বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ চলবে : ওবায়দুল কাদের


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ রাজধানী ধোলাইপাড় এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হয়েছে। ভাষ্কর্য ভাঙা কিংবা এর ক্ষতি সাধন করা অবশ্যই সংবিধান বিরোধী এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এর প্রধান কারণ, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তাঁর ভাস্কর্যের ওপর হামলা কোনমতেই মেনে নেয়া যায় না। 
সৌদি আরব, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক এমনকি পাকিস্তানে পর্যন্ত ভাস্কর্য রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে যেখানে ভাস্কর্য রয়েছে তাদের চেয়ে কি আমরা বড় মুসলমান হয়ে গেলাম? ওইসব রাষ্ট্রে তো ভাস্কর্য নিয়ে কোনো কথা হয় না। আর মূর্তি হলো দেবতার পূজা-অর্চনা করার। দেবতাকে পূজা করা হয়, কিন্তু এখানে তো মানুষকে পূজা করা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের দেশে কেন বিষয়টি ভিন্ন দিকে যাচ্ছে? 
কুষ্টিয়ায় তারা বঙ্গবন্ধুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুদার ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের কাজ করার মত ধৃষ্টতা যারা দেখাবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’
আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত 'মুজিব মিনার' নির্মাণের প্রস্তাব হেফাজতে ইসলামের


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি-ভাস্কর্য স্থাপনের পরিবর্তে আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত 'মুজিব মিনার' নির্মাণের বিকল্প প্রস্তাবসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। 
আজ শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসায় এক বৈঠকে সরকারকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।

উক্ত সভার প্রস্তাবনাসমূহঃ

১ । মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোনো মহৎ ব্যক্তি ও নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরিয়ত সম্মত নয়। এতে মুসলিম মৃত ব্যক্তির আত্মার কষ্ট হয়। কারো প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ না করে, শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার আলোকে কুরআন-সুন্নাহ সমর্থিত কোনো উত্তম বিকল্প সন্ধান করাই যুক্তিযুক্ত। 

২। আমরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা, বিষোদগার, ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নাশের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অবমাননাকর আচরণের ওপর কঠোর নজরদারি এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসব অপকর্ম বন্ধ করা হোক। 

৩। বিগত সময়ে দ্বীনি আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দান ও মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সারাদেশের আলেম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও ধর্মপ্রাণ‍মুসলমানদের ওপর সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা হোক। ধোলাইপাড় চত্বরের পাশে ক্ষতিগ্রস্ত পুনঃনির্মিত মসজিদ নামাযের জন্য অবিলম্বে উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।

৪। সম্প্রতি শব্দদূষণ ও জনদুর্ভোগের অজুহাতে দ্বীনি মাহফিলে লাউড স্পিকার ব্যবহারে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টির তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অথচ সাধারণ শব্দদূষণ, উচ্চস্বরে গান-বাজনা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো প্রশাসনিক উদ্যোগ নেই বললেই চলে। কেবল ওয়াজ-মাহফিল নিয়ে শব্দদূষণের অজুহাতে বিশেষ নির্দেশনা অনভিপ্রেত। অতএব, জনগণকে কল্যাণের পথে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে সকল দ্বীনী মাহফিল যথানিয়মে অনুষ্ঠানের অবাধ সুযোগ প্রদান করা হোক।

৫। যে সকল বিষয় শরিয়তে নিষিদ্ধ ও হারাম, সে সব বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সঠিক বক্তব্য তুলে ধরা আলেমদের দায়িত্ব। অথচ এক শ্রেণীর মানুষ আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও দায়িত্বহীন আচরণ করছে। কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনাশের উস্কানিও দিচ্ছে। এসবের খোঁজখবর রাখা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব। উস্কানিমূলক বক্তব্য, অবমাননাকর মন্তব্য, উগ্র স্লোগান, মিছিল-মিটিং সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি করবে। ওলামায়ে কেরাম কঠোর ধৈর্য সংযম অবলম্বন করা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সরকারকে এসবের উপযুক্ত প্রতিবিধান করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী উদ্ভূত বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না। বিশেষ করে ইসলাম, দ্বীন ও বাংলাদেশ বিরোধী দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র ও অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ রোধ করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। 

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, জমিয়ত একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, বেফাকের খাস কমিটির সদস্য আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী, বি.বাড়িয়ার আল্লামা সাজিদুর রহমান, সিলেটের আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি,  জামিয়া রাহমানিয়ার প্রধান মুফতি মনসুরুল হক, ফরিদাবাদ মাদরাসার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, জামিয়া ইউনুসিয়ার প্রধান মুফতি মুবারকুল্লাহ, গহরডাঙ্গা মাদরাসার মাওলানা রুহুল আমীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করিম, বরুণার পীর মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক, ঢালকানগরের পীর সাহেব মুফতি জাফর আহমদ, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, বসুন্ধরা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আরশাদ রাহমানী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, শাইখ যাকারিয়ার পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, বারিধারা মাদরাসার মাওলানা নাজমুল হাসান, আফতাবনগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মুহাম্মদ আলী, খুলনার মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, উত্তরার মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিলসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-উলামারা।

মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এখন থেকে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ রোববার (০৮ নভেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইদানিং গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সারাদেশে বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার নিমিত্ত সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, পূর্বের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নিম্নরূপ নির্দেশনা জারি করা হলোঃ-

ক) মসজিদে সকল মুসল্লির মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করে প্রবেশের জন্য মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালাতে হবে। এ বিষয়ে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। বিষয়টি মসজিদ কমিটি নিশ্চিত করবেন। 

খ) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য প্রধান ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসানালয় কমিটিকে নিশ্চিত করবেন। 

গ) ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে পোস্টার/ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে; 

ঘ) কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। 

২। দেশের সকল মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইক থেকে নিয়মিতভাবে উপরে বর্ণিত ঘোষণাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।’

এ মর্মে জনস্বার্থে এ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি

ফ্রান্সে মহানবী (সাঃ)’র অবমাননার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ
ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর অবমাননার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়ায় তৌহিদি জনতার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বাদে জুমা পটিয়া রেল স্টেশন চত্বর হতে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পটিয়ার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে থানার মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সাঃ) এঁর ব্যাঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী ম্যাগাজিন শার্লি এব্দো ও এর সমর্থনকারী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। 

ফ্রান্সের ইসলাম বিদ্বেষ ও মহানবী (সাঃ) এর অবমাননায় বিশ্বের দুইশত কোটি মুসলমান ব্যথিত হয়েছে। ফ্রান্সের এহেন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। ইসলাম ও মহানবী (সাঃ) এঁর অবমাননা কোনভাবেই বিশ্ব মুসলিম বরদাস্ত করবে না। বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের হৃদয়ের ক্ষত মুছতে হলে ফ্রান্সকে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে লিখতে হবে ‘বীর’, গেজেট প্রকাশ


ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ এখন থেকে সকল ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহারের বিধান করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-১) মোঃ মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত গেজেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৮ এর ২(১১) ধারায় মুক্তিযোদ্ধাদের “বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩ তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার করতে হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনা : ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসা ব্যতীত বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাসে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসা ব্যতীত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সেই সাথে আমরা পর্যালোচনা করেছি, সীমিত পরিসরে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কি না। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার চেষ্টা করব।

উক্ত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ।
মহানবী (সাঃ) কে অবমাননা, প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক; #boycottfrance #boycottfranceproducts #hashtag
#boycottfrance #boycottfranceproducts #hashtag


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’কে অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে মুসলিমরা।

ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে হ্যাশ ট্যাগ (#boycottfranceproducts) ব্যবহার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাদের এ আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বিশ্বব্যাপী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কুয়েতের বিভিন্ন মার্কেট থেকে ফ্রান্সের পণ্য সরিয়ে নেয়ার নানা ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই #boycottfranceproducts হ্যাশট্যাগের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন এসব ছবি ও ভিডিও। 

গত ১৬ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে এক স্কুল শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ফ্রান্স পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন দেখিয়ে ছিলেন। এই অবমাননার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তাকে ব্যাঙ্গকারীকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়। 

এ ঘটনার জের ধরে ফ্রান্সের পুলিশ দেশটির অন্তত অর্ধশতাধিক মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক-ধরপাকড় চালায়। পাঁচ বছর আগে ফ্রান্সের ব্যাঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদো’ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’কে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক অবমাননাকর কার্টুন ছাপানোর বিরুদ্ধে ওই দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর পুনরাবৃত্তি করে এবারও কার্টুন ছাপিয়েছে ম্যাগাজিনটি। 

ফ্রান্সের দুটো সরকারি বিল্ডিংয়ে মুহাম্মদ (সাঃ)’র ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠলেও ব্যাঙ্গকারীদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, ‘তারা ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। এটা তাদের ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ (বাক-স্বাধীনতা)। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র বিতর্কিত কার্টুন ছাপানো নিয়ে নিন্দা জানাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। 

ফ্রান্স সরকার কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র কার্টুন বন্ধে ব্যবস্থা না নেয়া এবং শার্লি এবদোর পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ছে মুসলিম দেশগুলো। এরই প্রতিবাদে ফ্রান্সের সব ধরনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে কুয়েত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী বিশেষ করে ফেসবুক-টুইটারে ফ্রান্সের অবমাননাকর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ফ্রান্স রাষ্ট্রীয়ভাবে মুহাম্মদ (সাঃ) এবং ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে ফ্রান্স সরকার প্রায় অর্ধশতাধিক মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে। আরও অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধের তালিকায় আছে।

এদিকে আন্দোলনকারীরা ফেসবুক-টুইটার পোস্টে ফ্রান্সের বিভিন্ন কোম্পানির একটি তালিকা প্রকাশ করছেন। যেখানে ফ্রান্সের মালিকানাধীন কোম্পানীগুলোর লোগো ও নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে ফ্রান্সের সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দেয়ালে শার্লি এবদোর সেই বিতর্কিত ১২টি কার্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে। 

#boycottfrance #boycottfranceproducts #hashtag
#boycottfranceproducts তালিকা

দেশটির সরকার এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। ফ্রান্সের কয়েকটি ভবনের সামনে এবং সরকারের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামকে সম্পৃক্ত করা এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’কে অপমানজনক প্রচারণার সমালোচনা করেছে সংস্থাটি। 

ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর প্রতি অবমাননা, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ক্রমাগত আঘাতের তীব্র নিন্দা জানাই। রাজনৈতিক স্বার্থে ফ্রান্সের নাগরিক ও ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর ঘৃণ্য চেষ্টা করছেন কতিপয় ফরাসী সরকারি কর্মকর্তারা। বাক-স্বাধীনতার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’

সংস্থাটি ফ্রান্সকে তার বৈষম্যমূলক নীতিগুলো পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। 


এদিকে ১৯৪৭ সালের ১০ ডিসেম্বর সবার জন্য মানবাধিকার বিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন গৃহীত হয়। এটি গোটা বিশ্বের মানুষের মানবাধিকারের দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী এ অবস্থান জাতিসংঘের সেই ঘোষণাপত্রটি সরাসরি লঙ্ঘন করেছে। 

ঘোষণাপত্রের প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীর সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সমান। প্রত্যেকেই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক বজায় রাখবে, একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করবে।’ 

কিন্তু ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষী আচরণ, তার কার্টুন প্রদর্শন সরাসরি জাতিসংঘের এ ঘোষণা লঙ্ঘন করে। এতে কার্যত জাতিসংঘকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে ফ্রান্স। 

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় রাসূল এবং সর্বশেষ নবী। তাঁর কোনও ধরনের অবয়ব আঁকা ধর্ম অবমাননা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এবারও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর কার্টুন নিয়ে মুসলিম বিশ্বে চরম সমালোচনা চলছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিতর্কিত কার্টুনটির পক্ষেই অবস্থানের কথা জানালেন লেবানেন সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো। এদিকে ফান্স সরকারের এরকম ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে মানসিক চিকিৎসা নেয়ার কথা বলেছেন।


ভারত নোংরা দেশ! : ট্রাম্প; ভারত; আমেরিকা; যুক্তরাষ্ট্র; ট্রাম্প; India; US; America'; Trump; Pollution; most polluted country; পৃথিবীর নোংরা দেশ
ভারত নোংরা দেশ! : ট্রাম্প

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতকে নোংরা দেশ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে উল্লেখ করলেও সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সর্বশেষ বিতর্কে ভারতের বদনাম করতে ছাড়েন নি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কে অংশ নিয়ে ভারতকে নোংরা দেশ ও এর বাতাস নোংরা বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি চীন ও রাশিয়াকেও নোংরা বলেছেন। 

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় বইছে। 

ট্রাম্প বলেন, “ভারতের দিকে তাকান, কি নোংরা! চীনের দিকে তাকান, কী নোংরা! রাশিয়ার দিকে তাকান,  কি নোংরা! নোংরা বাতাস!” 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েকদফা ভারত ও চীনের ব্যাপক সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারেও দূষণ পর্ব নিয়ে দেশ দুটির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার নির্বাচনী বিতর্কে  ট্রাম্প বলেন, “প্যারিস অ্যাকর্ডের জন্য আমি কোটি কোটি চাকরী, কোম্পানিকে পথে বসাতে পারি না। ভারত ও চীনের কলকারখানাগুলো দূষণ ছড়ালেও সেগুলো বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক কোন তৎপরতা নেই। তারপরও পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে আমেরিকাকে চাপে ফেলার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি বিতর্কে দাবি করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর আগে অনেকবার মিডিয়ার সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সখ্যতার বার্তা দিলেও, ভারতকে নিয়ে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তারই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন এবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত বিতর্কেও।

বাংলাদেশের উদ্ভাবিত ‘করোনা’র ভ্যাকসিন কিনবে নেপাল
বাংলাদেশের উদ্ভাবিত ‘করোনা’র ভ্যাকসিন কিনবে নেপাল

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ বাংলাদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত ‘কোভিড-১৯ করোনা’ ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে নেপাল। 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্র বলেন, ‘একজন চিকিৎসক হিসেবে গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা 'ব্যানকোভিড' ভ্যাকসিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন তিনি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য এই ভ্যাকসিনটি নিতে আগ্রহী নেপাল সরকার। ট্রায়াল সফল হলে জি টু জি পদ্ধতিতেও আমরা ভ্যাকসিনটি নিতে পারব।’ 

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগেই দুই মিলিয়ন ডোজ ‘BANCOVID’ কেনার জন্য নেপালের আনমোল গ্রুপের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশ থেকেও প্রায় বিশ মিলিয়ন ডোজের অর্ডার এসেছে। বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ করেই এই ভ্যাকসিন আমরা বাইরে সরবরাহ করব।’ 

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মত ‘কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসের’ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌঁড়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি। যারা ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ট্রায়াল ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির যেসব কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে এমন ৪২ টি ভ্যাকসিনের একটি তালিকা এবং প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা ১৫৬ টি ভ্যাকসিনের আরেকটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তিনটি ভ্যাকসিনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
‘কোভিড ১৯ করোনা’ শনাক্তে এন্টিজেন টেস্টের অনুমোদন; covid19; corona; antigen; করোনা; কোভিড ১৯; ভ্যাকসিন; Vaccine
‘কোভিড ১৯ করোনা’ শনাক্তে এন্টিজেন টেস্টের অনুমোদন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ‘কোভিড ১৯ করোনা’ ভাইরাস শনাক্তে এন্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মার্চে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এই পর্যন্ত শুধু আরটি-পিসিআর টেস্টই চলে আসছিল। তবে পরীক্ষায় গতি আনতে অ্যান্টিজেন টেস্টের পক্ষে বলে আসছিলেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে করোনা শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদনের কথা জানানো হয়। 
কারো দেহে কোভিড১৯ এর সংক্রমণ ঘটেছে কি না, তা দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করার পদ্ধতি অ্যান্টিজেন টেস্ট।
বর্তমানে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতে কোভিড১৯ শনাক্তকরণ বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে এই পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। সেখানে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে আধা ঘণ্টার মধ্যে জানা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কি না। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১১ সেপ্টেম্বরের ‘ইনটেরিম গাইডেন্স’ অনুসরণ করে দেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, সরকারি পিসিআর ল্যাব এবং সকল স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে অ্যান্টিজেনভিত্তিক টেস্ট চালুর অনুমতি দেওয়া হল।’ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রক্রিয়াধীন কোভিড১৯ ল্যাব সম্প্রসারণ নীতিমালাটি চূড়ান্ত হলে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে জানানো হয় চিঠিতে।
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফির ইন্তেকাল; হেফাজতে ইসলাম; আল্লামা শফি; আমির; Hefazat e Islam; Allama Shofi
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৫ বছর। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আল্লামা আহমদ শফির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজ বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই সন্ধ্যা ৬.৩০টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। 
শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে এর আগেও কয়েক দফায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ ছাড়তে হয় আহমদ শফিকে। সেই সাথে তাঁর ছেলে আনাস মাদানী ও তাদের অনুসারী কয়েকজন সদস্যের দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির (শূরা কমিটি) বৈঠকে আহমদ শফি পদত্যাগ করেন এবং তাঁর ছেলেসহ দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে শূরা কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন নানুপুরী জানান।

উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশেরও (বেফাক) সভাপতি পদে ছিলেন। কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস সনদকে ‘মাস্টার্স সমমান (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)’ প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করেন তিনি। 

আল্লামা শাহ আহমদ শফির জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। আল্লামা শফির শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায়। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় (জিরি মাদ্রাসা) পড়াশোনা করেন তিনি। পরে হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা এবং ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন তিনি। 
১৯৮৬ সালে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক (মুহতামিম) হিসেবে দায়িত্ব নেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি। টানা ৩৪ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তাঁর ইন্তেকালের মধ্য দিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় দৃশ্যত আহমদ শফির সুদীর্ঘ কর্তৃত্বের অবসান ঘটলো। এই মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন আহমদ শফি, যাদের কাছে তিনি ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত।