"ইউনিয়ন" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
ইউনিয়ন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রাত পোহালেই পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের নির্বাচন; ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; নির্বাচন কমিশন; ইভিএম; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; Union; Election; Up Election; Election Commission; Local Government
রাত পোহালেই পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের নির্বাচন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ রাত পোহালেই পটিয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নির্বাচন। 
২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের - শোভনদন্ডী, বড়লিয়া ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিনাভোটে চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। এসব ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদ সহ বাকি ১২টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে এবং ২টি ইউনিয়ন- হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা ইউনিয়নে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

পটিয়ার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে, কোলাগাঁও, কাশিয়াইশ, আশিয়া, কুসুমপুরা, জিরি, জঙ্গলখাইন, বড়লিয়া, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, হাইদগাঁও, কেলিশহর, কচুয়াই, খরনা, শোভনদন্ডী, ভাটিখাইন, ছনহরা এবং দক্ষিণ ভূর্ষি। 

ইউনিয়নগুলো ১৬০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০০ টি কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। যার মধ্যে কুসুমপুরা, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, জঙ্গলখাইন, ছনহরা, কচুয়াই, হাইদগাঁও, ধলঘাট, খরনা, জিরি, কাশিয়াইশ ও আশিয়া ইউনিয়নের ৫০টি ভোটকেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। নির্বাচন গ্রহণে যতটুক প্রস্তুতি দরকার তা আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। নির্বাচনী সামগ্রীসহ ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে। এলাকাগুলোতে ব্যালট পেপার বন্টন শুরু হয়েছে।’ 

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাত-খুনের মত ঘটনা ঘটেছে। পটিয়া উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণে একটি ভোট উৎসব প্রত্যাশা করা হলেও এটি উৎসবের হবে, নাকি শঙ্কার?? তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন স্থানে পাল্টাপাল্টি এক পক্ষের আরেক পক্ষের উপর হামলা-ভাঙচুরে ভোটের দিন অবাধ, সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থিত প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ ধরনের সহিংসতার জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করেছে। তাছাড়াও আধিপত্য বিস্তার, বহিরাগত প্রবেশ ইত্যাদি নানা কারণে সংঘর্ষ-সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে ঘিরে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থাকে মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পৌঁছানো হচ্ছে। তবে ব্যালট পেপার যাবে ভোটগ্রহণের দিন ভোরে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’
পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সাবেক সভাপতি কাজী ইয়াকুবের মৃত্যুবার্ষিকীতে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলী; অলি আহমদ; কর্ণেল অলি; এলডিপি; LDP; Colonel Oli; পটিয়া; চট্টগ্রাম; জেলা; Patiya; Chattogram; Chittagong
পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সাবেক সভাপতি কাজী ইয়াকুবের মৃত্যুবার্ষিকীতে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলী


ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সাবেক সভাপতি মরহুম কাজী মোহাম্মদ ইয়াকুব এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পটিয়া এলডিপির নেতাকর্মীরা।

গত ০৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পটিয়া উপজেলা ও পটিয়া পৌরসভা এলডিপির নেতাকর্মীদের উদ্যোগে কচুয়াই ইউনিয়নাধীন মরহুমের কবরে কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভা এলডিপি নেতা নজরুল ইসলাম, আসিফ হুদা, শাহ আলম, পটিয়া উপজেলা এলডিপি নেতা খোরশেদ আলম, গণতান্ত্রিক যুবদল পটিয়া পৌরসভার সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান, গণতান্ত্রিক যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলী, নাঈম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল নেতা তানিম, ইরফান, মিনহাজ, রবি প্রমুখ।

নেতাকর্মীরা মরহুম কাজী ইয়াকুবের দলের প্রতি অবদান ও তাঁর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় পটিয়া পৌরসভা এলডিপি নেতা আসিফ হুদা বলেন, ‘বাংলার রাজনীতির চাণক্য ডক্টর কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম এলডিপি প্রতিষ্ঠা করে যে রাজনীতির ধারার সূচনা করেছিলেন সেই রাজনীতিকে পটিয়ায় ধরে রাখতে কাজী ইয়াকুব এর অবদান অনস্বীকার্য।’
নতুন গ্যাসকূপের সন্ধানে বাপেক্স, পটিয়ার বুদবুদিছড়াও রয়েছে তালিকায়; বুদবুদিছড়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
নতুন গ্যাসকূপের সন্ধানে বাপেক্স, পটিয়ার বুদবুদিছড়াও রয়েছে তালিকায়

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাসের সন্ধানে মাটির গভীরে যেতে চায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী (বাপেক্স)। 

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যান্য স্পটগুলোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট ৪টি স্পটে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে বাপেক্স এসব স্পটে ত্রিমাত্রিক জরিপ সম্পন্ন করেছে। জরিপের ফলাফলে, ভূপৃষ্ঠের পাঁচ কিলোমিটার গভীরে আরও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে বাপেক্স। তালিকায় রয়েছে পটিয়ার বুদবুদিছড়াও।

চট্টগ্রামের পটিয়া বুদবুদিছড়া, সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালংয়ে ইতিমধ্যে গ্যাসের অবকাঠামো রয়েছে। এসব এলাকায় ত্রিমাত্রিক জরিপে, ভূপৃষ্ঠের প্রায় পাঁচ হাজার মিটার নিচে খনন করলে কমপক্ষে ১.৬ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট (TCF) গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। এসব স্পটগুলোতে দ্রুত অনুসন্ধান শুরুর কথা ভাবছে বাপেক্স। 

বৃহত্তর চট্টগ্রামে গ্যাস উত্তোলনের জন্য ছয় দশক পূর্ব হতে অন্তত চারটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা ছিল। এগুলো হচ্ছে পটিয়ার বুদবুদিছড়া, বাঁশখালীর জলদি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সীতাপাহাড় ও কাসালং। 

ব্রিটিশ আমলে বৃহত্তর পটিয়ার হাইদগাঁও পাহাড়ী এলাকার শ্রীমাই বুদবুদিছড়া নামক স্থানে একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। একটি বিদেশী কোম্পানী ওই গ্যাসকূপ খনন করার কাজ শুরু করে। কিন্তু তখন ওই এলাকা দুর্গম এবং নিরাপত্তাহীন হওয়ার অজুহাতে কাজ বন্ধ করে দেয় তারা।
এরপর ১৯৫৫ সালে বুদবুদিছড়া এলাকায় আবারও জরিপ চালিয়ে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তৎকালীন বার্মাহ অয়েল কোম্পানী নামের একটি বিদেশী গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানী ওই এলাকায় গ্যাস উত্তোলনের জন্য কূপ খনন করে। কিন্তু পরবর্তীতে নানা অজুহাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্যাসকূপের নাভীপথে সীসা ঢালাই করে ওই কূপ বন্ধ করে দেয়। এরপর কয়েকদফা ওই গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং সদিচ্ছাগত কারণে ওই কূপ হতে গ্যাস উত্তোলনের কাজ আর এগোয়নি। এখনও হাইদগাঁও বুদবুদিছড়া এলাকা ছাড়াও শ্রীমাই খাল তীরবর্তী পাহাড়ী ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিনিয়ত নির্গত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। মাটিতে দিয়াশলাই জ্বালালে জ্বলছে গ্যাস। 

পটিয়ার বুদবুদিছড়া এলাকা ছাড়াও ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাঁশখালীর জলদি এবং আশির দশকে সীতাপাহাড়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালংয়ে তৈরি করা হয় গ্যাসকূপ খননের অবকাঠামো।

বিগত কয়েক দশকজুড়ে চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস অনুসন্ধান করার জন্য বেশ কয়েকদফা এতদঞ্চলের জনগণ দাবি উত্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাপেক্স নতুন করে গ্যাসকূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করলো।
পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি; পটিয়া বাইপাস; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প; পটিয়া লবণ শিল্প; চাঁনখালী খাল; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Patiya Bypass; Chittagong-Coxsbazar Highway; Chittagong; Chattogram; Highway; Patiya Salt industry
পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের ডাকাতি। আজ রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২.৩০টার সময় পটিয়া বাইপাস সড়কের ভাটিখাইন ইউনিয়নাধীন বাকখালী বড়ুয়ার টেক সম্মুখ এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সদস্যরা বসতি এলাকা থেকে ৩ টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। মসজিদের মাইকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই গরুচোর ডাকাতদলের সদস্যরা কমলমুন্সির হাটের দিকে পালিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ডাকাত দলের কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি।

দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া বাইপাস সড়কে দিনে-দুপুরে কিশোর গ্যাংয়ের চুরি-ছিনতাই, রাতে ডাকাতদলের উৎপাতে আতঙ্কগ্রস্থ বাইপাস সড়ক সংলগ্ন বসতির এলাকাবাসীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এখন অবধি এই এলাকা চোর-ডাকাতদের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এলাকাবাসী উক্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ফুলের মালায় সিক্ত বিশ্বকাপজয়ী দিপু, ফুলের মালায় বরণ করা হলো বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; ঢাকা; টাঙ্গাইল; সন্তোষ; আওয়ামী লীগ; মুসলিম লীগ; ভাসানী নভোথিয়েটার; আসাম; পশ্চিমবঙ্গ; লংমার্চ; ফারাক্কা; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ফুলের মালায় সিক্ত বিশ্বকাপজয়ী শাহাদাত হোসেন দিপু

ভয়েস অব পটিয়া-
নিউজ ডিস্কঃ
 বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য পটিয়া’র গর্ব শাহাদাত হোসেন দীপু সিক্ত হয়েছেন এলাকার মানুষের ভালোবাসায়। 
গলায় ফুলের মালা, মিষ্টিমুখের মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয়েছে ক্রিকেটের এই বরপুত্রকে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর এলাকার বাসায় ফেরার সময় এ দৃশ্যের অবতারণা হয়। 

দিপুর গ্রামের বাড়ি ঐতিহ্যবাহী পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই গ্রামে হলেও বাবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরির সুবাদে তাদের পুরো পরিবার চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর এলাকায় রয়েছেন ১৯৮৩ সাল থেকেই। সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় দীপু বলেন, গত দুই বছর ধরে ভালো খেলছিলাম। আমাদের সবার লক্ষ্যই ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়া।  আমরা ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে গেলাম। এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলেছি। সেই ফাইনালে ৫ রানের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর পরের ম্যাচে জয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ফাইনালে জয়ের পর আমরা সবাই খেলোয়াড়রা স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ছিলাম। আমাদের কোচিং স্টাফও যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছেন। এরকম কোচিং স্টাফ পাওয়া সত্যি খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা সবাই খুব ভালো একটা টিম হিসেবে খেলেছি। আমার খেলাধূলায় আজকের এ অবস্থানে আসার পিছনে মা ফেরদৌস বেগম, বড় ভাই আবুল হোসেন বাবু আর দুলাভাই ছিলেন পাশে। পাড়ার ভাই সুদীপ্ত আমাকে ইস্পাহানী ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দেন। সবসময় তিনি আমাকে সাহস ও সমর্থন দিয়ে গেছেন। আমিও সাকিব ভাই, তামিম ভাইদের মতো লিজেন্ড হতে চাই, ওয়ার্ল্ডের ১ নম্বর অলরাউন্ডার হতে চাই, চাই দেশের সেরা ব্যাটসম্যানের একজন হতে। 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশের যুবারা। শাহাদাত হোসেন দীপু স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেছেন ৭৪ রানের ইনিংস। এবারের যুব বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে এক হাফ সেঞ্চুরিতে মোট রান করেছেন ১৩১। হাঁকিয়েছেন ১১ চার ও ১ ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ৭৪। 

ফুলের মালায় বরণ করা হলো বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; ঢাকা; টাঙ্গাইল; সন্তোষ; আওয়ামী লীগ; মুসলিম লীগ; ভাসানী নভোথিয়েটার; আসাম; পশ্চিমবঙ্গ; লংমার্চ; ফারাক্কা; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ফুলের মালায় বরণ করা হলো বিশ্বকাপজয়ী যুবাদের

ভয়েস অব পটিয়া
-ন্যাশনাল ডেস্কঃ 
বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরলো যুবারা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষে বাংলার বিশ্বচ্যাম্পিয়ানরা দেশে ফিরেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে অনূর্ধ্ব -১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলটিকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। 
বিমানবন্দরে আকবরদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার পর বিসিবিতে দেয়া হয় সংবর্ধনা। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে বহনকারী বিমানকে টার্মিনালে দেয়া হয়েছে ওয়াটার স্যালুট।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে সেজেছে ক্রিকেট বোর্ড। বিমানবন্দর থেকে ক্রিকেটাররা রওনা দেয় মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিসিবিতে পৌঁছেছে আকবর আলীদের বহনকারীদের বাসটি। এখানে ক্রিকেটারদের লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে ক্রিকেটারদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কেক কাটা হবে। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে আতশবাজি ফুটানো হবে। এই উপলক্ষ্যে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন হাজার হাজার দর্শক। মিরপুরে কেক কাটার পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন শিরোপাজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী। সংবাদ সম্মেলন শেষে অধিকাংশ ক্রিকেটার রাতে জাতীয় একাডেমিতেই অবস্থান করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যাবেন তারা।

বিশ্বকাপজয়ী বীরদের এক নজর দেখার জন্য ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমান হাজারো ক্রিকেটপ্রেমীরা। শুধু বিমানবন্দরেই নয়, মিরপুরে স্টেডিয়ামের বাইরেও জড়ো হয়েছেন। বিমানবন্দর থেকে মিরপুর পুরো সড়কজুড়েই রাস্তার পাশে দেখা যায় উৎসুক জনতার ভীড়। দেশকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ এনে দেয়ায় ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাতেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এভাবে জড়ো হয়েছেন। এসময় ক্রিকেটপ্রেমীদের ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গত রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পোচেফস্ট্রুমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে চারবারের বিশ্বকাপজয়ী ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জয়লাভ করে বাংলাদেশ।

পটিয়ার কিশোর গ্যাং লিডার ছিনতাইকারী ‘কিং সরশ’ জেলে; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবিঃ কিশোর গ্যাং লিডার ছিনতাইকারী সরওয়ার ওরফে ‘কিং সরশ’ 

ভয়েস অব পটিয়া
-নিউজ ডেস্কঃ
পটিয়ায় ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা ‘কিশোর গ্যাং’ লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে (২২) জেলে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বেশর সিং তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। 

সরওয়ার ওরফে কিং সরশ পটিয়া উপজেলার দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৌলভী রফিক আহমদের বাড়ির ফজল করিমের ছেলে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধ্যায় উপজেলার খানমোহনা এলাকা থেকে মোবাইল ছিনতাই এর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ কিশোর গ্যাং লিডার কিং সরশকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) বোরহান উদ্দিন জানান, ‘গ্রেপ্তারের পর ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। তাকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র কৌশলে ছিনতাই করে আসছিলো। এসব ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।’

দেখুন >> পটিয়ায় কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার  
                 পটিয়া পৌরসভার ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং গ্রুপ

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার এলাকায় জায়গা পরিদর্শন করতে যান পটিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সার্ভেয়ার রবিন দাশ। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের কেচিয়াপাড়া বিনি ডাক্তারের বাড়ির সামনের রাস্তায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য সার্ভেয়ার রবিনের পথরোধ করে। তারা সার্ভেয়ার রবিনকে ডিশের তার দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা রবিনের সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সার্ভেয়ার রবিন দাশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় খানমোহনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য কিশোর গ্যাং লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কিং সরশের শয়নকক্ষ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পটিয়া সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে থাকুন।
পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেফতার; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ছিনতাইয়ের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু (২০) নামের এক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। 
গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম বাবু চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, মোঃ শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি গত ৩০ নভেম্বর বিকালে হাইদগাঁও ইউনিয়নের ওসমানপাড়া এলাকা থেকে ডেকোরেশনের কাজ শেষ করে দোকানে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কয়েকজন ছিনতাইকারী তাকে কুপিয়ে সাথে থাকা ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। 
এ ঘটনায় আহত মোঃ শাহজাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হল মোঃ সজিব (২০), মোঃ কাইয়ুম (২৩) ও মোঃ জাহেদ (২০)। 

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জব্বারুল ইসলাম জানান, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম বাবু নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ছিনতাইয়ে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
টাকার বিনিময়ে পটিয়ায় রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক!; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; রোহিঙ্গা; Patiya; Chittagong; Chattogram; Rohingya; Refugee
টাকার বিনিময়ে পটিয়ায় রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা বনে যাচ্ছে বাংলাদেশী নাগরিক! উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের সহযোগীতায় রোহিঙ্গাদের মিলছে জাতীয়তা সনদপত্র। 

আছমিদা আকতার নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া এসব সনদপত্র নিয়ে ভোটার হতে ইউনিয়ন পরিষদে ছবি তুলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই মহিলা। 

সূত্র জানায়, পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নাধীন ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগম ও ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সালের সহযোগীতায় রোহিঙ্গা নারীর পরিচয় আছমিদা আকতার, পিতা- মোঃ আমির হোসেন, সাং-পূর্ব বাড়ৈকাড়া, পোষ্ট অফিস- মৌলভী হাট উল্লেখ করে জাতীয়তা সনদপত্র, জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন বড়লিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত ওই সনদগুলো মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের তদন্তের প্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানুর স্বাক্ষরিত একটি জাতীয়তা সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। 

ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ ফয়সাল ও মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরা বেগমের সহযোগীতায় মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২৭ এপ্রিল ২০১৭ সনে ওই রোহিঙ্গা নারীর জন্য জন্মসনদ ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়, যার প্রেক্ষিতে তাকে ভোটার হওয়ার ব্যবস্থা করে ছবি তুলার জন্য বোরকা পড়ে তারা ওই মহিলাকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন।
বৃহস্পতিবার ওই রোহিঙ্গা মহিলা ভোটার হতে আসলে ছবি তোলার সময় উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মফিজ মেম্বার তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে জ্ঞিজ্ঞাসাবাদে  রোহিঙ্গা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌস আরার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি মেয়েটির বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে বলে দাবি করেন। 
ওই রোহিঙ্গা মহিলাকে শাহগদী মাজারবাড়ির কাশেমের বোন হিসেবে পরিচয় করে দেয়া হয় এবং ভোটার হতে আসলে তাদের পরিবারের সদস্যদের আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে সংযুক্ত ছিল যা ইতিপূর্বে টাকার বিনিময়ে নিয়ে দেয়া হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম শানু বলেন, ‘আমার এক মহিলা মেম্বার তথ্য গোপন করে ওই রোহিঙ্গা নারীকে জাতীয়তা সনদপত্র দেয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করেছে। ভোটার হতে এসে ওই মহিলার কথাবার্তায় অসংগতি দেখা দিলে আমার সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার শ্বশুর বাড়ি আমার এলাকায় এবং সে আমার এলাকার এক পুরুষকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে।’
টাকার বিনিময়ে সনদ ইস্যু করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টা মিথ্যা বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Flood; Voice of Patiya; Patiya; Chittagong; Chattogram;
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্লাবনে ভেসে গেছে বসতবাড়িসহ প্রায় দুশতাধিক পুকুরের মাছ। রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ প্লাবণের ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, খরনা, ভাটিখাইন, ছনহরা, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, জিরি, কুসুমপুরা, আশিয়া, কোলাগাঁও ছাড়াও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। 

প্রবল বৃষ্টির কারণে উপজেলার অধিকাংশ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের অনেক বসতঘর ভেসে গিয়েছে। পানিতে আটকা পড়েছেন অনেকে। পানিতে আটকা পড়াদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সঠিক সময়ে বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা শুরু করতে পারেনি আমন ধানের চাষাবাদ। তবে অনেক কৃষক আমন চাষাবাদের বীজ রোপণ করলেও অতি বৃষ্টির ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
কচুয়াই ইউনিয়নাধীন শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। বেড়িবাঁধের ভাঙনের ফলে ভাটিখাইন, ছনহরা ও কচুয়াই ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে যায়, টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরিমধ্যে পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। বুধবার সকাল থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি হয়েছে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। পুকুর থেকে ভেসে যাওয়া মাছ ধরতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিযোগিতায় মেতেছেন। উপজেলা ও পৌর এলাকার অনন্ত দুশতাধিক পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানিতে ভেসে গেছে। 

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। শ্রীমাই খালের ভাটিখাইন এলাকার দুইটি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; শ্রীমাই খালের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রীমাই এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা সংগ্রহ করার কাজ চলছে।’ 
কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পুরো কচুয়াই ইউনিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’  

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশু পাইকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকা পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেন।

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ত্রাণ বিতরণ;ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

ইতিমধ্যে ভাটিখাইন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রাণের আওতায় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। 

পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন; পটিয়া; চট্টগ্রাম; খাল দূষণ; ফুলকলি; সার্জেন্ট মহি আলম খাল; পরিবেশ; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণরোধে মানববন্ধন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন সার্জেন্ট মহি আলম খালে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ফলে সৃষ্ট দূষণ বন্ধের দাবীতে গতকাল (শুক্রবার, ০৫ জুলাই) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া শাহগদী মার্কেট চত্বরে ‘ক্লিন বাংলাদেশ’ সংগঠনের ব্যানারে সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সার্জেন্ট মহি আলম খালের দূষণ রোধে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন খালে বন্ধের দাবী জানান।

এতে বক্তারা বলেন, পটিয়ার বেশ কয়েকটি শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে সরাসরি খালে নিষ্কাশনের ফলে খাল সংলগ্ন আবাদি জমিগুলোতে প্রায় ৮ বছর ধরে বোরো ফসলের চাষ হয়না। শিল্প-কারখানার এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। শিল্প-কারখানার এসব বর্জ্যের প্রভাবে ফসলি জমির সেচের পানি দূষিত হওয়ার প্রভাবে উপজেলার তিন শতাধিক একর ধানি জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। খালের পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে যা ওই এলাকার পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিনিয়তই এসব বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ছে। শিল্প-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে পানি দূষিত করে তুললেও পরিবেশ অধিদপ্তর অজানা কারণে নীরব। 

জোয়ার-ভাটার এই খালটির সঙ্গে চাঁনখালী, বোয়ালখালী খাল ও কর্ণফুলী নদীর সংযোগ রয়েছে। এর ফলে জোয়ার ও ভাটার সময় বিষাক্ত বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশছে। দূষিত পানির কারণে খালে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাবে সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানি নষ্ট হয়ে নীল ও কালচে রং ধারণ করছে ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধের প্রভাবে খালের আশপাশের বাড়িঘর, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বহু মসজিদের মুসল্লিরা নামাজ পর্যন্ত আদায় করতে পারছেন না। খালের পাশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রীকে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে। 

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্বে পটিয়া উপজেলার আমজুর হাট মোড় থেকে শুরু করে মনসা বাদামতল এলাকার প্রায় ১৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তীর্ণ সার্জেন্ট মহি আলম খাল। এই খালের পানি দিয়ে উপজেলার উজিরপুর, নাইখাইন, গৈড়লা, লড়িহরা, দক্ষিণ হুলাইন, এয়াকুবদন্ডী, তিয়ারকুল, উজিরপুর, উনাইনপুরা ও পৌরসভার আল্লাই এলাকার কয়েকশ কৃষক ধানি জমিতে প্রতি মৌসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। খালের সম্মুখে গড়ে উঠা শাহ আমানত নিটিং এ্যান্ড ডাইং, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসের বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি খালে ছেড়ে দেয়ার কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খালের পানি পরীক্ষা করে পানি দূষিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। খালের এই পানি দিয়ে বোরো চাষাবাদ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন যারা এই রুট দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করেন তাদের গৈড়লার মোড় হতে বাদামতল এলাকা পর্যন্ত পানির বাজে দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়।

এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে শিল্প-কারখানার বর্জ্য খালে নিষ্কাশন বন্ধের দাবী জানান। তারা এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সাংসদ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কোরবানি সামনে রেখে পটিয়ায় গরুচোরদের উৎপাত, নির্ঘুম খামারিরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; ইউনিয়ন; জিরি; কুসুমপুরা; বড়লিয়া; আশিয়া; কাশিয়াইশ; জঙ্গলখাইন; কোরবানি; গরু; খামার; Patiya; Chittagong; Chattogram
কোরবানি সামনে রেখে পটিয়ায় গরুচোরদের উৎপাত, নির্ঘুম খামারিরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পটিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু চোরচক্র। উপজেলা-পৌরসদরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। পটিয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত একমাসে বিভিন্ন কৌশলে গরু চুরির ঘটনায় দশ চোর গ্রেপ্তার ও চারটি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া মালিক খুঁজে না পাওয়ায় বর্তমানে পটিয়া থানায় একটি গরু ও একটি মহিষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।

জানা যায়, পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের একটি ফার্ম থেকে ছয়টি গরু চুরির পর থেকে খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গরু চোরের ভয়ে খামারি ও এলাকার লোকজন রাতে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন। পাশাপাশি গরু চোরদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশের হাতে আটক হওয়া আল ওয়ালী খামারের নৈশপ্রহরীর কাছ থেকে গরু চোরদের সম্পর্কে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গরু চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন খোদ গরু ব্যবসায়ীর পুত্র তৌহিদ। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কটি পটিয়া উপজেলা সদর দিয়ে যাওয়ার কারণে চোরেরা গরু চুরি করে তা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। আসন্ন কোরবানি ঈদে বিক্রি করার জন্য পটিয়ার জিরি ইউনিয়নে আল ওয়ালী খামার ২৩টি গরু মোটাতাজা করে। তারা আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে গত ২৫ মে ১৪টি গরু ১৬লাখ ৬০হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তিতে ক্রয় করেন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকার মধ্যে গত ঈদ-উল-ফিতরের আগের দিন আরো সাড়ে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের পর দিন রাতেই খামারের ১২ লাখ টাকার মূল্যের ছয়টি ষাঁড় গরু চুরি হয়। এ বিষয়ে খামারিরা পটিয়া থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ নৈশপ্রহরী মো. ইসহাককে আটক করে। নৈশপ্রহরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করে রাতে ছয়টি গরু আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে নৈশপ্রহরী ইসহাক ও গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ জেলও খেটেছে। 

খামারি আবদুর রহমান আনোয়ার বলেন, ‘হঠাৎ করে পটিয়ায় গরু চুরি বেড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও ১৫ দিনেও তাদের গরু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘গরু চোরদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে একজন নৈশপ্রহরী, গরু ব্যবসায়ীর পুত্রসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে থানায় একটি গরু ও একটি মহিষ রয়েছে। মালিক খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশ এসব গরু ও মহিষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। চুরি বন্ধে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন ওসি বোরহান উদ্দিন।’
পটিয়ায় গরীব-দুস্থদের মাঝে কেডিএস গ্রুপের ঈদবস্ত্র বিতরণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; ইউনিয়ন; জিরি; কুসুমপুরা; বড়লিয়া; আশিয়া; কাশিয়াইশ; জঙ্গলখাইন; শীতবস্ত্র; সহায়তা; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় গরীব-দুস্থদের মাঝে কেডিএস গ্রুপের ঈদবস্ত্র বিতরণ

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প ও রপ্তানিকারক গ্রুপ কেডিএস গ্রুপের উদ্যোগে পটিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার গরীব-দুস্থদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 
আজ রবিবার (০২ জুন) সকালে কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের গ্রামের বাড়ি পটিয়ার জিরি সাঈদাইর এ এসব ঈদবস্ত্র প্রদান করা হয়। ঈদবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপজেলার জিরি, কুসুমপুরা, বড়লিয়া, আশিয়া, কাশিয়াইশ ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের প্রতিজনকে নগদ টাকা, শাড়ি, লুঙ্গি ও গেঞ্জি প্রদান করা হয়।

কেডিএস গ্রুপ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ‘যাকাত কোন করুণা নয়, এটি গরীবের প্রাপ্য অধিকার। বিত্তশালীরা যদি দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে যাকাত প্রদানে এগিয়ে আসে, তাহলে দেশে আর কোন গরীব থাকবে না।’
কান্ত কাজীর বাড়ী প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের গরীব দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; প্রবাসী; ইউনিয়ন; শোভনদন্ডী; সংবাদ; Patiya; Chittagong; Chattogram
কান্ত কাজীর বাড়ী প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের গরীব দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রশিদাবাদ কান্ত কাজীর বাড়ী প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে ৩য় বারের মত গত ০৫ রমজান ১৪৪০ হিজরী (১১ মে ২০১৯ ইং শনিবার) বিকাল ৪ ঘটিকায় সমাজের গরীব ও দুস্থ শতাধিক পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-অর্থ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক নূর উদ্দিন সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ। উক্ত ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আর্থিক সহযােগিতা করেন প্রবাসী মােঃ ইসমাইল, মােঃ এমদাদুল হক, মােঃ শহীদুল হক, হাবিবুর রহমান, মােঃ এনামুল হক, মােঃ মুছা, মােঃ সােহেল, মােঃ শাহাদাত হােসেন, মােঃ আহমদ দ্বীন, মোঃ মহিউদ্দীন, মােঃ রুবেল, মােঃ রাশেদুল ইসলাম, মােঃ ইসহাক, মােঃ হারুন, মােঃ আব্দুস শুকুর, মােঃ মহিউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মোঃ মামুন, মোঃ ফোরকান, মােঃ আমিন, আলী আক্কাস, আমজাদ হােসেন, লােকমান রােমান, মােঃ রুবেল, কামরুল ইসলাম, মােঃ লিটন, নিখিল, মােঃ রফিক, নূর হাসান পিন্টু, মােঃ এরশাদ, মােঃ নূর উদ্দিন, মােঃ মাঈনুদ্দীন প্রমুখ। 

উল্লেখ্য যে, সংগঠনের সভাপতি মােঃ মুছা “আল লেমছা আল ছেহেরিয়া রেষ্টুরেন্ট” শারজাহ এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহযােগিতা প্রদান করেন। উক্ত সংগঠনটির মাধ্যমে বিগত তিন বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে সমাজের গরীব ও দুস্থ পরিবারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, কন্যা বিয়ে, অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা খরচ ও গরীব ছেলে-মেয়েদের পবিত্র কুরআন শিক্ষার জন্য ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। 

এ ধরনের মহৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসী ভাই ও সমাজের বিত্তবানদের  সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরােধ জানানাে হয়।
পরিবেশ দূষণের দায়ে ফুলকলিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা | Voice of Patiya; পটিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে পরিবেশ দূষণের দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর।

বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) অকার্যকর রেখে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য পার্শ্ববর্তী খালের মাধ্যমে নদী দূষণের দায়ে বুধবার (২৭ মার্চ) এ জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন এর নেতৃত্বে পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন নাইখাইন এলাকায় অবস্থিত ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফ্যাক্টরী পরিদর্শন করে পরিবেশ দূষণের প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ইটিপি অকার্যকর রেখে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে বর্জ্য পার্শ্ববর্তী সার্জেন্ট মহিউল আলম খালে নির্গমন করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে আসছিল। খালে নির্গমন করে খালের পানি দূষণ করায় ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে এক মাসের মধ্যে ইটিপি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।’

পটিয়ায় অজ্ঞাত রোগে মরছে ফার্মের মুরগী, রোগাক্রান্ত মুরগী কমদরে বিক্রির অভিযোগ; পটিয়া; ইউনিয়ন; আশিয়া; মুরগী; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় অজ্ঞাত রোগে মরছে ফার্মের মুরগী, রোগাক্রান্ত মুরগী কমদরে বিক্রির অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ায় অজ্ঞাত রোগে মরছে বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মের মুরগী। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এতে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেক খামারি বলে জানা যায়। 
অভিযোগ উঠেছে, খামারিরা লোকসান পুষিয়ে নিতে রোগাক্রান্ত প্রতিটি মুরগী ৫০ টাকা দরে গ্রামের লোকজনের কাছে বিক্রি করছে। 

এদিকে প্রতিদিন এক ফার্ম থেকে অন্য ফার্মে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 
উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নাধীন পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকার বেশ কয়েকটি ফার্মের মুরগী মারা গেছে। একের পর এক ফার্মে অজ্ঞাত এ রোগ ছাড়াচ্ছে। এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুরগী মারা গেছে শুধু আশিয়া ইউনিয়নে। অজ্ঞাত রোগে মুরগী মারা যাওয়ায় এ শিল্পে ধস দেখা দিয়েছে। রোগ নির্ণয় করতে না পারায় ফার্মের মুরগীর মৃত্যু থামানো যাচ্ছে না। এতে ফার্ম মালিকরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে বলে সূত্র জানায়। 

ক্ষতিগ্রস্ত ফার্ম মালিকরা জানান, বেশিরভাগ ফার্মের মুরগী হলুদ রং-এর মল ত্যাগ করে এক থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। কিছু কিছু ফার্মের মুরগী প্রথমে ঝিমাচ্ছে, খাবার খাচ্ছে না। এসব মুরগী সাদা ও রক্তমাখা পাতলা মল ত্যাগ করে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। ফার্ম মালিকদের ধারণা, বার্ড ফ্লুর মতো কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে এসব মুরগী মারা যাচ্ছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগাক্রান্ত এসব মুরগী প্রতিটি ৫০ টাকা দরে গ্রামের লোকজনের কাছে বিক্রি করছে খামারিরা। এ কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে- এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া কিছু ফার্মের মালিক মরা মুরগী মাটিচাপা না দিয়ে বিভিন্ন স্থানে উন্মুক্তভাবে ফেলে রাখছে। যার ফলে গৃহপালিত ছাড়াও বিভিন্ন পশু-পাখি এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ফার্মের মালিকদের অবহেলা ও সময়মত ভ্যাকসিন না দেয়ায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। নিয়মিত ভ্যাকসিন না দিলে আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়ে ঠান্ডা-গরম এবং ধূলোবালিতে আক্রান্ত হয়ে মুরগীর মধ্যে সিআরডি, সিসিআরডি এবং রাণীক্ষেত রোগের সংক্রমণ ঘটে। হয়ত এসব ফার্মের মুরগীর বেলায় তাই ঘটেছে। 

ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ তারেক জানান, তিনি কয়েকটি মুরগী দেখেছেন। এতে তার মনে হয়েছে বার্ড ফ্লু নয়, এসব মুরগী অবহেলার কারণে রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ভ্যাকসিন দেয়া না হলে এবং রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথ নিয়মে না হলে এই আবহাওয়ায় এমন রোগের প্রকোপে আক্রান্ত হতে পারে।
পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে খালে ব্রীজ নির্মাণ, ক্ষতির আশঙ্কায় কয়েকশ একর বোরো ফসল; পটিয়া; ইউনিয়ন; খাল; বড়লিয়া;  চাষাবাদ; বোরো; ধান; কৃষক; বাম্পার ফলন; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে খালে ব্রীজ নির্মাণ, ক্ষতির আশঙ্কায় কয়েকশ একর বোরো ফসল

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নে জোয়ার-ভাটার খালে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে ব্রীজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। ক্ষতির আশঙ্কায় কয়েকশ একর বোরো ফসল। 
উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ওকন্যরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামানের বাড়ির পাশে কাটাখালী খালে একটি ব্রীজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে খালের উপর বাঁধ স্থাপনের মাধ্যমে পানি প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। সেচের পানি চলাচলের কোন ব্যবস্থা না রেখে ব্রীজ নির্মাণের জন্য বাঁধ দেয়া হলে কয়েকশ একর জমিতে রোপিত বোরো ফসলে সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এর ফলে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বড়লিয়া, কর্তালা, পূর্ব বাড়ৈকারা, পশ্চিম বাড়ৈকারা, বেলখাইন, ওকন্যরা সহ আশপাশের এলাকায় বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। 

ইতোমধ্যে বিষয়টি পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ হলে কৃষকদের চাষকৃত বোরো ফসল নষ্টের আশঙ্কা। জোয়ার-ভাটার খালের পানি আটকে রাখার চেষ্টার ঘটনায় শুক্রবার সকালে এলাকার কৃষকরা বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অধীনে বড়লিয়া ইউনিয়নের ওকন্যরা গ্রামে কাটাখালী খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মানাধীন ব্রীজের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে রয়েছে শত শত একর ফসলি জমি। ব্রীজ নির্মাণের জন্য উক্ত খালে বাঁধ স্থাপনের ফলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে ওই এলাকার পানি সেচের জন্য স্থাপিত প্রায় ১২টি স্কীম বন্ধ হয়ে বোরো চাষাবাদ বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। 

এ ব্যাপারে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কাটাখালী খালটি চানখালী কেরিঞ্জা খালের সঙ্গে যুক্ত। জোয়ার-ভাটার এই খালের পানি দিয়ে অত্র এলাকার কৃষকরা ইরি, বোরো মওসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। ব্রীজ নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদার খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে কৃষকের বোরো চাষাবাদে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে কৃষক মোঃ আবু হাজী, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুস ছত্তার ও স্কীম ম্যানেজার মো. রফিক পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, ব্রীজ নির্মাণের ঠিকাদার খালের পানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে নিজের ইচ্ছেমত কাজ করার অপচেষ্টা করছে। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

পটিয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল হোসেন বলেন, কৃষকের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ ঠিকাদারকে করতে দেওয়া হবে না। জনগণের জন্য ব্রীজ নির্মাণ করাও জরুরী। খালের পানি নিয়ে কৃষক যাতে বোরো চাষাবাদ করতে পারেন সে ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান করবেন বলে তিনি জানান। 

এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকেরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী’র সাথে সাক্ষাত করে তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বিষয়টি তদারকি করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন বলে সূত্র জানায়।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পটিয়ার শাওনের ‘কিউটিপি’ ফর্মুলা; প্রশ্নফাঁস; পটিয়া
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পটিয়ার শাওনের ‘কিউটিপি’ ফর্মুলা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পাবলিক পরীক্ষায় দেশব্যাপী যখন প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা, তখন পটিয়ার সন্তান শাওন তা প্রতিরোধে একটি ফর্মুলার কথা ভেবেছেন। সেটির নাম দিয়েছেন ‘কুইক ট্রেসিং প্রিন্ট’ (কিউটিপি)। গত ফেব্রুয়ারী মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার ফর্মুলার বিস্তারিত জানান।

রকিবুল ইসলাম শাওন; থাকেন পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ ১নং ওয়ার্ডে। স্থানীয় একটি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। সামনে জেএসসি পরীক্ষা; বিগত কয়েকবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারটা ‍উড়িয়ে দেয়া যায় না। 

শাওন জানান, প্রশ্নফাঁসের কারণে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সরকার পড়েছে সমালোচনার মুখে। লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। একজন ছাত্র ও দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে তাকেও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা খুবই পীড়া দেয়। আর এ জন্যই তিনি চান, প্রশ্নফাঁস বন্ধ হোক। আর এ চিন্তা থেকেই তার মাথায় একটি আইডিয়া আসে। তার দাবি, ফর্মুলাটি যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে প্রশ্নফাঁসের সম্ভবনা শূন্য শতাংশে চলে আসবে। তিনি চান, সরকার তার ফর্মুলাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহণ করুক।

রিপোর্টার: আপনার ফর্মুলার বিস্তারিত জানতে চাই।

শাওন: দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদরা সরকারকে একটি সুপারিশ দিয়েছেন। তারা ওই সুপারিশে বলেছেন, পরীক্ষার দিন সকালে, পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে পরীক্ষাকেন্দ্রেই প্রশ্নপত্র ছাপতে হবে। আর সেই প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হবে। আমার ফর্মুলাটি এখান থেকেই শুরু, কিন্তু কিছুটা ভিন্ন পন্থায়। আমিও চাই প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রেই ছাপানো হোক। তবে কোনও ইলেট্রনিক প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে নয়। প্রিন্টার বা ফটোকপি মেশিনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেও প্রিন্টার হঠাৎ বিগড়ে যেতে পারে। দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎও নেই। আর এ কারণে আমার ফর্মুলা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই বললেই চলে। পরীক্ষার দিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে প্রশ্নপত্র সার্ভার থেকে ডাউনলোড ও একবার প্রিন্ট করতে যতটা সময় বিদ্যুৎ থাকা প্রয়োজন ততটা সময় এবং সেই প্রশ্নপত্র ট্রেসিং ফ্রেমে সংযোজন করতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট বৈদ্যুতিক আলো বা রোদের উত্তাপ হলেই চলবে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ লাগবে। ওই সময়ের জন্য সৌরবিদ্যুৎ বা আইপিএস হলেও চলবে।

রিপোর্টার: কিভাবে কাজ করবে আপনার কিউটিপি ফর্মুলা?

শাওন: প্রিন্টার মেশিন বা ফটোকপিতে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করতে যত সময় লাগবে সেই একই সময়ে আমার এ ফর্মুলায় সব প্রশ্নপত্র ছাপানো সম্ভব। এতে বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি যে সুবিধা হবে তা হলো সরকারের কোটি কোটি টাকা বাঁচবে। প্রশ্নফাঁসও হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বা বোর্ডে অটোমেশন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন হবে পরীক্ষার আগেরদিন রাতে অথবা পরীক্ষার দিন ভোরে। সেই প্রশ্নপত্রটি সকালে পরীক্ষা শুরুর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ই-মেইলের মাধ্যমে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। আর তখনই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ট্রেসিং পেপারে প্রিন্ট করতে হবে। এরপর সেই ট্রেসিং পেপারে প্রিন্ট করা প্রশ্নপত্রটি ট্রেসিং ফ্রেমে বসিয়ে হাতের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হবে। একটি কেন্দ্রে যতগুলো প্রশ্নের প্রয়োজন হবে ততগুলোই প্রিন্ট করা সম্ভব। এ ফর্মুলায় একজন প্রতি মিনিটে পাঁচটি প্রশ্ন প্রিন্ট করতে পারবেন। এর মানে এক ঘণ্টায় অন্তত ৩০০টি প্রশ্ন প্রিন্ট করা যাবে। তাহলে দুই ঘণ্টায় পারবেন ৬০০টি। ধরে নেওয়া যাক, কোনও কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা চার হাজার। তাহলে চার হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য দুই ঘণ্টায় সব প্রশ্নপত্র ছাপানো সম্ভব। লোকবল বাড়িয়ে দিলেই সেটা সম্ভব। সাত জনকে যদি একই সময়ে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করতে দেওয়া যায় তাহলে দুই ঘণ্টায় তারা চার হাজার ২০০টি প্রশ্ন প্রিন্ট করতে পারবেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, এত লোকবল কোথায় পাওয়া যাবে? এবং এত মানুষ প্রশ্নপত্র হাতে পেলেও তো দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা সম্ভব।
আমার যুক্তি হল- সরকার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রেই প্রিন্টার দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট করা হবে। প্রিন্ট করতে হলে অবশ্যই একটি গোপন কক্ষ লাগবে। আমার পদ্ধতি ব্যবহার করলেও গোপন একটি কক্ষ লাগবে। ওই কক্ষে সকাল ৭টায় সবাই মোবাইলসহ সব ধরনের বিদ্যুতিক ডিভাইস ছাড়া প্রবেশ করবেন এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে বের হবেন। আর ওই কক্ষের সামনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিতে হবে নজরদারির জন্য। এছাড়া একটি এলাকায় যেহেতু কয়েকটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেহেতু ওই সব স্কুলে যারা দাপ্তরিক কাজ করেন তাদের কেন্দ্রে এনে প্রিন্টের কাজটি করানো সম্ভব। ট্রেসিং ফ্রেমে প্রিন্ট করা খুবই সোজা। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ১৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র প্রিন্ট শেষ হলে তখনই শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী সেগুলো প্যাকেটে ভরতে হবে এবং দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্যাকেট নিয়ে নিজেদের কক্ষে যাবেন।

রিপোর্টার: এ পদ্ধতিতে কেমন খরচ হবে?

শাওন: খরচ খুবই কম হবে। ট্রেসিং ফ্রেম, কালির খরচ পড়বে সর্বোচ্চ পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ টাকা। আর প্রশ্ন ছাপানোর কাগজের জন্য এখন যেমন খরচ হয়, তেমনই থাকবে। এছাড়া এখন তো প্রতিটি স্কুল-কলেজেই সরকার কম্পিউটার ও প্রিন্টার দিয়েছে। সুতরাং সেগুলো কেনার আলাদা কোনও ঝামেলা নেই। বাড়তি আর কোনও খরচ নেই। ফলে ফর্মুলাটি যদি সরকার গ্রহণ করে তাহলে আমি মনে করি, প্রশ্নফাঁস তো হবেই না। এর সঙ্গে খরচও অনেক কমে যাবে।

শাওনের এ ফর্মুলার বিষয়ে শিক্ষাবিদের মন্তব্য জানতে চাইলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের সুপারিশ ছিল, প্রশ্ন যত দেরিতে ছাপানো যাবে ততই প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকি কমবে। আর এ জন্যই বলা হয়েছিল কেন্দ্রেই প্রশ্নপত্র ছাপানো হোক। এর জন্য যা যা করণীয় তা সরকার করবে। এখন সেই প্রশ্নের প্রিন্ট সরকার প্রিন্টার দিয়ে করাবে নাকি ট্রেসিং দিয়ে করাবে, সেটা পরবর্তীতে অ্যাপ্লাই করে সরকার ঠিক করবে কোনটা বেশি ভালো। তবে ট্রেসিং প্রিন্ট পদ্ধতি ডিজিটাল প্রিন্টারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।’
রূপালী গিটার ফেলে চলে গেলেন পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু; Ayub Bacchu; Band; Rock; Music
রূপালী গিটার ফেলে চলে গেলেন পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ রূপালী গিটার ফেলে বহুদূরে চলে গেলেন ব্যান্ডসংগীতের কিংবদন্তি, জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এলআরবি’র লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন গুণী এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।

কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পীর জীবনাবসানে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমেও তাঁর স্মৃতিচারণ করে প্রয়াত এই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভক্ত-অনুসারীরা।
সংগীতাঙ্গনের অনেকে এখন হাসপাতালে ভিড় করছেন। কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, দলছুট ব্যান্ডের বাপ্পা মজুমদার, উপস্থাপক হানিফ সংকেত, অভিনেতা শংকর সাঁওজাল, আর্টসেল ব্যান্ডের লিংকনকে দেখা গেছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে এলআরবি ব্যান্ড নিয়ে রংপুরে সংগীত পরিবেশন করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকায় ফেরেন। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর থেকে অস্বস্তি বোধ করছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। সকাল ৮টার দিকে বাসায় স্ট্রোক করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর ফুসফুসে পানি জমার কারণে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে আবারও গানে ফেরেন। কিন্তু এবার হুট করেই নিভে গেলো তার জীবনপ্রদীপ।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। গিটারের জাদুকর হিসেবে আলাদা সুনাম ছিল তার। ভক্তদের কাছে তিনি ‘এবি’ নামেও পরিচিত। আইয়ুব বাচ্চুর নিজের একটি স্টুডিও আছে। ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত এই মিউজিক স্টুডিওটির নাম এবি কিচেন।

শৈশব থেকেই তিনি গান শুনতেন প্রচুর। একসময় নিজেও গাইতে শুরু করেন। এরপর শুরু করেন গিটার চর্চাও। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের নিয়ে ‘গোল্ডেন বয়েজ’ নামে একটা ব্যান্ডদল গড়ে তোলেন, পরে অবশ্য এর নাম পাল্টে রাখা হয় ‘আগলি বয়েজ’।
বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর ছোটখাট নানা অনুষ্ঠানে তাদের এই ব্যান্ডদল গান করতো। পরে বন্ধুরা যে যার মতো একেক দিকে ছড়িয়ে পড়লেও ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে তার সংগীত জীবনের পথচলার শুরু হয়। এরপর ১৯৮০ সালে তিনি যোগ দেন ‘সোলস’ ব্যান্ডে। এই ব্যান্ডের লিডগিটার বাজানোর দায়িত্বে ছিলেন টানা ১০ বছর। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল গড়ে তোলেন নতুন ব্যান্ড ‘এলআরবি’।

রূপালী গিটার ফেলে চলে গেলেন পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। পটিয়া উপজেলার ১৭ নং খরনা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইসহাক ও মরহুম নুরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান আইয়ুব বাচ্চু। ব্যস্ততার কারণে গ্রামের বাড়িতে না আসলেও আত্মীয়-স্বজনের নিয়মিত খোঁজ রাখতেন তিনি। আইয়ুব বাচ্চুর দাদা মরহুম হাজী নুরুজ্জমান সওদাগর। মোজাফফরাবাদ এন.জে. উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষি অফিস, তফসিল অফিস, খরনা বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, খরনা রেল স্টেশনসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা তিনি। আইয়ুব বাচ্চুর দাদা হাজী নুরুজ্জমান সওদাগরের স্বপ্নের একটি হাসপাতাল শীঘ্রই প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছে ছিল গুণী এই শিল্পীর; কিন্তু মৃত্যুর কাছে হার মেনে থেমে গেল সেই স্বপ্ন।  

আ্রইয়ুব বাচ্চুর প্রথম অ্যালবাম ‘এলআরবি’ বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এটাই দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। এলআরবির অন্য অ্যালবামগুলো হলো ‘সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারী মন’ (১৯৯৬), ‘স্বপ্ন’ (১৯৯৬), ‘যুদ্ধ’ (২০১১), ‘স্পর্শ’ (২০১৩)। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ হলো তার প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। তার সাফল্যের শুরুটা হয় দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’র (১৯৮৮) মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে বাজারে আসে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। এর প্রায় সব গানই জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘অবাক হৃদয়’, ‘আমিও মানুষ’ গানগুলো। তার অন্য একক অ্যালবামগুলো হলো ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কি’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯), ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)। আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া গানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘চলো বদলে যাই’। এর কথা ও সুর তারই। শ্রোতাপ্রিয় গানের তালিকায় আরও রয়েছে ‘শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’, ‘সুখ’, ‘চলো বদলে যাই’, ‘রূপালি গিটার’, ‘গতকাল রাতে’, ‘তারা ভরা রাতে’, ‘এখন অনেক রাত’ ইত্যাদি।

রক ঘরানার গানের এই শিল্পী আধুনিক আর লোকগীতিতেও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। বেশকিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান ‘লুটতরাজ’ ছবির ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’। এছাড়া ‘আম্মাজান’ ছবির শিরোনাম গানও জনপ্রিয়।
পটিয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা-ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ; Cross Fire; ক্রসফায়ার
পটিয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা-ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া থানার ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেছেন রিগ্যান আচার্য্য নামে এক আইনজীবী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দুর্নীতি দমন আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এই মামলা করেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে এই মামলা হয়। মামলাটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, পটিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) খাজু মিয়া, মোঃ খোরশেদ, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মাসুম, মোঃ বশির ও কনস্টেবল হুমায়ুন। 

মামলায় বাদীর পক্ষে ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম উদ্দিন চৌধুরীসহ আইনজীবীগণ মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। 

বাদীর মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বকর্মাপূজা শেষ করে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১টায় পটিয়ার ধলঘাটস্থ শ্বশুরবাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য। এ সময় পটিয়া ধলঘাট ক্যাম্পের কাছে একটি গাড়িকে সিগন্যাল দেন তিনি। গাড়িটি থামলে দেখতে পান সেটি পুলিশের গাড়ি। এতে পুলিশ সদস্যরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত পুলিশের সদস্যরা রিগ্যানকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। তার পকেট থেকে ৮ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। রিগ্যানের পরিবারকে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে পটিয়া থানার সামনে আসতে বলার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা রিগ্যানকে চাপ দিতে থাকে। রিগ্যান পরিবারের সঙ্গে কথা বলার ভান করে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে ফোন দেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সেই ফোন থেকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। পরিচয় পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ। 
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা পরে রিগ্যানকে মাতাল সাজানোর জন্য জোরপূর্বক পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর ভোরে পটিয়া থানায় নিয়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে জোরপূর্বক দু’টি সাদাকাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাদী রিগ্যান আচার্য্য অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা রিগ্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় রিগ্যান আচার্য্যকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।