"জনদূর্ভোগ" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
জনদূর্ভোগ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
একবছর ধরে রেলসেবা বঞ্চিত চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারীর ১০ হাজার যাত্রী; রেল; চট্টগ্রাম-দোহাজারী; চট্টগ্রাম-পটিয়া; দোহাজারী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; ট্রেন; রেল; Rail; Train; Chittagong; Chattogram; Patiya; Dohazari; Coxsbazar
একবছর ধরে রেলসেবা বঞ্চিত চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারীর ১০ হাজার যাত্রী

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারী রুটের লোকাল ট্রেন। ২০১৮ এর শেষের দিকে ঘটা করে চালু হওয়া দু্ই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল এই রুটে বন্ধ থাকায় দূর্ভোগে পড়েছেন অত্র অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার রেলযাত্রী। 

প্রায় বছরখানেক আগেও ভোরের ট্রেন ধরে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতের সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম ছিল এ দুজোড়া লোকাল ট্রেন। বর্তমানে কেবলমাত্র একটি ডেমু ট্রেন চালু রয়েছে এই রুটে যা চলছে মাত্র কয়েকটি বগি নিয়ে তাও অনিয়মিত, যাতে যাত্রীধারণ ক্ষমতা পূর্বের লোকাল ট্রেনের ১ শতাংশেরও কম। 

চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারী রেল রুটে রয়েছে ১৪টি স্টেশন। স্টেশনগুলো হচ্ছেঃ- দোহাজারী, হাশিমপুর, খানহাট, কাঞ্চননগর, খরনা, চক্রশালা, পটিয়া, ধলঘাট, বেঙ্গুরা, গোমদন্ডী, জানালীহাট, ষোলশহর, ঝাউতলা, চট্টগ্রাম। এ স্টেশনগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজারের অধিক রেলযাত্রী যাতায়াত করতেন। কিন্তু বর্তমানে লোকাল ট্রেনজোড়া চলাচল বন্ধ থাকায় রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বৃহত্তর এ অঞ্চলের মানুষজন। 

রেলযাত্রীরা বলেন, ‘ভোরের ট্রেন ধরে সকাল সকাল চট্টগ্রাম শহরে যেতাম। নিরাপদ ও সহনশীল ভাড়া হওয়ার কারণে রেলে যাত্রীসংখ্যা ছিল প্রচুর। শুধু দোহাজারী স্টেশন থেকেই প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী যাতায়াত করলে লোকাল ট্রেনে। এ ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় এখন ভোগান্তিতে পড়েছি।’ 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ‘করোনাকালীন বন্ধ হয়ে যায় এই রুটের দুজোড়া লোকাল ট্রেন। এরপর এটি এখন অবধি চালু করা হয় নি। টিটি, গার্ডসহ লোকবল সংকটের কারণে চালু করা যাচ্ছে না বলে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। লোকবল পেলেই চালু হবে বন্ধ হয়ে যাওয়া লোকাল ট্রেন দুটি।’
পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) অনিয়ম-দুর্নীতি, গ্রাহকদের হয়রানী; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবিঃ পিডিবি পটিয়া দালাল গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক মনছুর
 
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) অনিয়ম-দুর্নীতি, দালালদের দৌরাত্ম, সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানী বেড়েই চলছে।

মিটার রিডারদের মনগড়া বিল করার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকরা। ইচ্ছাকৃতভাবে মনগড়া বিল করার কারণে ব্যবহারের অতিরিক্ত বিলের বোঝা বইতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গেলে অবৈধভাবে মামলা দেয়ার হুমকিতে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এনালগ মিটারের পরিবর্তে ডিজিটাল মিটার স্থাপনের পরামর্শ দেয় রিডাররা। এতে নতুন মিটার স্থাপনে প্রতি মিটারে টেকনিশিয়ানরা হাতিয়ে নেয় ৫-১০ হাজার টাকা।

জানা যায়, পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানী করতে তৎপর একটি দালাল গ্রুপ। এই দালাল গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে মনছুর নামক এক দালাল, তার সাথে সহায়ক হিসেবে আছে লাইনম্যান এনাম। দালাল মনছুর ও লাইনম্যান এনামের নেতৃত্বে পিডিবি পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারী-প্রকৌশলীদের প্রত্যক্ষ মদদে পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা তার্গেট করে গ্রাহকদের মনগড়া বিল প্রদানপূর্বক তা মিটমাটে মোটা অংকের টাকা দাবি করে এই দালাল চক্রটি। কোন কারণ ছাড়াই মিটার খুলে নেয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, পুনরায় সংযোগের জন্য বিপুল অংকের টাকা দাবি করা, টাকা না দিলে অবৈধভাবে মামলা দায়েরের হুমকি প্রদান করে জিম্মি করে বেড়াচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। 

এছাড়াও ঘুষ ছাড়া মেলে না নতুন সংযোগ, মেরামত হয় না বিদ্যুৎলাইনের ত্রুটি। নতুন সংযোগ নিতে হলে/এনালগের পরিবর্তে ডিজিটাল মিটার নিতে হলে পিডিবি পটিয়া অফিসের সামনে অবস্থিত দালাল মনছুরের মালিকানাধীন ‘সামি এন্টারপ্রাইজ’ থেকে দ্বিগুণ মূল্যে মিটার কিনতে বাধ্য করা হয় গ্রাহকদের, অন্যথায় সংযোগ মিলে না। সংযোগ নিতে দীর্ঘসূত্রিতা, ঠিকাদারের চাঁদাবাজি, সিস্টেমের মধ্যে বিদ্যুৎ চুরি, লো-ভোল্টেজ সাপ্লাই, মিটার রিডারদের অতিরিক্ত বিল দিয়ে ভোগান্তি, দালাল দিয়ে হয়রানি, ইলেকট্রিশিয়ান ও বিদ্যুৎ পরিদর্শকদের হয়রানি, বিভিন্ন বাসাবাড়ির ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় প্রাণহানির ঘটনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই।

দালাল গ্রুপের সমন্বয়ক মনছুরের নামে ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা রয়েছে, তা সত্ত্বেও পিডিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে নীরব। সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এসব দালালরা বনে গেছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি-বাড়ির মালিক। পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী-প্রকৌশলীদের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দফায় দফায় অভিযোগ জানালেও সুরাহা হয় নি কোনকিছুরই। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এর কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

পটিয়ার সাধারণ গ্রাহকরা অবিলম্বে পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারী-দালালদের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়াসহ গ্রাহক হয়রানী রোধের আবেদন জানিয়েছেন।

পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন; পটিয়া; চট্টগ্রাম; খাল দূষণ; ফুলকলি; সার্জেন্ট মহি আলম খাল; পরিবেশ; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন সার্জেন্ট মহি আলম খালে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ফলে সৃষ্ট দূষণ বন্ধের দাবীতে গতকাল (শুক্রবার, ০৫ জুলাই) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া শাহগদী মার্কেট চত্বরে ‘ক্লিন বাংলাদেশ’ সংগঠনের ব্যানারে সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণ রোধে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন খালে বন্ধের দাবী জানান।

এতে বক্তারা বলেন, পটিয়ার বেশ কয়েকটি শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে সরাসরি খালে নিষ্কাশনের ফলে খাল সংলগ্ন আবাদি জমিগুলোতে প্রায় ৮ বছর ধরে বোরো ফসলের চাষ হয়না। শিল্প-কারখানার এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। শিল্প-কারখানার এসব বর্জ্যের প্রভাবে ফসলি জমির সেচের পানি দূষিত হওয়ার প্রভাবে উপজেলার তিন শতাধিক একর ধানি জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। খালের পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে যা ওই এলাকার পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিনিয়তই এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ছে। শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পানি দূষিত করে তুললেও পরিবেশ অধিদপ্তর অজানা কারণে নীরব। 

জোয়ার-ভাটার এই খালটির সঙ্গে চাঁনখালী, বোয়ালখালী খাল ও কর্ণফুলী নদীর সংযোগ রয়েছে। এর ফলে জোয়ার ও ভাটার সময় বিষাক্ত বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশছে। দূষিত পানির কারণে খালে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাবে সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানি নষ্ট হয়ে নীল ও কালচে রং ধারণ করছে ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধের প্রভাবে খালের আশপাশের বাড়িঘর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বহু মসজিদের মুসল্লিরা নামাজ পর্যন্ত আদায় করতে পারছেন না। খালের পাশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রীকে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে। 

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্বে পটিয়া উপজেলার আমজুর হাট মোড় থেকে শুরু করে মনসা বাদামতল এলাকার প্রায় ১৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ সার্জেন্ট মহি আলম খাল। এই খালের পানি দিয়ে উপজেলার উজিরপুর, নাইখাইন, গৈড়লা, লড়িহরা, দক্ষিণ হুলাইন, এয়াকুবদন্ডী, তিয়ারকুল, উজিরপুর, উনাইনপুরা ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার কয়েকশ কৃষক ধানি জমিতে প্রতি মৌসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। খালের সম্মুখে গড়ে উঠা শাহ আমানত নিটিং এ্যান্ড ডাইং, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসের বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি খালে ছেড়ে দেয়ার কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খালের পানি পরীক্ষা করে পানি দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। খালের এই পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন যারা এই রুট দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করেন তাদের গৈড়লার মোড় হতে বাদামতল এলাকা পর্যন্ত পানির বাজে দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়।

এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে শিল্প-কারখানার বর্জ্য খালে নিষ্কাশন বন্ধের দাবী জানান। তারা এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে বর্জ্য-পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় দূর্ভোগ চরমে; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; বিসিক; bscic
পটিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে বর্জ্য-পৌর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় দূর্ভোগ চরমে

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বিসিক শিল্প নগরী সংলগ্ন অংশে দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্তুপকৃত বর্জ্য যথাযথভাবে ডাম্পিং না করে উন্মুক্ত স্থানটিতে স্তুপ করে রাখার কারণে দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এতে করে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ও দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলাচলরত পথচারীদের। 

স্থানীয় লোকজন ও যাত্রী সাধারণ এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন। তারা বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে না রেখে শহরাঞ্চল থেকে দূরবর্তী স্থানে এ ধরণের বর্জ্য অপসারণের আহবান জানান। 

পটিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বেলাল ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও পৌর মেয়রের খামখেয়ালীর কারণে মহাসড়কের পাশে পশুর বর্জ্য স্তুপ করা হয়েছে। এসব বর্জ্যে পুরো এলাকাজুড়ে বিরক্তিকর দুর্গন্ধ প্রতিদিন মানুষকে বিষিয়ে তুলছে।’

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বিসিক শিল্প এলাকার সামনে দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ফেলে আসছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কোরবানীর পশুর বর্জ্য-আবর্জনা একই স্থানে রাখা হয়েছে। এ কারণে দুর্গন্ধের মাত্রা আরো বেড়েছে। এতে এসব ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিসিক শিল্পনগরীর লোকজন, ব্যবসায়ী, কর্মচারী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও মহাসড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনের প্রতিদিনকার সহস্রাধিক যাত্রী। কোরবানীর দিন বিকেলে পৌরসভার বর্জ্যবাহী গাড়ি বর্জ্য তুলে নিয়ে মহাসড়কের বিসিক শিল্প এলাকার সন্নিকটে ফেলে। স্তুপকৃত বর্জ্যে দুর্গন্ধ প্রতিরোধে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ/কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় গত তিন দিন ধরে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। 

তাছাড়া পটিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া কবরস্থানের পাশে চলাচল রাস্তার উপর বর্জ্য, ৩ নং ওয়ার্ডের আবদুর রহমান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হাড্ডি সুলতানের ভাঙ্গারী মালের গুদামে স্তুপ করা হয়েছে পশুর হাড়গোড়। ফলে এসব এলাকাতেও দূর্গন্ধে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধে যাতায়াতে বেকায়দায় পড়ছে। 

পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের চলাচল রাস্তার বিভিন্ন স্থানে এখনো পড়ে রয়েছে কোরবানীর পশুর বর্জ্য। যার ফলে পুরো পটিয়া পৌরসভার আকাশ বাতাস বর্জ্যের দুর্গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘পৌরসভার বর্জ্য অপসারণ ও মজুতের জন্য অনেকবছর যাবত বিসিকের সামনে এ এলাকাটি নির্ধারিত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও একই স্থানে বর্জ্য রাখা হয়েছে। দুর্গন্ধরোধে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ঔষধ ছিটিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ 

পটিয়া পৌরসভার সচিব মোহাম্মদ মহসিন জানান, ‘পৌরসভার বর্জ্য অপসারণের নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকায় বিসিক শিল্প এলাকার সামনে অস্থায়ীভাবে মজুদ করা হচ্ছে। বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ইন্দ্রপুল এলাকায় জনবসতি স্থাপনার অদূরে একটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি এখনো মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
পরিবহন নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যাত্রী কল্যাণ পরিষদের মতবিনিময় সভা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পরিবহন নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যাত্রী কল্যাণ পরিষদের মতবিনিময় সভা

ভয়েস অব পটিয়া-বিশেষ প্রতিনিধিঃ নতুনব্রীজ-পটিয়া রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দৌরাত্ম, যাত্রী হয়রানীসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যাত্রী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা আজ শুক্রবার বিকালে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। 
এতে পটিয়াস্থ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার যাত্রীসাধারণরা উপস্থিত ছিলেন। 

মতবিনিময় সভায় বক্তারা দক্ষিণ চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক-শ্রমিক কর্তৃক যাত্রীদের হয়রানি, অবৈধভাবে নির্ধারিতের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দৌরাত্ম সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা, অভিযোগ তুলে ধরেন। 

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) পটিয়া শাখার আহ্ববায়ক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ স.ম.ইউনুস এর সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা খালেক খান, কাউন্সিলর গোফরান রানা, এডভোকেট খোরশেদ আলম, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইব্রাহীমসহ আরো অনেকে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকলেই নতুনব্রীজ-পটিয়া রুটে নির্ধারিত ভাড়া নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থী-যাত্রী সাধারণকে হয়রানী বন্ধপূর্বক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বিআরটিসি বাস সার্ভিস বৃদ্ধিকরণসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। 

মতবিনিময় সভা হতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া সম্বলিত স্মারলিপি প্রদান, পটিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়। 


শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন-সংস্কার না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের আতঙ্কে এলাকাবাসী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন কবলিত অংশ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পটিয়ার শ্রীমাই খাল বেড়িবাঁধের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশ ব্যাপক ভাঙনের সম্মুখীন হয়। বরাদ্দের অভাবে বেড়িবাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আরো বড় ধরনের ভাঙনের অাতঙ্ক বিরাজ করছে। পাহাড়ী ঢলের পানি থেকে রক্ষাকল্পে উক্ত বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অসময়ে বরাদ্দ পাওয়া ও বর্ষার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলায় ভাঙনের কবলে পড়া বেড়িবাঁধের কেবল ১টি স্পটে সামান্য কাজ করা হলেও বাকী আরও ৫টি অংশে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়।

প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে শ্রীমাই খালের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশে ব্যাপক অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে ছনহরা, ভাটিখাইন এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিতে পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যায়। এলাকাবাসীর অনেকের ঘরবাড়ি পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ও ছোট-বড় পোনার পুকুর ভেসে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত না করায় ২য় বারের বর্ষণেও পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।

এ ব্যাপারে কথা বললে, স্থানীয় ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী ও ভাটিখাইন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দীন ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর থেকে স্থানীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফর আহমদ চৌধুরী টিপুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অতি দ্রুত ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিলেও বরাদ্দের অভাবে তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও ভাটিখাইন এলাকার সামান্য অংশে দায়সাড়া গোছের মেরামত কাজ করে। ফলে গত অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়াতে যথাসময়ে কাজ না করায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত চলে যায়। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে ছনহরা, ভাটিখাইন ও আশিয়া ইউনিয়নের শত শত লোকজন, স্কুল-কলেজের ছাত্র–ছাত্রী পটিয়া সদরে যাতায়াত করে থাকেন। বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণেকে চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর চৌধুরী ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে মেরামত কাজ করতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন; কিন্তু চলতি অর্থ বছর শুরু হওয়াতে কোন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়ার মত কোন বরাদ্দ নেই। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে স্বেচ্ছাশ্রম কিংবা অংশীধারিত্বের ভিত্তিতে জরুরিভাবে এই ভাঙ্গন মেরামত করা সম্ভব হবে। অন্যথায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইউছুপের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, চলতি অর্থ বছরে শুরুতেই জরুরি ভিত্তিতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের মেরামত কাজ করার জন্য ডিজি মহোদয়ের সাথে আলাপ করে বরাদ্দ পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটিয়ায় কর্মরত এসডি মোহাম্মদ শওকত জানান, শ্রীমাই খালের ৫টি অংশে মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ টাকা বর্ষার কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। আগামী শুষ্ক মৌসুমে পুনরায় বরাদ্দ নিয়ে কাজ করা হবে। তাছাড়া সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের ঢলের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মেরামত কাজ করা সম্ভব হবে বলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান।
ঠেগরপুনি-ছনহরা সংযোগ সেতুর ভাঙনঃ সংস্কার হয়নি এক দশকেও, দুর্ভোগে এলাকাবাসী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ঠেগরপুনি-ছনহরা সংযোগ সেতুর ভাঙনঃ সংস্কার হয়নি এক দশকেও, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নাধীন ঠেগরপুনি এলাকায় শ্রীমতি খালের উপর নির্মিত সেতুর ভাঙন। সংস্কার হয়নি এক দশকেও। দুর্ভোগে এতদঞ্চলের জনগণ।

জানা যায়, ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলের কবলে ভেঙে পড়ে ঠেগরপুনি-ছনহরা সড়ককে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি। গত এক দশকেও সংস্কারের মুখ দেখেনি সেতুটি। যার ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে এই ইউনিয়নের ছয় গ্রামের বাসিন্দারা। ভাটিখাইন ঠেগরপুনি-ছনহরা-আশিয়া সড়কের ভাটিখাইন-ছনহরা সীমানার দিকে সেতুটির অবস্থান। 

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ভাটিখাইন, ছনহরা ও আশিয়াসহ তিন ইউনিয়নের ছয় গ্রামের কৃষক, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ পটিয়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। সংস্কারের অভাবে সেতুটি ব্যবহার করতে না পারায় সবাইকে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। 

সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া পৌর সদরের ছন্দা সিনেমা এলাকা থেকে সড়কটির শুরু। উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে গেলে ভাটিখাইন ঠেগরপুনি এলাকা। আর এ ঠেগরপুনি এলাকায় শ্রীমতি খালের ওপর বাঁশের সাঁকোটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ ফুট। সেতু ব্যবহার করতে না পারায় সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী, বয়স্কসহ গ্রামবাসীরা। 

ঠেগরপুনি গ্রামের এক বাসিন্দা ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, তার মেয়ে পাশের ছনহরা টিপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। এই সাঁকো পার হয়ে মেয়েকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন তিনি এই ভেবে যে, সাঁকো পার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েকটি শিশু খালে পড়ে যায়। ভাটিখাইন নলিনীকান্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অর্পণ বড়ুয়া বলে, বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় সাঁকোতে উঠলে তা দুলতে থাকে। বর্ষাকালে পাহাড়ি ঢলে সাঁকো নড়বড়ে হয়ে যায়। ফলে আমরা ভয়ের ভিতর থাকি। ছনহরা ইউনিয়নের উত্তর ছনহরা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবদুল গফুর (৬৫) বলেন, সাঁকো দিয়ে মাঠের ফসল নিয়ে বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় কষ্টের সীমা থাকে না।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সাঁকোর জায়গায় পাকা সেতু নির্মাণের জন্য পটিয়ার সাংসদ নিজেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও সেতুটি হয়নি। ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতেয়ার ভয়েস অব পটিয়াকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। 

পটিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান আমলের জরাজীর্ণ সেতুটি ২০০৮ সালে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায়। সেখানে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ, দূর্ভোগ চরমে; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ : দূর্ভোগ চরমে

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে পৌর সদরে যানজট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকায় যাত্রী সাধারণ নিদারুণ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মহাসড়কের দুই পার্শ্বের গাছপালা কেটে ফেলার দরুণ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। এ ড্রেন নির্মাণের ফলে একদিকে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে পৌরসভার মহাসড়ক এলাকার মহাসড়ক সংকোচনপূর্বক দুই পার্শ্বের অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স এন্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (MGSP) প্রকল্পের আওতায় পটিয়া পৌরসভাস্থ মহাসড়কের পার্শ্বে মাজার গেইট থেকে মুন্সেফবাজার কালিবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ড্রেন, ফুটপাত, স্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য ১২ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নেজাম আলী চৌধুরী (জেবি) কনস্ট্রাকশন কাজটির টেন্ডার প্রাপ্তি সহ কার্যাদেশ পেয়ে বিগত ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে পটিয়া বাস স্টেশন থেকে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে। মহাসড়কের দুই প্রান্তে কাজের জন্য খুঁড়ে ফেলার দরুণ মহাসড়কের উপর বিশাল মাটির স্তুপ, বালি, কনক্রিট, ইট, সিমেন্ট ও ভাঙ্গা পিলার রাখা হয়। যার ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদরের ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে ড্রেনের কোন দিকে উঁচু কোন দিকে নিচু হয়ে ঢেউ আকারের সৃষ্টি হয়েছে। 

পটিয়া থানার মোড় থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত অধিকাংশ বানিজ্যিক ভবন সরকারী জমি দখল করে মহাসড়ক ঘেষে গঁড়ে উঠায় এখানে ড্রেন সৃষ্টি করা দুষ্কর ব্যাপার। যে নিয়মে ড্রেন হচ্ছে এ নিয়মে ড্রেন করতে গেলে মহাসড়কের সরকারী জমি উদ্ধারপূর্বক ভবনগুলোর প্রায় অংশ ভাঙতে হবে। নয়তো ড্রেন মহাসড়কের উপর দিতে হবে। কোন কোন স্থানে আরসিসি ওয়াল নিষ্প্রয়োজনভাবে উঁচু করা হয়েছে। মহাসড়কের মাজার গেইট, বৈলতলী রোড, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আনোয়ারা রোড, ডাকবাংলোর মোড়, ছবুর রোড, দেওয়ানী আদালত রোড, পোষ্ট অফিস মোড় সহ আঞ্চলিক সড়কের সংযোগস্থল পাহাড়সম উঁচু করায় স্বাভাবিক যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনটির সাথে কোন খালের সংযোগ নেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এতে প্রকল্পের অর্থ অপচয় এবং মহাসড়কের দুই পার্শ্বের অবকাঠামো নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ‘অপরিকল্পিতভাবে পটিয়া পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনসহ নান্দনিক ড্রেন নির্মাণের কাজ করায় সরকারের উদ্দেশ্য মুখ থুবড়ে পড়বে। ড্রেনটি পৌরবাসীর কোন কাজে আসবে না। এটি পৌর ও জনস্বার্থ বিরোধী। এতে কিছু লোকের পকেট ভারী হচ্ছে। ড্রেনস্থলস্থ মহাসড়কের পার্শ্বে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য দুই পার্শ্বে লেভেল সাইড দিয়ে রাস্তা প্রশস্থ না করায় সড়ক সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দুই পার্শ্বের বৃক্ষ নিধনের ফলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।’ 

এদিকে MGSP প্রকল্পে থানার মোড় থেকে তালতলাচৌকি পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের জন্য আরো ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। 
এ ড্রেন পরিকল্পিতভাবে না হলে জনভোগান্তি বাড়বে বলে পটিয়া পৌর ব্যবসায়ীদের অভিমত। 

এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘যানজট সৃষ্টির জন্য তাদের কার্যক্রম দায়ী নয়। তবে ড্রেন নিয়ে যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা ড্রেনের কাজ সমাপ্তি হলে সমাধান হবে।’

পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় যেন মৃত্যুকূপ! পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় সম্মুখ সড়কে গর্ত যেন মৃত্যুকূপ!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরের ডাকবাংলো মোড় এলাকাটি বৃষ্টির পানি জমে পুকুরে পরিণত হয়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার আশঙ্কা ও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও সাধারণ জনগণকে উক্ত রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে।

পটিয়া ডাকবাংলো সংলগ্ন মোড়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। এখানে প্রায় সময়ই ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন ও সাধারণ জনগণকে চলাচল করতে হয়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে পানি জমে একাকার হয়ে যায়। নিয়মিত এই অংশটি সংস্কার না করায় সড়কের প্লাস্টার-বিটুমিন উঠে গিয়ে বিরাট আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ইতিপূর্বে এ মোড়ে দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন অনেক মানুষ। বর্তমানে সৃষ্ট গর্তের কারণে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। 

এ মোড়টি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বিধায় তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে, পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও পাহাড়ী কন্যা বান্দরবানে এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাতায়াতকারী যানবাহনগুলো সড়কের এ বাঁক পারাপারে দূর্ঘটনার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিরাট দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই সাধারণ মানুষ ও যানবাহনগুলো চলাচল করলেও তা দেখার যেন কেউ নেই।

এদিকে পটিয়া পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে চলমান সড়কের দুপাশে ড্রেন নির্মাণের ধীরগতি এবং সড়কের পাশে কাঁচামাল মজুদ রাখায় পানি নিষ্কাশণের স্বাভাবিক নালাটিও বন্ধ হয়ে রয়েছে। যার দরুণ দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকার ফলে বিরাট আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তোফায়েল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘পটিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সওজ বিভাগের সাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজে সমন্বয় না করায় কাজে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে সহসাই উক্ত স্থানের সড়ক সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাঁকগুলো সোজাকরণসহ এ সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী শীঘ্রই বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নতুনব্রীজ-পটিয়া যাত্রীদূর্ভোগের আখড়া! অতিরিক্ত ভাড়া আদায় | নীরব প্রশাসন!; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
নতুনব্রীজ-পটিয়া যাত্রীদূর্ভোগের আখড়া! অতিরিক্ত ভাড়া আদায় | নীরব প্রশাসন!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক দুপুর গড়িয়ে বিকাল তথা সন্ধ্যা নামলেই দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ পটিয়ার যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে যাত্রীবাহী বাস, হাইস-মাইক্রোবাসের চালক-কর্মচারীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও ট্রাফিক বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে নিদারুণ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। 

নতুন ব্রীজ থেকে পটিয়া পর্যন্ত যাত্রীদের স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া গুণতে হয় বিকাল তথা সন্ধ্যা নামলেই। এ দৃশ্য প্রতিদিনকার। নির্ধারিত ভাড়া উপেক্ষা করে সরকারি ছুটির দিন এবং বৃহস্পতিবার-শুক্রবার আসলেই  সে ভাড়া তিনগুণ-থেকে চারগুণ পর্যন্ত আদায় করছে যাত্রীবাহী বাস-হাইস-মাইক্রোবাসের চালক-হেলপাররা। বিকাল হলেই বাস চালকরা বাস না ছেড়ে যাত্রীদের হেনস্থা করতে দেখা যায়। ফলে নতুনব্রীজ এলাকায় ঘরমুখো মানুষদের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মাত্রা চরম পর্যায়ের মধ্যে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। 

বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রীসাধারনের সাথে চালক-হেলপারদের বিভিন্ন সময় বাড়াবাড়ি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে এবং নিয়মিত ঘটে চলেছে। অনেকটা জিম্মি ও বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ধেকে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছুটতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। কেউ কেউ আবার ছোট ছেলেমেয়ে ও মহিলাদের নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন। 

এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কারও কোনরূপ মাথাব্যাথা নাই। কথিত আছে, বাস-মালিক সমিতি কর্তৃক নিয়মিত মাসোহরা যায় ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-কর্তৃপক্ষের কাছে। আর এসব কার্যক্রম চলে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায়। এ ব্যাপারে বাস-মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে কোনরূপ বক্তব্য পাওয়া যায় নি। 

নতুনব্রীজ-পটিয়া যাত্রীদূর্ভোগের আখড়া!
বিআরটিসির দ্বিতল বাস

এদিকে গত কয়েকবছর আগে পটিয়ার যাত্রীসাধারনের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য বিআরটিসি’র দ্বিতল বাস চালু করা হলেও বর্তমানে অদৃশ্য কারণে সন্ধ্যা নামলেই এসব বাস সমূহকে নতুনব্রীজ-পটিয়া রুটে  দেখতেই পাওয়া যায় না। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব বাস নতুনবীজ-পটিয়া রুটের বদলে প্রায় সময়ই নতুনব্রীজ-২নং গেইট রুটে বেশী চলাচল করে। অনুসন্ধানে আরও তথ্য পাওয়া যায়, বিআরটিসি’র চালক-হেলপার-কর্মকর্তা এবং পটিয়া বাস-মালিক সমিতির নেতা-কর্মীদের যোগসাজশে সাধারণ বাসের ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ আদায়ের লক্ষ্যে উক্ত প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। 

সাধারণ যাত্রীগণ উক্ত দূর্ভোগ থেকে নিস্তার পেতে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দারস্থ হলেও এই পর্যন্ত কোনরূপ সমাধান পাননি। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ প্রভাবশালী রাঘববোয়ালদের হাতে গুরুতর জিম্মি হয়ে পড়েছে। সাধারণ যাত্রীগণ এর প্রতিকার চায়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে লোডশেডিং চরমে; দূর্ভোগে লক্ষাধিক গ্রাহক; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
দক্ষিণ চট্টগ্রামে লোডশেডিং চরমে; দূর্ভোগে লক্ষাধিক গ্রাহক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। ফ্যানের বাতাস কিংবা বরফের পানি পান করেও রেহাই পাচ্ছেন না জনগণ। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়েছে ভয়াবহ লোডশেডিং। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা! দিন-রাত মানছে না, গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং। 

তীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে একদিকে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

জানা যায়, পটিয়া উপজেলার শিকলবাহা খালের পাড়ে নির্মিত শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুইটি ট্রান্সফরমার অগ্নিকান্ডে নষ্ট হওয়ার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সচল হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। ফলে অব্যাহত লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭ উপজেলার লক্ষাধিক গ্রাহক। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় দৈনিক ১০-১২ ঘন্টা লোডশেডিং চলছে। 

এছাড়া এ দূর্ঘটনার পর থেকে পিডিবি কর্তৃপক্ষ পটিয়া উপজেলায় পার্শ্ববর্তী দোহাজারী সাব ষ্টেশন থেকে বিকল্প সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসলেও গত সোমবার দোহাজারী সাব ষ্টেশনের ৩৩ কেবি লাইনে অতিরিক্ত লোডের কারণের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেলে দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পটিয়ায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকে। ফলে পটিয়ার প্রায় ২০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এতে গ্রাহকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। 

তাছাড়াও পটিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় গ্রাহকদের জন্য প্রতিদিন ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলেও বর্তমানে পাচ্ছে ৪ মেগাওয়াট। পিডিবির আওতাধীন পটিয়া উপজেলায় প্রতিদিন ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে ৬ মেগাওয়াট।

এদিকে পটিয়া পিডিবির বিদ্যুৎ সঞ্চালন যন্ত্রগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পরায় নিয়মিত যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দৈনিক ১০-১২ ঘন্টা  বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে পটিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩০-৩৫ বার লোডশেডিংয় হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যবসা করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এভাবে যদি লোডশেডিং হয় তা হলে পটিয়া পৌরসদরের ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।’

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে পোল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত ১৩২ কেভির একটি ও ১৯৮৬ সালে চীন থেকে আমদানীকৃত ১৩৩ কেভির একটি সহ মোট দুটি ট্রান্সফরমার শিকলবাহা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বসানো হয়। এই দুই ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে পটিয়া সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গত ৩০ আগস্ট শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শর্টসার্কিট থেকে দুটো ট্রান্সফরমারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একটি ট্রান্সফরমার সম্পূর্ণ বিনষ্ট ও অন্যটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে ঐদিন বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পটিয়া সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলা, বান্দরবান পার্বত্য এলাকা ও কক্সবাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দমকল বাহিনী ও সেনাবাহিনীর ৭ টি ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও দুটি ট্রান্সফরমার ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রাত ১০ টার দিকে পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাচঁটি উপজেলায় দোহাজারী সাব ষ্টেশন থেকে বিকল্প সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। 

এ ঘটনার পরের দিন পিডিবি কর্তৃপক্ষ রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল খালেককে প্রধান করে ঐ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী কানাই চন্দ্র দাশ ও সহকারী প্রকৌশলী (নিরাপত্তা) আবুল বাশারসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়। 

এ ব্যাপারে পটিয়ার পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, ‘শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের পর থেকে বিকল্প বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন হিসেবে পটিয়া এলাকায় দোহাজারী সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে আসছিল। দোহাজারী লাইনের অতিরিক্ত লোডের কারণে ৩৩ কেভি ভোল্টের তার ছিঁড়ে যায়। ফলে পটিয়ায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো।’

শিকলবাহা বিদ্যুকেন্দ্র প্রধান ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ভূবন বিজয় দত্ত জানান, ‘অগ্নিকান্ডে বিনষ্ট হয়ে যাওয়া দুটো ট্রান্সফরমারের মধ্যে একটি মেরামত করে বসানো হবে। আরেকটি নতুন ট্রান্সফরমার বসানোর কাজ চলছে। এজন্য এনার্জী প্যাক কোম্পানীকে ৭০ এমভি ট্রান্সফরমারের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়েছে। তারা অতি শীঘ্রই এ ট্রান্সফরমারের সরবরাহ করবে। এতে করে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করা যাচ্ছে।’
পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে রেলষ্টেশন পর্যন্ত সংযোগ সড়কের বেহাল দশা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; পটিয়া ডাকবাংলো; Patiya Dakbangloo; রেল স্টেশন রোড; Rail Station Road
পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে রেলষ্টেশন পর্যন্ত সংযোগ সড়কের বেহাল দশা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া পৌর সদর এলাকার ডাকবাংলোর মোড় হতে রেল ষ্টেশন মোড় (ষ্টেশন রোড জামে মসজিদ) সংযোগ সড়কটি অনেকদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, অন্যতম এই ব্যস্ত সড়কটির বিটুমিন প্লাস্টারের প্রায় অংশ উঠে গিয়ে এখন খানাখন্দক-খাদে পরিণত হয়েছে। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটির অবস্থা কর্দমক্ত হয়ে মানুষ এবং যানবাহনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ‍উঠেছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় রাস্তাটির খানাখন্দকে পানি জমে এখন তা খালে পরিণত। এই সড়কে চলাচলকালে পথচারী-যাত্রীদের প্রতিনিয়ত নিদারুণ দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। যার ফলে মারাত্মক দুঘর্টনার সম্ভাবনার সৃষ্টি হতে পারে। 

পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে রেলষ্টেশন পর্যন্ত সংযোগ সড়কের বেহাল দশা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; পটিয়া ডাকবাংলো; Patiya Dakbangloo; রেল স্টেশন রোড; Rail Station Road
পটিয়া ডাকবাংলোর মোড় হতে রেলষ্টেশন পর্যন্ত সংযোগ সড়কের বেহাল দশা

এ প্রসঙ্গে উক্ত রোডে নিয়মিত চলাচলকারী কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘বিগত একবছর যাবত তারা এই পরিস্থিতির স্বীকার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও তারা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই করেন নি।’

সম্প্রতি পানি অপসারণের জন্য রাস্তার পার্শ্বে নালা স্থাপন কাজের গড়িমসির কারণে বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যারা ফলে আশে পাশের দোকানপাট এবং বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

উক্ত এলাকার বাসিন্দা এবং পথচারীরা অতিসত্বর উক্ত রাস্তাটির পানি অপসারণের জন্য নির্মানাধীন নালা এবং রাস্তারটির উন্নয়ন কাজ দ্রুত করে তা চলাচলের উপযোগী করে তুলতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
পটিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিময়-দুর্নীতি, ভাঙ্গন আতঙ্কে ২০ হাজার মানুষ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিময়-দুর্নীতি, ভাঙ্গন আতঙ্কে ২০ হাজার মানুষ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নে সাড়ে ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। যার ফলে গত কয়েক দিন আগে ভাটিখাইনে শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কৃষক ও পুকুর ডুবে মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে আবারো ভাঙ্গন আতঙ্ক নিয়ে দুই উইনিয়নের ২০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।

জানা যায়, প্রতিবছর পাহাড়ী ঢলের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে যায় পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত কয়েক দিন আগে টানা বর্ষণে শ্রীমাই খালের দু’পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কৃষক ও পুকুর ডুবে মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের টাকা হরিলুটের কারণে উপজেলার ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভাঙনের আশঙ্কার মধ্যে বসবাস করছে। আবারো যে কোন মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানির প্রবল স্রোতে পুনরায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শ্রীমতি খাল এলাকার একাধিক জায়গায় গত কয়েক দিন আগের ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পাহাড়ি ঢলের বিভিন্ন স্থানে পানিতে বিলীন হয়ে যায়। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বেড়িবাঁধগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব পয়েন্ট দিয়ে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবাহিত হয়ে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে লাখ লাখ টাকার পুকুরের মাছ। ফসলি জমি ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে সদ্য রোপণ করা আমন ফসল।

এদিকে ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে শ্রীমতি খালের পানি স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে গিয়ে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ভাটিখাইন এলাকার ২ উইনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দ্রত বেড়িবাঁধ মেরামত করা না গেলে লক্ষ লক্ষ টাকার জমির ফসল পাহাড়ি ঢলে বিলীন হয়ে যাবে। 

পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপজেলার শোভনদন্ডী, খরনা, কচুয়াই এলাকায় ২৫ কিলোমিটার খাল খনন, পাঁচটি স্লুইস গেইট মেরামত ও ভাটিখাইন-ছনহরা এলাকায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করে। আর এ কাজটি মূল ঠিকাদার ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড পেয়ে থাকলেও সরকারী দলের প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট করে সাব ঠিকাদার হিসেবে বেড়িবাঁধের কাজ ভাগিয়ে নিয়ে অনিয়ম ও টাকা হরিলুট করেছে বলে পটিয়া উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় অভিযোগ করেছিলেন ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। 

ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করে টাকা আতৎসাত করেছে। এই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনরকম নিয়মকানুন মানেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। বেড়িবাঁধ নির্মাণে উপরের অংশ ১৪ ফুট চওড়া ও নিচের অংশে ২৮ ফুট বাঁধ নির্মার্ণের কথা থাকলেও ৫০ ভাগ কাজও করেনি ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। বেড়িবাঁধের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকার ঘাস লাগানোর কথা থাকলেও এক টাকারও ঘাস লাগায়নি। ফলে প্রতি বছর বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতিতে সহযোগীতা করেছে পানি উন্নয়ন বোডের ঘুষখোর কর্মকর্তারা। ফলে গত কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টিতে ভাটিখাইন-ছনহরা সীমান্তে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।’
তিনি আরো জানান, শ্রীমতি খালের ভাঙনের বিষয়টি ইতোমধ্যে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে ভাটিখাইন ইউনিয়নের শহিদুল আলম নামের এক ভুক্তভুগী ব্যাক্তি বলেন, ‘বেড়িবাঁধের মাটি মানুষ দিয়ে কাটার কথা থাকলেও তা এস্কেলেটর দিয়ে তড়িঘড়ি করে কেটেছে। এস্কেলেটর দিয়ে মাটি কাটার ফলে খালের পাড়ের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার প্রাচীনতম হাজার হাজার গাছপালা নষ্ট করেছে।’

এ প্রসঙ্গে পটিয়া পানি উন্নয়ন বোডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ। গত কয়েক দিন আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড় থেকে আসা শ্রীমাই খালের বাঁধ ভেঙ্গে ভাটিখাইন ও ছনহরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভাটিখাইন ও ছনহরা সীমান্তে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি। শ্রীমতি খালের ব্যাপক ভাঙনের কথা স্বীকার করেন এবং অতি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।’
পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা

ভয়েস অব পটিয়া-হাবিলাসদ্বীপ প্রতিনিধিঃ পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা-চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। 

সরেজমিনে পরিদর্শনে আমাদের হাবিলাসদ্বীপ প্রতিনিধি জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৫০-৬০ টি ট্রাক (যার ওজন ৫০ টনের অধিক) আসা যাওয়া করে। যা শিকলবাহা পাওয়ার প্ল্যান্টের নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সিলেটের পাথর আনা-নেওয়া করে। এত ছোট রাস্তায় এই অধিক পরিমাণ ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে রাস্তাটির পলস্তেরা-পাথর উঠে গিয়ে এখন এটি খালে পরিণত হয়েছে। যার দরুণ এই রাস্তায় নিয়মিত চলাচলকারী ছোট গাড়িগুলো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ফলে অনেক মানুষ নানাভাবে গুরুতর হওয়ার আশঙ্কায় দিনানিপাত করছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, উক্ত রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে যাত্রীগণকে নির্বিঘ্নে চলাচলের পথকে সুগম করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং ‍উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়-যানজট-ভোগান্তি ঈদ উৎসবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়-যানজট-ভোগান্তি ঈদ উৎসবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঘরমুখী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে ঈদ উৎসবে। সে সাথে দ্বিগুন থেকে তিনগুন, কোন কোন সময় তার চেয়েও বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। 

একই চিত্র ছিল চন্দনাইশের অভ্যন্তরীণ সড়ক গুলোতে। ঈদে ঘরমুখী দক্ষিণ চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। সে সাথে দ্বিগুন থেকে তিনগুন কোন কোন সময় তার চেয়ে বেশি ভাড়া বহন করতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। 

ঈদের ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে গত ১৬ জুলাই বিকাল থেকে কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ এলাকায় যাত্রীবাহী বাস, হাইচ মালিক কর্মচারীরা নিয়মাতান্ত্রিক ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন থেকে তিনগুনেরও অধিক ভাড়া আদায় করা শুরু করে। এতে যাত্রীদের সাথে যাত্রীবাহী বাস, হাইচ কর্মচারীদের বাকবিতন্ডটা লেগে যায়। কিন্ত যাত্রীবাহী বাস, হাইচ কর্মচারীরা জোট বেঁধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পটিয়ার ভাড়া ২০ টাকার স্থলে ৫০-৬০ টাকা, গাছবাড়ীয়া-রশওনহাট পর্যন্ত ৩০ টাকার স্থলে ১০০-১৫০ টাকা, যা দোহাজারী ও কেরানীহাট পর্যন্ত একই কায়দায় ভাড়া আদায় করে। যা গত ২০ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে তার চেয়েও বেশী ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ভাবে উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ঈদের অযুহাতে ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা, ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা, ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা, এভাবে ১০০ টাকার রির্জাভ ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করা হয়।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক খানাখন্দকে ভরা; তীব্র যানজট, দূর্ভোগে সাধারণ যাত্রীগণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ এক মাসের পবিত্র রমজান মাসের সিয়াম সাধনার পর শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি গিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। শত বাধা-বিপত্তি ও দুর্ভোগ মাড়িয়ে ঘরমুখো মানুষের স্রোত নামবে ক’দিন পরই। 

পরিবহন স্বল্পতা, এক সাথে অধিক যাত্রীর চাপকে পুঁজি করে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মহোৎসবে নামে এক শ্রেণির পরিবহন ব্যবসায়ীরা। ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এবারই ঈদ যাত্রা বর্ষা মৌসুমে হওয়ায় পরিবহন সংকটের পাশাপাশি খানাখন্দক, ভাঙ্গা সড়কে যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থেকে দোহাজারী এলাকায় সড়কের যে দুরবস্থা তাতে প্রায়ই যানজট লেগেই থাকে। 

ঈদের আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ভেঙে যাওয়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার কথা বললেও তা চোখে পড়ার মত নয়। যেনতেনভাবে ইট, কংক্রিট দিয়ে সড়ক সংস্কার করায় গাড়ির গতিবেগের যথাযথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে চালকদের অভিযোগ। তবে পুরো সড়ক সংস্কার হবে ঈদ পরবর্তী শুষ্ক মৌসুমে। জুনের শেষদিকে দুই সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থেকে দোহাজারী পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন এলাকায় খানাখন্দকে ভরে গেছে। বিশেষ করে পটিয়া সদর ও দোহাজারী সদর এলাকায় এ সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এ দু এলাকায় তীব্র যানজট ও যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া সদর থেকে দোহাজারী স্কুল পর্যন্ত, দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া, বাগিচাহাট, বাদামতল, রওশনহাট, বিজিসি ট্রাস্ট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পটিয়া সদর এবং দোহাজারী সদর এলাকায় সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তে পরিণত হওয়ায় পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তীব্র যানজটের কারণে দোহাজারী এলাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। আগামী ঈদের আগে সংস্কার না হলে ঘরমুখো মানুষের আরো দুর্ভোগে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। 
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন বলেছেন, দু’এক দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের যেসব স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তা সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে। 
সড়কে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। যানবাহন চলাচলের সময় পথচারীদের গায়ে কাঁদা ছিটকে পড়ে। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের কারণে। ফলে সড়ক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পটিয়া সদর, দোহাজারী সদর, বাগিচাহাট ও বিজিসি ট্রাস্ট এলাকায় যানবাহন তার স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া খানাখন্দকে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে ভারী যানবাহন। এতে যানজটের সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে। মহাসড়কে খানাখন্দকের কারণে যানবাহনগুলো এখন আগের চেয়ে অনেক ধীরগতিতে চলছে। 
গাড়ির চালক আবদুল হাকিম বললেন, ‘এ সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে বালি ও ইট দিয়ে ভরাট করলেও তা একটু পরেই চাকার ঘর্ষণে উঠে যাচ্ছে। স্থায়ীভাবে মেরামত করা না হলে দুর্ঘটনাসহ যানজট বৃদ্ধি পাবে।’

এ সড়কে খানাখন্দকের কারণে অবস্থা এত খারাপ যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ। তবুও যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তারা। ঈদের আগেই অর্থাৎ দু’এক দিনের মধ্যে মহাসড়কে ক্ষত স্থানগুলো প্রাথমিকভাবে সংস্কার করার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন। দ্রুত সড়ক সংস্কার না হলে মাহে রমজানের শেষে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগে শিকার হওয়ার আশংকা রয়েছে।
পটিয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং এ সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি; লোডশেডিং; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় ঘনঘন লোডশেডিং এ সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ নেই পটিয়া উপজেলার ২০ গ্রামে। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (পিডিবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে পবিত্র রমজান মাসেও হাজার হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তির কবলে পড়েছেন। এমনকি গ্রামগঞ্জে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎও থাকছে না। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে মুসল্লিসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চলতি বর্ষা মওসুমে বৈরি আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নেই বিদ্যুৎ। 

মুসল্লিদের অভিযোগ, নামাজের পূর্বে ও ইফতারির সময় প্রতিদিন বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার হাইদগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, বুধপুরা, শান্তিরহাট, কুসুমপুরা, শোভনদন্ডী, ছনহরা, কচুয়াই, বড়উঠান, চরপাথরঘাটা, ধলঘাট, কেলিশহর, কোলাগাঁও ইউনিয়নের ২০ গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সদর দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে রমজানে যাতে লোডশেডিং না হয় সে ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে পটিয়া সদর ছাড়াও উপজেলার ২০ গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকলেও কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। তবে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে তা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার সকালে লাইনম্যানরা বের হয়েছে। 
হাবিলাসদ্বীপ গ্রামের রফিক আহমদ জানান, গত ২ দিন ধরে তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সদর দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ার পরও লাইনের ত্রুটি ঠিক করে পুনরায় চালু করা হয়নি। ফলে অন্ধকারের মধ্যে সেহেরি, ইফতার ও তারাবির নামাজ পড়তে হচ্ছে। 

এদিকে, পটিয়া সদরের ঈদ মার্কেটগুলোতে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। গত সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় পৌর সদরের শাহ আমির মার্কেটের ‘বড়বাজার’ নামের একটি কাপড়ের দোকানে এসির গ্যাস বের হয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

উপজেলার চক্রশালা গ্রামের অনুপম চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পিডিবি মনগড়াভাবে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কারণে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে পিডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি বলে জানান তিনি। 

এ প্রসঙ্গে পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সদর দপ্তরের ডিজিএম (টেকনিশিয়ান) মোঃ গোলাম কাওছার বলেন, বৈরি আবহওয়া ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আংশিক কিছু এলাকায় যে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রয়েছে তা ঠিক করে পুনরায় চালু করা হবে। ইতোমধ্যে লাইনম্যানরা কাজ শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।
রাস্তা বন্ধ করে প্রভাবশালী মহলের মাছের প্রজেক্ট; দূর্ভোগে সাধারণ জনগণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
রাস্তা বন্ধ করে প্রভাবশালী মহলের মাছের প্রজেক্ট; দূর্ভোগে সাধারণ জনগণ


ভয়েস অব পটিয়া-বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আল্লাই-ওখাড়া গ্রামের কাউন্সিলর এর বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা বন্ধ করে স্থানীয় প্রভাবশলী মহলের কিছু লোকজন মিলে মাছের প্রজেক্ট তৈরী করায় দূর্ভেোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রভাবশালী কিছু লোকজন যাতায়াতের রাস্তায় পানি নিষ্কাষণের একমাত্র পথটি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি জমে রাস্তায় কর্দমাক্ততা এবং বিভিন্ন খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। 
গত বছর থেকে কিছু প্রভাবশালী মহল মাছের প্রজেক্ট করার জন্য রাস্তার নালা বা পানি নিষ্কাশনের পথগুলো ধীরে ধরে বন্ধ করে মাছের প্রজেক্টের পরিধি বাড়াচ্ছে। আবার রাস্তা সংলগ্ন স্থানীয় জায়গায় মালিকগণ তাদের জায়গার ওপর বাঁধ দিয়ে পানি যাওয়োর পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে তাদের জমির পানিও এখন উক্ত রাস্তা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে রাস্তা সংলগ্ন সাধারণ জনগণের উঠান চলাফেরার পথ পুরো বর্ষাজুড়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে।

জানা যায়, এসব নালা বা পানি নিষ্কাষণের পথ খাস জমির উপর প্রবাহিত যা সরকারী আওতাধীন। কিন্তু প্রভাবশালী মহলটি নালাগুলো তারা তাদের নিজস্ব জায়গায় পড়েছে বলে দাবি করে তা বন্ধ করে জবর দখল করে নিয়েছে। ফলে রাস্তাটিতে এই বেহাল দশার সৃষ্টি।

এই ব্যাপারে ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ জানান।
এলাকাবাসী উক্ত খালগুলো প্রভাবশালীদের নিকট থেকে উদ্ধার করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের জোর দাবি জানিয়েছেন।