"পশ্চিম পটিয়া" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
পশ্চিম পটিয়া লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক; পটিয়া; চট্টগ্রাম; শিকলবাহা; কোলাগাঁও; ধর্ষক; আটক; কর্ণফুলী; অপরাধ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Shikolbaha; Kolagaon; Rapist; Arrest; Criminal
পটিয়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৩ ধর্ষক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। 

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা ইউনিয়নের মাস্টারহাট এলাকা থেকে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামস্থ তিতা গাজীর মাজার জেয়ারতে যায় তিন কিশোরীসহ দুই কিশোর। মাজার জেয়ারত শেষে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ৬ অপহরণকারী বাণীগ্রাম নতুনপুল এলাকায় বাঁশ ঝাড়ের কাছে জঙ্গলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা অপর এক কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে অপহৃত কিশোরীকে জঙ্গলে বিবস্ত্র করে অপহরণকারী ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করে। ওই সময় কিশোরীর অমানবিক চালায় পাষন্ড অপহরণকারীরা। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে রাত ৩টার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় দুই সিএনজি চালক দেখতে পেয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাড়ী থেকে কাপড় এনে দেয়ার পর তাদের সিএনজি করে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেয়। 

এ ঘটনার ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা স্থানীয় কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। পরে গতকাল ধর্ষকদের সাথে ধর্ষিতার মাঝে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে সমঝোতা বৈঠকের নামে কৌশলে ডেকে আনা হয়। সেখান থেকে পুলিশ ধর্ষকদের আটক করে। এ সময় ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়। আটককৃত ধর্ষকরা হলো, ফজল আহমদের পুত্র হাসান (২০), ইদ্রিসের পুত্র মাসুদ (২০) ও লেদু আহমদের পুত্র ওসমান (২৮)। পলাতক ধর্ষকরা হলো, জালাল আহমদের পুত্র মঞ্জুর আলম (২২), মুত নুরুল ইসলামের পুত্র সুমন (২৭) ও এরফান (২৮)। তাদের সকলের বাড়ি কোলাগাাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামে। অধিকাংশ ধর্ষক পেশায় সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ির চালক বলে জানা গেছে। 

পটিয়া থানা পুলিশ জানায়, ৩ ধর্ষককে আটকের পর পুলিশ তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এতে আর কারা কারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর অন্য আসামিদের আটকে অভিযান শুরুর কথা জানায় পুলিশ। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আরো দুই সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে। তারা ওই ঘটনায় জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ নূর জানান, কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে গত সোমবার তাকে অবহিত করেন। এরপর তিনি কৌশলে ধর্ষকদের নাম ঠিকানা নিয়ে বৈঠকের নামে এক স্থানে জড়ো করেন। এরপর তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অন্য ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়।
পটিয়ার শিকলবাহা এলাকা থেকে ৩৫ বস্তা চোলাই মদ উদ্ধার; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; বড়উঠান; শিকলবাহা
পটিয়ার শিকলবাহা এলাকা থেকে ৩৫ বস্তা চোলাই মদ উদ্ধার

ভয়েস অব পটিয়া-পশ্চিম পটিয়া প্রতিনিধি: পটিয়া উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নাধীন শিকলবাহা খাল থেকে গত মঙ্গলবার বিকেলে ৩৫ বস্তা দেশীয় তৈরি চোলাই মদ উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। 

জানা যায়, শিকলবাহা খালে নৌকাযোগে একদল মাদক ব্যবসায়ী খালের পাড়ে এ চোলাই মদগুলো মজুদ করছিলো। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলমকে অবহিত করলে তিনি পটিয়া থানা পুলিশকে খবর দেন। পটিয়া থানার ওসির নির্দেশে এস.আই আনোয়ার, অলিউল্লাহ, মশিউর এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এ চোলাই মদগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উদ্ধারকৃত চোলাই মদগুলোর আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে পটিয়া থানার ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী জানান। 

অপরদিকে গত সোমবার এস আই নাদিম মাহমুদ ভূইয়া ও কুতুব উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে পটিয়া উপজেলার বাথুয়া গ্রামের আহমদ হোসেন প্রকাশ আবু, মোহাম্মদ ইয়াসিনকে ৩০ লিটার মদ সহ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় পৃথক দুটি মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়া উপজেলার বইয়ের দোকান গুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে এসব প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন বাণিজ্যিক দোকানগুলোতে প্রকাশ্য গাইড ও নোট বইয়ের জমজমাট ব্যবসা চলছে। এক শ্রেণীর শিক্ষক নেতারা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছে এসব নিষিদ্ধি গাইড ও নোট বই।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, সরকার ১৯৮০ সালে আইন করে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের নোট বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশনা, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে। এছাড়া উচ্চ আদালতের এক রায়ে গাইড ও নোট বই মুদ্রণ ও বাজারজাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পটিয়া পৌর সদরের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেট, আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাকের্ট, থানার মোড়ে, শহীদ ছবুর রোড, পশ্চিম পটিয়া এ.জে চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন কলেজ বাজার, শান্তিরহাট ইত্যাদি এলাকার বইয়ের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে গাইড-নোট বই বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। নিউটন, লেকচার, জুপিটার, পপি, পাঞ্জেরী, অনুপম, জননী, দিগন্ত, দিকর্দশন, আশারআলো, পুঁথিনিলয় সহ বিভিন্ন প্রকাশনীর নিষিদ্ধি গাইডবই বিক্রি চলছে  দেদারসে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসব গাইড ও নোট বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছে বলে অভিভাবকরা জানান।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৮৫টি প্রাথমিক, ৪৭টি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে লেকচার সহ কয়েকটি গাইড বই চালাতে উপজেলার শিক্ষক সমিতির নেতাদের গোপনে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে উক্ত প্রকাশনীর নিষিদ্ধি গাইড ও নোট বই তুলে দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিভাবক মহল ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রকাশনীগুলো কৌশল হিসেবে এসব গাইড ও নোট বইয়ের কভার পেজে ‘গাইড ও নোট’ শব্দটি তুলে দিয়ে ‘সৃজনশীল’ শব্দটি ব্যবহার করছে। যার ফলে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা  বাজারে গাইড ও নোট বইয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছেন না।

এদিকে এনসিটিবি কর্তৃক নির্ধারিত সহায়ক বই না পড়িয়ে উপজেলার সকল মাধ্যমিক ও নিম্মমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের পছন্দ মতো ইরেজী গ্রামার-বাংলা ব্যাকরণ বই পড়াচ্ছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহের বিল্লাহর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’