|
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৭ নং বিপদসংকেত
|
ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সাথে উপকূলীয় এলাকায় ভারী ভর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে। মঙ্গলবার ভোররাত বা সকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর
নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ পরিণত হয়। সেই সময় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ (চার) নং হুঁশিয়ারিং সংকেত দেখাতে বলা হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে থাকলেও এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলছে তুমুল বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া। দেশের উপকূলীয় সব জেলাতেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বড় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকলীয় এলাকার ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সাথে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে।
তিনি আরো বলেন, সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী।