"একাদশ সংসদ নির্বাচন" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
একাদশ সংসদ নির্বাচন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
৭৪ ঘন্টা পর ফিরলো মোবাইল ইন্টারনেট; ইন্টারনেট; বিটিআরসি; একাদশ সংসদ নির্বাচন; BTRC; 3G; 4G; Mobile Internet; Internet; Data; Election
৭৪ ঘন্টা পর ফিরলো মোবাইল ইন্টারনেট

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তিন দফায় ৭৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পর মোবাইল ফোনের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা আবার চালু হয়েছে।
 
বেসরকারী একটি মোবাইল অপারেটরের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়ে তারা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট চালু করে দেন।’

ইন্টারনেট বন্ধের কারণ ব্যাখ্যায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান শনিবার বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ও গুজব প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ঘিরে বিটিআরসির ভাষ্যমতে ‘গুজব, অপপ্রচার ঠেকাতে ইন্টারনেট বন্ধের’ কথা আলোচনায় ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেটে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ রাখা হয়। এরপর ভোটের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর এই সেবা ৩৩ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে রাখতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার বিকাল ৩টার পর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। তখন পর্যন্ত বিটিআরসি নির্দেশনায় বলা ছিল, ফোরজির ভয়েস ও ডেটা এবং থ্রিজির ডেটা সেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে। তবে থ্রিজির ভয়েস এবং টুজি ভয়েস ও ডেটা সেবা চালু রাখতে হবে। কিন্তু শনিবার মধ্যরাতে বিটিআরসি টুজি ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়। প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর রোববার ভোট শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মোবাইল ফোন অপারেটররা সব ধরনের মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে দেওয়ার নির্দেশনা পায়। কিন্তু তিন ঘণ্টার মাথায় ফের নতুন নির্দেশনা আসে এবং রাত ৯টায় সারা দেশে থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

টানা ৩৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা ফেরে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসেবে গত নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ১৮ লাখের বেশি; এর মধ্যে ৮ কোটি ৬০ লাখ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
পটিয়ায় আওয়ামীলীগ-বিএনপি দফায় দফায় সংঘর্ষ-আহত ২০, গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-ফাঁকা গুলি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় আওয়ামীলীগ-বিএনপি দফায় দফায় সংঘর্ষ-আহত ২০, গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ-ফাঁকা গুলি 

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ৫টি পিকআপ ভাঙচুর ও ফাঁকা গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ফকিরা মসজিদ ও দুপুর আড়াইটার দিকে কৈয়গ্রাম এলাকায় দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামীলীগের সামশুল হক চৌধুরী সমর্থক আলমগীর (৩৫), মোহাম্মদ নুরু (৩৭), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৫), মোহাম্মদ আরিফ (১৮), মামুন (৩০), মোহাম্মদ ইমরান (৩৫), মোহাম্মদ আবির (২২), মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ (২২), মনজুরুল আলম (৪৫) ও ধানের শীষ প্রার্থী বিএনপির এনামুল হক এনাম সমর্থক ফয়েজ (১৮), নাঈমুল ইসলাম (১৮), মোহাম্মদ সাজ্জাদ (১৯), মোহাম্মদ ফারুক (১৮), মোহাম্মদ মনির (৩০), শহীদুল (৩০), মোহাম্মদ রাজু (২৫), মোহাম্মদ শহীদ (২৫), আশিষ (২২), মামুন রিয়াদ (২৫)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে জিরি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক এনামের গণসংযোগ ও পথসভার কর্মসূচি ছিল। এ লক্ষ্যে এনামের একদল সমর্থক ফকিরা মসজিদ এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলি এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই সময় বিএনপি সমর্থকরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মীদের দুটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে এবং তিনটি পিকআপ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগে জানায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগের প্রচারণার গাড়ি বের হলে কৈয়গ্রাম এলাকায় বিএনপি প্রার্থী সমর্থিত লোকজন হামলা করে ২টি গাড়ি ভাঙচুর করে বলে ছাত্রলীগ অভিযোগ জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পুঁড়ে যাওয়া মোটর সাইকেলসহ ঘটনার আলামত সংগ্রহ করে। 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, ‘বিএনপির প্রার্থীসহ মিছিল নিয়ে গণসংযোগে বের হলে ফকিরা মসজিদ এলাকায় অতর্কিতভাবে তাদের উপর আওয়ামী লীগের কয়েকজন উশৃঙ্খল নেতাকর্মী হামলা করে ও ৩টি পিকআপ ভাঙচুর করে। পৌর সদর ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার ও বিএনপি নেতা ইলিয়াছ চৌধুরী ভুট্টোর (৪২) উপর হামলা করা হয়েছে।’

অপরদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আরিফ জানান, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে এসে মাইক বন্ধ করে দেয় এবং ২টি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ও বিজিবির একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।’

পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল আওয়াল জানান, ‘গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পিকআপ ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবির একটি বিশেষ টিম জিরি ইউনিয়নের ফকিরা মসজিদ এলাকায় ছুটে যায়। প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

পটিয়ায় গ্রেপ্তার বিএনপির ১২ নেতাকর্মী; সংসদ নির্বাচন; একাদশ সংসদ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় গ্রেপ্তার বিএনপির ১২ নেতাকর্মী

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপির আরও ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বিএনপির প্রার্থী এনামের ভাতিজা নাজমুল হক রিপন (৩৬), জসিম উদ্দিন (৪৫), মোহাম্মদ জাবেদ (২৫), জাহেদুল আলম (২০), জসিম উদ্দিন (৪৫), দিদারুল আলম (৩২), আকতার হোসেন (৪৪), মোহাম্মদ হোসেন (৩৫), দিদারুল আলম (৪০), নুরুল আলম (৫৮), মোহাম্মদ শাহেদ (৩০) ও মোহাম্মদ সাদেক (৩২)।

মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বিএনপির এসব নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে। 

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই ব্রীজ এলাকায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছাত্রলীগের দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া যায়। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে একই রাতে জিরি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী পাশার ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে অজ্ঞাতনামা বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বলে উল্লেখ করা হয়। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, গণসংযোগের নামে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পটিয়ায় নেমেছে সেনাবাহিনী; একাদশ সংসদ নির্বাচন; চট্টগ্রাম ১২; পটিয়া
পটিয়ায় নেমেছে সেনাবাহিনী

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রবিবার মধ্যরাত থেকেই দেশজুড়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ (২৪ ডিসেম্বর) সকালে পটিয়ায় সেনাবাহিনী মোতয়েন করা হয়েছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা সদস্যরা ভোট তদারকিতে মাঠে থাকবে। 
ইসি জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এ সম্পর্কে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর কবির জানান, “রবিবার মধ্যরাত থেকেই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠে নামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামার প্রস্তুতি নেয়।” চট্টগ্রাম গতকাল সন্ধ্যা থেকেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। তার আগে গতকাল বিকালের পর থেকেই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাদের কর্তব্যস্থলে রওনা হতে দেখা গেছে। 
গত ১৩ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ওইদিন তিনি বলেন, ‘ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে। এক হাজার ১৬ প্লাটুন বিজিবি এখন মাঠে কাজ করছে। 

ইসি আরো জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পরই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আদলে এবারও ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন। উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিন মাঠে ছিল সেনাবাহিনী। তারা সাধারণ এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন এলাকায় একজন কমিশনারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। ওই নির্বাচনে সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলায় একটি ব্যাটালিয়ন (৭৪০ সদস্য) ও প্রতিটি উপজেলায় এক প্লাটুন (৩৫ জন) সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
পটিয়া থানার ওসির প্রত্যাহার চাইলেন বিএনপির এনাম; সংসদ নির্বাচন; চট্টগ্রাম-১২; পটিয়া
পটিয়া থানার ওসির প্রত্যাহার চাইলেন বিএনপির এনাম

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নিরপেক্ষ আচরণ না করার অভিযোগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহর প্রত্যাহার চেয়েছেন চট্টগ্রাম-১২ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির এনামুল হক এনাম। আজ রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার সময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি। 

এনাম অভিযোগ করেন, ‘তার নির্বাচনী এলাকায় এ পর্যন্ত ৬০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে। নেমপ্লেট ছাড়া পুলিশের পোশাক পড়া সদস্যরা গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। গণসংযোগকালে সরকারদলীয় সমর্থকরা হামলা করছে। তিনি আরো বলেন, পটিয়া থানা পুলিশের কাছে এসব অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই ওসি নেয়ামত উল্লাহকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘আমার থানায় সিসিটিভি আছে। এনাম সাহেব বা তার কোনো নেতাকর্মী অভিযোগ নিয়ে আসেননি। তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট। তার নির্বাচনী অফিসে কিংবা গণসংযোগে কেউ হামলা করেছে বলে আমাদের জানা নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে এনাম বলেন, ‘আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারদলীয় সমর্থকরা একজোট হয়েছে। এলাকায় গণসংযোগ যাতে করতে না পারি, সেজন্য রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ১৫ ডিসেম্বর ইউনিয়ন মেম্বার এম এ হাকিম চৌধুরীসহ ১৭ জন, ১৭ ডিসেম্বর আব্দুল আজিজসহ ২ জন, ১৮ ডিসেম্বর ইয়াছির আরাফাতসহ ৪জন, ১৯ ডিসেম্বর জিয়াউল জক জিয়াসহ ১০জন, ২০ ডিসেম্বর আহসান হাবিবসহ ৪ জন ও ২১ ডিসেম্বর রিপন জাহাঙ্গীরসহ ১৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, শুধু পুলিশ নয়, সরকারদলীয় সমর্থকরা শান্তির হাট, কমল মুন্সির হাট, বুধপুরা, কোলাগাঁও, বাদামতলী, কুসুমপুরা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙচুর চালায়। এসব বিষয়ে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিকার পাইনি।’
পটিয়ায় বিজিবি মোতায়েন | সংসদ নির্বাচন ২০১৮, চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া
পটিয়ায় বিজিবি মোতায়েন
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সারাদেশের ন্যায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়ায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখার অংশ হিসেবে সারাদেশে ১১১৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আজ  রোববার (২৩ ডিসেম্বর) পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজিবির অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে বিজিবি। সারাদেশে মোট ১১১৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু চট্টগ্রাম অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে ১৪৫ প্লাটুন বিজিবি। চট্টগ্রাম জোনের উত্তরে মিরসরাইয়ে একটি এবং দক্ষিণে পটিয়ায় একটি করে মোট ২টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে বিজিবি, তবে কাজ শুরু করেছি ২০ ডিসেম্বর থেকে। প্রতি আসনে বিজিবির একটি করে ক্যাম্প করা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় ৪-৬ প্লাটুন ও শহর এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে ৩-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।”

পটিয়ায় বিজিবি মোতায়েন | সংসদ নির্বাচন ২০১৮, চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া
পটিয়ায় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম
তিনি আরো বলেন, “সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষে কাজ করছে বিজিবি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুই একটি জায়গায় সামান্য অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সেগুলো বিজিবি, পুলিশ মিলে নিয়ন্ত্রণ করেছি।” 

পটিয়ায় বিজিবি মোতায়েন | সংসদ নির্বাচন ২০১৮, চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের অস্থায়ী ক্যাম্পে আসেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।

সেখানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন এবং চট্টগ্রামের পু্লিশ সুপার নূরে আলম মিনার সঙ্গে কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক। পরে তিনি বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে বিজিবি সদস্যদের দিক নির্দেশনাও দেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব (চট্টগ্রাম) রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আদিল চৌধুরী, ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল আরেফিন তালুকদার, ৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনির হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 
পটিয়ায় নৌকায় আগুন, বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর
পটিয়ায় নৌকায় আগুন, বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় রাতের আঁধারে বাঁশের তৈরি নৌকা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তর হাইদগাঁও ইউনিয়নের শাহ আকবরিয়া কিন্ডার গার্ডেনের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী সমর্থকরা। একই রাতে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের আমজুরহাট এলাকায় বিএনপির দু’টি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকায় আগুন ও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় একপক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করছে। 

এদিকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে লাঠি নিয়ে প্রস্তুতি নিতে বিএনপি প্রার্থীর ঘোষণাকে ফৌজদারী অপরাধ উল্লেখ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বলেছে ভোটের দিন ভোটার ও সাধারণ জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার বুধপুরা বাজার এলাকায় বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক এনাম বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এর আধা ঘন্টা পর স্থানীয় কিছু যুবক তা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ করে বিএনপি সমর্থকরা। অন্যদিকে রাতে উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৈরি ‘নৌকা’ জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। লাঠি প্রস্তুতের জন্য নেতাকর্মীদের আদেশ দিয়ে ফৌজদারী অপরাধ করেছে বিএনপি ও তাদের প্রার্থী। প্রশাসনকে আগে থেকেই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটের দিন বিএনপি ভোট কেন্দ্রে লাঠি নিয়ে এলে ভোটাররা তাদের প্রতিহত করবে।’

এদিকে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কিছু যুবক প্রতিদিন কোন না কোন ইউনিয়নে আমাদের নির্বাচনী কার্যালয় ভেঙে দিচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে নির্বাচনের পরিবেশ বানচাল করার অপচেষ্টা করছে। এর আগেও কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়গুলো উপজেলা রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘আগুন দেয়া বা কার্যালয় ভেঙে দেয়ার কোন ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সামশুলের আয় বেড়েছে ৮ গুণ- পিছিয়ে নেই এনামও; চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া; একাদশ সংসদ নির্বাচন
সামশুলের আয় বেড়েছে ৮ গুণ- পিছিয়ে নেই এনামও

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ সংসদ সদস্য হওয়ার পর চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ৮ গুণ। চট্টগ্রাম দক্ষিণের পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিনে চট্টগ্রাম দক্ষিণের চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনের প্রার্থীদের দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ব্যবসায়িক সফলতায় সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া সামশুল হক চৌধুরী। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ব্যবসা থেকে নিজের বাৎসরিক আয় উল্লেখ করেছিলেন ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫১০ টাকা। তবে গত ২৮ নভেম্বর জমা দেওয়া হলফনামায় ব্যবসায়িক আয় দেখিয়েছেন ৪৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৮৭ টাকা। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে তার আয় বেড়েছে ৮ গুণেরও বেশি। ফলে নগদ টাকার সমাগমও বেড়েছে অনেকখানি। হলফনামায় বাড়ি/এ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় দেখিয়েছেন ১১ লাখ ১৯ হাজার ৩৯০ টাকা। অন্যান্য সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৩৮৭ টাকা। স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৪১২ টাকা।
৯ম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সামশুল হক চৌধুরীর হাতে নগদ টাকা ছিল মাত্র ১ হাজার ৩৬৯ টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৭ টাকা। স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ১৯ লাখ ২ হাজার ২৪৪ টাকা এবং মূলধন হিসেবে ২৩ লাখ ১০ হাজার ৫৩০ টাকা। তবে সর্বশেষ হলফনামায় ২১ হাজার ৯১১ মার্কিন ডলারসহ তাঁর হাতে নগদ টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৯৪১ টাকা। একই সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণও বেড়েছে ৫২ লাখ ২০ হাজার ৭৫৫ টাকা।

অপরদিকে পটিয়া আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দুজন। এর মধ্যে এগিয়ে আছেন এনামুল হক এনাম। চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোঃ এনামুল হক এনাম ব্যবসা থেকে গত বছর আয় করেছেন ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ টাকা। আর বাড়ি ভাড়া থেকেও তিনি আয় করেছেন ১৫ লাখ ৫ হাজার ৯০০ টাকা। হাতে নগদ ১০ লাখ টাকা থাকলেও এনামুল হকের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। বিস্ফোরক দ্রব্য ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পটিয়া ও কোতোয়ালী থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে।
চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী একাদশ সংসদ নির্বাচন
চূড়ান্ত প্রার্থী


এদিকে বিএনপির আরেক প্রার্থী কানাডা প্রবাসী গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল আয়ের উৎস হিসেবে বাড়ি/এ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ও অন্যান্য ভাড়া বাবদ বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৬৭ লাখ ৮১ হাজার ৭৮১ টাকা। নগদ টাকা দেখিয়েছেন নিজের নামে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৪ টাকা, স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা, ছেলের নামে ১০ লাখ ২৬ হাজার টাকা; ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমা হিসেবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০৩ টাকা, কৃষি/অকৃষি জমির আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভাড়াটিয়ার নিকট হতে অগ্রিম ঋণ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৯০ টাকা।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে
ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন চৌধুরী ব্যবসাখাত থেকে আয় দেখিয়েছন ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩২১ টাকা, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ লাইফ ইন্সুরেন্স ১৪ লাখ ১৭ হাজার ৩২৩ টাকা, বন্ড/শেয়ার ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, কৃষি/অকৃষি জমি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৭০ টাকা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ ইউনুচ কৃষি খাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবু তালেব হেলালী ব্যবসাখাত থেকে আয় দেখিয়েছন ৩ লাখ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানতে দেখিয়েছেন ২ লাখ টাকা, নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ ৫০ হাজার টাকা, কৃষি/অকৃষি জমি ৮ কানি ৬ গন্ডা।

পটিয়ার বহিরাগত প্রার্থীদের মধ্যে 
এনায়েত বাজার, কোতোয়ালী নিবাসী ইসলামী ফ্রন্টের এম.এ. মতিন ব্যবসাখাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৪ টাকা, কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬০ টাকা, নগদ টাকা ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ টাকা; স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা। কৃষি/অকৃষি জমির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬০ টাকা, বাড়ি/এ্যাপার্টমেন্ট ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

ষোলশহর নিবাসী এলডিপির নাহিদ ফারহানা আয় হিসেবে দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, নগদ টাকা হিসেবে ৪ লাখ ৩ হাজার ৪০৯ টাকা, অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৯ টাকা।

ডেমরা, ঢাকা নিবাসী ইসলামী আন্দোলনের দেলাওয়ার হোসেন সাকী চাকুরী খাত হতে আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। নগদ টাকা হিসেবে দেখিয়েছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৫৯ টাকা। স্থাবর/অস্থাবর সম্পদের কোন মূল্য দেখাননি।

আন্দরকিল্লা নিবাসী বিএনএফ এর দীপক কুমার পালিত বাড়ি/এ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া থেকে আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার টাকা, ব্যবসাখাত থেকে ৩ লাখ টাকা, পেশাখাত থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ টাকা। নগদ টাকা হিসেবে দেখিয়েছেন ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬৫ টাকা, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা। কৃষি/অকৃষি জমির মূল্য হিসেবে ৪০ লাখ টাকা, দালান/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ৩১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।