"সংবাদ" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
সংবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’; cyclone; sitrang
উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। সিত্রাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। 
মনিটরিং সেলের হটলাইন নাম্বার 01769010986, 0255029550, 0258153022
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আজ সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ পটুয়াখালীর কলাপাড়া-খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়তে শুরু করে। রাত আটটা নাগাদ ঝড়টির কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে, হচ্ছে প্রচুর বৃষ্টিপাত। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছানাউল হক মন্ডল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলে এমনকি ঢাকায়ও দমকা বাতাস রেকর্ড হচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্র এখনও সাগরে। কক্সবাজারে ৭৪ কি.মি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া রেকর্ড হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিত্রাং বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব অনেক বেশি হতে পারে। এ জন্য তারা তিনটি কারণের কথা বলছে। কারণ তিনটি হলো, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য। 
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেনীর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে পাঁচ থেকে আট ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৭ নং বিপদসংকেত; cyclone; sitrang
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৭ নং বিপদসংকেত

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সাথে উপকূলীয় এলাকায় ভারী ভর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে। মঙ্গলবার ভোররাত বা সকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।

এর আগে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ পরিণত হয়। সেই সময় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ (চার) নং হুঁশিয়ারিং সংকেত দেখাতে বলা হয়। 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে থাকলেও এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলছে তুমুল বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া। দেশের উপকূলীয় সব জেলাতেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বড় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকলীয় এলাকার ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সাথে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।  

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। 
তিনি আরো বলেন, সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী। 
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৪ নং হুঁশিয়ারি সংকেত; cyclone; sitrang
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৪ নং হুঁশিয়ারি সংকেত

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ পরিণত হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ (চার) নং হুঁশিয়ারিং সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর ফলে রোববার দিনভর উপকূলীয় জেলাগুলোর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। এদিকে, উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন ওইসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। 

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর অশান্ত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
শিশু-বয়স্ক-অসুস্থদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ, মাস্ক না পরলে শাস্তি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; করোনা; করোনা ভাইরাস; Covid, Covid 19; Corona
শিশু-বয়স্ক-অসুস্থদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ, মাস্ক না পরলে শাস্তি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ করােনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে করােনায় আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সুপারিশে কতিপয় বিধি-নিষেধ আরােপ করে নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তৎপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরােধ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
 
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধােয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লীদের কে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানাে যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে, মুসল্লীগণ প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানাের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। 

৫. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়ােজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৬. সংক্রমণ রােধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. করােনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লীগণ দোয়া করবেন এবং 

৯. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলাে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা
 
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২২-২৩; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘এক ফিনিক্স পাখির গল্পগাথা’ শিরোনামের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বিকেলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তারপরও আয় ও ব্যয়ের হিসাবে বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। মোট বাজেটের শতাংশে ১৫.৭ ভাগ যা পূরণে নির্ভর করতে হবে ব্যাংক ঋণ থেকে। সেজন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার মত ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা। 

এবার দেশি-বিদেশি ঋণের জন্য ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অর্থমন্ত্রী হিসাব ধরেছেন, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ২০ শতাংশ।


এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২২-২৩; বাংলাদেশ; সংসদ
প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
  • মোবাইল সেট: মোবাইল টেলিফোন সেটের ব্যবসায়ী পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • কোভিড সামগ্রী: কোভিড-১৯ এর টেস্ট কিট, প্রটেকটিভ গার্মেন্টস, ফেইস শিল্ড, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, প্রটেকটিভ চশমা এবং মাস্ক এর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • জিআই ফিটিংস: জিআই ফিটিংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দেশে গড়ে উঠেছে। তাই দেশি শিল্পের প্রতিরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আমদানি করা জিআই ফিটিংসের বিপরীতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি চিজ: বাটারের মতো চিজ আমদানিতেও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • তার: বিভিন্ন ধরনের তার প্রায় সমজাতীয় হওয়ায় শুল্কায়নকালে এদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা দূরুহ। তাই সমতা বিধানের স্বার্থে এরূপ দুটি পণ্য আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
  • মোটরসাইকেল: ২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত রয়েছে। তাই ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বের ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি ইলেকট্রিক মোটর: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণে ৭৫০ ওয়াট পর্যন্ত ইলেকট্রিক মোটরের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • বিদেশি গ্যাস লাইটার: দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্যে গ্যাস লাইটার আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে পার্টস অব লাইটার আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি সোলার প্যানেল: দেশি সৌর বিদ্যুৎ খাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি করা সোলার প্যানেলের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • মোবাইল ফোনের বিদেশি চার্জার: দেশীয় উৎপাদিত সেলুলার ফোন উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে মোবাইল ফোন ব্যাটারি চার্জারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • কনক্রিট রেডি মিক্স: কনক্রিট রেডি মিক্সের উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • বিদেশি প্রিন্টিং কালি: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্য প্রিন্টিং কালি পণ্যের রেয়াতি শুল্কহার ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • বিদেশি কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ: কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • ল্যাপটপ: ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার হবে ৩১ শতাংশ।
  • বিলাসবহুল বিদেশি পাখি: বর্তমানে বিলাসবহুল পাখির ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। এই হার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম কমছে
  • মুড়ি ও চিনি: মুড়ি ও চিনির উপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • গমের আটা: গমের আটার উপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • দেশী মোবাইল ফোন ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টার‌্যাক্টিভ ডিসপ্লে: তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে এর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • পাওয়ার টিলার: পাওয়ার টিলার উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • ব্রেইল: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
  • কানে শোনার যন্ত্রের ব্যাটারী: শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারী এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 
  • বিশেষায়িত হুইল চেয়ার: শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশ ও নতুন রপ্তানি খাত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • রড: এম এস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট প্রতি মে. টন ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। 
  • পলিথিন ব্যাগ: পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের দাম কমতে পারে।

সীতাকুন্ড কনটেইনার বিস্ফোরণ : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯, দগ্ধ-আহত ৩ শতাধিক; সীতাকুন্ড; বিএম ডিপো; বিস্ফোরণ; চট্টগ্রাম; Sitakundo; Chattogram; Chittagong; Container; Blast; Chemical
সীতাকুন্ড কনটেইনার বিস্ফোরণ : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯, দগ্ধ ৩ শতাধিক;

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুনে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে, আগুনে দগ্ধ প্রায় ৩ শতাধিক। আহত-দগ্ধদের উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।

শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটের সময় ডিপোতে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেখানে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরিত হচ্ছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিরাপদ দূরত্বে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী ফায়ার সার্ভিসের মোট ২৫টি ইউনিটের কর্মীরা। তবে কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ থাকায় থেমে থেমে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার ফাইটারদের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণ গেছে ৯ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর, আহত হয়েছেন ১৫ জন।

এমন পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী। 

সীতাকুন্ড কনটেইনার বিস্ফোরণ : আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী; সীতাকুন্ড; বিএম ডিপো; বিস্ফোরণ; চট্টগ্রাম; Sitakundo; Chattogram; Chittagong; Container; Blast; Chemical
সীতাকুন্ড কনটেইনার বিস্ফোরণ : আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী

রোববার (০৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি দল। কনটেইনারে থাকা দাহ্য পদার্থের বিস্ফোরণ কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন সেনা সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মোঃ শাহজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার সময় প্রায় ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল। শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইউনিট এবং পরবর্তীতে আরও ৮টি ইউনিট পৌঁছে কাজ শুরু করে। বর্তমানে ২৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, করোনার সংক্রমণ বাড়লে ফের বন্ধ; শিক্ষাঙ্গন;করোনা;করোনা ভাইরাস;সংবাদ;সারাদেশ;জাতীয়
আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, করোনার সংক্রমণ বাড়লে ফের বন্ধ

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দীর্ঘ ১৭ মাস করোনা মহামারীর কারণে বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামীকাল রোববার ১২ সেপ্টেম্বর হতে সারাদেশের সকল স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। 

করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর গত বছরের ১৮ মার্চ হতে সারাদেশের সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এ বছরের শেষদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পাশাপাশি জেএসসি, পিইসি এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

তবে করোনার সংক্রমণের হার আবারো বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি। আজ শনিবার জামালপুর সার্কিটহাউসে গণমাধ্যমকে এ কথা বলে শিক্ষামন্ত্রী। কোন শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা এ ধরনের কোন উপসর্গ থাকলে তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পাঠানোর অনুরোধও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মাঝখানে কওমী মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার পাশাপাশি কয়েকদফা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার পরিকল্পনা থাকলেও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


 

এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; করোনা; করোনা ভাইরাস; Covid, Covid 19; Corona; বাজেট; বাজেট ২০২১; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২১-২২; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘সুদৃঢ় আগামীর পথে’ শিরোনামে জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) বিকেলে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরের বাজেট বিগত অর্থবছর অপেক্ষা ৩৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা চলমান ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি। 

মোট আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বাবদ ব্যয় ধরা হচ্ছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ধরা হচ্ছে ছয় হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোট ৯ লাখ টাকা। 

এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; করোনা; করোনা ভাইরাস; Covid, Covid 19; Corona; বাজেট; বাজেট ২০২১; বাজেট ২০২২; বাজেট ২০২১-২২; বাংলাদেশ; সংসদ
সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

করোনা মোকাবেলায় বাড়লো বরাদ্দ
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাখাতে ৩২ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি। করোনা মোকাবেলায় এবার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

কর দিতে হবে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে 
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভর্তুকি-প্রণোদনা 
এবারের বাজেটে জনপ্রশাসনে ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ১৯ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা, প্রতিরক্ষায় ৫২৭ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৯৩৫ কোটি টাকা, সামাজিক নিরাপত্তায় ৪ হাজার ৪ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ
২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপির সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বিদ্যুৎখাতে ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা, গৃহায়ন খাতে ২৩ হাজার ৪২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত
শিক্ষা খাতে এবারের ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বরাদ্দ। করোনাকালীন সময়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যখন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল, তখন এ খাতে বেশি অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছিলেন খাত সংশ্লিষ্টরা। সংশোধিত বাজেটে মোট কত বাজেট থাকছে এ খাতে তা দেখার বিষয়।

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় দাম বাড়তে যাচ্ছে আমদানিকৃত কৃষি পণ্যের উপর। এবারের বাজেটে ফল আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে বাড়বে আমদানিকৃত গাজর, কাঁচামরিচ, টমেটো, কমলা, লবণসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের।

বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিংহভাগই স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ও সংযোজন হয়ে থাকে। দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে 'Made in Bangladesh' ট্যাগকৃত পণ্যে আরো দুবছরের জন্য শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে। স্মার্ট ডিভাইস যেমন- ডিজিটাল ওয়াচ, কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশ, ডাটা ক্যাবলসহ অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশ উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। 

প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন, ফিচার ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ইত্যাদির যন্ত্রাংশ আমদানির উপর উপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে মূল্য বাড়বে আমদানিকৃত ডিজিটাল এসব ডিভাইসের।

কর্মসংস্থান লক্ষ্যমাত্রা 
করোনা মহামারির মধ্যেও ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষমাত্রা ধরেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল।

মোদী বিরোধী বিক্ষোভ, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ৪, প্রতিবাদে হরতালের ডাক; ঢাকা; চট্টগ্রাম; পটিয়া; হাটহাজারী; মাদ্রাসা; সুবর্ণ জয়ন্তী; স্বাধীনতা; মোদী; Modi; Independence
মোদী বিরোধী বিক্ষোভ, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ৪, প্রতিবাদে হরতালের ডাক

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী মোদি বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ মুসল্লীসহ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মী ও পুলিশের ত্রিমুখী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২ দিনব্যাপী সফরকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে উত্তাল ছিল সারাদেশ। 

ভারতে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদের আজ শুক্রবার জুমার নামাযের পর ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, জুমার নামাজের মোনাজাত শেষে মুসল্লি জনতার একাংশ মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা মসজিদের উত্তরপাশ হতে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে মুসল্লি জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মসজিদ লক্ষ্য করে টিয়ারশেল-গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।

এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পর ৪ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৩ জন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র বলে জানা যায়, অপরজনের সাধারণ নাগরিক বলে জানা যায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাধারণ মুসল্লি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাটহাজারী থানার দিকে এগুতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল-রাবার ‍বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষ আরও বাড়লে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় অন্তত ৮ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করালে তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৪ জন মারা যায়। (২৬-০৩-২০২১)

পুলিশের দাবি, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতের ইসলামের অনুসারীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিলে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে আগত অনুসারীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এ সময় আগুন দেওয়া হয় হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতেও। ভাংচুর চালানো হয় ডাকবাংলো ও ভূমি অফিসেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।’ 

যদিও বিক্ষোভরত সাধারণ মুসল্লিদের দাবি, ‘তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে, এ সময় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করা শুরু করে। এ সময় ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়।’

হেফাজতে ইসলামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিসের দাবি, ‘পুলিশের গুলিতে সাধারণ মুসল্লিসহ কমপক্ষে ৭ জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’ 

এদিকে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোটসহ সমমনা ইসলামী দলগুলোর নেতৃবৃন্দরা এ ঘটনার প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে বলেন,  ‘আধিপত্যবাদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুশী করার জন্য দেশের জনগণের বুকে গুলি চালিয়েছে সরকার। আজকে মুসল্লী ও দেশপ্রেমিক তৌহিদি জনতার উপর এই হামলা ও হত্যার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। দেশবাসী এ হামলার সমুচিত জবাব দিবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন মোদির জন্য দেশের জনগণের উপর এই হামলার ঘটনা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। নেতৃবৃন্দ বিক্ষুদ্ধ জনতার ওপর বর্বরোচিত হামলার সাথে জড়িত পুলিশ ও দলীয় ক্যাডারদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার জোর দাবি জানান।’ 

এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ ও রবিবার দেশব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি-সংঘর্ষ ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ বিক্ষোভকারীসহ আহত হন পুলিশের কয়েকজন সদস্যও। 


এদিকে সারাদেশের ন্যায় পটিয়া উপজেলাতে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় (ভিডিও):



উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ভারতে রাষ্ট্রীয় মদদে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো হয়। যা ‘গুজরাট দাঙ্গা’ বলে পরিচিত। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরএসএস-শিবসেনা-বিজেপির সমর্থকদের মদদ দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর সাম্প্রদায়িক বর্বর এই গণহত্যায় নীরব ভূমিকা পালন করায় তাকে ‘গুজরাটের কসাই’ও বলা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং শ্রীলঙ্কার সমস্ত মহিলা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক তথ্য-প্রমাণ কমিটি জানায়, "সন্ত্রাসের কৌশল হিসাবে এই রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের উপরে যৌন সহিংসতা চালানো হয়। কমপক্ষে আড়াই শতাধিক বালিকা ও মহিলাদের গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং পরে তাদের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। বাচ্চাদের জোর করে পেট্রোল খাওয়ানো হয় এবং তারপরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, গর্ভবতী মহিলাদের আগুনে পুড়ানো হয়েছিল এবং তারপরে তাদের পেটে অনাগত সন্তানের পোড়া দেহ দেখা যাচ্ছিল। নানদা পটিয়া গণকবরে ৯৬ টি দেহের মৃতদেহ ছিল, যার মধ্যে ৪৬ টি জন মহিলা ছিলেন। মৌলবাদী উগ্র হিন্দুরা তাদের বাড়ি প্লাবিত করে এবং ঘরের পুরো পরিবারকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে। মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মধ্যে তাদের উলঙ্গ করে ছিনিয়ে নেওয়া বস্তুর মত ব্যবহার করেছিল এবং হত্যা করেছিল। 

কল্পনা কন্নবিরানের মতে,  উগ্র মৌলবাদী হিন্দুদের দ্বারা ধর্ষণগুলি একটি সুসংহত, ইচ্ছাকৃত এবং পূর্বপরিকল্পিত কৌশলের একটি অংশ ছিল এবং এই ঘটনাগুলি সহিংসতাকে রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং গণহত্যার অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে ছিল অ্যাসিড আক্রমণ, মারধর এবং গর্ভবতী মহিলাদের হত্যা। বাচ্চাদের তাদের পিতামাতার সামনে হত্যা করা হয়। জর্জ ফার্নান্দিস সহিংসতা নিয়ে সংসদে আলোচনায় রাজ্য সরকারের প্রতিরক্ষার পক্ষে ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি করে বলেছিলেন যে ভারতে শুধুমাত্র এই প্রথমবারের মতো মহিলাদের আক্রমণ ও ধর্ষণ করা হয়নি। এ গণহত্যা-দাঙ্গায় ভারতে ১,০৪৪ জন নিহত, ২২৩ নিখোঁজ এবং ২,৫০০ আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৭৯০ জন মুসলমান এবং ২৫৪ জন হিন্দু ছিলেন। বহু নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট ও সম্পদ ধ্বংসের খবর পাওয়া যায়। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এই সহিংসতা শুরু করার এবং প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়, যেমন পুলিশ এবং সরকারী আধিকারিকরা যারা দাঙ্গাকারীদের নির্দেশনা দিয়েছিল এবং মুসলমানদের মালিকানাধীন সম্পত্তির তালিকা তাদেরকে দিয়েছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে ভারতে শুরু হওয়া বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন-এনআরসি’কে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় মদদে দিল্লীতে গণহত্যার সূত্রপাত হয়। বিজেপি সমর্থকরা একে গুজরাট মডেলকে ফলো করে দাঙ্গায় রূপ দেয়। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তিন দিন ধরা জ্বলা আগুন আর নৃশংসতায় দিল্লির উত্তর-পূর্বের খাজুরি খাস এলাকায় ৪০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, শত শত মানুষ আহত এবং অনেকে নিখোঁজ হন। কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ নষ্ট করা হয়। প্রমাণ মিলেছে, পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল এই দাঙ্গায়। নথিবদ্ধ প্রমাণাদি বলছে যে, সেখানে কিছু পুলিশ দাঙ্গাকারীদের সহায়তা করছিল বা বিষয়টিকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেছে। খাজুরি খাস এলাকায় প্রায় ২০০টির মতো বাড়ি ও দোকান ছিল, যার এক পঞ্চমাংশের মালিক ছিল মুসলমানেরা। যারা জানেন না, তাদের পক্ষে দেখে বোঝা কঠিন ছিলো, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা ছোট ঘরগুলোর কোনটি মুসলমানের আর কোনটি তাদের হিন্দু প্রতিবেশীর। কোথাও কোথাও দুই ধর্মের দুই প্রতিবেশীর বাড়ির ছিলো একই দেয়াল। কোথাও কোথাও জোড়া লাগানো টানা ছাদ। তারপরও খুব সহজেই শুধুমাত্র মুসলিমদের বাড়ি আর দোকানগুলোতেই হামলা করেছিল দুষ্কৃতিকারীরা। 

(স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম অবলম্বনে)

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা আসছেন মোদী, এবারও হচ্ছে না তিস্তা চুক্তি; জাতীয়; বাংলাদেশ; ভারত; সংবাদ; সারাদেশ; আন্তর্জাতিক; নরেন্দ্র মোদী; এ কে আবদুল মোমেন; পররাষ্ট্রমন্ত্রী; প্রধানমন্ত্রী; বঙ্গবন্ধু; মুজিব বর্ষ; সুবর্ণ জয়ন্তী
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা আসছেন মোদী, এবারও হচ্ছে না তিস্তা চুক্তি

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবারের সফরেও হচ্ছে না বহুল প্রতিক্ষিত তিস্তা চুক্তিসহ বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে আলোচনা।

রাজ শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এবারের সফর হবে শুধুই উদযাপনের, দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো তারা এবার তুলতে চান না। 

তিনি আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদী আসছেন, এতেই আমরা অনেক খুশি। শুধু উনি না, উনার দেখাদেখি আরও চার জন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান বাংলাদেশে আসছেন। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ ও ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানও আসছেন। আমরা এতে খুবই আনন্দিত, ইট শোজ দা হাইট অব ডিপ্লোম্যাটিক ম্যাচুরিটি অ্যান্ড এচিভমেন্ট। 

দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো আলোচনা হবে কি না- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওগুলো বাদ, আমরা যেটা চাই- সেটা হচ্ছে এই যে একটি আনন্দ উৎসব, আমাদের বড় উৎসবে সবাই আসছেন, এতে আমরা আনন্দিত। আর অন্যান্য ছোটখাট জিনিস যেগুলো ভারতের সঙ্গে তো আমাদের যে ধরনের বড় বড় সমস্যা, সব আমরা আলোচনার মাধ্যমেই দূর করেছি। আর যদি কিছু থাকে, সেগুলোও আস্তে আস্তে করব। বাট দিস ইভেন্ট শুড নট বি অ্যান অকেশন ফর রিজলভিং।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যেসব দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা আসছেন না, তারাও বার্তা পাঠিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তারা জানিয়েছেন, আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তীতে তারা আমাদের সাথে আছেন এবং সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর যে উদযাপন এবং উনার যে ত্যাগ, সেগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।’

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ  ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। 

আজ মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারী ভারতের দিল্লীতে বাংলাদেশ সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত ১২২ সদস্যের একটি দল সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে।

‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি’ ব্যান্ডের তালের সঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর দলটি। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্যের সমন্বিত কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবু মুহাম্মদ শাহনূর শাওন। 

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারী ভারতের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানায় ভারতের হাইকমিশন।

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে এই পর্যন্ত বাংলাদেশসহ মোট ৩টি দেশের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করেছে। সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র বাহিনীর কন্টিনজেন্টের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এই প্রথম।


একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা চায় বাংলাদেশ; বাংলাদেশ; পাকিস্তান; ১৯৭১; মুক্তিযুদ্ধ; পাকিস্তানের বর্বরতা; পাকিস্তানের গণহত্যা; Liberation War; 1971, Bangladesh vs Pakistan; Genocide by Pakistan
একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা চায় বাংলাদেশ

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়াসহ অমীমাংসিত দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর সমাধানের গুরুত্ব উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ। 
সেই সাথে বাংলাদেশে আটকা পড়ে থাকা পাকিস্তানীদের প্রত্যাবাসন এবং সম্পদ ভাগাভাগির বিষয়টি নিষ্পত্তির করার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ। 

আজ বৃহষ্পতিবার (০৭ জানুয়ারী) বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের সাথে সাক্ষাৎ করলে বিষয়টি উত্থাপন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। 
‘প্রতিমন্ত্রী হাই কমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাড়ানোর সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে জানান। এই নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় ব্যাপারে সম্পর্ক জোরদার করার প্রত্যাশায় রয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সাথে সাফটা চুক্তিকে ব্যবহার করে, নেতিবাচক তালিকা শিথিল করে এবং বাণিজ্য বাধাগুলি অপসারণ করে আরও বেশি বাংলাদেশী পণ্যের প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাণিজ্য ভারসাম্য পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে।’

বৈঠকে পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পাকিস্তান সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমকে শুভেচ্ছা জানান এবং তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

উল্লেখ্য, উভয় পক্ষ দুদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক যৌথ সভার আয়োজনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সেই সাথে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বেসরকারী কলেজে থাকবে না অনার্স-মাস্টার্স : শিক্ষামন্ত্রী; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়; সংবাদ; সারাদেশ; বেসরকারী কলেজ; অনার্স; মাস্টার্স; ডিগ্রী; কারিগরী; টেকনিক্যাল; National University; Degree; Honors; Masters
বেসরকারী কলেজে থাকবে না অনার্স-মাস্টার্স : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ‘দেশব্যাপী ৩১৫ টি বেসরকারী কলেজ হতে ধাপে ধাপে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স তুলে নেবে সরকার। অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের বদলে এসব কলেজে ডিগ্রী পাস কোর্সের পাশাপাশি টেকনিক্যাল বিভিন্ন ট্রেড কোর্স খোলা হবে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়’-  এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আর সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে দিচ্ছেন। কাজেই যারা অনার্স-মাস্টার্স করবেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করবেন। শিক্ষিত বেকার যাতে তৈরি না হয় সেজন্য বেসরকারী কলেজগুলোতে ডিগ্রী পাস কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন শর্টকোর্স চালু করতে পারি। বেসরকারী যেসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু আছে সেখান থেকে পাস করা বেশিরভাগ সনদধারী চাকরি পান না, ফলে বেকার থেকে যান। তাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট একটা ব্যবধান তৈরি হয়ে যায়, যারা এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান তাদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা তৈরি হয়। অভিভাবকদের জন্যেও এটি কোন সুখকর বিষয় নয়। অভিভাবকরা সন্তানকে কষ্ট করে পড়ালেন, তাদের একটি ভালো চাকরির প্রত্যাশা থাকে, চাকরি না হলে তখন হতাশা ঘিরে ধরে। কোনও একটা কিছু করবে সেটির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারে না। ফলে পিছিয়ে পড়ে বেকার বনে রয়ে যায়। এসব সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি।’ 

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত বেসরকারী কলেজগুলোর ডিগ্রী স্তরের শিক্ষকরা সরকারীবেতন-ভাতার অংশ পেলেও অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা সে সুবিধা পান না। যার ফলে বিগত ২৮ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার তারা। 
ডিগ্রী স্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত বেসরকারী কলেজগুলোয় ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের কোর্স চালুর অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এসব কলেজ কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় অনুমোদন নেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এর ফলে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকের পদ কলেজগুলোর জনবল কাঠামোয় স্থান পায়নি। যার কারণে সরকারী বিধিবিধান অনুযায়ী এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত তারা।

অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আমরা যদি এমপিওভুক্তিতে এক ধরনের সিদ্ধান্ত নিই, আবার যদি ভিন্ন নতুন সিস্টেম চালু করি, তখন সমন্বয়টা করাটা জটিল হয়ে যাবে। এ কারণে এসব বিষয়ে আরও বিস্তর বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের মেয়াদ বৃদ্ধি; পটিয়ার কৃতি ব্যক্তিত্ব; শেখ হাসিনা; সচিবালয়

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ অবসরোত্তর ছুটি ও এ সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পটিয়ার কৃতি ব্যক্তিত্ব ড. আহমদ কায়কাউসকে একই পদে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 

সরকারী চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

আগামী ০১ জানুয়ারি বা যোগদানের তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এর আগে সরকারী চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৩(১)(ক) ধারা অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে তাকে অবসর প্রদান করে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, ড. আহমদ কায়কাউস ১৯৮৪ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারী চাকরিতে যোগ দেন। বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব থাকাকালীন তাকে ভারপ্রাপ্ত সচিবের পদমর্যাদায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হন তিনি। ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পান। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি পান তিনি। গত বছর ২৯ ডিসেম্বর ড. আহমদ কায়কাউসকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তখন থেকে এখন অবধি তিনি প্রায় এক বছর যাবত এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। 



প্রজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে তুরষ্ক; turkey with bangladesh; recep tayyip erdogan


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ মিয়ানমার থেকে গণহত্যা, নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দশ লক্ষেরও অধিক রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু। 

আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য কাজ করবে তুরস্ক। তুরস্ক রোহিঙ্গা সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।’ 
এ সময় তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরামর্শ নেওয়ার প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‘তারা যেন ভালো থাকেন, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়াটাই মূল সমাধান বলে মন্তব্য করেন তিনি।’

বাণিজ্য বিষয়ে প্রশ্নে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-তুরষ্কের মধ্যকার এখন প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। আমরা আগামীতে একে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই।’

উল্লেখ্য, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু মঙ্গলবার রাতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। 
আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। 
এরপর  ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু।
অবসরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় অবসরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পটিয়ার কৃতি ব্যক্তিত্ব ড. আহমদ কায়কাউস।
সরকারী চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৩(১)(ক) ধারা অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে তাকে অবসর প্রদান করে আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই সাথে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ল্যাম্পগ্র্যান্টসহ আগামী ০১ জানুয়ারি হতে তাকে ১ বছরের অবসরোত্তর ছুটি (পি.আর.এল) মঞ্জুর করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর ড. আহমদ কায়কাউসকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়ে  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তখন থেকে তিনি প্রায় এক বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করলেন।
তবে, এখন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। 

প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪, ৮৫ এবং ৮৬ ব্যাচের মধ্য থেকে সরকারের বিশ্বস্ত কাউকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে এ নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে।

প্রজ্ঞাপন

করোনার সংক্রমণ এড়াতে মন্ত্রীসভার ফের নির্দেশনা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ এই শীতকালীন সময়ে দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ এড়াতে মুখে মাস্ক পড়া ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রীসভা। 

আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার এক ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

ভার্চুয়াল এই সভায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নেন।

সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, “‘কোভিড-১৯ করোনা’র সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রীসভার সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাসার বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। 
এ নির্দেশনা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ‘No Mask, No Service’ ব্যাপকভাবে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজের গণ্যমান্য সচেতন ব্যক্তিকে এ কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণের উর্ধ্বগামীতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সংক্রমণ এড়াতে আমাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়। 
এছাড়া মাস্কের ব্যবহারের কথা বার বার আলোচনায় আসছে। মাস্ক পড়া ছাড়া যাতে কেউ সেবা না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি বাস্তবায়নে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগকে।”
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ চলবে : ওবায়দুল কাদের


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ রাজধানী ধোলাইপাড় এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হয়েছে। ভাষ্কর্য ভাঙা কিংবা এর ক্ষতি সাধন করা অবশ্যই সংবিধান বিরোধী এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এর প্রধান কারণ, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তাঁর ভাস্কর্যের ওপর হামলা কোনমতেই মেনে নেয়া যায় না। 
সৌদি আরব, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক এমনকি পাকিস্তানে পর্যন্ত ভাস্কর্য রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে যেখানে ভাস্কর্য রয়েছে তাদের চেয়ে কি আমরা বড় মুসলমান হয়ে গেলাম? ওইসব রাষ্ট্রে তো ভাস্কর্য নিয়ে কোনো কথা হয় না। আর মূর্তি হলো দেবতার পূজা-অর্চনা করার। দেবতাকে পূজা করা হয়, কিন্তু এখানে তো মানুষকে পূজা করা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের দেশে কেন বিষয়টি ভিন্ন দিকে যাচ্ছে? 
কুষ্টিয়ায় তারা বঙ্গবন্ধুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুদার ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের কাজ করার মত ধৃষ্টতা যারা দেখাবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’
আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত 'মুজিব মিনার' নির্মাণের প্রস্তাব হেফাজতে ইসলামের


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি-ভাস্কর্য স্থাপনের পরিবর্তে আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত 'মুজিব মিনার' নির্মাণের বিকল্প প্রস্তাবসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। 
আজ শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসায় এক বৈঠকে সরকারকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।

উক্ত সভার প্রস্তাবনাসমূহঃ

১ । মানবমূর্তি ও ভাস্কর্য যে কোনো উদ্দেশ্যে তৈরি করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোনো মহৎ ব্যক্তি ও নেতাকে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে শ্রদ্ধা জানানো শরিয়ত সম্মত নয়। এতে মুসলিম মৃত ব্যক্তির আত্মার কষ্ট হয়। কারো প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ না করে, শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার আলোকে কুরআন-সুন্নাহ সমর্থিত কোনো উত্তম বিকল্প সন্ধান করাই যুক্তিযুক্ত। 

২। আমরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা, বিষোদগার, ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন ইত্যাদির তীব্র নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নাশের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অবমাননাকর আচরণের ওপর কঠোর নজরদারি এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এসব অপকর্ম বন্ধ করা হোক। 

৩। বিগত সময়ে দ্বীনি আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দান ও মামলা প্রত্যাহার করা হোক। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সারাদেশের আলেম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও ধর্মপ্রাণ‍মুসলমানদের ওপর সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা হোক। ধোলাইপাড় চত্বরের পাশে ক্ষতিগ্রস্ত পুনঃনির্মিত মসজিদ নামাযের জন্য অবিলম্বে উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।

৪। সম্প্রতি শব্দদূষণ ও জনদুর্ভোগের অজুহাতে দ্বীনি মাহফিলে লাউড স্পিকার ব্যবহারে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টির তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অথচ সাধারণ শব্দদূষণ, উচ্চস্বরে গান-বাজনা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো প্রশাসনিক উদ্যোগ নেই বললেই চলে। কেবল ওয়াজ-মাহফিল নিয়ে শব্দদূষণের অজুহাতে বিশেষ নির্দেশনা অনভিপ্রেত। অতএব, জনগণকে কল্যাণের পথে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে সকল দ্বীনী মাহফিল যথানিয়মে অনুষ্ঠানের অবাধ সুযোগ প্রদান করা হোক।

৫। যে সকল বিষয় শরিয়তে নিষিদ্ধ ও হারাম, সে সব বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সঠিক বক্তব্য তুলে ধরা আলেমদের দায়িত্ব। অথচ এক শ্রেণীর মানুষ আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও দায়িত্বহীন আচরণ করছে। কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনাশের উস্কানিও দিচ্ছে। এসবের খোঁজখবর রাখা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব। উস্কানিমূলক বক্তব্য, অবমাননাকর মন্তব্য, উগ্র স্লোগান, মিছিল-মিটিং সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি করবে। ওলামায়ে কেরাম কঠোর ধৈর্য সংযম অবলম্বন করা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সরকারকে এসবের উপযুক্ত প্রতিবিধান করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী উদ্ভূত বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না। বিশেষ করে ইসলাম, দ্বীন ও বাংলাদেশ বিরোধী দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র ও অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ রোধ করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। 

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেব, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, জমিয়ত একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, বেফাকের খাস কমিটির সদস্য আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী, বি.বাড়িয়ার আল্লামা সাজিদুর রহমান, সিলেটের আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি,  জামিয়া রাহমানিয়ার প্রধান মুফতি মনসুরুল হক, ফরিদাবাদ মাদরাসার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, জামিয়া ইউনুসিয়ার প্রধান মুফতি মুবারকুল্লাহ, গহরডাঙ্গা মাদরাসার মাওলানা রুহুল আমীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করিম, বরুণার পীর মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক, ঢালকানগরের পীর সাহেব মুফতি জাফর আহমদ, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, বসুন্ধরা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আরশাদ রাহমানী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, শাইখ যাকারিয়ার পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, বারিধারা মাদরাসার মাওলানা নাজমুল হাসান, আফতাবনগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মুহাম্মদ আলী, খুলনার মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, উত্তরার মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিলসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-উলামারা।

মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এখন থেকে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ রোববার (০৮ নভেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ধর্মীয় উপসনালয়ে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইদানিং গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সারাদেশে বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার নিমিত্ত সরকারের নির্দেশনা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, পূর্বের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নিম্নরূপ নির্দেশনা জারি করা হলোঃ-

ক) মসজিদে সকল মুসল্লির মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করে প্রবেশের জন্য মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালাতে হবে। এ বিষয়ে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। বিষয়টি মসজিদ কমিটি নিশ্চিত করবেন। 

খ) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের জন্য প্রধান ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসানালয় কমিটিকে নিশ্চিত করবেন। 

গ) ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে পোস্টার/ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে; 

ঘ) কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। 

২। দেশের সকল মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইক থেকে নিয়মিতভাবে উপরে বর্ণিত ঘোষণাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।’

এ মর্মে জনস্বার্থে এ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি