ভয়েস অব পটিয়াঃ দুপুর গড়িয়ে বিকাল তথা সন্ধ্যা নামলেই পটিয়ার যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে যাত্রীবাহী বাস-মালিক সমিতির সদস্যরা
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ দুপুর গড়িয়ে বিকাল তথা সন্ধ্যা নামলেই দক্ষিণ
চট্টগ্রামসহ পটিয়ার যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে যাত্রীবাহী বাস,
হাইস-মাইক্রোবাসের চালক-কর্মচারীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও ট্রাফিক বিভাগ,
স্থানীয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যার
ফলে নিদারুণ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
নতুন ব্রীজ থেকে পটিয়া পর্যন্ত যাত্রীদের স্বাভাবিকের
চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া গুণতে হয় বিকাল তথা সন্ধ্যা নামলেই। এ দৃশ্য প্রতিদিনকার।
নির্ধারিত ভাড়া উপেক্ষা করে সরকারি ছুটির দিন এবং বৃহস্পতিবার-শুক্রবার আসলেই সে ভাড়া তিনগুণ-থেকে চারগুণ পর্যন্ত আদায় করছে যাত্রীবাহী
বাস-হাইস-মাইক্রোবাসের চালক-হেলপাররা। বিকাল হলেই বাস চালকরা বাস না ছেড়ে যাত্রীদের হেনস্থা করতে দেখা যায়। ফলে নতুনব্রীজ এলাকায় ঘরমুখো মানুষদের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মাত্রা চরম পর্যায়ের মধ্যে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে
দেখা যায়।
বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রীসাধারনের সাথে চালক-হেলপারদের বিভিন্ন সময় বাড়াবাড়ি
ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে এবং নিয়মিত ঘটে চলেছে। অনেকটা জিম্মি ও বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ
ধেকে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছুটতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। কেউ কেউ আবার ছোট ছেলেমেয়ে
ও মহিলাদের নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ
স্থানীয় প্রশাসনের কারও কোনরূপ মাথাব্যাথা নাই। কথিত আছে, বাস-মালিক সমিতি কর্তৃক নিয়মিত
মাসোহরা যায় ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-কর্তৃপক্ষের কাছে। আর এসব
কার্যক্রম চলে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায়। এ ব্যাপারে বাস-মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের
পক্ষ থেকে কোনরূপ বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
বিআরটিসির দ্বিতল বাস |
এদিকে গত কয়েকবছর আগে পটিয়ার যাত্রীসাধারনের
দূর্ভোগ লাঘবের জন্য বিআরটিসি’র দ্বিতল বাস চালু করা হলেও বর্তমানে অদৃশ্য কারণে সন্ধ্যা নামলেই এসব
বাস সমূহকে নতুনব্রীজ-পটিয়া রুটে দেখতেই পাওয়া যায় না। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব বাস
নতুনবীজ-পটিয়া রুটের বদলে প্রায় সময়ই নতুনব্রীজ-২নং গেইট রুটে বেশী চলাচল করে। অনুসন্ধানে
আরও তথ্য পাওয়া যায়, বিআরটিসি’র চালক-হেলপার-কর্মকর্তা এবং পটিয়া বাস-মালিক সমিতির নেতা-কর্মীদের
যোগসাজশে সাধারণ বাসের ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ আদায়ের লক্ষ্যে উক্ত প্রপাগান্ডা চালানো
হচ্ছে।
সাধারণ যাত্রীগণ উক্ত দূর্ভোগ থেকে নিস্তার পেতে
বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দারস্থ হলেও এই পর্যন্ত কোনরূপ সমাধান পাননি। এক্ষেত্রে
সাধারণ জনগণ প্রভাবশালী রাঘববোয়ালদের হাতে গুরুতর জিম্মি হয়ে পড়েছে। সাধারণ যাত্রীগণ
এর প্রতিকার চায়।
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
• আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন। ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না। কিছু বিষয় বিস্তৃত হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করছে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।