সমাজের বিত্তবানদের  সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরােধ জানানাে হয়।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পটিয়ার শাওনের ‘কিউটিপি’ ফর্মুলা; প্রশ্নফাঁস; পটিয়া
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পটিয়ার শাওনের ‘কিউটিপি’ ফর্মুলা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পাবলিক পরীক্ষায় দেশব্যাপী যখন প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা, তখন পটিয়ার সন্তান শাওন তা প্রতিরোধে একটি ফর্মুলার কথা ভেবেছেন। সেটির নাম দিয়েছেন ‘কুইক ট্রেসিং প্রিন্ট’ (কিউটিপি)। গত ফেব্রুয়ারী মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার ফর্মুলার বিস্তারিত জানান।

রকিবুল ইসলাম শাওন; থাকেন পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ ১নং ওয়ার্ডে। স্থানীয় একটি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। সামনে জেএসসি পরীক্ষা; বিগত কয়েকবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারটা ‍উড়িয়ে দেয়া যায় না। 

শাওন জানান, প্রশ্নফাঁসের কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সরকার পড়েছে সমালোচনার মুখে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। একজন ছাত্র ও দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে তাকেও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা খুবই পীড়া দেয়। আর এ জন্যই তিনি চান, প্রশ্নফাঁস বন্ধ হোক। আর এ চিন্তা থেকেই তার মাথায় একটি আইডিয়া আসে। তার দাবি, ফর্মুলাটি যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে প্রশ্নফাঁসের সম্ভবনা শূন্য শতাংশে চলে আসবে। তিনি চান, সরকার তার ফর্মুলাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহণ করুক।

রিপোর্টার: আপনার ফর্মুলার বিস্তারিত জানতে চাই।

শাওন: দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদরা সরকারকে একটি সুপারিশ দিয়েছেন। তারা ওই সুপারিশে বলেছেন, পরীক্ষার দিন সকালে, পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে পরীক্ষাকেন্দ্রেই প্রশ্নপত্র ছাপতে হবে। আর সেই প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হবে। আমার ফর্মুলাটি এখান থেকেই শুরু, কিন্তু কিছুটা ভিন্ন পন্থায়। আমিও চাই প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রেই ছাপানো হোক। তবে কোনও ইলেট্রনিক প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে নয়। প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেও প্রিন্টার হঠাৎ বিগড়ে যেতে পারে। দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎও নেই। আর এ কারণে আমার ফর্মুলা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই বললেই চলে। পরীক্ষার দিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে প্রশ্নপত্র সার্ভার থেকে ডাউনলোড ও একবার প্রিন্ট করতে যতটা সময় বিদ্যুৎ থাকা প্রয়োজন ততটা সময় এবং সেই প্রশ্নপত্র ট্রেসিং ফ্রেমে সংযোজন করতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট বৈদ্যুতিক আলো বা রোদের উত্তাপ হলেই চলবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ লাগবে। ওই সময়ের জন্য সৌরবিদ্যুৎ বা আইপিএস হলেও চলবে।

রিপোর্টার: কিভাবে কাজ করবে আপনার কিউটিপি ফর্মুলা?

শাওন: প্রিন্টার মেশিন বা ফটোকপিতে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করতে যত সময় লাগবে সেই একই সময়ে আমার এ ফর্মুলায় সব প্রশ্নপত্র ছাপানো সম্ভব। এতে বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি যে সুবিধা হবে তা হলো সরকারের কোটি কোটি টাকা বাঁচবে। প্রশ্নফাঁসও হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বা বোর্ডে অটোমেশন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন হবে পরীক্ষার আগেরদিন রাতে অথবা পরীক্ষার দিন ভোরে। সেই প্রশ্নপত্রটি সকালে পরীক্ষা শুরুর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ই-মেইলের মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। আর তখনই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ট্রেসিং পেপারে প্রিন্ট করতে হবে। এরপর সেই ট্রেসিং পেপারে প্রিন্ট করা প্রশ্নপত্রটি ট্রেসিং ফ্রেমে বসিয়ে হাতের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হবে। একটি কেন্দ্রে যতগুলো প্রশ্নের প্রয়োজন হবে ততগুলোই প্রিন্ট করা সম্ভব। এ ফর্মুলায় একজন প্রতি মিনিটে পাঁচটি প্রশ্ন প্রিন্ট করতে পারবেন। এর মানে এক ঘণ্টায় অন্তত ৩০০টি প্রশ্ন প্রিন্ট করা যাবে। তাহলে দুই ঘণ্টায় পারবেন ৬০০টি। ধরে নেওয়া যাক, কোনও কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা চার হাজার। তাহলে চার হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য দুই ঘণ্টায় সব প্রশ্নপত্র ছাপানো সম্ভব। লোকবল বাড়িয়ে দিলেই সেটা সম্ভব। সাত জনকে যদি একই সময়ে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করতে দেওয়া যায় তাহলে দুই ঘণ্টায় তারা চার হাজার ২০০টি প্রশ্ন প্রিন্ট করতে পারবেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, এত লোকবল কোথায় পাওয়া যাবে? এবং এত মানুষ প্রশ্নপত্র হাতে পেলেও তো দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা সম্ভব।
আমার যুক্তি হল- সরকার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রেই প্রিন্টার দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করা হবে। প্রিন্ট করতে হলে অবশ্যই একটি গোপন কক্ষ লাগবে। আমার পদ্ধতি ব্যবহার করলেও গোপন একটি কক্ষ লাগবে। ওই কক্ষে সকাল ৭টায় সবাই মোবাইলসহ সব ধরনের বিদ্যুতিক ডিভাইস ছাড়া প্রবেশ করবেন এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে বের হবেন। আর ওই কক্ষের সামনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিতে হবে নজরদারির জন্য। এছাড়া একটি এলাকায় যেহেতু কয়েকটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেহেতু ওই সব স্কুলে যারা দাপ্তরিক কাজ করেন তাদের কেন্দ্রে এনে প্রিন্টের কাজটি করানো সম্ভব। ট্রেসিং ফ্রেমে প্রিন্ট করা খুবই সোজা। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ১৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট শেষ হলে তখনই শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী সেগুলো প্যাকেটে ভরতে হবে এবং দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্যাকেট নিয়ে নিজেদের কক্ষে যাবেন।

রিপোর্টার: এ পদ্ধতিতে কেমন খরচ হবে?

শাওন: খরচ খুবই কম হবে। ট্রেসিং ফ্রেম, কালির খরচ পড়বে সর্বোচ্চ পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ টাকা। আর প্রশ্ন ছাপানোর কাগজের জন্য এখন যেমন খরচ হয়, তেমনই থাকবে। এছাড়া এখন তো প্রতিটি স্কুল-কলেজেই সরকার কম্পিউটার ও প্রিন্টার দিয়েছে। সুতরাং সেগুলো কেনার আলাদা কোনও ঝামেলা নেই। বাড়তি আর কোনও খরচ নেই। ফলে ফর্মুলাটি যদি সরকার গ্রহণ করে তাহলে আমি মনে করি, প্রশ্নফাঁস তো হবেই না। এর সঙ্গে খরচও অনেক কমে যাবে।

শাওনের এ ফর্মুলার বিষয়ে শিক্ষাবিদের মন্তব্য জানতে চাইলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের সুপারিশ ছিল, প্রশ্ন যত দেরিতে ছাপানো যাবে ততই প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি কমবে। আর এ জন্যই বলা হয়েছিল কেন্দ্রেই প্রশ্নপত্র ছাপানো হোক। এর জন্য যা যা করণীয় তা সরকার করবে। এখন সেই প্রশ্নের প্রিন্ট সরকার প্রিন্টার দিয়ে করাবে নাকি ট্রেসিং দিয়ে করাবে, সেটা পরবর্তীতে অ্যাপ্লাই করে সরকার ঠিক করবে কোনটা বেশি ভালো। তবে ট্রেসিং প্রিন্ট পদ্ধতি ডিজিটাল প্রিন্টারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।’
টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার বিচ্ছিন্ন সড়ক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও বন্যার ফলে সৃষ্ট জমে থাকা পানি নামতে শুরু করলেও পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে ঈদ আনন্দে ‍দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের আমেজে থাকা উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ, জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম, কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাদামতল, আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, জঙ্গলখাইন ইউনিয়নসহ কয়েকটি স্পটে বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বর্তমানে যার পানি নামতে শুরু করেছে। 

প্রবল পানিরস্রোতে জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকার একটি চলাচলের রাস্তাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ঈদ আনন্দ করতে যাওয়া লোকজন। বিচ্ছিন্ন রাস্তায় লাফ দিয়ে যুবক-যুবতি থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর-বৃদ্ধরা পারাপার হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত একটানা তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গ্রামীণ সড়কের এই দশা হয়েছে। 

এদিকে, গ্রামীণ সড়কে এহেন বেহাল দশা হলেও জনপ্রতিনিধিরা দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেননি। বরংচ তারা এর দায় চাপিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর উপর।

টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ টানা বর্ষণ-বন্যায় পটিয়ার গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; আশিয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি চলাচল করে থাকে। মহাজন হাট থেকে শুরু করে রশিদাবাদ সড়কটি দীর্ঘতম। বর্তমানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুল হকের বাড়ি ঘাটাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ঈদ আনন্দে দুর্ভোগ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও চলতি বর্ষা মওসুমে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ওই সড়কের কয়েকটি স্পটে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিন শোভনদন্ডী ইউনিয়নে ভাঙ্গা রাস্তায় ইট ও বালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান। একইভাবে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম সড়কের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঈদ আনন্দ করতে যাওয়াদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহ-সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ক্ষোভ প্রকাশ করে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্যের বাড়ি তাদের এলাকায় হলেও দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া পটিয়াতে যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে তার কোন সঠিক তদারকি হয়নি। যার কারণে প্রতিটি কাজেই অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।’

এদিকে, আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. হাশেম ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার পানি নামতে শুরু করলেও বিভিন্ন ব্রিক সলিং ও কার্পেটিং রাস্তা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এলাকার লোকজনকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বর্ষা মওসুমে যেসব রাস্তা ভেঙে গেছে তা নতুন অর্থবছরে টেন্ডারের মাধ্যমে মেরামতের কাজ শুরু করবেন। আশিয়া কেরিঞ্জা সড়ক মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ৭০ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে এই সড়কের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পটিয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুঁড়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি;পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুঁড়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুঁড়ে নগদ অর্থসহ ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের লাউয়ারখীল গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আগুন নিভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন নেপাল দাশ (৭৫), রাখাল দাশ (৬২), রবি দাশ (৫০) ও গীতা দাশ (৫০)।

আমাদের শোভনদন্ডী প্রতিনিধি জানান, সকালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডীর লাউয়ারখীল গ্রামের রায় গোপাল, নেপাল দাশ, রাখাল দাশ ও দীপক দাশের ঘর সম্পূর্ণ পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার এক ঘন্টা পর পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ততক্ষণে ৪টি পরিবারের ৮টি রুমের সম্পূর্ণ মালামাল পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়।

এতে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূল সুসংগঠিত করতে ব্যালটে নেতৃত্ব নির্বাচনের বিকল্প নেই : সামশুল হক চৌধুরী এমপি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
তৃণমূল সুসংগঠিত করতে ব্যালটে নেতৃত্ব নির্বাচনের বিকল্প নেই : সামশুল হক চৌধুরী এমপি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করে ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছাতে এবং সংগঠনকে তৃণমূলে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হচ্ছে। ধর্ম নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বহুবাদীত্ব গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ নির্মাণ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিন বদলের সংগ্রামে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ সুখী-সুন্দর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্নের সংগঠনকে তৃণমূলে সুসংগঠিত করতে ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করার বিকল্প নেই।’
গতকাল শুক্রবার পটিয়ার শোভনদন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন সামশুল হক চৌধুরী। 

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক মফজল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম. রাশেদ মনোয়ার, বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ. জাফর, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এ.কে.এম আবদুল মতিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আ.লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, নাছির উদ্দিন, দেবব্রত দাশ, প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল হাকিম, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল খালেক, উপজেলা আ.লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার, আবু সালেহ চৌধুরী, শহীদুল আলী মঞ্জু, দিদারুল হক চৌধুরী, আলমগীর খালেদ, উপজেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নবী টিপু, শোভনদন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ব্রজহরি মাষ্টার, ডা. নুরুল হুদা, মোহাম্মদ মুছা, আবুল হাসান খোকন, আরশাদ ইকবাল, আবদুল মালেক, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।