ভয়েস অব পটিয়ায় আপনাকে স্বাগতম | Welcome to Voice of Patiya
পটিয়ার মানচিত্র | Map of Patiya
পটিয়াকে জেলা চাই | Demanding Patiya as a District
শাহ আমানত সেতু | নতুন ব্রীজ | Shah Amanat Bridge
পটিয়া কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ | Patiya Central Cenotaph

জুলাই ঘোষণাপত্রে যা যা রয়েছে, জাতীয়, সংবাদ, সারাদেশ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান, হাসিনা পতন, স্বৈরাচার পতন, ইউনুস
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর  ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা স্তরের মানুষ। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালিত হয়।


জুলাই ঘোষণাপত্রটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলোঃ

১।  যেহেতু উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের সুদীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল;  

এবং

২।  যেহেতু, বাংলাদেশের আপামর জনগণ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিবৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে;

এবং

৩।  যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রনয়ন পদ্ধতি, এর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের ফলে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা ক্ষুণ্ণ করেছিল; 

এবং

৪। যেহেতু স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বাকশালের নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে এবং মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে একদলীয় বাকশাল পদ্ধতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রবর্তনের পথ সুগম হয়,

এবং

৫।  যেহেতু আশির দশকে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর ছাত্র-জনতার অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং ১৯৯১ইং সনে পুনরায় সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। 

এবং

৬। যেহেতু দেশী-বিদেশী চক্রান্তে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ১/১১ -এর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা হয়;  

এবং

৭। যেহেতু গত দীর্ঘ ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অতি উগ্র বাসনা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে সংবিধানের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয় এবং যার ফলে একদলীয় একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়;

এবং

৮। যেহেতু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গুম-খুন, আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে;

এবং

৯। যেহেতু, হাসিনা সরকারের আমলে তারই নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে; 

এবং

১০। যেহেতু, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুকে বিপন্ন করে;

এবং

১১। যেহেতু শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণ গত প্রায় ষোল বছর যাবত নিরন্তর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়;

এবং

১২। যেহেতু বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রের অন্যায় প্রভুত্ব, শোষণ ও খবরদারিত্বের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে বহিঃশক্তির তাবেদার আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠুর শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে;  

এবং

১৩। যেহেতু অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে; 

এবং

১৪। যেহেতু, আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারী চাকুরীতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকুরী প্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়; 

এবং

১৫। যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর চরম নিপীড়নের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জনরোষের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ সকল বৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যায়; 

এবং

১৬। যেহেতু, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, যার ফলে সারা দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়; 

এবং

১৭। যেহেতু ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে, অগনিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে; 

এবং 

১৮। যেহেতু, অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জনগণ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে,  পরবর্তী সময়ে ৫  আগস্ট ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল,  ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের সকল শ্রেণী, পেশার আপামর জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়; 

এবং

১৯। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলায় গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক ও আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; 

এবং

২০। যেহেতু জনগণের দাবি অনুযায়ী এরপর অবৈধ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রীম কোর্টের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়; 

এবং

২১। যেহেতু, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়;

এবং

২২। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে; 

এবং

২৩। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে; 

এবং

২৪। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে। 

এবং

২৫। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

এবং 

২৬। সেহেতু বাংলাদেশের জনগণ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে একটি পরিবেশ ও জলবায়ু সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষিত হবে। 

এবং 

২৭। বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।

এবং

২৮। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রনয়ণ করা হলো। 

দেড়যুগ পর ঈদগাহে সরকার প্রধান, জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান
ঈদের জামাত শেষে জনতার সাথে করমর্দন-কুশল বিনিময় করেন ড. মুুহাম্মদ ইউনুস 

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ প্রায় দেড় যুগ পর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতে অংশ নিলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। 

সোমবার সকাল সোয়া ৮ টার দিকে ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত হন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

মানুষের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশকে আমরা পেয়েছি, তা ধরে রাখতে সবার মধ্যে আরও কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। 
ঈদের জামাত শেষে উৎসুক জনতার সাথে করমর্দন-কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুুহাম্মদ ইউনুস।
চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর
চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে। 🌙 ঈদ মুবারক। 

আজ রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন সেখানকার জেলা প্রশাসক। 
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্ব আজ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক বৈঠকে বিভিন্ন জেলায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য পর্যালোচনা করে সোমবার ঈদ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধে এত প্রেম-পিরীতি কেন? ; আওয়ামীলীগ; Awami League; কর্ণেল অলি; Colonel Oli; Ziaur Rahman; LDP
আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধে এত প্রেম-পিরীতি কেন? কর্ণেল অলি আহমদ বীরবিক্রম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধে এত প্রেম-পিরীতি কেন? প্রশ্ন এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্ণেল অলি আহমদ বীরবিক্রমের। 

১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস কমিশনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের এক বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার এবং উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধির কাছে এ প্রশ্ন করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণহত্যা চালানো-দীর্ঘ দেড় দশকের শাসনে গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়ে আওয়ামী লীগকে এখনো নিষিদ্ধ না করে প্রেম-পিরীতি কেন বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। 

জুলাই-আগস্ট বিপ্লব-শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ; জুলাই বিপ্লব, গণঅভ্যুত্থান, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, July Revolution, Sheikh Hasina
জুলাই-আগস্ট বিপ্লব-শহীদদের খসড়া তালিকা প্রকাশ

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ৮৫৮ ও আহত ১১ হাজার ৫৫১ জন ব্যক্তির প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ শনিবার তথ্য অধিদফতরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

তথ্য অধিদফতরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজন করার মতো যুক্তিসংগত কোনো তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ই-মেইল muspecialcell36@gmail.com-এ জানাতে অনুরোধ কছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল।’

এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত শহীদদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। তালিকায় মোট ৭০৮ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। এই তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান রয়েছে বলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ -এ সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই, সংশোধন ও পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ বা প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারী হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

এছাড়াও সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের মধ্যে যদি কারো নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ বা প্রতিনিধিরা উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে আইনজীবীকে জবাই করে হত্যা করলো হিন্দু জঙ্গী সংগঠন ইসকন; চট্টগ্রাম; আদালত; হিন্দু সন্ত্রাসী; Chittagong; Court; Lawyer; Isckon; hindu; hindu terrorist; isckon terrorist; hindu killed muslim; mosque
চট্টগ্রামে আইনজীবীকে জবাই করে হত্যা করলো হিন্দু জঙ্গী সংগঠন ইসকনের সন্ত্রাসীরা

ভয়েস অব পটিয়া-চট্টগ্রাম ডেস্কঃ চট্টগ্রামে দিনভর তান্ডব-হামলা-ভাঙচুরের মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে হিন্দুত্ববাদী জঙ্গী সংগঠন ইসকন সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবীকে জবাই করে হত্যা করেছে। 

হত্যার শিকার আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। 

হিন্দু জঙ্গী সংগঠন ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় তার অনুসারীরা। এ সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের উপর হামলা করে তার অনুসারীরা। এ সময় প্রতিরোধ করতে গেলে আদালত প্রাঙ্গনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হিন্দু জঙ্গী সংগঠন ইসকন সন্ত্রাসীরা, ভাঙচুর চালায় মসজিদেও। হামলা-ভাঙচুরের এক পর্যায়ে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুলকে চেম্বারের নিচ থেকে ধরে নিয়ে আদালতের মূল ফটকের সামনে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের গলিতে জবাই করে হত্যা করে। 

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিকা ঘোষ।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রামের আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহত ৬-৭ জন চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সরওয়ার হোসেন লাভলু বলেন, হিন্দুত্ববাদী ইসকন সন্ত্রাসীরা আদালতে তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা এক আইনজীবীকে জ/বাই করে ও পাথর মেরে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দ্রুত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পটিয়ায় ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, ২ মাসেও ধরা পড়েনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা; বৈষম্যবিরোধী; ছাত্রআন্দোলন; জনতা আন্দোলন; হাসিনা; হাসিনার পতন; আওয়ামী লীগ; Bangladesh Govt; Patiya
পটিয়ায় ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, ২ মাসেও ধরা পড়েনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন গত ০৪ আগস্ট পটিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার দুই মাস পার হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। চিহ্নিত হয়নি ঘটনার দিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হেলমেটধারী আওয়ামীলীগ দলীয় অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীরা। উদ্ধার হয়নি কোনো অস্ত্রও। 

স্থানীয়রা জানান, গত ০৪ আগস্ট পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার থেকে উপজেলা পরিষদের সম্মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা। এতে গুলিবিদ্ধ হন ৫০ জনেরও বেশি ছাত্র-জনতা; আহত হন প্রায় ২৫০ জন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন আল জামিয়া পটিয়া কওমী মাদ্রাসার ছাত্র। পরে ছাত্র-জনতা ধাওয়া দিলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় সন্ত্রাসীরা। 

গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসীরা পটিয়ার সাবেক দুই এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী-সামশুল হক চৌধুরী-অপসারিত মেয়র আইয়ুব বাবুলের অনুসারী। তাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

গত ০৪ আগস্টের গুলিবর্ষণের ঘটনায় পটিয়া থানায় হওয়া পৃথক দুটি মামলায় ২২৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৮৭৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। ১৯ আগস্ট আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নুরুল হাসান বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ২৭ আগস্ট রাতে অপর আরেকটি মামলা করেন শিবির কর্মী এনামুর রশিদ। এ ছাড়া বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ২০ আগস্ট ৭৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেন পটিয়া থানায়। 

অস্ত্রধারী কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নুরুল হাসান। তিনি বলেন, 'প্রকাশ্যে সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী-সামশুল হক চৌধুরী-অপসারিত মেয়র আইয়ুব বাবুলের অনুসারীরা ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে অস্ত্রধারীদের দেখা গেছে, সেটি আমরা পুলিশকে দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছে না। উদ্ধার হয়নি অবৈধ অস্ত্রও। অথচ এখন আওয়ামীলীগের এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন পেশায়-বিভিন্ন দলের ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রকাশ্যে পটিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে সমন্বয়কের বেশে মিশে গেছে ছাত্রজনতার মধ্যে।’ 

পটিয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠক কাসেম আল নাহিয়ান বলেন, ‘অস্ত্রধারী আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত। দ্রুত অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ 

এ বিষয়ে পটিয়া থানা পুলিশ বলছে, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে পটিয়ার সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।’ 
পটিয়া থানার নবাগত ওসি আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, ‘হেলমেট পরিহিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত এবং পরিকল্পনাকারী, সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমরা ০৪ আগস্টের ঘটনার দিন অস্ত্র ব্যবহারের একটি ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। সেটি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা তা খতিয়ে দেখছি। সেই অস্ত্রগুলো বৈধ না অবৈধ, সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।'
পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; কাউন্সিলর
পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন ও ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

পৃথক প্রজ্ঞাপনে তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের সদস্যদেরও অপসারণ করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রদের অপসারণ করা হয়েছিল। একই দিন অপসারণ করা হয়েছিল দেশের ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের। তারপর এসব পদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। 

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগের পেটোয়াবাহিনীর দমন-পীড়ন-গণহত্যায় আন্দোলন গণবিক্ষোভে রূপ নিলে গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা, পতন ঘটে টানা সাড়ে ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের। 
এরপর থেকে আওয়ামীলীগ দলীয় দেশের বেশিরভাগ সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা এবং জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা পলাতক রয়েছেন। এতে এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে, ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রার্থীরা। 

জনগণের ভোগান্তি কমাতে এসব দপ্তরের পলাতক প্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করে অন্তর্বর্তী সরকার।
দুর্গম পাহাড়ের সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে অস্ত্র-ড্রোন-জ্যামার উদ্ধার; বিজিবি; BGB; Border Guard; পার্বত্য; পাহাড়; Hill; CHT
দুর্গম পাহাড়ের সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে অস্ত্র-ড্রোন-জ্যামার উদ্ধার

ভয়েস অব পটিয়া-চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া এলাকা সংলগ্ন গহীন জঙ্গলে পাহাড়ী উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন, নেটওয়ার্ক জ্যামার ইত্যাদি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

বিজিবির অভিযানে উপজাতি সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে ২টি অটোমেটিক কারবাইন অ্যাসল্ট রাইফেল, ১টি সেমি অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩টি এসবিবিএল, ২১ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিগন্যাল জ্যামার, ১টি অডিও/ভিডিও রেকর্ডার, ১টি ভিডিও ক্যামেরা, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গোয়েন্দা বোতাম ক্যামেরা, ১টি কিডিভাইস হিডেন ভিডিও রেকর্ডার, ১টি দূরবীণ, ২টি ওয়াকিটকি, ১টি ল্যাপটপ, ২টি পাওয়ারফুল লাইট, ১টি সোলার সিস্টেম, ১টি আকাশ টিভি রিসিভার ও ১টি আমব্রেলা, ২টি এন্ড্রয়েড মোবাইল, ২টি বাটন মোবাইল, দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, বাংলা মদ, ১টি হেলমেট এবং রান্না করার প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
ভাত খাওয়ানোর পর যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৬ ঢাবি ছাত্র; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; DU; University of Dhaka
ভাত খাওয়ানোর পর যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৬ ঢাবি ছাত্র

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ভাত খাওয়ানোর পর চোর অপবাদে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৬ ঢাবি ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, জিওগ্রাফির আল হসাইন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম।

পরে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলার এজাহার ও ভিডিও ফুটেজে প্রাপ্ত তথ্যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যায়। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ায় ছাত্ররা। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে ঢাবি ছাত্ররা বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হাসপাতালে তোফাজ্জলকে নেয়া ছাত্ররা।
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী; army; magistracy; interim govt; bangladesh
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রুর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকা ব্যতীত সারাদেশে এ প্রজ্ঞাপনের আলোকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে এ দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা।

প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। 

আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে- 

ধারা ৬৪ : ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা। 

ধারা ৬৫ : গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা বা তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা যার জন্য তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। 

ধারা ৮৩/৮৪/৮৬ : ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা। 

ধারা ৯৫(২) : নথিপত্র ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা। 

ধারা ১০০ : ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা। 

ধারা ১০৫ : সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যে কোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন। 

ধারা ১০৭ : শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১০৯ : ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীর ক্ষমতা। 

ধারা ১১০ : ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা। 

ধারা ১২৬ : জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা। ধারা ১২৭ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা। 

ধারা ১২৮ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা। ধারা ১৩০ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩৩ : স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা। 

ধারা ১৪২ : জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা। 

উল্লেখিত ক্ষমতা ছাড়াও, যে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না বলে ফৌজদারি কার্যবিধির আইনে বলা রয়েছে।
পটিয়া সরকারী কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদ-অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক উত্তম কুমার দাস; পটিয়া কলেজ; Patiya College; Govt. College; Patiya
শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী, পটিয়া কলেজের অধ্যাপক-অফিস সহকারীকে অব্যহতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী, দাঁড়ি-পর্দা-হিজাব-ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ ও বিভিন্নভাবে অসৌজন্যতামূলক আচরণের অভিযোগের কারণে পটিয়া সরকারী কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদ ও অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক উত্তম কুমার দাসের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। আজ কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্যালারী

ফিচারড

এডিটরস চয়েস

সারাদেশ

রাজনীতি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

পটিয়া সদর

ইউনিয়ন

গ্রাম-গঞ্জ

জাতীয়

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা