পটিয়ার দর্শনীয় স্থানসমূহ
Tourist Attractions in Patiya
মুসা খাঁ মসজিদ - ১৬৫৮ খ্রিঃ, ১০৬৬ হিজরী সনে শাবান মাসে আজিজ খাঁ মাওলানা হুলাইন গ্রামে এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ইহা প্রাচীণ ঐতিহ্যমন্ডিত একটি দর্শনীয় স্থান।
কুরা কাটনি মসজিদ - হরিণখাইন গ্রামে অবস্থিত।
কালা মসজিদ - কচুয়াই ইউনিয়নে অবস্থিত।
বৌদ্ধ তীর্থ চক্রশালা মন্দির - পটিয়া সদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্বে এর অবস্থান। বৌদ্ধ যুগে চট্টগ্রামের আদি নাম ছিল চট্টলা। তবে এটি চক্রশালা নামেই পরিচিত । পূর্বে এই স্থানে শুধু একটি মন্দির ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। সেই মন্দির এর গায়ে পাথরে খোদাই করে লিখা আছে "ফরাতারা স্থুপ-নবতর সংস্কার - ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দ । এই স্থানে তথাগত বুদ্ধ রেঙ্গুন থেকে আসার পথে অবকাশ যাপন করেন এবং তিনি চংক্রমণ করেছিলেন বলেই এই স্থান টিকে চক্রশালা নামে অভিহিত করা হয়।
ঠেগরপুনি বুড়াগোঁসাই মন্দির - পটিয়া উপজেলা সদর থেকে ৪ কি.মি. দক্ষিণে ঠেগরপুনি গ্রামে এর অবস্থান। এই স্থানটি আরাকান রাজ্যের আরাকান পর্বতমালা অংশ ছিল। আনুমানিক ৩৫০-৪০০ বছর পূর্বে ছান্দামা রাজার আমলে এই স্থানে একটি দীঘি ছিল, এটি ছান্দামা দীঘি নামে পরিচিত ছিল। কালক্রমে উক্ত রাজবংশ বিলুপ্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তা পরিত্যক্ত বনে পরিণত হয়। উক্ত বনের মাটির নীচে চাপা পড়ে প্রাচীন বুদ্ধমুর্তিটি। পরে সেই মূর্তিটি মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করে সেই জায়গাতেই মন্দির নির্মাণ করা হয়।
বুড়া কালী মন্দির - ধলঘাট গ্রামে তৎকালীন জমিদার রাজা রাম দত্ত এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মহিরা ক্ষেত্রপাল - চৈত্র সংক্রান্তির সময় এখানে মেলা বসে। দুই’শ বছর পূর্বে এটি প্রতিষ্ঠিত।
হাইদগাঁও ফোরাচেছী মন্দির - দেড়হাজার বছরের পুরনো হাইদগাঁও ফোরাচেছী মন্দিরের স্থান একসময় আরাকান রাজ্যের আঞ্চলিক সদর দপ্তর ছিলো।
ধলঘাট প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার ট্রাস্ট - বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দাদার পটিয়ার ধলঘাট ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বীবত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ গ্রহণ করে আত্মউৎসর্গ করেন। ধলঘাটে প্রীতিলতার স্মৃতি মন্ডিত বাসস্থান ও তাঁর আবক্ষমুর্তি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র - পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়নে পাহাড়ী এলাকা জুড়ে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং বুদবুদি ছড়া । প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক গ্যাস বুদ বুদ আকারে উঠছে। বিস্তারিত..
প্রাকৃতিক ঝর্ণা - পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের শ্রীমতি খালের উপরিভাগে পাহাড়ী ঝর্ণা ধারা প্রতিনিয়ত বয়ে চলছে। যা দেখতে মনোমুগ্ধকর।
Back To Top
0 comments so far,add yours
Note: Only a member of this blog may post a comment.