|
শিশু-বয়স্ক-অসুস্থদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ, মাস্ক না পরলে শাস্তি
|
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ করােনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে
করােনায় আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি
বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সুপারিশে কতিপয় বিধি-নিষেধ আরােপ করে
নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তৎপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল
ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদসমূহে জামায়াতের নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে
নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরােধ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধােয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি
রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লীদের কে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে
আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানাে যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ
জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে, মুসল্লীগণ প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে
জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানাের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়ােজিত
ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।
৬. সংক্রমণ রােধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার
রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা
বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা
অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. করােনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বল
আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লীগণ দোয়া করবেন এবং
৯. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলাে বাস্তবায়ন নিশ্চিত
করবেন।