"অপরাধ" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
অপরাধ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মেজর সিনহা হত্যাঃ কুখ্যাত ওসি প্রদীপ-ইন্সপেক্টর লিয়াকতের মৃত্যুদন্ডে রায়; মেজর সিনহা; ওসি প্রদীপ; কুমার দাস; ইন্সপেক্টর লিয়াকত; আলী; টেকনাফ; বাহারছড়া; কক্সবাজার; কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ; সমুদ্র সৈকত; পুলিশ; সেনাবাহিনী; চেকপোস্ট; এসএসএফ; Major Sinha, OC Prodip, Inspector Liakot; SSF; Special Security Force; Army; Bangladesh Army; Bangladesh Police; Teknaf; Coxsbazar; Marine Drive; Bangladesh
মেজর সিনহা হত্যাঃ কুখ্যাত ওসি প্রদীপ-ইন্সপেক্টর লিয়াকতের মৃত্যুদন্ডে রায়

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হত্যাকারী কুখ্যাত ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাস ও ইন্সপেক্টর (বরখাস্ত) লিয়াকত আলীর মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। 

এ মামলার বাকি ১৩ আসামির মধ্যে ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে এ রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল। ৩০০ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণাকালে এজলাসে উপস্থিত ছিলো ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাস ও ইন্সপেক্টর (বরখাস্ত) লিয়াকত আলী সহ ১৫ আসামী। 
রায়ে বিচারক বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যার ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাসের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গুলি করে আসামী লিয়াকত আলী। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিনহাকে দেরিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’  

রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত ও বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব এবং টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মোঃ নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। 

খালাসপ্রাপ্তরা হলো- বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মোঃ রাজীব ও মোঃ আবদুল্লাহ। 

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নির্দেশে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে, পরে ওসি প্রদীপ মেজর সিনহার গলায় পা দিয়ে হত্যাকান্ড ‍নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফে দুটি ও রামুতে একটি মামলা করে। ঘটনার পাঁচ দিন পর ০৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ পুলিশের নয় সদস্যের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পিপি ফরিদুল আলম জানান, এ মামলায় আট দফায় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয়। এরপর ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি মামলায় উভয়পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্মম ও আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ১৮ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা হলো। বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে মামলাটির পরবর্তী কাজ।
তিনি আরো বলেন, ‘ওসি প্রদীপ একজন নরপিশাচ। সে মাদক নির্মূলের নামে ক্রসফায়ার দিয়ে ২০৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। অপকর্ম জেনে ফেলায় মেজর সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে ওসি প্রদীপ, যা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি প্রদীপ-লিয়াকতসহ জড়িত সব আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করবেন আদালত।’  

অন্যদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ নেতা এডভোকেট রানা দাসগুপ্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে এই ঘটনায় নির্দোষ দাবি করেছেন। 

রায়ের আগে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসের ফাঁসির দাবিতে টেকনাফ থানার আদালত চত্বরে মানববন্ধন করেন ওসি প্রদীপের গুম-খুনের শিকার ভুক্তোভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা। মানববন্ধনে তারা জানান, প্রদীপ কুমার দাস টেকনাফ থানার ওসি থাকাকালে ক্রসফায়ারের নামে ১৪৫ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এছাড়া নিরীহ লোকজনকে হয়রানি, ধর্ষণ ও অপহরণসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকারে হলেও কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। তাই তারা মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওসি প্রদীপের হাতে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা খান, ভুক্তভোগী হামজালাল ও ক্রসফায়ারে ছেলে হারানো হালিমা খাতুনসহ আরও অনেকে।

ক্রসফায়ারের নামে ওসি প্রদীপের নৃশংসতা

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস। টেকনাফ মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক নির্মূলের আড়ালে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করা শুরু করে। অবৈধভাবে পেশিশক্তি প্রদর্শন করতে থাকে। কিছু দিন যেতে না যেতেই তাকে টাকার নেশায় পেয়ে বসে। ইয়াবা ব্যবসায়ী ছাড়াও আর্থিকভাবে সচ্ছল নিরীহ পরিবারগুলোকে টার্গেট করে ওসি প্রদীপ। এর পর তাদের একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে, কথিত ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহিভূর্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়ে, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে রাতারাতি বিপুল অর্থবিত্তেরও মালিক বনে যায় কুখ্যাত ওসি প্রদীপ। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে দাখিল করা সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে এসব লোমহর্ষক তথ্য উঠে এসেছে। 

কক্সবাজারের মহেশখালী থানা থেকে ২০ অক্টোবর ২০১৮ সালে ওসি হিসেবে টেকনাফ মডেল থানায় যোগ দেয় প্রদীপ। ওসি প্রদীপ টেকনাফ থানায় যোগদানের পর তার নেতৃত্বে ও নির্দেশে শতাধিক বন্দুকযুদ্ধের নামে বহুলোককে হত্যা করা হয়। প্রদীপের অপরাধ প্রক্রিয়া ছিল কোনো ঘটনায় মাদক উদ্ধার হলে অথবা টার্গেট কোনো ব্যক্তিকে মাদক দিয়ে ফাঁসানো হলে (ফিটিং মামলা) প্রথমত আসামী বা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এর পর স্থানীয় কিছু শ্রেণির লোকজনসহ তার নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের জন্য দেনদরবার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ক্রসফায়ার না দেওয়ার শর্তে আদায় করা হতো। প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ আশানুরূপ বা চাহিদা অনুযায়ী হলে ভিকটিমকে ক্রসফায়ারে না দিয়ে মাদক উদ্ধার দেখিয়ে ওই ব্যক্তির বা আসামীর আত্মীয়স্বজনদের মামলার আসামী করা হতো। এ ক্ষেত্রে নারী, বৃদ্ধ, কিশোর-কিশোরী কেউ তার আক্রোশ থেকে রেহাই পেত না। এমনকি নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নও করা হতো বলে তদন্তে জানা যায় এবং এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। 
এরপর শুরু হতো তার অন্যরকম অবৈধ অর্থ আদায়ের প্রক্রিয়া। তার দায়ের করা মামলার কথিত এজাহারে বর্ণিত আসামীদের ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ আসামীর সৃজিত সম্পত্তি বেদখল করে এবং ভয় দেখিয়ে মামলা প্রতি লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করাই ছিল তার নেশা ও পেশা। এ কাজ করার জন্য ওসি প্রদীপ তার সমমনা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নিজস্ব পেটুয়া ও সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে। 

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, প্রদীপের এ ধরনের অপরাধকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতেন না। যারা ন্যূনতম প্রতিবাদ করার সাহস দেখিয়েছেন, তারা এবং তাদের পরিবার ও নিকটাত্মীয়স্বজন তার অত্যাচার, নিপীড়নসহ মামলা-হামলার শিকার হতো। ওসি প্রদীপ টেকনাফ মডেল থানায় যোগদান করেই স্থানীয় কিছু দালাল শ্রেণির লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে। মাদক নির্মূলের অজুহাতে ও নিজেকে সরকারের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক দেখানোর আড়ালে জনগণের তোয়াক্কা না করে, পুরো থানা এলাকায় এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে, সমাজ ও জনপদে ত্রাস সৃষ্টি করে অপরাধের অভয়ারণ্য ও অপরাধকর্মের রামরাজত্ব কায়েম করে।
 
তার এ ধরনের অপরাধকর্মের প্রচার ও প্রসার রোধে আসামী প্রদীপ কুমার দাস ও তার দলবল স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোর মাধ্যমে মুখ বন্ধ করে রাখতো বলে জানা যায়। এতেও কাজ না হলে ভয়ভীতি-হুমকি প্রদর্শনসহ মামলায় জড়িয়ে কণ্ঠরোধ করা হতো। তার কুকর্মের বিষয়ে কেউ যাতে সংবাদ সংগ্রহ করতে এবং প্রচার করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রদীপ কুমার দাস ছিলো সোচ্চার ও সতর্ক এবং এ ধরনের লোকজনের তথ্য সংগ্রহের জন্য সে তার থানায় এলাকাভিত্তিক সোর্স নিয়োগ করে রাখতো।
চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি’তে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অবৈধ প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে নাগরিকদের প্রতিবাদ; চট্টগ্রাম; নগরী; সিআরবি; রেলওয়ে; শিরীষতলা; ঐতিহাসিক; ব্রিটিশ; মুক্তিযুদ্ধ; পরিবেশ; বন; পূর্বাঞ্চল; Chittagong; Chattogram; CRB; Railway; City; Environment
চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি’তে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অবৈধ প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে নাগরিকদের প্রতিবাদ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি’তে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার অবৈধ প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সদর দপ্তর (সিআরবি) এলাকায় সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ ও ৫০ আসনের নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প রেল বিভাগ গ্রহণ করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে চট্টগ্রামে। 
বেসকারী ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং সরকারের মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি হয় গত বছরের মার্চে। ওই প্রকল্পের জন্য ৬ একর জমির কথা বলা হয়েছে পরিকল্পনায়। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ১২ বছর।

বলা বাহুল্য সংবিধানের ২৪ ধারা মতে, ’বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পন্ন বা তাৎপর্যমন্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থানসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ, অপসারণ, স্মৃতি রক্ষার্থে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ সিআরবি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। ৯ জন শহীদের কবর রয়েছে এখানে। সেই হিসেবে সংবিধানের ২৪ ধারা এ ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অধিগ্রহণকৃত জায়গায় রেলওয়ের যে কলোনী রয়েছে তার নাম ‘শহীদ আব্দুর রব কলোনী’। কৌশলে অধিগ্রহণকৃত কলোনীর নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, যেটা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে দেবার এক ধরনের ষড়যন্ত্রও বলা যায়।

সিআরবি এলাকাকে ‘হেরিটেজ জোন’ হিসেবে বন্দর নগরীর মহাপরিকল্পনায় ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করায় সেখানে কোনো প্রকার বাণিজ্যিক স্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। 

এদিকে সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদী কর্মসূচি থেকে।
ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবান পাহাড়ে জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে খুন নও মুসলিম ইমাম ওমর ফারুক; বান্দরবান; রোয়াংছড়ি; তুলাছড়ি; পাহাড়; পার্বত্য চট্টগ্রাম; সন্ত্রাসী; পাহাড়ী সন্ত্রাসী; জেএসএস সন্ত্রাসী; জেএসএস; শান্তিবাহিনী; জনসংহতি সমিতি; সন্ত্রাসী সংগঠন, জঙ্গি; ঢাকা; সারাদেশ; ইসলামিক; চট্টগ্রাম; ইসলাম; দাঈ; ইসলামী দাঈ; ইসলাম প্রচারক; Bandarban, Hill tracts; Chittagong; Chattogram; Dhaka; Islamic Preacher; Islam; Bangladesh
ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবান পাহাড়ে জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে খুন নও মুসলিম ইমাম ওমর ফারুক

ভয়েস অব পটিয়া-পার্বত্য চট্টগ্রাম ডেস্কঃ ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম এক ইমামকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা। 

শুক্রবার এশার নামায শেষ করে মসজিদ থেকে বের হলে তাকে গুলি করে হত্যা করে জেএসএস সন্ত্রাসীরা।

হত্যার শিকার নওমুসলিম ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরা (৫৪) ইতিপূর্বে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছিলেন। মুসলিম হওয়ার পর তিনি পাহাড়ে অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতেন। তাঁর এ দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে অনেক পরিবার স্ব-ইচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। 

ওমর ফারুক ২০১৪ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। বান্দরবানের রোয়াংছড়ির দুর্গম পার্বত্য এলাকা তুলাছড়িতে নওমুসলিম ওমর ফারুক নিজের জমিতে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম চর্চা করতে শুরু করেন। এ কারণে পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা একের পর এক তাঁকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু ওমর ফারুক হত্যার হুমকি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলামের দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যহত রাখেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় শুধু নিজের পরিবার নয়, রোয়াংছড়ি এলাকায় তাঁর দাওয়াতে প্রায় ৩২টি উপজাতীয় পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ কারণে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাঁকে থামাতে গত ১৮ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতে মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে ফেরার পথে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাজ করছে শোকের ছায়া । তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। হত্যাকারী উপজাতি সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে শাস্তি দাবি করেছেন তারা। পাশাপাশি সরকার ও পাহাড়ে আইন-শৃংখলা ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের প্রতি অনতিবিলম্বে এসব শান্তিবিনষ্টকারী দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা লক্ষ করে ইহুদি সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলা, বোমার আঘাতে শিশুসহ নিহত ১১৯; ছবিঃ আল-জাজিরা

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ইহুদি সন্ত্রাসীদের অতর্কিত বিমান, স্থল, বোমা হামলায় এই পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজায় ৩১ শিশুসহ ১১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। 
দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সন্ত্রাসী হামলা থেকে বাঁচতে দিকবিদিক ছুটাছুটি করছেন ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো। 

শুক্রবার হতে ইসরাইল সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিকটে সেনা ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের স্থাপনা লক্ষ করে ব্যাপক আকারে বিমান ও স্থল হামলা চালায়। 

সোমবার মসজিদুল আকসায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩১ শিশুসহ কমপক্ষে ১১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৮৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। 

ইসরাইলের আর্টিলারি হামলা থেকে বাঁচতে উত্তর গাজায় কয়েক'শ ফিলিস্তিনি পরিবার ইউএন পরিচালিত বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের এ হামলাকে ‘বর্বরতার হিংস্রতম রাত’ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ভোরে ইসরাইলের অবৈধ দখলকৃত আশ্কেলন শহর লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন ‘হামাস’। এ পর্যন্ত হামাস ১৫০০ এর অধিক রকেট হামলা চালিয়েছে ইহুদি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে। তবে এর বেশিরভাগ রকেট প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে ইসরাইলী আইরন ডোম। এতে কমপক্ষে ৬ ইসরাইলী সন্ত্রাসী এবং একজন ভারতীয় নাগরিক মারা গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। 
ইসরাইলী সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলের দখলকৃত বিভিন্ন অবস্থানের দিকে কয়েকশো রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং তারা পূর্ব গাজা উপত্যকার নিকটে হামলার জন্য আরও শক্তিবৃদ্ধি করেছে। 

ইতোমধ্যে পশ্চিম তীরের পাশাপাশি ইসরাইলের দখলদার বসতি স্থাপনকারী ও ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। 
এদিকে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের দক্ষিণ লেবানন থেকে দখলদার ইসরাইলী বসতি লক্ষ করে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া যায় নি।
পটিয়ার কিশোর গ্যাং লিডার ছিনতাইকারী ‘কিং সরশ’ জেলে; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবিঃ কিশোর গ্যাং লিডার ছিনতাইকারী সরওয়ার ওরফে ‘কিং সরশ’ 

ভয়েস অব পটিয়া
-নিউজ ডেস্কঃ
পটিয়ায় ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা ‘কিশোর গ্যাং’ লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে (২২) জেলে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বেশর সিং তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। 

সরওয়ার ওরফে কিং সরশ পটিয়া উপজেলার দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৌলভী রফিক আহমদের বাড়ির ফজল করিমের ছেলে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধ্যায় উপজেলার খানমোহনা এলাকা থেকে মোবাইল ছিনতাই এর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ কিশোর গ্যাং লিডার কিং সরশকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) বোরহান উদ্দিন জানান, ‘গ্রেপ্তারের পর ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। তাকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র কৌশলে ছিনতাই করে আসছিলো। এসব ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।’

দেখুন >> পটিয়ায় কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার  
                 পটিয়া পৌরসভার ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং গ্রুপ

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার এলাকায় জায়গা পরিদর্শন করতে যান পটিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সার্ভেয়ার রবিন দাশ। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের কেচিয়াপাড়া বিনি ডাক্তারের বাড়ির সামনের রাস্তায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য সার্ভেয়ার রবিনের পথরোধ করে। তারা সার্ভেয়ার রবিনকে ডিশের তার দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা রবিনের সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সার্ভেয়ার রবিন দাশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় খানমোহনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য কিশোর গ্যাং লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কিং সরশের শয়নকক্ষ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পটিয়া সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে থাকুন।
ওমরা হজ্বযাত্রীদের টাকা হাতিয়ে উধাও মাদ্রাসা অধ্যক্ষ!; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; কর্ণফুলি; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ওমরা হজ্বের নামে হজ্বযাত্রীদের ২৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পটিয়ার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। 
অভিযুক্ত মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আশিয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং আন্দরকিল্লাধীন আল জব্বার হজ্ব কাফেলার স্বত্বাধিকারী।

গত ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পবিত্র ওমরা হজ্ব পালন করতে যাওয়ার প্রাক্কালে ভুক্তভোগীরা চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তাদের ভিসা-টিকেট কোনকিছুই করা হয় নি। অভিযুক্ত ওমর ফারুক জব্বারীকে বিমানবন্দরে গিয়ে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত সকল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। যার ফলে বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হয় সৌদিআরবগামী ২৩ হজ্ব যাত্রীকে। তাদের মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সৈন্যেরটেক এলাকার একই পরিবারের ৯ জনসহ মোট ৩২ জন হজ্ব যাত্রী প্রতারণার শিকার হন।
আল জব্বার হজ্ব কাফেলা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায়। 

ভুক্তভোগী কয়েজন হজ্বযাত্রীর সাথে কথা বললে তারা জানান, “গত বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর পবিত্র ওমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে তারা বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে আসেন। বিমানবন্দরে এসে তারা জানতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। হজ্ব কাফেলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাউকে সেখানে না পেয়ে স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক জব্বারীকে দফায় দফায় ফোন দেয়া হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরে কোন সমাধান না পেয়ে পরে তারা বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফেরত চলে যান।”
তারা জানান, “পবিত্র ওমরা হজ্বব্রত পালনের জন্য পটিয়া উপজেলার শাহচাঁন্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা হামিদুল হকের মাধ্যমে আল-জব্বার হজ্ব কাফেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা করি। আল জব্বার হজ্ব কাফেলার স্বত্বাধিকারী মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন এলাকায় পুলিশ প্লাজার একটি হোটেলে আমাদের হজগমনকারীদের একটি কর্মশালা করান। পরে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার আমাদের হাতে ভিসা ও বিমানের টিকেট দেওয়ার কথা থাকলেও বুধবার রাতে অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী আমাদেরকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে টিকিট ও ভিসা প্রদান করা হবে। এই ভিত্তিতে আমরা বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর সকালে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সৌদিআরবগামী আমাদের ফ্লাইট বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওমর ফারুক জব্বারী। কিন্তু অধ্যক্ষ ওইদিন আমাদেরকে আমাদের পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট কিছু না দিয়ে মোবাইল বন্ধ রাখেন। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকার পর তার সাথে কোনরূপ যোগাযোগ করতে না পেরে আমরা যার যার বাড়িতে ফিরে যাই।’ 

এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত আল জব্বার হজ্ব কাফেলার স্বত্বাধিকারী দক্ষিণ আশিয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওমর ফারুক জব্বারীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুল হক রাশেদ জানান, “আমার দুই আত্মীয়ও ওমরা হজ্বের জন্য টাকা জমা দিয়ে এ মাওলানার কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী যিনি নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনবিহীন হজ্ব কাফেলা খুলে ২৩ ওমরা হজ্ব গমণকারী হতে জনপ্রতি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে মোট ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পবিত্র ওমরা হজ্বের নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের প্রতারণাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” 
এ দিকে এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোস্যাল মিডিয়াতে, জাহাঙ্গীর আলম নামের এক কুসুমপুরা ইউপি সদস্য লিখেছেন, “যদি মৌলানা সাহেবরা এ ধরনের প্রতারণা করে বেড়ায় আমরা সাধারণ মানুষরা কোথায় যাব? আল্লাহ এদের হেদায়েত করুক।” জাহেদ চৌধুরী নামের আরেক ব্যক্তি লেখেন, “কিছুদিন যাবত বিভিন্ন এলাকার কিছু সংখ্যক মৌলভীর অপকর্ম সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, আজ নিজের এলাকারটাও দেখলাম। বিশ্বাসের জায়গাটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওকে ধরে আধ ঘণ্টা জুতাপিটা করা হোক।” 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান জানান, “এ ধরনের প্রতারক চক্র ধরার জন্য প্রশাসন সদা তৎপর রয়েছে। মৌখিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।” 

হজ্ব এজেন্সী এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (হাব) এর চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি মাহমুদুল হক পেয়ারু বলেন, “পবিত্র হজ্বের নামে প্রতরণাকারী এজেন্সীর বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব, প্রশাসনকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বলেছি।”
পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেফতার; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ছিনতাইয়ের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু (২০) নামের এক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। 
গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম বাবু চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, মোঃ শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি গত ৩০ নভেম্বর বিকালে হাইদগাঁও ইউনিয়নের ওসমানপাড়া এলাকা থেকে ডেকোরেশনের কাজ শেষ করে দোকানে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কয়েকজন ছিনতাইকারী তাকে কুপিয়ে সাথে থাকা ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। 
এ ঘটনায় আহত মোঃ শাহজাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হল মোঃ সজিব (২০), মোঃ কাইয়ুম (২৩) ও মোঃ জাহেদ (২০)। 

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জব্বারুল ইসলাম জানান, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম বাবু নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ছিনতাইয়ে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক; পটিয়া; চট্টগ্রাম; শিকলবাহা; কোলাগাঁও; ধর্ষক; আটক; কর্ণফুলী; অপরাধ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Shikolbaha; Kolagaon; Rapist; Arrest; Criminal
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। 

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাট এলাকা থেকে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামস্থ তিতা গাজীর মাজার জেয়ারতে যায় তিন কিশোরীসহ দুই কিশোর। মাজার জেয়ারত শেষে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ৬ অপহরণকারী বাণীগ্রাম নতুনপুল এলাকায় বাঁশ ঝাড়ের কাছে জঙ্গলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা অপর এক কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে অপহৃত কিশোরীকে জঙ্গলে বিবস্ত্র করে অপহরণকারী ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করে। ওই সময় কিশোরীর অমানবিক চালায় পাষন্ড অপহরণকারীরা। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে রাত ৩টার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় দুই সিএনজি চালক দেখতে পেয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাড়ী থেকে কাপড় এনে দেয়ার পর তাদের সিএনজি করে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেয়। 

এ ঘটনার ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা স্থানীয় কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। পরে গতকাল ধর্ষকদের সাথে ধর্ষিতার মাঝে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে সমঝোতা বৈঠকের নামে কৌশলে ডেকে আনা হয়। সেখান থেকে পুলিশ ধর্ষকদের আটক করে। এ সময় ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়। আটককৃত ধর্ষকরা হলো, ফজল আহমদের পুত্র হাসান (২০), ইদ্রিসের পুত্র মাসুদ (২০) ও লেদু আহমদের পুত্র ওসমান (২৮)। পলাতক ধর্ষকরা হলো, জালাল আহমদের পুত্র মঞ্জুর আলম (২২), মুত নুরুল ইসলামের পুত্র সুমন (২৭) ও এরফান (২৮)। তাদের সকলের বাড়ি কোলাগাাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামে। অধিকাংশ ধর্ষক পেশায় সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ির চালক বলে জানা গেছে। 

পটিয়া থানা পুলিশ জানায়, ৩ ধর্ষককে আটকের পর পুলিশ তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এতে আর কারা কারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর অন্য আসামিদের আটকে অভিযান শুরুর কথা জানায় পুলিশ। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আরো দুই সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে। তারা ওই ঘটনায় জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ নূর জানান, কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে গত সোমবার তাকে অবহিত করেন। এরপর তিনি কৌশলে ধর্ষকদের নাম ঠিকানা নিয়ে বৈঠকের নামে এক স্থানে জড়ো করেন। এরপর তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্য ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়।
ভোলায় মহানবী (সাঃ) এর অবমাননা ও তৌহিদি জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya; ভোলা; বোরহানউদ্দিন; বরিশাল
ভোলায় মহানবী (সাঃ) এর অবমাননা ও তৌহিদি জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ভোলায় হিন্দু ধর্মালম্বী এক যুবকের ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননা ও তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় পটিয়ায়ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২২ অক্টোবর) পটিয়ার সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার অংশগ্রহণে এক বিশাল মিছিল পটিয়া সদরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এ সময় পটিয়া থানার মোড়স্থ হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় গৌরাঙ্গ নিকেতন ও মুন্সেফ বাজার কালী বাড়ি মন্দিরের নিরাপত্তা দেয় মাদ্রাসা ছাত্ররা।

পটিয়া মুন্সেফ বাজারস্থ হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় কালী বাড়ি মন্দিরের নিরাপত্তায় মাদ্রাসা ছাত্ররা
পটিয়া থানার মোড়স্থ হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় গৌরাঙ্গ নিকেতনের নিরাপত্তায় মাদ্রাসা ছাত্ররা

উল্লেখ্য, শনিবার (১৯ অক্টোবর) ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকার বিকাশ চন্দ্র শুভ নামে হিন্দু ধর্মালম্বী এক যুবক নিজ ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকজনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে আল্লাহ-রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে। এক পর্যায়ে ওই মন্তব্যের স্ক্রিনশট নিয়ে কয়েকজন এ অবমাননার প্রতিবাদ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

এ অবস্থায় অবমাননাকারী বিপ্লব চন্দ্র শুভ তার আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে থানায় এসে জিডি করতে আসলে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় রাখে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (২০ অক্টোবর) ভোলার বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে তৌহিদি জনতা এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে রোববার বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিতে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার লোক একত্রিত হয়ে ‘নবী অবমাননা’ ও ‘আল্লাহকে নিয়ে কটুক্তিকারীর ফাঁসি চাই’- স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই তা শেষ করতে তাগাদা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা দেয়ার এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে তৌহিদি জনতার সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায়, এতে ৪ জন নিহত সহ আহত হয় শতাধিক।
টাকার বিনিময়ে পটিয়ায় রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক!; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; রোহিঙ্গা; Patiya; Chittagong; Chattogram; Rohingya; Refugee
টাকার বিনিময়ে পটিয়ায় রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক! উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের সহযোগীতায় রোহিঙ্গাদের মিলছে জাতীয়তা সনদপত্র। 

আছমিদা আকতার নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া এসব সনদপত্র নিয়ে ভোটার হতে ইউনিয়ন পরিষদে ছবি তুলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই মহিলা। 

সূত্র জানায়, পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নাধীন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সালের সহযোগীতায় রোহিঙ্গা নারীর পরিচয় আছমিদা আকতার, পিতা- মোঃ আমির হোসেন, সাং-পূর্ব বাড়ৈকাড়া, পোষ্ট অফিস- মৌলভী হাট উল্লেখ করে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন বড়লিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত ওই সনদগুলো মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের তদন্তের প্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত একটি জাতীয়তা সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। 

ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সাল ও মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের সহযোগীতায় মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৭ এপ্রিল ২০১৭ সনে ওই রোহিঙ্গা নারীর জন্য জন্মসনদ ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়, যার প্রেক্ষিতে তাকে ভোটার হওয়ার ব্যবস্থা করে ছবি তুলার জন্য বোরকা পড়ে তারা ওই মহিলাকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন।
বৃহস্পতিবার ওই রোহিঙ্গা মহিলা ভোটার হতে আসলে ছবি তোলার সময় উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মফিজ মেম্বার তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদে  রোহিঙ্গা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি মেয়েটির বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে বলে দাবি করেন। 
ওই রোহিঙ্গা মহিলাকে শাহগদী মাজারবাড়ির কাশেমের বোন হিসেবে পরিচয় করে দেয়া হয় এবং ভোটার হতে আসলে তাদের পরিবারের সদস্যদের আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে সংযুক্ত ছিল যা ইতিপূর্বে টাকার বিনিময়ে নিয়ে দেয়া হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানু বলেন, ‘আমার এক মহিলা মেম্বার তথ্য গোপন করে ওই রোহিঙ্গা নারীকে জাতীয়তা সনদপত্র দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করেছে। ভোটার হতে এসে ওই মহিলার কথাবার্তায় অসংগতি দেখা দিলে আমার সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার শ্বশুর বাড়ি আমার এলাকায় এবং সে আমার এলাকার এক পুরুষকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে।’
টাকার বিনিময়ে সনদ ইস্যু করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টা মিথ্যা বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।
পটিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণের ৮ দিন পার; উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; অপহরণ; ছাত্রী; স্কুল; পুলিশ; অপরাধ; kidnap; police; crime
পটিয়ায় স্কুলছাত্রী অপহরণের ৮ দিন পার; উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণের ৮ দিন পার হলেও এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সেই সাথে হদিস পাওয়া যায়নি অপহরণকারীর।

পুলিশ জানায়, অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই অপহরণের এ ঘটনায় সহযোগীতার অভিযোগে অপহরকারীর মা হাজেরা খাতুন (৫০)’কে ঘটনার রাতেই তারা গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। অপহরণকারী গাড়ি চালক করিম ড্রাইভার (৩০) পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ কাগজীপাড়ার বাসিন্দা মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। 

মামলার বাদী অভিযোগ করেন, অপহরণের ৮ দিন পরও ভিকটিমকে উদ্ধার এবং বাদীকে সহযোগীতা করছে না এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

সূত্র জানা যায়, খলিলুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এ ছাত্রী প্রতিদিনের মত গত ১৭ জুলাই স্কুলে যাওয়ার পথে হঠাৎ করিম ড্রাইভার মক্কা ভিলা এলাকা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি সাথে সাথে জানাজানি হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পটিয়া থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানান। পরবর্তীতে ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে অপহরণকারীর বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বাদীর পিতা অভিযোগ করেন, থানার সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা উদ্ধার কাজে গাফিলতি করছেন। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, ‘স্কুল ছাত্রী অপহরণ করার দায়ে থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অপহরণে প্রত্যক্ষ সহযোগীতার অভিযোগে গাড়ি চালকের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
পটিয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা-ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ; Cross Fire; ক্রসফায়ার
পটিয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা-ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া থানার ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেছেন রিগ্যান আচার্য্য নামে এক আইনজীবী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দুর্নীতি দমন আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এই মামলা করেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে এই মামলা হয়। মামলাটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, পটিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) খাজু মিয়া, মোঃ খোরশেদ, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মাসুম, মোঃ বশির ও কনস্টেবল হুমায়ুন। 

মামলায় বাদীর পক্ষে ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম উদ্দিন চৌধুরীসহ আইনজীবীগণ মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। 

বাদীর মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বকর্মাপূজা শেষ করে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১টায় পটিয়ার ধলঘাটস্থ শ্বশুরবাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য। এ সময় পটিয়া ধলঘাট ক্যাম্পের কাছে একটি গাড়িকে সিগন্যাল দেন তিনি। গাড়িটি থামলে দেখতে পান সেটি পুলিশের গাড়ি। এতে পুলিশ সদস্যরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত পুলিশের সদস্যরা রিগ্যানকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। তার পকেট থেকে ৮ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। রিগ্যানের পরিবারকে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে পটিয়া থানার সামনে আসতে বলার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা রিগ্যানকে চাপ দিতে থাকে। রিগ্যান পরিবারের সঙ্গে কথা বলার ভান করে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে ফোন দেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সেই ফোন থেকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। পরিচয় পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ। 
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা পরে রিগ্যানকে মাতাল সাজানোর জন্য জোরপূর্বক পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর ভোরে পটিয়া থানায় নিয়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে জোরপূর্বক দু’টি সাদাকাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাদী রিগ্যান আচার্য্য অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা রিগ্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় রিগ্যান আচার্য্যকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
পটিয়ার ইউএনওসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাঃ কাগজপত্র না দেখে সার জব্দের অভিযোগ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার ইউএনওসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাঃ কাগজপত্র না দেখে সার জব্দের অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-হোসাইন আমিরীঃ কাগজপত্র যাচাই বাছাই ছাড়া টিএসপি সার জব্দ করার অভিযোগে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদেরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিবাদী অন্যরা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ.জ.ম মঈনউদ্দিন ও পটিয়া থানার ওসি শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহ।

মঙ্গলবার পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মেসার্স আমানত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ ইউনুচ তালুকদার। মামলা নং-৬৪।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মার্চ ব্যবসায়ী ইউনুচের সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় দারোয়ান আবু বক্করকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দকৃত কোটি টাকার এসব সার ধ্বংস করতে গত ৬ মার্চ ফায়ার সার্ভিস, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও থানা পুলিশকে পৃথক পৃথকভাবে চিঠি প্রদান করেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বহিনোঙ্গরে ‘এম.ভি মাইমেরি মাদার ভেসেল’ নামের একটি সার বোঝাই জাহাজ শুল্ক পরিশোধের পর খালাসের অপেক্ষায় ছিল। ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অন্য একটি জাহাজের ধাক্কায় সার বোঝাই জাহাজের একটি অংশ ফুটো হয়ে যায়। ওই সময় পানির আর্দ্রতায় ৭ হাজার ৪শ মেট্রিক টন টিএসপি সার নষ্ট হয়ে যায়। বন্দরের পরিবেশ ও নদীর পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনায় শিপিং এজেন্ট এইচ.সি মেরিন লিমিটেড নষ্ট হওয়া সার সরিয়ে নিয়ে মেসার্স আমানত ট্রেডার্সকে কর্ণফুলী নদীর যে কোন সুবিধাজনক স্থানে রাখার জন্য একটি ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে ইউনুচ তালুকদার নষ্ট টিএসপি সার কর্ণফুলী নদীর শাখা খাল ভেল্লাপাড়া খালের পাড়ে এনে মজুদ করেন। এসব টিএসপি সারের গুনগতমান কমে যাওয়ায় তা খামার বাড়ি মাছের ঘের ও চা বাগানে দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। ওইসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐসব টিএসপি সার জব্দ করেন।

ব্যবসায়ী ইউনুচ তালুকদার অভিযোগ করেছেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার কোটি টাকা মূল্যের সার অবৈধভাবে জব্দ করে হয়রানি শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ওই সার ধ্বংস করতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সড়ক জনপথ বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র থাকার ফলে ওই সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস কাজে এগিয়ে আসেনি। ইউএনও সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় এসব সার ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী ইউনুচের।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘নষ্ট টিএসপি সার বাজারজাত করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন সার এখনো খোলা পড়ে রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। সারগুলো ধ্বংস করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সহযোগীতা পেলেই নষ্ট এসব সার ধ্বংস করা হবে।’

এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের এডভোকেট কাজী জসিম উদ্দীন বলেন, তার মক্কেলের কোটি টাকার টিএসপি সার ধ্বংসের নামে হয়রানির অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। বিচারক শুনানি শেষে ইউএনওসহ তিনজনকে আদালতে স্বশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
পটিয়ায় কিশোরকে অপহরণ করে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় কিশোরকে অপহরণ করে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ২৮ বছর আগে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরকে অপহরণের পর খুন করে মরদেহ গুম করার অপরাধে ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  এছাড়া আরও এক আসামিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত দণ্ডিত প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ জজ সৈয়দা হোসনে আরা এই রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের পিপি জাহাঙ্গীর আলম জানান, যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিদের সবাই পলাতক রয়েছে। এরা হলেন, মাহবুবুল আলম, হাবিবুর রহমান, আমিনুল হক, মিলন বড়ুয়া, আবুল কাশেম এবং নূরুল আলম। দণ্ডিত আরেক আসামি সমীর দাশকে রায় ঘোষণার পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। খালাস পেয়েছেন ইউনূস, আবু সৈয়দ, মনির ও সেলিম নামে চার আসামি।

জানা যায়, ১৯৯১ সালের ২১ জুন পটিয়া উপজেলার ছত্তরপিটুয়া গ্রামের দিলীপ বড়ুয়ার ছেলে সুভাষ বড়ুয়া (১৬) নিজ ঘর থেকে অপহরণের শিকার হন।  ওইবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী সুভাষকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ঘরে ঢুকে অপহরণের পর তার বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় সুভাষের বাবা দিলীপ বড়ুয়া বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে, সুভাষকে অপহরণের পর হাইদগাঁও পাহাড়ে নিয়ে খুন করে মরদেহ পুঁতে ফেলা হয়েছে। সুভাষের মরদেহ পরবর্তীতে আর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পিপি জাহাঙ্গীর আলম। পুলিশ পরবর্তীতে ১১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  অভিযোগ গঠনের পর ১০ জনের সাক্ষ্য শেষে এই রায় এসেছে।
চট্টগ্রামে নতুন পাঁচ থানা-পটিয়া ভেঙে কালারপুল !; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
চট্টগ্রামে নতুন পাঁচ থানা-পটিয়া ভেঙে কালারপুল ! চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামে ছয় থানা ভেঙে বাড়ছে আরও পাঁচটি। চট্টগ্রাম জেলায় থানা বাড়ানোর উদ্যোগে গতি এসেছে। পাঁচটি থানা বাড়ানোর প্রস্তাবের উপর ইতিমধ্যে গণশুনানি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। গণশুনানির প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এই বছরের মধ্যেই নতুন পাঁচ থানার কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা। 

থানাগুলো হচ্ছে- পশ্চিম পটিয়া বা কালারপোল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ রাউজান, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া এবং সাঙ্গু।

জেলায় আরও তিনটি থানা বাড়ানোর প্রস্তাব গণশুনানির অপেক্ষায় আছে। 

এছাড়া চট্টগ্রামের উত্তরে ও দক্ষিণে দুটি মিনি পুলিশ লাইন স্থাপনের উদ্যোগেও গতি এসেছে। 

এ ব্যাপারে জানতে ‍চাইলে এসপি নূরে আলম মিনা ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘পাঁচটা থানার গণশুনানি হয়ে গেছে। ডিসি (জেলা প্রশাসক) সাহেবের প্রতিবেদনও সদর দফতর হয়ে মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। এখন অর্থ ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে নিকারে (প্রশাসনিক পুর্নবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি)। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যেই আমরা থানার কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় ১৪টি থানা নিয়ে যাত্রা করেছিল জেলা পুলিশ। ২০১২ সালে মিরসরাইকে ভেঙ্গে জোরারগঞ্জ এবং ফটিকছড়িকে ভেঙ্গে ভূজপুর থানা স্থাপন করা হয়। বর্তমানে ১৬ থানার জনবল আড়াই হাজার মত। বিশাল চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনসংখ্যা বেড়ে এখন ৮০ লাখে পৌঁছেছে। 

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘জনসংখ্যা বেড়েছে। অপরাধের ধরণ পাল্টে গেছে। জেলার মধ্যে এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে বা ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে এলে থানা থেকেই পুলিশ যেতে ঘন্টার উপরে সময় লাগে। রিজার্ভ ফোর্স পৌঁছার আগেই ঘটনা বড় হয়ে যায়। এই অবস্থায় থানা এবং জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই। 
২০১৫ সালে চট্টগ্রামের ‍তৎকালীন পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার দশটি থানা বাড়ানোর প্রস্তাব সদর দফতরে পাঠিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব পরে এক দফা সংশোধন করা হয়। বর্তমান এসপি যোগদানের পর তারই উদ্যোগে এই প্রস্তাব গণশুনানি পর্যন্ত পৌঁছে।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি রাঙ্গুনিয়া এবং চন্দনাইশ-সাতকানিয়া থানাকে বিভক্ত করার যে প্রস্তাব সেটার উপর এলাকায় গিয়ে গণশুনানি করেছি। সেখানকার এমপি সাহেবরাও আমাকে থানা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। আরও কয়েকজন এমপি সাহেব অনুরোধ করেছেন। আমি চট্টগ্রামে আসার আগেই আরও দুটি থানার জন্য গণশুনানি হয়েছে।’ 

সূত্রমতে, পাঁচটি থানার মধ্যে হাটহাজারী উপজেলাকে দুইভাগে বিভক্ত করে নতুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থানা, পটিয়া থানাকে ভেঙে পশ্চিম পটিয়া বা কালারপোল, সাতকানিয়া উপজেলা এবং চন্দনাইশ উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে সাঙ্গু থানা, রাউজান থানাকে ভেঙে দক্ষিণ রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া থানাকে ভেঙে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আরও তিন থানা হচ্ছে সীতাকুণ্ড থানাকে ভেঙে ভাটিয়ারি, ফটিকছড়ি থানাকে ভেঙ্গে মাইজভাণ্ডার এবং বাঁশখালীকে ভেঙে উত্তর বাঁশখালী থানা। তবে প্রস্তাবিত এসব থানার জন্য এলাকায় গিয়ে গণশুনানি আয়োজন করেনি জেলা প্রশাসন। 

জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী আরো বলেন, ‘একটু আমি সময় নিচ্ছি। দাবি জোরালো আছে কি না একটু দেখি। কেউ একজন এসে বলল থানা বাড়িয়ে দেন, যাচাই-বাছাই ছাড়া আমরা গণশুনানি করে প্রস্তাব পাঠিয়ে দিলাম, তাহলে তো ঘরে ঘরে থানা হয়ে যাবে।’
তবে এসপি নূরে আলম মিনা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত বাকি চার থানার গণশুনানিও যাতে আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় সেই চেষ্টা তিনি করছেন। 

এদিকে চট্টগ্রামের উত্তরে সীতাকুণ্ডে এবং দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলায় দুটি মিনি পুলিশ লাইন স্থাপনের বিষয়ও চূড়ান্ত হয়েছে। 
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বদিকে বায়েজিদ বোস্তামী লিংক রোডে ১০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
আনোয়ারা থানার ওসি ‍দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘থানা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও এলাকায় ৭ একর ৬১ শতাংশ জমি আমরা চূড়ান্ত করেছি।’

এসপি নূরে আলম মিনা জানান, ‘আনোয়ারায় ইপিজেড হচ্ছে। আর মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারিত হয়ে সীতাকুণ্ডেও যাবে। সুতরাং উত্তরে এবং দক্ষিণে দুটি মিনি পুলিশ লাইন স্থাপন করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। এটা পুলিশ সদর দফতর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেই হবে। চলতি বছরের মধ্যেই আমরা নতুন থানার কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
পটিয়ায় সাত ফার্মেসীকে অবৈধ ওষুধ মজুদের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় সাত ফার্মেসীকে অবৈধ ওষুধ মজুদের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক, মেয়াদোত্তীর্ণ ও গরু মোটাতাজাকরণ ঔষধ গুদামজাত করণের অভিযোগে ৭ ফার্মেসীকে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা ও এক ফার্মেসী মালিককে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরসদরের আদালত রোড ও পোষ্ট অফিস মোড়ে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন। 
পটিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদ উল্লাহ মারুফ এবং চট্টগ্রাম ঔষধ প্রশাসনের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মাখনুতন তাবাসসুম।

জানা যায়, পৌরসদরের বিভিন্ন ফার্মেসী দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক, মেয়াদোত্তীর্ণ ও গরু মোটাতাজাকরণ ঔষধ গুদামজাত করে আসছিল। 
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার পটিয়া পৌরসদরের আদালত রোড ও পোষ্ট অফিস এলাকায় বিভিন্ন ফার্মেসীতে চট্টগ্রাম ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।
এ সময় পোষ্ট অফিস মোড়ের রহমান ফার্মেসীর মালিক আবদুর রাজ্জাককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড, আয়শা ফার্মেসীকে ১০ হাজার টাকা, শাহ আমানত ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা, আজাদ ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা, আমিন ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা, মা ফার্মেসীকে ১০ হাজার টাকা ও সেন্ট্রাল ফার্মেসীকে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। 
অভিযান পরিচালনাকালে ফার্মেসীগুলোতে যৌন উত্তেজক, মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিন ও গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট গুদামজাতকরণ অবস্থায় জব্দ করা হয়। 

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ উল্লাহ মারুফ ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘আসন্ন পবিত্র কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ফার্মেসীগুলোতে ব্যাপকভাবে গরু মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট মজুদ করে আসছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসীগুলো যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করে আসছিল। তার প্রেক্ষিতে পৌরসদরের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ঔষধ জব্দ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।’
পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; বাঁশ পাচারের দৃশ্য

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড়ে কমলাছড়ি, কুরুশিয়া, ধোপাছড়ি অভয়ারণ্যে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব চলছে। 

১২ জনের এসএনজি সদস্য টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে কমলাছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের যোগসাজোসে মাসোহারার বিনিময়ে অভয়ারণ্যে বৃক্ষ নিধনের ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

জানা যায়, গত ১৫ দিন পূর্বে এসএনজি টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে অভয়ারণ্যে সরকারী গাছ, বাঁশ পাচারের সময় ১৬ ব্যক্তিকে আটকের পর কমলছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম স্থানীয় আলমগীর সওদাগরের জিম্মায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ১৬ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ জানান। 

এছাড়াও আবু তাহেরের নেতৃত্বে পাহাড়ী সন্ত্রাসী জড়ো করে চোলাই মদ পাচার, স্থানীয় লোকজনদেরকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে রাঙ্গুনিয়ার কমলাছড়ি, কুরুশিয়ার, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলে শ্রীমাই বিট, জঙ্গলশীধল, লালুটিয়া, লালপাহাড়, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা, বান্দরবানের রাজার হাট পাহাড়ে সরকারী সংরক্ষিত গাছ বাঁশ পাচারে একাধিকবার এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামের বন কর্মকর্তা বিপুল দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে কলটি কেটে দেন এবং এ ব্যাপারে পরে কথা বলে জানাবেন বললেও তাকে কল করে আর পাওয়া যায়নি। 
বাঁশ পাচারের ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদেরও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে অভয়ারণ্য পাহাড়ে সরকারী বৃক্ষ নিধন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাহাড়ে বসবাসরতরা।
পটিয়ায় দুই জনের লাশ উদ্ধার; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় দুই জনের লাশ উদ্ধার


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ এবং রতনপুর এলাকা থেকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ।

শুক্রবার (০২ অক্টোবর) হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম খান (৫৬) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা ও কেলিশহর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ছড়া পুকুরপাড় এলাকা থেকে আব্দুল মতিন (২৫) নামের নিখোঁজ এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম খান একটি বেসরকারী একটি শিপিং কর্পোরেশনে কর্মরত ছিলেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে এ মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারকারী দলের প্রধান পটিয়া থানার এস.আই সত্যরঞ্জন দাশ জানান, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে হুলাইন ইউনিয়নের একটি বাড়ীর খাচারী ঘর থেকে মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে রাতের আঁধারে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কেউ এখানে  ফেলে রেখেছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকেও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

নিহতের ভাতিজা ও দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আহবায়ক এস এম দিদারুল ইসলাম জসিম জানান, ‘তার চাচা মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি গ্রুপের সাথে জমি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। এমনকি নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করে সম্প্রতি নিহত শফিকুল ইসলাম পটিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। তাদের সন্দেহ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ী ফেরার পথে শ্বাসরোধ করে প্রতিপক্ষের লোকজনই চাচা শফিকুল ইসলামকে হত্যা করেছে।’  
জসিম আরো জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার একটি পুকুরে বড়শি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রাত ১ টার দিকে সবার সাথে চা-নাস্তা সেরে নিজ বাড়ী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রনি নামের একজনে এগিয়ে দিতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ী থেকে এক কিলোমিটার দূরে আব্দুল বাতেনের খাচারি ঘরের সামনে তার লাশ দেখে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ সেখানে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।’


এদিকে পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ছড়া পুকুরপাড় এলাকার ঝোঁপ থেকে আব্দুল মতিন (২৫) নামের  নিখোঁজ এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (০২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। 

ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেয়া পটিয়া থানার এস.আই থোয়াং বলেন, ‘গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে রতনপুর এলাকার আব্দুল মতিন নামে এক যুবক নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার তার বাবার দেয়া খবরের ভিত্তিতে ছড়া পুকুরপাড় এলাকার একটি ঝোঁপ থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে কেউ খুন করে পুকুরের পাশের ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।’
পটিয়ার কচুয়াই-এ সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার কচুয়াই-এ সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ফারুকী পাড়ায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার খোরশেদ আলম নামক এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ১৪/১৫ জনের একটি দল আবুল হোসেন ফারুকী নামক এক ব্যক্তির বসত ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এতে বাধা দিতে গেলে ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আহতরা হলেন, মোঃ আবুল হোসেন ফারুকী (৫৫), রোকেয়া বেগম (৫০), বাদীর স্ত্রী সুলতানা বেগম (২৩)। আহতদেরকে মারধর করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে বাদী জানান। 

জানা যায়, সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম এর আদিনিবাস উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, নারী-নির্যাতন মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে বর্তমানে ফারুকী পাড়ায় এসে বসতবাড়ি স্থাপন করে বসবাস শুরু করছে। হাইদগাঁও এলাকাবাসী খোরশেদ আলমকে তার এসব অপকর্মের জন্য একাধিকবার গণধোলাই দিয়ে এলাকাছাড়া করে। এরপর সে ফারুকী পাড়ায় এসে এখনো এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে বলে জানায় এলাকাবাসী। এই অপকর্ম থেকে মুক্তির জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ নং- এসডিআর-৪২৯০/১৫।
পটিয়ার মাদক সম্রাট অরুণ নাথ গ্রেফতার; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার মাদক সম্রাট অরুণ নাথ গ্রেফতার

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ার মাদক সম্রাট নামে পরিচিত অরুণ নাথকে গতকাল রবিবার রাত ৮টায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়ন থেকে ২৪ লিটার মদসহ গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত অরুণ নাথ ধলঘাট ইউনিয়নের মৃত সূর্য কুমার নাথের পুত্র।

জানা যায়, অরুণ নাথ একটি সিন্ডিকেট গঠন করে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৪ লিটার মদসহ অরুণ নাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পটিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে ও তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সম্রাট অরুণ নাথ তাদের সিন্ডিকেটের কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে।