vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়ার শ্রীমাই খাল বেড়িবাঁধের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশে ব্যাপক ভাঙন, বরাদ্দের অভাবে মেরামত না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের আতঙ্কে এলাকাবাসী

শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন-সংস্কার না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের আতঙ্কে এলাকাবাসী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন কবলিত অংশ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পটিয়ার শ্রীমাই খাল বেড়িবাঁধের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশ ব্যাপক ভাঙনের সম্মুখীন হয়। বরাদ্দের অভাবে বেড়িবাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আরো বড় ধরনের ভাঙনের অাতঙ্ক বিরাজ করছে। পাহাড়ী ঢলের পানি থেকে রক্ষাকল্পে উক্ত বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অসময়ে বরাদ্দ পাওয়া ও বর্ষার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলায় ভাঙনের কবলে পড়া বেড়িবাঁধের কেবল ১টি স্পটে সামান্য কাজ করা হলেও বাকী আরও ৫টি অংশে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়।

প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে শ্রীমাই খালের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশে ব্যাপক অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে ছনহরা, ভাটিখাইন এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিতে পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যায়। এলাকাবাসীর অনেকের ঘরবাড়ি পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ও ছোট-বড় পোনার পুকুর ভেসে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত না করায় ২য় বারের বর্ষণেও পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।

এ ব্যাপারে কথা বললে, স্থানীয় ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী ও ভাটিখাইন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দীন ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর থেকে স্থানীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফর আহমদ চৌধুরী টিপুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অতি দ্রুত ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিলেও বরাদ্দের অভাবে তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও ভাটিখাইন এলাকার সামান্য অংশে দায়সাড়া গোছের মেরামত কাজ করে। ফলে গত অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়াতে যথাসময়ে কাজ না করায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত চলে যায়। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে ছনহরা, ভাটিখাইন ও আশিয়া ইউনিয়নের শত শত লোকজন, স্কুল-কলেজের ছাত্র–ছাত্রী পটিয়া সদরে যাতায়াত করে থাকেন। বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণেকে চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর চৌধুরী ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে মেরামত কাজ করতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন; কিন্তু চলতি অর্থ বছর শুরু হওয়াতে কোন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়ার মত কোন বরাদ্দ নেই। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে স্বেচ্ছাশ্রম কিংবা অংশীধারিত্বের ভিত্তিতে জরুরিভাবে এই ভাঙ্গন মেরামত করা সম্ভব হবে। অন্যথায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইউছুপের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, চলতি অর্থ বছরে শুরুতেই জরুরি ভিত্তিতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের মেরামত কাজ করার জন্য ডিজি মহোদয়ের সাথে আলাপ করে বরাদ্দ পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটিয়ায় কর্মরত এসডি মোহাম্মদ শওকত জানান, শ্রীমাই খালের ৫টি অংশে মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ টাকা বর্ষার কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। আগামী শুষ্ক মৌসুমে পুনরায় বরাদ্দ নিয়ে কাজ করা হবে। তাছাড়া সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের ঢলের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মেরামত কাজ করা সম্ভব হবে বলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান।
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

• আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন। ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না। কিছু বিষয় বিস্তৃত হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করছে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।