"পরিবেশ" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
পরিবেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি’তে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অবৈধ প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে নাগরিকদের প্রতিবাদ; চট্টগ্রাম; নগরী; সিআরবি; রেলওয়ে; শিরীষতলা; ঐতিহাসিক; ব্রিটিশ; মুক্তিযুদ্ধ; পরিবেশ; বন; পূর্বাঞ্চল; Chittagong; Chattogram; CRB; Railway; City; Environment
চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি’তে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অবৈধ প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে নাগরিকদের প্রতিবাদ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি’তে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার অবৈধ প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সদর দপ্তর (সিআরবি) এলাকায় সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ ও ৫০ আসনের নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প রেল বিভাগ গ্রহণ করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে চট্টগ্রামে। 
বেসকারী ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং সরকারের মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি হয় গত বছরের মার্চে। ওই প্রকল্পের জন্য ৬ একর জমির কথা বলা হয়েছে পরিকল্পনায়। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল ১২ বছর।

বলা বাহুল্য সংবিধানের ২৪ ধারা মতে, ’বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পন্ন বা তাৎপর্যমন্ডিত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থানসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ, অপসারণ, স্মৃতি রক্ষার্থে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ সিআরবি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। ৯ জন শহীদের কবর রয়েছে এখানে। সেই হিসেবে সংবিধানের ২৪ ধারা এ ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অধিগ্রহণকৃত জায়গায় রেলওয়ের যে কলোনী রয়েছে তার নাম ‘শহীদ আব্দুর রব কলোনী’। কৌশলে অধিগ্রহণকৃত কলোনীর নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, যেটা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে দেবার এক ধরনের ষড়যন্ত্রও বলা যায়।

সিআরবি এলাকাকে ‘হেরিটেজ জোন’ হিসেবে বন্দর নগরীর মহাপরিকল্পনায় ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করায় সেখানে কোনো প্রকার বাণিজ্যিক স্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। 

এদিকে সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদী কর্মসূচি থেকে।
পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; বাঁশ পাচারের দৃশ্য

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড়ে কমলাছড়ি, কুরুশিয়া, ধোপাছড়ি অভয়ারণ্যে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব চলছে। 

১২ জনের এসএনজি সদস্য টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে কমলাছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের যোগসাজোসে মাসোহারার বিনিময়ে অভয়ারণ্যে বৃক্ষ নিধনের ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

জানা যায়, গত ১৫ দিন পূর্বে এসএনজি টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে অভয়ারণ্যে সরকারী গাছ, বাঁশ পাচারের সময় ১৬ ব্যক্তিকে আটকের পর কমলছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম স্থানীয় আলমগীর সওদাগরের জিম্মায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ১৬ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ জানান। 

এছাড়াও আবু তাহেরের নেতৃত্বে পাহাড়ী সন্ত্রাসী জড়ো করে চোলাই মদ পাচার, স্থানীয় লোকজনদেরকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে রাঙ্গুনিয়ার কমলাছড়ি, কুরুশিয়ার, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলে শ্রীমাই বিট, জঙ্গলশীধল, লালুটিয়া, লালপাহাড়, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা, বান্দরবানের রাজার হাট পাহাড়ে সরকারী সংরক্ষিত গাছ বাঁশ পাচারে একাধিকবার এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামের বন কর্মকর্তা বিপুল দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে কলটি কেটে দেন এবং এ ব্যাপারে পরে কথা বলে জানাবেন বললেও তাকে কল করে আর পাওয়া যায়নি। 
বাঁশ পাচারের ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদেরও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে অভয়ারণ্য পাহাড়ে সরকারী বৃক্ষ নিধন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাহাড়ে বসবাসরতরা।