"হাইদগাঁও" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
হাইদগাঁও লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নতুন গ্যাসকূপের সন্ধানে বাপেক্স, পটিয়ার বুদবুদিছড়াও রয়েছে তালিকায়; বুদবুদিছড়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
নতুন গ্যাসকূপের সন্ধানে বাপেক্স, পটিয়ার বুদবুদিছড়াও রয়েছে তালিকায়

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাসের সন্ধানে মাটির গভীরে যেতে চায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী (বাপেক্স)। 

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যান্য স্পটগুলোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট ৪টি স্পটে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে বাপেক্স এসব স্পটে ত্রিমাত্রিক জরিপ সম্পন্ন করেছে। জরিপের ফলাফলে, ভূপৃষ্ঠের পাঁচ কিলোমিটার গভীরে আরও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে বাপেক্স। তালিকায় রয়েছে পটিয়ার বুদবুদিছড়াও।

চট্টগ্রামের পটিয়া বুদবুদিছড়া, সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালংয়ে ইতিমধ্যে গ্যাসের অবকাঠামো রয়েছে। এসব এলাকায় ত্রিমাত্রিক জরিপে, ভূপৃষ্ঠের প্রায় পাঁচ হাজার মিটার নিচে খনন করলে কমপক্ষে ১.৬ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট (TCF) গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। এসব স্পটগুলোতে দ্রুত অনুসন্ধান শুরুর কথা ভাবছে বাপেক্স। 

বৃহত্তর চট্টগ্রামে গ্যাস উত্তোলনের জন্য ছয় দশক পূর্ব হতে অন্তত চারটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা ছিল। এগুলো হচ্ছে পটিয়ার বুদবুদিছড়া, বাঁশখালীর জলদি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সীতাপাহাড় ও কাসালং। 

ব্রিটিশ আমলে বৃহত্তর পটিয়ার হাইদগাঁও পাহাড়ী এলাকার শ্রীমাই বুদবুদিছড়া নামক স্থানে একটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। একটি বিদেশী কোম্পানী ওই গ্যাসকূপ খনন করার কাজ শুরু করে। কিন্তু তখন ওই এলাকা দুর্গম এবং নিরাপত্তাহীন হওয়ার অজুহাতে কাজ বন্ধ করে দেয় তারা।
এরপর ১৯৫৫ সালে বুদবুদিছড়া এলাকায় আবারও জরিপ চালিয়ে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তৎকালীন বার্মাহ অয়েল কোম্পানী নামের একটি বিদেশী গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানী ওই এলাকায় গ্যাস উত্তোলনের জন্য কূপ খনন করে। কিন্তু পরবর্তীতে নানা অজুহাতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্যাসকূপের নাভীপথে সীসা ঢালাই করে ওই কূপ বন্ধ করে দেয়। এরপর কয়েকদফা ওই গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং সদিচ্ছাগত কারণে ওই কূপ হতে গ্যাস উত্তোলনের কাজ আর এগোয়নি। এখনও হাইদগাঁও বুদবুদিছড়া এলাকা ছাড়াও শ্রীমাই খাল তীরবর্তী পাহাড়ী ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিনিয়ত নির্গত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। মাটিতে দিয়াশলাই জ্বালালে জ্বলছে গ্যাস। 

পটিয়ার বুদবুদিছড়া এলাকা ছাড়াও ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাঁশখালীর জলদি এবং আশির দশকে সীতাপাহাড়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালংয়ে তৈরি করা হয় গ্যাসকূপ খননের অবকাঠামো।

বিগত কয়েক দশকজুড়ে চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস অনুসন্ধান করার জন্য বেশ কয়েকদফা এতদঞ্চলের জনগণ দাবি উত্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাপেক্স নতুন করে গ্যাসকূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করলো।
পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেফতার; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ছিনতাইয়ের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু (২০) নামের এক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। 
গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম বাবু চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, মোঃ শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি গত ৩০ নভেম্বর বিকালে হাইদগাঁও ইউনিয়নের ওসমানপাড়া এলাকা থেকে ডেকোরেশনের কাজ শেষ করে দোকানে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কয়েকজন ছিনতাইকারী তাকে কুপিয়ে সাথে থাকা ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। 
এ ঘটনায় আহত মোঃ শাহজাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হল মোঃ সজিব (২০), মোঃ কাইয়ুম (২৩) ও মোঃ জাহেদ (২০)। 

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জব্বারুল ইসলাম জানান, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম বাবু নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ছিনতাইয়ে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
অবশেষে পটিয়া-বাঁশখালী-সীতাকুন্ডের পাহাড়ের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ; বুদবুদিছড়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
অবশেষে পটিয়া-বাঁশখালী-সীতাকুন্ডের পাহাড়ের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ; বুদবুদিছড়া গ্যাসক্ষেত্র

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ৬৩ বছর পর এবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া ও বাঁশখালীর জলদিসহ সীতাকুণ্ডের সীতাপাহাড় ও কাছালংয়ের আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের প্রাথমিক জরিপ কাজ শেষে গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

চট্টগ্রামের ২২এ, ২২বি ব্লকের চারটি গ্যাসক্ষেত্র যথাক্রমে- পটিয়ার বুদবুদি ছড়া, বাঁশখালীর জলদি, সীতাকুণ্ডের সীতাপাহাড় ও কাছালং।

বাপেক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আতিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘চট্টগ্রামের ২২এ ও ২২বি ব্লকের চারটি গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারী পাওয়া গেলেই এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।’

২০০৮ সালে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জলদি ও পটিয়ার হাইদগাঁও গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে পুনরায় শুরু হয় জরিপ কাজ। পর্যায়ক্রমে ২০১২ সালের শেষদিকে প্রাথমিক জরিপ কাজ শেষ করে বাপেক্স।পরবর্তীতে আবারও বাপেক্সের একটি বিশেষজ্ঞ দল জরিপ কাজ চালায়। বাপেক্সের এই জরিপের ওপর নির্ভর করে বর্তমান সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই গ্যাসক্ষেত্রেগুলোর গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ গ্রহণ করে বলে জানা গেছে।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁওয়ের পাহাড়ি এলাকার শ্রীমাই বুদবুদিছড়া নামক স্থানে প্রথম এই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়। ওই বছর থেকেই পর্যায়ক্রমে কয়েক দফা প্রাথমিক জরিপ ও খনন কাজ চালানো হয় এবং গ্যাস প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে ১৯৫৩ সালের দিকে খননকৃত গ্যাস কূপের নাভিপথে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সীসা ঢালাই করে দেয় সংশ্লিষ্ট ব্রিটিশ বিদেশি কোম্পানিটি।

পটিয়ার হাইদগাঁওয়ে অবস্থিত বুদবুদিছড়া গ্যাসক্ষেত্রে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়বেষ্টিত গ্যাসক্ষেত্রে পূর্বে খননকৃত স্থান থেকে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে, যাতে একটু আগুন লাগালেই ঝলছে। তাছাড়া ওই গ্যাসক্ষেত্রের পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়ার পানিতে বুদবুদ করে গ্যাস বের হতে দেখা গেছে।

১৯৬০ সালে বাঁশখালীর জলদির আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ও কোরিয়া এবং রাশিয়ার সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল। ঐ দলটি প্রাথমিক জরিপ কাজ চালিয়ে উক্ত এলাকায় খনন করে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেলও পায়। এ সময় বিশেষজ্ঞ দলটি তেল ও গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা সংবলিত একটি রিপোর্টও তৎকালীন সময়ে জমা দেয়।

পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পূর্বাঞ্চল অভয়ারণ্য পাহাড়ে চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব; বাঁশ পাচারের দৃশ্য

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার পূর্বাঞ্চল পাহাড়ে কমলাছড়ি, কুরুশিয়া, ধোপাছড়ি অভয়ারণ্যে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব চলছে। 

১২ জনের এসএনজি সদস্য টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে কমলাছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের যোগসাজোসে মাসোহারার বিনিময়ে অভয়ারণ্যে বৃক্ষ নিধনের ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

জানা যায়, গত ১৫ দিন পূর্বে এসএনজি টিম প্রধান আবু তাহেরের নেতৃত্বে অভয়ারণ্যে সরকারী গাছ, বাঁশ পাচারের সময় ১৬ ব্যক্তিকে আটকের পর কমলছড়ির বিট কর্মকর্তা শাহ আলম স্থানীয় আলমগীর সওদাগরের জিম্মায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ১৬ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ জানান। 

এছাড়াও আবু তাহেরের নেতৃত্বে পাহাড়ী সন্ত্রাসী জড়ো করে চোলাই মদ পাচার, স্থানীয় লোকজনদেরকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে রাঙ্গুনিয়ার কমলাছড়ি, কুরুশিয়ার, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলে শ্রীমাই বিট, জঙ্গলশীধল, লালুটিয়া, লালপাহাড়, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি, বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা, বান্দরবানের রাজার হাট পাহাড়ে সরকারী সংরক্ষিত গাছ বাঁশ পাচারে একাধিকবার এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।

বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রামের বন কর্মকর্তা বিপুল দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে কলটি কেটে দেন এবং এ ব্যাপারে পরে কথা বলে জানাবেন বললেও তাকে কল করে আর পাওয়া যায়নি। 
বাঁশ পাচারের ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা শাহ আলম ও কুরুশিয়ার রেঞ্জার কাজী আলাউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদেরও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে অভয়ারণ্য পাহাড়ে সরকারী বৃক্ষ নিধন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাহাড়ে বসবাসরতরা।
পটিয়ার কচুয়াই-এ সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার কচুয়াই-এ সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ফারুকী পাড়ায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার খোরশেদ আলম নামক এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে ১৪/১৫ জনের একটি দল আবুল হোসেন ফারুকী নামক এক ব্যক্তির বসত ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এতে বাধা দিতে গেলে ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আহতরা হলেন, মোঃ আবুল হোসেন ফারুকী (৫৫), রোকেয়া বেগম (৫০), বাদীর স্ত্রী সুলতানা বেগম (২৩)। আহতদেরকে মারধর করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে বাদী জানান। 

জানা যায়, সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম এর আদিনিবাস উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, নারী-নির্যাতন মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে বর্তমানে ফারুকী পাড়ায় এসে বসতবাড়ি স্থাপন করে বসবাস শুরু করছে। হাইদগাঁও এলাকাবাসী খোরশেদ আলমকে তার এসব অপকর্মের জন্য একাধিকবার গণধোলাই দিয়ে এলাকাছাড়া করে। এরপর সে ফারুকী পাড়ায় এসে এখনো এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে বলে জানায় এলাকাবাসী। এই অপকর্ম থেকে মুক্তির জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এ ব্যাপারে পটিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ নং- এসডিআর-৪২৯০/১৫।
পটিয়ায় রাস্তা নিয়ে বিরোধ; দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ায় রাস্তা নিয়ে বিরোধ; দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা

ভয়েস অব পটিয়া-হাইদগাঁও প্রতিনিধিঃ পটিয়ায় বাড়ির চলাচলের একমাত্র রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও ইউনিয়েনের শালিক পাড়ায়। 

এ ঘটনার পূর্বে পটিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অভিযুক্ত দয়েল বিশ্বাস বাদী হয়ে সুনিল বিশ্বাস গংয়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের মিছ মামলা নং-২০৪ দায়ের করলেও গত ০৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মামলার বাদী দয়েল বিশ্বাস ১৫/২০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়ির চলাচলের রাস্তাটি জোর পূর্বক দখল করার পাঁয়তারা চালায় বলে অভিযোগ জানায় বিবাদী সুনিল বিশ্বাস। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় জানায় বিবাদী। 

মামলার বিবাদী সুনিল বিশ্বাস ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও মামলার বাদী দয়েল বিশ্বাস আদালতের আদেশ অমান্য করে বাড়ির একমাত্র চলাচলের পথ ২০০ বছরের প্রাচীন রাস্তাটি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাস্তাটির দখল-বেদখল নিয়ে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন ‘
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ পাহাড়ী বাহিনীর আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে কর্মজীবীদের।

পাহাড়ে কাজ করতে আসা বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মজীবী বলেন, ‘অগ্নিছড়া, বুদবুদি ছড়া, হিলছিয়া খাল, শ্রীমাইয়ের আগা, দক্ষিনচালার মুখে পাহাড়ীরা বর্তমানে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। ফলে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।’

জানা যায়, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে প্রতিদিন অসংখ্য কর্মজীবী মানুষ বিভিন্ন সবজি, লেবু ও পেয়ারা বাগানে কাজ করতে আসেন। গত ৪/৫ দিন ধরে সেখানে পাহাড়ীয়া এলাকার কমলাছড়ির আবু তাহের ও নুরুল হকের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী অসংখ্য কর্মজীবীকে অপহরণ করে গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি বেঁধে রেখে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। যারা টাকা দেয় তাদেরকে দ্রুত ছেড়ে দিলেও ৪/৫ জনকে ১দিন ১ রাত বেঁধে রাখে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। 

গতবছরের এ সময়ে তারা খরনা থেকে এক মৌলভীকে অপহরণ করে গভীর অরণ্যে নিয়ে গিয়েছিল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রটি। পটিয়ার খরনা, কচুয়াই ও হাইদগাঁও থেকে পাহাড়ে কাজ করতে যাওয়া কর্মজীবীদের গত বছর এভাবে  বেঁধে রেখে টাকা আদায় করে চক্রটি।

এদিকে বনবিভাগের পাহাড়গুলো থেকে পাহাড়ীরা গাছ কেটে নেওয়ার জন্য সেখানে অস্থায়ী বসতী গড়ে তুললে বনবিভাগের লোকজনের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।এর পর তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্তমানে আবারো একই কায়দায় সাধারণ মানুষকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায়ের কৌশল নেওয়ায় পাহাড়ের নিকতবর্তী এলাকাগুলোতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, যারা সেখানে অপরাধের সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
পটিয়ায় পাহাড় কেটে মৎস্য প্রকল্প নির্মাণ : মারাত্মক বিপর্যয়ে পরিবেশ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; হাইদগাঁও; Patiya; Chittagong
পটিয়ায় পাহাড় কেটে মৎস্য প্রকল্প নির্মাণ : মারাত্মক বিপর্যয়ে পরিবেশ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ার পূর্ব পাহাড়ের ঢালুতে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি খনন করে মৎস্য প্রকল্প নির্মাণ করছে একটি সিন্ডিকেট। প্রতিদিন রাতের আধারে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাটি বিকিকিনি চলছে পটিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। এতে মারাত্মক বিপর্যয়ে পরিবেশ।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি পটিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের ছোট ভাই মোঃ কামরুল ইসলাম এই সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা। তার মদদে ইয়াছিন, গোলাপ, ফজুসহ বেশ কয়েকজন রাতের আধারে এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে মারাত্মক পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে বিপন্ন হচ্ছে বিভিন্ন বনজ, ফলজ গাছসহ নানান ক্ষতি সাধিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব।

গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ২০০ শতক জায়গায় ৫০ ফুট মাটি খনন করে মৎস্য প্রকল্প তৈরি করছে কামরুল ইসলাম গং। তবে কামরুল ইসলাম দাবী করেন, খননকৃত পাহাড় তাদের খরিদকৃত জায়গা। উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকেয়া পারভীন ও উপজেলা সমবায় অফিসার উদয়ন বড়ুয়া থেকে অনুমোদন নিয়ে এই মাটি খনন কাজ করে মৎস্য প্রকল্প নির্মাণ করছে বলে তারা জানায়।
পরিবেশ রক্ষায় বর্তমানে কৃষি জমি ও পাহাড়ী ঢালুতে মাটি খনন করার কাজ সম্পূর্ণরূপে আইনে নিষিদ্ধ করলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ও স্থানীয় প্রশাসনকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে ম্যানেজ করে নির্দ্বিধায় মাটি খনন কাজ চালিয়ে যাওয়ায়, পাহাড়ী ঢালুতে বসবাসরতদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অতিসত্বর  উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে মৎস্য প্রকল্পের নামে মাটি খনন কাজ বন্ধ করে পাহাড় ও আবাদি জমি রক্ষা করার জোর দাবি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকেয়া পারভীন এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটিয়ায় নলকূপ দিয়ে গ্যাস নির্গমন; পটিয়া; হাইদগাঁও; Patiya; চট্টগ্রাম; টিউবওয়েল; Tube well
পটিয়ায় নলকূপ দিয়ে গ্যাস নির্গমন!!


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামে নলকূপ স্থাপন করতে গিয়ে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের চর নতুন পাড়া গ্রামের নাছির উদ্দিনের বাড়ীতে নলকূপের মিস্ত্রিরা এ গ্যাসের সন্ধান পায়।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাছির উদ্দিন তাঁর বাড়ীতে পানি নেওয়ার জন্য একটি নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা করেন। সে মোতাবেক গত শুক্রবার বাড়ির পূর্ব পাশে বসতভিটায় ১৫০ ফুট নিচ পর্যন্ত পাইপ বসানোর জন্য মিস্ত্রি দিয়ে নলকূপ স্থাপনের জন্য গর্ত করেন। মিস্ত্রিরা পাইপ ১০০ ফুট নিচে দেওয়ার পর তা আটকে যায়। বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে তাঁরা গর্তের মুখে মাটি দিয়ে ফিরে আসেন। পরদিন গতকাল দুপুরে মিস্ত্রিরা নলকূপ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনরায় সেখানে যায়। তাঁরা গর্তের মুখ দিয়ে গ্যাস বের হতে দেখে। একপর্যায়ে মাটির মধ্যে একটি শব্দ হলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন নাছির উদ্দিন। এরপর দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে পাইপের মুখে ধরার সাথে সাথে আগুন জ্বলতে শুরু করে। অনেক চেষ্টা চালিয়ে সেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করেন।

এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকার উৎসুক মানুষ বিষয়টি দেখার জন্য তার বাড়িতে ভিড় করে।

নাছির উদ্দিন জানান, পাইপ থেকে নীল রঙের পানি পড়ায় সন্দেহ হয়। তারপর মুখে আগুন ধরালে বুঝতে পারেন যে এটা গ্যাস। এরপর পাইপের চারপার্শ্বে ইট দিয়ে চুলার মতো তৈরি করে তাতে পানি গরম, চা তৈরি, খাবার গরমসহ নানাবিধ কাজ করছেন। যদি সরকারি উদ্যোগে পরীক্ষা করে দেখা হতো বা কোনো ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে এ উপজেলার মানুষ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের সুবিধা পেত।

খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রোকেয়া পারভীন, ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ইউএনও রোকেয়া পারভীন বলেন, ‘খবর পেয়ে প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি মিথেন গ্যাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ গ্যাস নির্গমনের স্থানটি পর্যবেক্ষণ করার পর বাস্তব অবস্থা বলা যাবে।