পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ |
দেশের সকল মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ |
প্রজ্ঞাপন ঃ উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান - পৌরসভা মেয়র
উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ |
মনিটরিং সেলের হটলাইন নাম্বার 01769010986, 0255029550, 0258153022বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আজ সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ পটুয়াখালীর কলাপাড়া-খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়তে শুরু করে। রাত আটটা নাগাদ ঝড়টির কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে, হচ্ছে প্রচুর বৃষ্টিপাত।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৭ নং বিপদসংকেত |
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৪ নং হুঁশিয়ারি সংকেত |
শিশু-বয়স্ক-অসুস্থদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ, মাস্ক না পরলে শাস্তি |
তৎপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরােধ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ |
- মোবাইল সেট: মোবাইল টেলিফোন সেটের ব্যবসায়ী পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
- কোভিড সামগ্রী: কোভিড-১৯ এর টেস্ট কিট, প্রটেকটিভ গার্মেন্টস, ফেইস শিল্ড, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, প্রটেকটিভ চশমা এবং মাস্ক এর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
- জিআই ফিটিংস: জিআই ফিটিংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দেশে গড়ে উঠেছে। তাই দেশি শিল্পের প্রতিরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আমদানি করা জিআই ফিটিংসের বিপরীতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- বিদেশি চিজ: বাটারের মতো চিজ আমদানিতেও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- তার: বিভিন্ন ধরনের তার প্রায় সমজাতীয় হওয়ায় শুল্কায়নকালে এদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা দূরুহ। তাই সমতা বিধানের স্বার্থে এরূপ দুটি পণ্য আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
- মোটরসাইকেল: ২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত রয়েছে। তাই ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বের ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- বিদেশি ইলেকট্রিক মোটর: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণে ৭৫০ ওয়াট পর্যন্ত ইলেকট্রিক মোটরের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
- বিদেশি গ্যাস লাইটার: দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্যে গ্যাস লাইটার আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইভাবে পার্টস অব লাইটার আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- বিদেশি সোলার প্যানেল: দেশি সৌর বিদ্যুৎ খাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি করা সোলার প্যানেলের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- মোবাইল ফোনের বিদেশি চার্জার: দেশীয় উৎপাদিত সেলুলার ফোন উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে মোবাইল ফোন ব্যাটারি চার্জারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- কনক্রিট রেডি মিক্স: কনক্রিট রেডি মিক্সের উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান মূসক অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
- বিদেশি প্রিন্টিং কালি: স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্য প্রিন্টিং কালি পণ্যের রেয়াতি শুল্কহার ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- বিদেশি কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ: কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্ট্রিজ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- ল্যাপটপ: ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার হবে ৩১ শতাংশ।
- বিলাসবহুল বিদেশি পাখি: বর্তমানে বিলাসবহুল পাখির ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। এই হার বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- মুড়ি ও চিনি: মুড়ি ও চিনির উপর ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
- গমের আটা: গমের আটার উপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
- দেশী মোবাইল ফোন ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টার্যাক্টিভ ডিসপ্লে: তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের ব্যাটারী, চার্জার ও ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে এর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
- পাওয়ার টিলার: পাওয়ার টিলার উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
- ব্রেইল: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
- কানে শোনার যন্ত্রের ব্যাটারী: শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারী এর ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
- বিশেষায়িত হুইল চেয়ার: শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- কাজুবাদাম: দেশে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত শিল্প বিকাশ ও নতুন রপ্তানি খাত সৃষ্টির লক্ষ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্কহার হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
- রড: এম এস প্রোডাক্টের ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট প্রতি মে. টন ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
- পলিথিন ব্যাগ: পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের দাম কমতে পারে।
সীতাকুন্ড কনটেইনার বিস্ফোরণ : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯, দগ্ধ ৩ শতাধিক; |
সীতাকুন্ড কনটেইনার বিস্ফোরণ : আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী |
আগামীকাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, করোনার সংক্রমণ বাড়লে ফের বন্ধ |
ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দীর্ঘ ১৭ মাস করোনা মহামারীর কারণে বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামীকাল রোববার ১২ সেপ্টেম্বর হতে সারাদেশের সকল স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর গত বছরের ১৮ মার্চ হতে সারাদেশের সকল প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এ বছরের শেষদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পাশাপাশি জেএসসি, পিইসি এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
তবে করোনার সংক্রমণের হার আবারো বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি। আজ শনিবার জামালপুর সার্কিটহাউসে গণমাধ্যমকে এ কথা বলে শিক্ষামন্ত্রী। কোন শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা এ ধরনের কোন উপসর্গ থাকলে তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পাঠানোর অনুরোধও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মাঝখানে কওমী মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার পাশাপাশি কয়েকদফা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার পরিকল্পনা থাকলেও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ |
মোদী বিরোধী বিক্ষোভ, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ৪, প্রতিবাদে হরতালের ডাক |
ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী মোদি বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ মুসল্লীসহ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মী ও পুলিশের ত্রিমুখী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২ দিনব্যাপী সফরকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে উত্তাল ছিল সারাদেশ।
ভারতে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদের আজ শুক্রবার জুমার নামাযের পর ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, জুমার নামাজের মোনাজাত শেষে মুসল্লি জনতার একাংশ মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা মসজিদের উত্তরপাশ হতে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে মুসল্লি জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মসজিদ লক্ষ্য করে টিয়ারশেল-গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মোদিবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পর ৪ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৩ জন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র বলে জানা যায়, অপরজনের সাধারণ নাগরিক বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাধারণ মুসল্লি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাটহাজারী থানার দিকে এগুতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল-রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সংঘর্ষ আরও বাড়লে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় অন্তত ৮ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করালে তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৪ জন মারা যায়। (২৬-০৩-২০২১)
পুলিশের দাবি, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতের ইসলামের অনুসারীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা হাটহাজারী থানায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তায় পুলিশ অবস্থান নিলে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে আগত অনুসারীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এ সময় আগুন দেওয়া হয় হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতেও। ভাংচুর চালানো হয় ডাকবাংলো ও ভূমি অফিসেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।’
যদিও বিক্ষোভরত সাধারণ মুসল্লিদের দাবি, ‘তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে, এ সময় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি করা শুরু করে। এ সময় ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়।’
হেফাজতে ইসলামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিসের দাবি, ‘পুলিশের গুলিতে সাধারণ মুসল্লিসহ কমপক্ষে ৭ জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’
এদিকে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোটসহ সমমনা ইসলামী দলগুলোর নেতৃবৃন্দরা এ ঘটনার প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আধিপত্যবাদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুশী করার জন্য দেশের জনগণের বুকে গুলি চালিয়েছে সরকার। আজকে মুসল্লী ও দেশপ্রেমিক তৌহিদি জনতার উপর এই হামলা ও হত্যার দায় সরকারকে বহন করতে হবে। দেশবাসী এ হামলার সমুচিত জবাব দিবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন মোদির জন্য দেশের জনগণের উপর এই হামলার ঘটনা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। নেতৃবৃন্দ বিক্ষুদ্ধ জনতার ওপর বর্বরোচিত হামলার সাথে জড়িত পুলিশ ও দলীয় ক্যাডারদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার জোর দাবি জানান।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ ও রবিবার দেশব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি-সংঘর্ষ ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ বিক্ষোভকারীসহ আহত হন পুলিশের কয়েকজন সদস্যও।
এদিকে সারাদেশের ন্যায় পটিয়া উপজেলাতে মোদি বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় (ভিডিও):
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ভারতে রাষ্ট্রীয় মদদে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো হয়। যা ‘গুজরাট দাঙ্গা’ বলে পরিচিত। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরএসএস-শিবসেনা-বিজেপির সমর্থকদের মদদ দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর সাম্প্রদায়িক বর্বর এই গণহত্যায় নীরব ভূমিকা পালন করায় তাকে ‘গুজরাটের কসাই’ও বলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং শ্রীলঙ্কার সমস্ত মহিলা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক তথ্য-প্রমাণ কমিটি জানায়, "সন্ত্রাসের কৌশল হিসাবে এই রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের উপরে যৌন সহিংসতা চালানো হয়। কমপক্ষে আড়াই শতাধিক বালিকা ও মহিলাদের গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং পরে তাদের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। বাচ্চাদের জোর করে পেট্রোল খাওয়ানো হয় এবং তারপরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, গর্ভবতী মহিলাদের আগুনে পুড়ানো হয়েছিল এবং তারপরে তাদের পেটে অনাগত সন্তানের পোড়া দেহ দেখা যাচ্ছিল। নানদা পটিয়া গণকবরে ৯৬ টি দেহের মৃতদেহ ছিল, যার মধ্যে ৪৬ টি জন মহিলা ছিলেন। মৌলবাদী উগ্র হিন্দুরা তাদের বাড়ি প্লাবিত করে এবং ঘরের পুরো পরিবারকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে। মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মধ্যে তাদের উলঙ্গ করে ছিনিয়ে নেওয়া বস্তুর মত ব্যবহার করেছিল এবং হত্যা করেছিল।
কল্পনা কন্নবিরানের মতে, উগ্র মৌলবাদী হিন্দুদের দ্বারা ধর্ষণগুলি একটি সুসংহত, ইচ্ছাকৃত এবং পূর্বপরিকল্পিত কৌশলের একটি অংশ ছিল এবং এই ঘটনাগুলি সহিংসতাকে রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং গণহত্যার অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে ছিল অ্যাসিড আক্রমণ, মারধর এবং গর্ভবতী মহিলাদের হত্যা। বাচ্চাদের তাদের পিতামাতার সামনে হত্যা করা হয়। জর্জ ফার্নান্দিস সহিংসতা নিয়ে সংসদে আলোচনায় রাজ্য সরকারের প্রতিরক্ষার পক্ষে ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি করে বলেছিলেন যে ভারতে শুধুমাত্র এই প্রথমবারের মতো মহিলাদের আক্রমণ ও ধর্ষণ করা হয়নি। এ গণহত্যা-দাঙ্গায় ভারতে ১,০৪৪ জন নিহত, ২২৩ নিখোঁজ এবং ২,৫০০ আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৭৯০ জন মুসলমান এবং ২৫৪ জন হিন্দু ছিলেন। বহু নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট ও সম্পদ ধ্বংসের খবর পাওয়া যায়। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এই সহিংসতা শুরু করার এবং প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়, যেমন পুলিশ এবং সরকারী আধিকারিকরা যারা দাঙ্গাকারীদের নির্দেশনা দিয়েছিল এবং মুসলমানদের মালিকানাধীন সম্পত্তির তালিকা তাদেরকে দিয়েছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে ভারতে শুরু হওয়া বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন-এনআরসি’কে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় মদদে দিল্লীতে গণহত্যার সূত্রপাত হয়। বিজেপি সমর্থকরা একে গুজরাট মডেলকে ফলো করে দাঙ্গায় রূপ দেয়। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। কিন্তু তিন দিন ধরা জ্বলা আগুন আর নৃশংসতায় দিল্লির উত্তর-পূর্বের খাজুরি খাস এলাকায় ৪০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, শত শত মানুষ আহত এবং অনেকে নিখোঁজ হন। কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ নষ্ট করা হয়। প্রমাণ মিলেছে, পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল এই দাঙ্গায়। নথিবদ্ধ প্রমাণাদি বলছে যে, সেখানে কিছু পুলিশ দাঙ্গাকারীদের সহায়তা করছিল বা বিষয়টিকে পুরোপুরি এড়িয়ে গেছে। খাজুরি খাস এলাকায় প্রায় ২০০টির মতো বাড়ি ও দোকান ছিল, যার এক পঞ্চমাংশের মালিক ছিল মুসলমানেরা। যারা জানেন না, তাদের পক্ষে দেখে বোঝা কঠিন ছিলো, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা ছোট ঘরগুলোর কোনটি মুসলমানের আর কোনটি তাদের হিন্দু প্রতিবেশীর। কোথাও কোথাও দুই ধর্মের দুই প্রতিবেশীর বাড়ির ছিলো একই দেয়াল। কোথাও কোথাও জোড়া লাগানো টানা ছাদ। তারপরও খুব সহজেই শুধুমাত্র মুসলিমদের বাড়ি আর দোকানগুলোতেই হামলা করেছিল দুষ্কৃতিকারীরা।
(স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম অবলম্বনে)
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকা আসছেন মোদী, এবারও হচ্ছে না তিস্তা চুক্তি |
ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবারের সফরেও হচ্ছে না বহুল প্রতিক্ষিত তিস্তা চুক্তিসহ বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে আলোচনা।
রাজ শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এবারের সফর হবে শুধুই উদযাপনের, দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো তারা এবার তুলতে চান না।’
তিনি আরো বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী আসছেন, এতেই আমরা অনেক খুশি। শুধু উনি না, উনার দেখাদেখি আরও চার জন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান বাংলাদেশে আসছেন। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ ও ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানও আসছেন। আমরা এতে খুবই আনন্দিত, ইট শোজ দা হাইট অব ডিপ্লোম্যাটিক ম্যাচুরিটি অ্যান্ড এচিভমেন্ট।’
দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো আলোচনা হবে কি না- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওগুলো বাদ, আমরা যেটা চাই- সেটা হচ্ছে এই যে একটি আনন্দ উৎসব, আমাদের বড় উৎসবে সবাই আসছেন, এতে আমরা আনন্দিত। আর অন্যান্য ছোটখাট জিনিস যেগুলো ভারতের সঙ্গে তো আমাদের যে ধরনের বড় বড় সমস্যা, সব আমরা আলোচনার মাধ্যমেই দূর করেছি। আর যদি কিছু থাকে, সেগুলোও আস্তে আস্তে করব। বাট দিস ইভেন্ট শুড নট বি অ্যান অকেশন ফর রিজলভিং।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যেসব দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা আসছেন না, তারাও বার্তা পাঠিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তারা জানিয়েছেন, আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তীতে তারা আমাদের সাথে আছেন এবং সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর যে উদযাপন এবং উনার যে ত্যাগ, সেগুলো অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।’
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী |
ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার ২৬ জানুয়ারী ভারতের দিল্লীতে বাংলাদেশ সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত ১২২ সদস্যের একটি দল সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি’ ব্যান্ডের তালের সঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নেয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর দলটি। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্যের সমন্বিত কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবু মুহাম্মদ শাহনূর শাওন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারী ভারতের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানায় ভারতের হাইকমিশন।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে এই পর্যন্ত বাংলাদেশসহ মোট ৩টি দেশের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করেছে। সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র বাহিনীর কন্টিনজেন্টের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এই প্রথম।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী#IndianRepublicDay #Bangladesh #BangladeshArmedForces
— Voice of Patiya (@voiceofpatiya) January 26, 2021
ভিডিও : দুরদর্শন ন্যাশনাল pic.twitter.com/2DzfvkpVBY
একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা চায় বাংলাদেশ |
বেসরকারী কলেজে থাকবে না অনার্স-মাস্টার্স : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি |
প্রজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপন