"টেলিকম" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
টেলিকম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফেসবুকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাবহানাজ রশীদ দিয়া; facebook, bangladesh, country manager, facebook bangladesh country manager sabhanaz rashid diya
ফেসবুকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাবহানাজ রশীদ দিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-সোস্যাল ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবহানাজ রশীদ দিয়া। এই নিয়োগের মাধ্যমে ফেসবুকের একজন অফিসিয়াল প্রতিনিধি পেলো বাংলাদেশ। সাবহানাজ রশীদ দিয়াকে এবছরের এপ্রিল মাসে নিয়োগ দেয় ফেসবুক। ফেসবুকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের পলিসি বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে ফেসবুকের এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সাবহানাজকে বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। বাংলাদেশে ফেসবুকের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীকে নিয়োগ দেয়ায় ফেসবুককে ধন্যবাদ জানান মোস্তাফা জব্বার। এই উদ্যোগের ফলে দেশে ফেসবুক সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান পাবে বলে মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। 

সাবহানাজ রশীদ দিয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে অর্থনীতি ও যোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পাবলিক পলিসি ও ডাটা সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সাবহানাজ ১০ বছর যাবত ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি গুগল, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইডসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
৭৪ ঘন্টা পর ফিরলো মোবাইল ইন্টারনেট; ইন্টারনেট; বিটিআরসি; একাদশ সংসদ নির্বাচন; BTRC; 3G; 4G; Mobile Internet; Internet; Data; Election
৭৪ ঘন্টা পর ফিরলো মোবাইল ইন্টারনেট

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তিন দফায় ৭৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পর মোবাইল ফোনের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা আবার চালু হয়েছে।
 
বেসরকারী একটি মোবাইল অপারেটরের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়ে তারা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট চালু করে দেন।’

ইন্টারনেট বন্ধের কারণ ব্যাখ্যায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান শনিবার বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ও গুজব প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ঘিরে বিটিআরসির ভাষ্যমতে ‘গুজব, অপপ্রচার ঠেকাতে ইন্টারনেট বন্ধের’ কথা আলোচনায় ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেটে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ রাখা হয়। এরপর ভোটের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর এই সেবা ৩৩ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে রাখতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার বিকাল ৩টার পর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। তখন পর্যন্ত বিটিআরসি নির্দেশনায় বলা ছিল, ফোরজির ভয়েস ও ডেটা এবং থ্রিজির ডেটা সেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। তবে থ্রিজির ভয়েস এবং টুজি ভয়েস ও ডেটা সেবা চালু রাখতে হবে। কিন্তু শনিবার মধ্যরাতে বিটিআরসি টুজি ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়। প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর রোববার ভোট শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মোবাইল ফোন অপারেটররা সব ধরনের মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে দেওয়ার নির্দেশনা পায়। কিন্তু তিন ঘণ্টার মাথায় ফের নতুন নির্দেশনা আসে এবং রাত ৯টায় সারা দেশে থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

টানা ৩৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা ফেরে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসেবে গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১৮ লাখের বেশি; এর মধ্যে ৮ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) সেবা চালু হচ্ছে আজ রাত ১২ টায়; MNP; Mobile Number Portability
নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) সেবা চালু হচ্ছে আজ রাত ১২ টায়

ভয়েস অব পটিয়া-প্রযুক্তি ডেস্কঃ নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) সেবা চালু হচ্ছে আজ রবিবার, (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমএনপি সেবা চালু হলে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে মানসম্মত সেবা দিয়ে টিকে থাকতে হবে। অপারেটর পছন্দ বা পরিবর্তনে গ্রাহক সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবেন। এই সেবা গ্রহণে মোবাইল ব্যবহারকারীকে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে।’

এমএনপি সেবা প্রদানে লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসেন বলেন, ‘আগামী ১ অক্টোবর থেকে এমএনপি সেবা দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১ অক্টোবর রাত থেকেই এ সিস্টেমটি শুরু হবে। ওইদিন বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণার মাধ্যমে এ সেবা শুরু করা হবে। সব অপারেটরদের সাথেই এমএনপি দিতে আমাদের কারিগরি সেবা পরিপূর্ণ প্রস্তুত।’

এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি) সেবা নিতে যে নতুন অপারেটর পছন্দ করা হবে সেই অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বা বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে গিয়ে সিম প্রতিস্থাপন (রিপ্লেসমেন্ট) করে নিতে হবে। এতে, এমএনপি ফি বাবদ ৫০ টাকার সাথে ট্যাক্স ও সিম প্রতিস্থাপন খরচসহ মোট ১৫৮ টাকা প্রযোজ্য হবে। নতুন সিম চালু হতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে অতিরিক্ত খরচের বিনিময়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও এমএনপি সিম চালু করা যাবে। একবার অপারেটর বদল করে ৯০দিন পরে আবার আগের অপারেটরে বা নতুন অপারেটরে যাওয়া যাবে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু আছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০১১ সাল থেকে এবং পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে এমএনপি সেবা দিচ্ছে।

বাংলাদেশে এমএনপি সেবার জন্য প্রথমে ৩০ টাকা ফির কথা বলা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়। এর সাথে অন্যান্য খরচ মিলিয়ে যে টাকা দিতে হচ্ছে, তা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশি।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘এ সেবা নিতে গ্রাহককে এখন যে টাকা দিতে হচ্ছে, এমএনপি প্রতিষ্ঠান লাভ বেশি করলে এই টাকার হার ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়া হবে।’

গত নভেম্বরে এমএনপি সেবার লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক। আগস্টে এ সেবা শুরুর কথা থাকলেও নির্দেশনা ও নেটওয়ার্ক জটিলতার কারণে তা দুই মাস পিছিয়ে যায়।

নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না বলে সেবায় সন্তুষ্ট না হওয়ার পরও অনেকে এতদিন অপারেটর বদলাতে পারেননি। এমএনপি চালু হওয়ায় তারা পুরনো নম্বর রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক জানিয়েছে, যেহেতু গ্রাহকের অপারেটর বদল হচ্ছে এবং তার তথ্য নতুন একটি অপারেটরে যাচ্ছে, তাই গ্রাহককে এমএনপির জন্য নতুন সিম তুলতে হচ্ছে।

এমএনপি চালুর ফলে অপারেটররা তাদের সেবার মান উন্নত করতে আরও বেশি সচেষ্ট হবে এবং বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে সরকার আশা করছে।

কোনো গ্রাহক অপারেটর বদলালে তার অব্যবহৃত টকটাইম বা ডেটার কী হবে জানতে চাইলে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আগের অপারেটরের অব্যবহৃত ব্যালেন্স নতুন অপারেটরে পাওয়া যাবে না। তবে ওই টাকা দুই বছর পর্যন্ত আগের অপারেটরে জমা রাখার নিয়ম করা হচ্ছে। দুই বছরের মধ্যে যদি কেউ আগের অপারেটরে ফিরে যান, তাহলে তিনি ওই ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। তা না হলে তা সরকারি কোষাগারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হবে। আর অপারেটর বদলালে অব্যবহৃত ডেটা আর ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। সেজন্য ব্যালেন্স শেষ করে তবেই অপারেটর বদল করার জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ দেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

কোনো গ্রাহকের বিল বকেয়া থাকলে কী হবে জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অপারেটর পরিবর্তনের সময় গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে সব যাচাই করা হবে, বকেয়া বিল পরিশোধ করেই অন্য অপারেটরে যেতে হবে।’

এদিকে মোবাইল অপারেটরগুলো এমএনপি সেবা চালু করতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা গেছে।