"প্রযুক্তি" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
প্রযুক্তি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রূপপুরে দেশের ১ম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি স্থাপন; পারমাণবিক; আণবিক; বিদ্যুৎকেন্দ্র; Nuclear; Nuclear Power; Energy
রূপপুরে দেশের ১ম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি স্থাপন

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ পাবনা জেলার রূপপুরে নির্মানাধীন বাংলাদেশের ১ম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের 'রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল' বা পরমাণু চুল্লিপাত্র স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কমিশন-রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। 
পরমাণু বিজ্ঞানীরা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের 'হার্ট বা হৃৎপিণ্ড' বলে থাকেন। 

রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের আগে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রূপপুর প্রকল্পের বাংলাদেশী ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা। রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। 
প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মোঃ শৌকত আকবর বলেন, ‘ইউনিট-১ এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হলো। এর ফলে এই ইউনিটের রিয়াক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷’
 
এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের এই ঘটনা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে।’

উল্লেখ্য, রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প। 

১ম চুল্লি স্থাপনের আগে রাশিয়ান পরমাণু শক্তি কমিশন-রোসাটমের মহাপরিচালক এলেক্সি লিখাচেভ এআরবিকে বলেন, ‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে বছরের পর বছর রাশিয়া যে উৎকর্ষ অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান আজ রূপপুরে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কিছু ব্যবস্থাপনা রূপপুর প্রকল্পকে করেছে সবচেয়ে নিরাপদ।’ 

রূপপুরের এই পারমাণবিক চুল্লি নির্মিত হয়েছে রাশিয়ায়। ভিভিআর-১২০০ মডেলের এই রিয়্যাক্টরে পরমাণু জ্বালানি পুড়িয়ে মূল শক্তি উৎপাদন হবে এবং দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রূপপুরের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় কোনো অবকাঠামো প্রকল্প। 

তবে এ প্রকল্প নিয়ে রয়েছে ভীতি ও উদ্বেগ!

জলবায়ু পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে বর্তমানে বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপরে যে জোর দেয়া হচ্ছে পারমাণবিক শক্তি তার অন্যতম একটি উৎস। তবে এইসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লির নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় কিছুটা উদ্বেগ থেকেই যায়। কারণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটা ভীতি সবসময় কাজ করে অনেকের মধ্যেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ভয়ের প্রবণতা আছে বিশ্বব্যাপী। আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার সাবেক একজন বিজ্ঞানী ড. শহীদ হোসেন বলেন, "ভয়টা কমেনি। ভয়টা অনেক সময় না জানার কারণেও হয়। যারা এসব কেন্দ্রের কাছে থাকে, তাদের মধ্যে ভয় কম কিন্তু দূরে যারা থাকে- দেখা যায় তাদের ভয় বেশি। আর যেহেতু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়, এ কারণেও অনেকে চিন্তা করেন নিরাপদ যদি হবে, তাহলে এত নিরাপত্তা বলয় কীসের জন্য?" "এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক মতবাদ আছে যেমন- রিয়্যাক্টরকে কখনোই বিশ্বাস করা যাবে না। এসব কারণেও ভীতি কমেনি।" 

উল্লেখ্য, সর্বশেষ জাপানের ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনাসহ বিশ্বে এ পর্যন্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব থাকে বলেই বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে রয়েছে ভয় আর আতঙ্ক। তবে ফুকুশিমায় দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। 
রাশিয়ার ভিভিআর ১২০০ মডেলের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা রোধে ৫টি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা রয়েছে। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, "আমরা এখানে কো-ক্যাচার নামে একটি বাড়তি জিনিস লাগিয়েছি যেটা ফুকুশিমার ঘটনার পর আবিস্কৃত হয়ে অলরেডি চালু হয়ে গেছে। নতুন যে প্ল্যান্ট হয়েছে দুটোতে এই ব্যবস্থা লাগানো হয়েছে আমাদেরটি তৃতীয়।" 
কো-ক্যাচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, "কো-ক্যাচার বসানো হয়েছে খোদা না চায় যদি ওরকম কোন ঘটনা ঘটেও তাহলে পুরো দূষিত জিনিসটা গলে নিচে পড়ে যাবে। একটা কুয়ার মতো যেটার মধ্যে পড়ে ওটা সিল হয়ে যাবে। অর্থাৎ তেজস্ক্রিয়তা ছড়াবে না এবং এটার স্লোগানই হলো ‘Make More Safe, More Safe & More Safe’ এবং আমরাতো একেবারে লেটেস্ট প্রযুক্তিটাই নিচ্ছি।"
ফেসবুকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাবহানাজ রশীদ দিয়া; facebook, bangladesh, country manager, facebook bangladesh country manager sabhanaz rashid diya
ফেসবুকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার সাবহানাজ রশীদ দিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-সোস্যাল ডেস্কঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবহানাজ রশীদ দিয়া। এই নিয়োগের মাধ্যমে ফেসবুকের একজন অফিসিয়াল প্রতিনিধি পেলো বাংলাদেশ। সাবহানাজ রশীদ দিয়াকে এবছরের এপ্রিল মাসে নিয়োগ দেয় ফেসবুক। ফেসবুকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের পলিসি বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে ফেসবুকের এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সাবহানাজকে বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। বাংলাদেশে ফেসবুকের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীকে নিয়োগ দেয়ায় ফেসবুককে ধন্যবাদ জানান মোস্তাফা জব্বার। এই উদ্যোগের ফলে দেশে ফেসবুক সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যার দ্রুত সমাধান পাবে বলে মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। 

সাবহানাজ রশীদ দিয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে অর্থনীতি ও যোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পাবলিক পলিসি ও ডাটা সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সাবহানাজ ১০ বছর যাবত ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভ নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি গুগল, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইডসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পটিয়ার শাওনের ‘কিউটিপি’ ফর্মুলা; প্রশ্নফাঁস; পটিয়া
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পটিয়ার শাওনের ‘কিউটিপি’ ফর্মুলা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পাবলিক পরীক্ষায় দেশব্যাপী যখন প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা, তখন পটিয়ার সন্তান শাওন তা প্রতিরোধে একটি ফর্মুলার কথা ভেবেছেন। সেটির নাম দিয়েছেন ‘কুইক ট্রেসিং প্রিন্ট’ (কিউটিপি)। গত ফেব্রুয়ারী মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার ফর্মুলার বিস্তারিত জানান।

রকিবুল ইসলাম শাওন; থাকেন পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ ১নং ওয়ার্ডে। স্থানীয় একটি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। সামনে জেএসসি পরীক্ষা; বিগত কয়েকবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারটা ‍উড়িয়ে দেয়া যায় না। 

শাওন জানান, প্রশ্নফাঁসের কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সরকার পড়েছে সমালোচনার মুখে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। একজন ছাত্র ও দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে তাকেও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা খুবই পীড়া দেয়। আর এ জন্যই তিনি চান, প্রশ্নফাঁস বন্ধ হোক। আর এ চিন্তা থেকেই তার মাথায় একটি আইডিয়া আসে। তার দাবি, ফর্মুলাটি যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে প্রশ্নফাঁসের সম্ভবনা শূন্য শতাংশে চলে আসবে। তিনি চান, সরকার তার ফর্মুলাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহণ করুক।

রিপোর্টার: আপনার ফর্মুলার বিস্তারিত জানতে চাই।

শাওন: দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদরা সরকারকে একটি সুপারিশ দিয়েছেন। তারা ওই সুপারিশে বলেছেন, পরীক্ষার দিন সকালে, পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে পরীক্ষাকেন্দ্রেই প্রশ্নপত্র ছাপতে হবে। আর সেই প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হবে। আমার ফর্মুলাটি এখান থেকেই শুরু, কিন্তু কিছুটা ভিন্ন পন্থায়। আমিও চাই প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রেই ছাপানো হোক। তবে কোনও ইলেট্রনিক প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে নয়। প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেও প্রিন্টার হঠাৎ বিগড়ে যেতে পারে। দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎও নেই। আর এ কারণে আমার ফর্মুলা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই বললেই চলে। পরীক্ষার দিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে প্রশ্নপত্র সার্ভার থেকে ডাউনলোড ও একবার প্রিন্ট করতে যতটা সময় বিদ্যুৎ থাকা প্রয়োজন ততটা সময় এবং সেই প্রশ্নপত্র ট্রেসিং ফ্রেমে সংযোজন করতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট বৈদ্যুতিক আলো বা রোদের উত্তাপ হলেই চলবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ লাগবে। ওই সময়ের জন্য সৌরবিদ্যুৎ বা আইপিএস হলেও চলবে।

রিপোর্টার: কিভাবে কাজ করবে আপনার কিউটিপি ফর্মুলা?

শাওন: প্রিন্টার মেশিন বা ফটোকপিতে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করতে যত সময় লাগবে সেই একই সময়ে আমার এ ফর্মুলায় সব প্রশ্নপত্র ছাপানো সম্ভব। এতে বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি যে সুবিধা হবে তা হলো সরকারের কোটি কোটি টাকা বাঁচবে। প্রশ্নফাঁসও হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বা বোর্ডে অটোমেশন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন হবে পরীক্ষার আগেরদিন রাতে অথবা পরীক্ষার দিন ভোরে। সেই প্রশ্নপত্রটি সকালে পরীক্ষা শুরুর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ই-মেইলের মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। আর তখনই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ট্রেসিং পেপারে প্রিন্ট করতে হবে। এরপর সেই ট্রেসিং পেপারে প্রিন্ট করা প্রশ্নপত্রটি ট্রেসিং ফ্রেমে বসিয়ে হাতের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হবে। একটি কেন্দ্রে যতগুলো প্রশ্নের প্রয়োজন হবে ততগুলোই প্রিন্ট করা সম্ভব। এ ফর্মুলায় একজন প্রতি মিনিটে পাঁচটি প্রশ্ন প্রিন্ট করতে পারবেন। এর মানে এক ঘণ্টায় অন্তত ৩০০টি প্রশ্ন প্রিন্ট করা যাবে। তাহলে দুই ঘণ্টায় পারবেন ৬০০টি। ধরে নেওয়া যাক, কোনও কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা চার হাজার। তাহলে চার হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য দুই ঘণ্টায় সব প্রশ্নপত্র ছাপানো সম্ভব। লোকবল বাড়িয়ে দিলেই সেটা সম্ভব। সাত জনকে যদি একই সময়ে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করতে দেওয়া যায় তাহলে দুই ঘণ্টায় তারা চার হাজার ২০০টি প্রশ্ন প্রিন্ট করতে পারবেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, এত লোকবল কোথায় পাওয়া যাবে? এবং এত মানুষ প্রশ্নপত্র হাতে পেলেও তো দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা সম্ভব।
আমার যুক্তি হল- সরকার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রেই প্রিন্টার দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করা হবে। প্রিন্ট করতে হলে অবশ্যই একটি গোপন কক্ষ লাগবে। আমার পদ্ধতি ব্যবহার করলেও গোপন একটি কক্ষ লাগবে। ওই কক্ষে সকাল ৭টায় সবাই মোবাইলসহ সব ধরনের বিদ্যুতিক ডিভাইস ছাড়া প্রবেশ করবেন এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে বের হবেন। আর ওই কক্ষের সামনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিতে হবে নজরদারির জন্য। এছাড়া একটি এলাকায় যেহেতু কয়েকটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেহেতু ওই সব স্কুলে যারা দাপ্তরিক কাজ করেন তাদের কেন্দ্রে এনে প্রিন্টের কাজটি করানো সম্ভব। ট্রেসিং ফ্রেমে প্রিন্ট করা খুবই সোজা। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ১৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট শেষ হলে তখনই শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী সেগুলো প্যাকেটে ভরতে হবে এবং দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্যাকেট নিয়ে নিজেদের কক্ষে যাবেন।

রিপোর্টার: এ পদ্ধতিতে কেমন খরচ হবে?

শাওন: খরচ খুবই কম হবে। ট্রেসিং ফ্রেম, কালির খরচ পড়বে সর্বোচ্চ পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ টাকা। আর প্রশ্ন ছাপানোর কাগজের জন্য এখন যেমন খরচ হয়, তেমনই থাকবে। এছাড়া এখন তো প্রতিটি স্কুল-কলেজেই সরকার কম্পিউটার ও প্রিন্টার দিয়েছে। সুতরাং সেগুলো কেনার আলাদা কোনও ঝামেলা নেই। বাড়তি আর কোনও খরচ নেই। ফলে ফর্মুলাটি যদি সরকার গ্রহণ করে তাহলে আমি মনে করি, প্রশ্নফাঁস তো হবেই না। এর সঙ্গে খরচও অনেক কমে যাবে।

শাওনের এ ফর্মুলার বিষয়ে শিক্ষাবিদের মন্তব্য জানতে চাইলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের সুপারিশ ছিল, প্রশ্ন যত দেরিতে ছাপানো যাবে ততই প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি কমবে। আর এ জন্যই বলা হয়েছিল কেন্দ্রেই প্রশ্নপত্র ছাপানো হোক। এর জন্য যা যা করণীয় তা সরকার করবে। এখন সেই প্রশ্নের প্রিন্ট সরকার প্রিন্টার দিয়ে করাবে নাকি ট্রেসিং দিয়ে করাবে, সেটা পরবর্তীতে অ্যাপ্লাই করে সরকার ঠিক করবে কোনটা বেশি ভালো। তবে ট্রেসিং প্রিন্ট পদ্ধতি ডিজিটাল প্রিন্টারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।’
নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) সেবা চালু হচ্ছে আজ রাত ১২ টায়; MNP; Mobile Number Portability
নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) সেবা চালু হচ্ছে আজ রাত ১২ টায়

ভয়েস অব পটিয়া-প্রযুক্তি ডেস্কঃ নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) সেবা চালু হচ্ছে আজ রবিবার, (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এমএনপি সেবা চালু হলে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে মানসম্মত সেবা দিয়ে টিকে থাকতে হবে। অপারেটর পছন্দ বা পরিবর্তনে গ্রাহক সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবেন। এই সেবা গ্রহণে মোবাইল ব্যবহারকারীকে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে।’

এমএনপি সেবা প্রদানে লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসেন বলেন, ‘আগামী ১ অক্টোবর থেকে এমএনপি সেবা দিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১ অক্টোবর রাত থেকেই এ সিস্টেমটি শুরু হবে। ওইদিন বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণার মাধ্যমে এ সেবা শুরু করা হবে। সব অপারেটরদের সাথেই এমএনপি দিতে আমাদের কারিগরি সেবা পরিপূর্ণ প্রস্তুত।’

এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি) সেবা নিতে যে নতুন অপারেটর পছন্দ করা হবে সেই অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বা বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে গিয়ে সিম প্রতিস্থাপন (রিপ্লেসমেন্ট) করে নিতে হবে। এতে, এমএনপি ফি বাবদ ৫০ টাকার সাথে ট্যাক্স ও সিম প্রতিস্থাপন খরচসহ মোট ১৫৮ টাকা প্রযোজ্য হবে। নতুন সিম চালু হতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে অতিরিক্ত খরচের বিনিময়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও এমএনপি সিম চালু করা যাবে। একবার অপারেটর বদল করে ৯০দিন পরে আবার আগের অপারেটরে বা নতুন অপারেটরে যাওয়া যাবে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু আছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০১১ সাল থেকে এবং পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে এমএনপি সেবা দিচ্ছে।

বাংলাদেশে এমএনপি সেবার জন্য প্রথমে ৩০ টাকা ফির কথা বলা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়। এর সাথে অন্যান্য খরচ মিলিয়ে যে টাকা দিতে হচ্ছে, তা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশি।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘এ সেবা নিতে গ্রাহককে এখন যে টাকা দিতে হচ্ছে, এমএনপি প্রতিষ্ঠান লাভ বেশি করলে এই টাকার হার ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়া হবে।’

গত নভেম্বরে এমএনপি সেবার লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক। আগস্টে এ সেবা শুরুর কথা থাকলেও নির্দেশনা ও নেটওয়ার্ক জটিলতার কারণে তা দুই মাস পিছিয়ে যায়।

নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না বলে সেবায় সন্তুষ্ট না হওয়ার পরও অনেকে এতদিন অপারেটর বদলাতে পারেননি। এমএনপি চালু হওয়ায় তারা পুরনো নম্বর রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক জানিয়েছে, যেহেতু গ্রাহকের অপারেটর বদল হচ্ছে এবং তার তথ্য নতুন একটি অপারেটরে যাচ্ছে, তাই গ্রাহককে এমএনপির জন্য নতুন সিম তুলতে হচ্ছে।

এমএনপি চালুর ফলে অপারেটররা তাদের সেবার মান উন্নত করতে আরও বেশি সচেষ্ট হবে এবং বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে সরকার আশা করছে।

কোনো গ্রাহক অপারেটর বদলালে তার অব্যবহৃত টকটাইম বা ডেটার কী হবে জানতে চাইলে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আগের অপারেটরের অব্যবহৃত ব্যালেন্স নতুন অপারেটরে পাওয়া যাবে না। তবে ওই টাকা দুই বছর পর্যন্ত আগের অপারেটরে জমা রাখার নিয়ম করা হচ্ছে। দুই বছরের মধ্যে যদি কেউ আগের অপারেটরে ফিরে যান, তাহলে তিনি ওই ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। তা না হলে তা সরকারি কোষাগারে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হবে। আর অপারেটর বদলালে অব্যবহৃত ডেটা আর ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। সেজন্য ব্যালেন্স শেষ করে তবেই অপারেটর বদল করার জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ দেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

কোনো গ্রাহকের বিল বকেয়া থাকলে কী হবে জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অপারেটর পরিবর্তনের সময় গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে সব যাচাই করা হবে, বকেয়া বিল পরিশোধ করেই অন্য অপারেটরে যেতে হবে।’

এদিকে মোবাইল অপারেটরগুলো এমএনপি সেবা চালু করতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিজিটাল পটিয়া বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে স্টারলিট প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এর শুভ উদ্বোধন; আল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া; পটিয়া মাদ্রাসা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
স্টারলিট প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া'র সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেজ যাকারিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ ডিজিটাল পটিয়া বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে গত ১৯ আগস্ট রোজ বুধবার বিকেলে ‘স্টারলিট ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত “স্টারলিট প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট” পটিয়ার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

ডিজিটাল পটিয়া বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে স্টারলিট প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এর শুভ উদ্বোধন; পটিয়া সরকারী কলেজ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
স্টারলিট প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পটিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.এন.এম ইউছুফ চৌধুরী

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তা'লীমুল কুরআন কমপ্লেক্সের সম্মানিত পরিচালক ও স্টারলিট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হাফেজ ক্বারী তৈয়ব, পটিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.এন.এম ইউছুফ চৌধুরী, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া'র সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেজ যাকারিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও স্টারলিট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতী হুমায়ূন কবির খালভী, স্টারলিট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব-স্টারলিট প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এর পরিচালক জাহিদুল ইসলাম জিহান ও সহকারী পরিচালক আরিফুর রহমান, প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা তারেকুল ইসলাম সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং এক ঝাঁক তরুণ ছাত্র।