"শ্রীমাই খাল" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
শ্রীমাই খাল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Flood; Voice of Patiya; Patiya; Chittagong; Chattogram;
পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্লাবনে ভেসে গেছে বসতবাড়িসহ প্রায় দুশতাধিক পুকুরের মাছ। রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ প্লাবণের ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, খরনা, ভাটিখাইন, ছনহরা, ধলঘাট, হাবিলাসদ্বীপ, জিরি, কুসুমপুরা, আশিয়া, কোলাগাঁও ছাড়াও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড। 

প্রবল বৃষ্টির কারণে উপজেলার অধিকাংশ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের অনেক বসতঘর ভেসে গিয়েছে। পানিতে আটকা পড়েছেন অনেকে। পানিতে আটকা পড়াদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সঠিক সময়ে বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা শুরু করতে পারেনি আমন ধানের চাষাবাদ। তবে অনেক কৃষক আমন চাষাবাদের বীজ রোপণ করলেও অতি বৃষ্টির ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
কচুয়াই ইউনিয়নাধীন শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। বেড়িবাঁধের ভাঙনের ফলে ভাটিখাইন, ছনহরা ও কচুয়াই ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে যায়, টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরিমধ্যে পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ও বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। বুধবার সকাল থেকেই অনেকটা গৃহবন্দি হয়েছে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। পুকুর থেকে ভেসে যাওয়া মাছ ধরতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিযোগিতায় মেতেছেন। উপজেলা ও পৌর এলাকার অনন্ত দুশতাধিক পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানিতে ভেসে গেছে। 

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। শ্রীমাই খালের ভাটিখাইন এলাকার দুইটি স্পটে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; শ্রীমাই খালের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রীমাই এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা প্রশাসন

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘টানা বর্ষণে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা সংগ্রহ করার কাজ চলছে।’ 
কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পুরো কচুয়াই ইউনিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’  

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশু পাইকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকা পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহযোগীতা প্রদান করা হবে বলে তারা আশ্বস্ত করেন।

পাহাড়ী ঢলে পটিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; ত্রাণ বিতরণ;ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবি: পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

ইতিমধ্যে ভাটিখাইন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ত্রাণের আওতায় উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। 
চাঁনখালী খালে পরিত্যক্ত সেতুঃ নৌ চলাচলে বিঘ্ন-লবণ শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের চাঁনখালী খালের উপর পুরাতন চন্দ্রকলা বেইলি ব্রীজটি পরিত্যক্ত থাকার কারণে নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে লবণ ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণকে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যার ফলে পটিয়া লবণ শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) একটি বেইলি ব্রীজের কারণে দীর্ঘ দুই বছর ধরে নৌ চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। জোয়ার-ভাটার এ খালে বেইলি ব্রীজ এলাকায় নৌ-পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। কর্ণফুলী নদীর শাখা চাঁনখালী খালে প্রতিদিন বেশকিছু লবণ বোঝাই বোট যাতায়াত করে থাকে। 

২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর ওই খালের উপর চন্দ্রকলা শেখ কামাল গার্ডার ব্রীজটি নির্মিত হয়। ব্রীজটি  চালু করা হলেও দীর্ঘ দুই বছর ধরে এলজিইডি ও সড়ক জনপথের রশি টানাটানিতে খালের উপর থেকে বেইলি ব্রীজটি সরানো হচ্ছে না।

লবণ ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচুরিয়ার মোড় থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার সড়ক ও একটি বেইলি ব্রীজ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ছিল। পরবর্তীতে বেইলি ব্রীজটি ছাড়া সড়কটি এলজিইডিকে হস্তান্তর করা হয়। পটিয়া লবণ শিল্প নগরীতে অর্ধ শতাধিক লবণ মিল রয়েছে। এতে কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া, চকরিয়া ও বাঁশখালী এলাকা থেকে অপরিশোধিত ক্রুড লবণ ইঞ্জিন চালিত বোটের মাধ্যমে চাঁনখালী খাল হয়ে পটিয়া লবণ শিল্প নগরীতে আনা হয়। বেইলি ব্রীজের কারণে ইঞ্জিন চালিত বোট চলাচল ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্টদের লবণ মিল মালিকরা অবহিত করেও কোন সুফল পাননি। 
পরিত্যক্ত বেইলি ব্রীজটি এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে উপজেলার ভাটিখাইন-ছনহরা গ্রামের মাঝখানে শ্রীমাই খালের উপর ঠেঁগরপুনি ব্রীজে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। 

এ ব্যাপারে পটিয়া ইন্দ্রপুল লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক আল্লাই ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, তাদের সমিতির অর্থায়নে বেইলি ব্রীজটি নির্মাণ করলেও বর্তমানে এটি সরিয়ে নিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কিংবা এলজিইডি কেউই উদ্যোগ নিচ্ছে না। যার ফলে লবণ বোঝাই মালামাল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বোট প্রতিদিন আটকে যাচ্ছে।

এলজিইডি পটিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শংকর দে জানান, ৬ কিলোমিটার রাস্তা ও একটি বেইলী ব্রীজ সওজের হলেও তা পরবর্তীতে এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাছাড়া বেইলি ব্রীজটি এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে ঠেঁগরপুনি ব্রীজে স্থানান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছেন পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। তবে লিখিতভাবে কোন নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে তা সরানো যাচ্ছে না।

পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমদ টিপু; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ টিপু

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 
আজ শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ভাটিখাইন-ছনহরা সড়কে শ্রীমাই খাল ভেঙে যাওয়ায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

এদিকে খালের ভাঙ্গন এলাকা তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেছেন পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু। এ সময় তিনি বৃষ্টি কমে আসলে শ্রীমাই খালের যে স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে তা জরুরী ভিত্তিতে পুনঃনির্মাণ করে দিবেন বলে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেন।

পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

জানা যায়, প্রবল বর্ষণে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ভাটিখাইন-ছনহরা সড়কের মাঝখানে শনিবার সকাল থেকেই শ্রীমাই খালের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। 

পটিয়ার শ্রীমাই খালে ভাঙন-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি; পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত; পটিয়া; চট্টগ্রাম
পটিয়ার শ্রীমাই খালের ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

এতে করে ধানি জমি, মাছ চাষের পুকুর, সবজি ক্ষেত, ঘরবাড়ি ডুবে কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। 

স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন জানান, তার ৩০টির অধিক মাছ চাষের পুকুর ডুবে যায়। মোঃ ইদ্রিস নামের এক কৃষক জানান, তার চাষকৃত গুড়াকচু পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় রয়েছেন তিনি। এছাড়াও পানিতে বিভিন্ন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শ্রীমাই খালের ভাঙ্গনে বর্তমানে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ পাহাড়ী বাহিনীর আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে কর্মজীবীদের।

পাহাড়ে কাজ করতে আসা বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মজীবী বলেন, ‘অগ্নিছড়া, বুদবুদি ছড়া, হিলছিয়া খাল, শ্রীমাইয়ের আগা, দক্ষিনচালার মুখে পাহাড়ীরা বর্তমানে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। ফলে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।’

জানা যায়, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে প্রতিদিন অসংখ্য কর্মজীবী মানুষ বিভিন্ন সবজি, লেবু ও পেয়ারা বাগানে কাজ করতে আসেন। গত ৪/৫ দিন ধরে সেখানে পাহাড়ীয়া এলাকার কমলাছড়ির আবু তাহের ও নুরুল হকের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী অসংখ্য কর্মজীবীকে অপহরণ করে গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি বেঁধে রেখে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। যারা টাকা দেয় তাদেরকে দ্রুত ছেড়ে দিলেও ৪/৫ জনকে ১দিন ১ রাত বেঁধে রাখে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। 

গতবছরের এ সময়ে তারা খরনা থেকে এক মৌলভীকে অপহরণ করে গভীর অরণ্যে নিয়ে গিয়েছিল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রটি। পটিয়ার খরনা, কচুয়াই ও হাইদগাঁও থেকে পাহাড়ে কাজ করতে যাওয়া কর্মজীবীদের গত বছর এভাবে  বেঁধে রেখে টাকা আদায় করে চক্রটি।

এদিকে বনবিভাগের পাহাড়গুলো থেকে পাহাড়ীরা গাছ কেটে নেওয়ার জন্য সেখানে অস্থায়ী বসতী গড়ে তুললে বনবিভাগের লোকজনের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।এর পর তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্তমানে আবারো একই কায়দায় সাধারণ মানুষকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায়ের কৌশল নেওয়ায় পাহাড়ের নিকতবর্তী এলাকাগুলোতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, যারা সেখানে অপরাধের সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
শ্রীমাই রেল ব্রীজের জরাজীর্ণ অবস্থা, যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
শ্রীমাই রেল ব্রীজের জরাজীর্ণ অবস্থা, যে কোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পটিয়ার শ্রীমাই খালের উপর ৩৮ নং রেল ব্রীজ। যে কোন সময় ভেঙে পড়ে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। 
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নাধীন শ্রীমাই খালের উপর নির্মিত রেল সংযোগ ব্রীজটির জরাজীর্ণ অবস্থা। কাঠের স্লীপার এর সাথে বাঁশ দিয়ে আটকানো অবস্থায় কোনরকম ঠিকে আছে ব্রীজটি। দ্রুত মেরামত করা না হলে স্লীপারগুলো খুলে যে কোনসময় ঘটতে পারে রেল দুর্ঘটনা। রেল ব্রীজের এহেন জরাজীর্ণ অবস্থার কথা জেনেও রেল কর্তৃপক্ষের যেন নেই কোন মাথা ব্যাথা! 
তাছাড়া প্রতিনিয়ত শ্রীমাই রেল ব্রীজের নীচ থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ব্রীজের পিলারের পাশে অনেক গর্তের। এর ফলে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেতে ব্রীজটির স্থায়ীত্বের।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যদি রেললাইনের কোন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে তখন তড়িঘড়ি করে বাঁশ দিয়ে স্লীপার গুলো বেঁধে দেয়, এভাবে বছরের পর বছর পার হলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জরাজীর্ণ ব্রীজটির স্থলে নতুন ব্রীজ নির্মাণে নেয়নি কোন উদ্যোগ। তারা এর আশু সমাধান দাবি করেছেন।
পটিয়া ও চন্দনাইশে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন; পটিয়া; চন্দনাইশ; শীতকালীন সবজি; Vegetables
পটিয়া ও চন্দনাইশে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পটিয়া উপজেলার শ্রীমতি খাল ও চন্দনাইশের শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। সবজি উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও দারুণ খুশি। এ বছর শীত মৌসুমের শুরুতে শীতকালীন সবজি আগাম বাজারে আসায় ভালো দাম পাচ্ছে কৃষকরা।

পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পটিয়া উপজেলায় ২২ টি ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে তার মধ্যে ফুলকপি ১২০ হেক্টর ,বাধাকপি ৬০, বেগুন ৮০ হেক্টর ,বরবটি ৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ৬৫ হেক্টর , বাটি শাক ৪ হেক্টর ,লাল শাক ৬ হেক্টর ,পুঁই শাক ১৬ হেক্টর , পালংশাক ৬ হেক্টর, লাউ ৩০ হেক্টর, টমেটো ৬০ হেক্টর,হলুদ ৪০হেক্টর,আদা ১২ হেক্টর,বাঙ্গি ৫ হেক্টর,তরমুজ ৫ হেক্টর,মুগ ডাল ১২ হেক্টর,মরিচ ২০০ হেক্টর,সরিষা ১২ হেক্টর, মিষ্ট আলু ১৫ হেক্টর,আলু ১৯০ হেক্টর. পেঁপে ১০ হেক্টর ।

তবে পটিয়া উপজেলার খরনা ,কচুয়াই ও ইউনিয়নের শ্রীমতি খালকে ঘিরে উপজেলার কৃষক শীতকালীন সবজির ব্যাপক চাষাবাদ করছে। সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয় উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের । ওই ইউনিয়নের বহু কৃষক শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। এর মধ্যে চন্দনাইশ উপজেলায় শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে ফুলকপি ১৬০ হেক্টর ,বাধাকপি ১২০, বেগুন ১২৫ হেক্টর ,বরবটি ৮ ৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০০ হেক্টর , বাটি শাক ৩০০ হেক্টর ,লাল শাক ৭০ হেক্টর ,পুঁই শাক ৩০ হেক্টর , পালংশাক ৭০ হেক্টর, লাউ ৫০ হেক্টর,মুলা ২৪৫হেক্টর, টমেটো ২২০ হেক্টর,হলুদ ৩০হেক্টর,আদা ৩০ হেক্টর,বাঙ্গি ৫ হেক্টর,তরমুজ ৫ হেক্টর,মুগ ডাল ৫০ হেক্টর,মরিচ ৩১০ হেক্টর,সরিষা ২৫ হেক্টর, মিষ্ট আলু ৩০০ হেক্টর,আলু ৫০০ হেক্টর. পেঁপে ১৫ হেক্টর,তবে শঙ্খ তীরবর্তী দোহাজারী লালুটিয়া, দিয়াকুল, ধোপাছড়ি, বৈলতলী, জাফরাবাদ, বরমা ব্যাপক হারে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।

আরো জানা যায়, প্রতিদিন সকালে পটিয়া উপজেলার কেলিশহর রমেশ বাবুর হাট ও দোহাজারী রেলস্টেশনসংলগ্ন কাঁচা বাজারে শীতের কুয়াশা ভেদ করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখরতায় জমজমাট হয়ে উঠে শীতকালীন সবজির পাইকারী বাজার দোহাজারী রেলওয়ে মাঠ। সকাল গড়তেই শঙ্খের বুক জুড়ে নৌকা-সাম্পানে শাক-সবজি বহন করে আসতে থাকে শত শত চাষি।

পটিয়া ও চন্দনাশ উপজেলার একাদিক পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী বলেন,পটিয়া উপজেলার কেলিশহর রমেশ বাবুর হাট ও চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী রেলস্টেশন বাজার থেকে মিনিট্রাক, বাস,টেম্পুসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চট্টগ্রাম,ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা যাচ্ছে দুই উপজেলার উৎপাদিত এসব সবজি। মিনিট্রাক ভাড়া চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২৫০০-২৮০০ টাকা।
দোহাজারী থেকে নগরীতে আসতে পটিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। ফলে পথে মধ্যে লাইন খরচসহ প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা অতিরিক্ত খরচ পড়ে যায়। সে জন্য পাইকারী ব্যবসায়ীদের প্রতিকেজি সবজি চট্টগ্রাম বিভিন্ন বাজারে ১০-১২ টাকা বেশি দামে বিক্রয়
করতে হয়।

পটিয়ায় কেলিশহর ইউনিয়নের সবজি চাষী সুবল দে বলেন, ৩০ শতকে জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ করতে খরচ পরছে ৩০ হাজার টাকা। বিক্রয় করেছি ৫০হাজার টাকার । বর্তমানে জমিতে থাকা ফুলকপি আরো ১৫-২০ হাজার টাকা বিক্রয় করা যাবে ।

পটিয়া উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মর্কতা মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান ও চন্দনাইশ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মর্কতা তৌফিক হোসেন খান ভয়েস অব পটিয়াকে বলেন, চলতি বছর আবহাওওয়া অনুকূলে থাকায় দুই উপজেলায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। শ্রীমতি খাল ও শঙ্খ নদীর তীরবর্তী চরের মাটিগুলো সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাছাড়া এখানকার উৎপাদিত সবজি খেতে খুব সুস্বাদু বলে দেশে এই দুই উপজেলার সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সবজি চাষিদের সফলতা দেখে অনেকে অন্য পেশা ছেড়ে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এজন্য প্রতি বছর সবজি চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পটিয়া ও চন্দনাইশে উৎপাদিত সবজি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে; যদি সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।