"খরনা" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
খরনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রূপালী গিটার ফেলে চলে গেলেন পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু; Ayub Bacchu; Band; Rock; Music
রূপালী গিটার ফেলে চলে গেলেন পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ রূপালী গিটার ফেলে বহুদূরে চলে গেলেন ব্যান্ডসংগীতের কিংবদন্তি, জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এলআরবি’র লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন গুণী এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।

কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পীর জীবনাবসানে শোকের ছায়া নেমেছে শোবিজ অঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমেও তাঁর স্মৃতিচারণ করে প্রয়াত এই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভক্ত-অনুসারীরা।
সংগীতাঙ্গনের অনেকে এখন হাসপাতালে ভিড় করছেন। কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, দলছুট ব্যান্ডের বাপ্পা মজুমদার, উপস্থাপক হানিফ সংকেত, অভিনেতা শংকর সাঁওজাল, আর্টসেল ব্যান্ডের লিংকনকে দেখা গেছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১৬ অক্টোবর রাতে এলআরবি ব্যান্ড নিয়ে রংপুরে সংগীত পরিবেশন করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকায় ফেরেন। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর থেকে অস্বস্তি বোধ করছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। সকাল ৮টার দিকে বাসায় স্ট্রোক করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর ফুসফুসে পানি জমার কারণে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে আবারও গানে ফেরেন। কিন্তু এবার হুট করেই নিভে গেলো তার জীবনপ্রদীপ।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। গিটারের জাদুকর হিসেবে আলাদা সুনাম ছিল তার। ভক্তদের কাছে তিনি ‘এবি’ নামেও পরিচিত। আইয়ুব বাচ্চুর নিজের একটি স্টুডিও আছে। ঢাকার মগবাজারে অবস্থিত এই মিউজিক স্টুডিওটির নাম এবি কিচেন।

শৈশব থেকেই তিনি গান শুনতেন প্রচুর। একসময় নিজেও গাইতে শুরু করেন। এরপর শুরু করেন গিটার চর্চাও। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের নিয়ে ‘গোল্ডেন বয়েজ’ নামে একটা ব্যান্ডদল গড়ে তোলেন, পরে অবশ্য এর নাম পাল্টে রাখা হয় ‘আগলি বয়েজ’।
বিয়েবাড়ি, জন্মদিন আর ছোটখাট নানা অনুষ্ঠানে তাদের এই ব্যান্ডদল গান করতো। পরে বন্ধুরা যে যার মতো একেক দিকে ছড়িয়ে পড়লেও ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে তার সংগীত জীবনের পথচলার শুরু হয়। এরপর ১৯৮০ সালে তিনি যোগ দেন ‘সোলস’ ব্যান্ডে। এই ব্যান্ডের লিডগিটার বাজানোর দায়িত্বে ছিলেন টানা ১০ বছর। ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল গড়ে তোলেন নতুন ব্যান্ড ‘এলআরবি’।

রূপালী গিটার ফেলে চলে গেলেন পটিয়ার কৃতি সন্তান কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। পটিয়া উপজেলার ১৭ নং খরনা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইসহাক ও মরহুম নুরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান আইয়ুব বাচ্চু। ব্যস্ততার কারণে গ্রামের বাড়িতে না আসলেও আত্মীয়-স্বজনের নিয়মিত খোঁজ রাখতেন তিনি। আইয়ুব বাচ্চুর দাদা মরহুম হাজী নুরুজ্জমান সওদাগর। মোজাফফরাবাদ এন.জে. উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষি অফিস, তফসিল অফিস, খরনা বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, খরনা রেল স্টেশনসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা তিনি। আইয়ুব বাচ্চুর দাদা হাজী নুরুজ্জমান সওদাগরের স্বপ্নের একটি হাসপাতাল শীঘ্রই প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছে ছিল গুণী এই শিল্পীর; কিন্তু মৃত্যুর কাছে হার মেনে থেমে গেল সেই স্বপ্ন।  

আ্রইয়ুব বাচ্চুর প্রথম অ্যালবাম ‘এলআরবি’ বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এটাই দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম। এলআরবির অন্য অ্যালবামগুলো হলো ‘সুখ’ (১৯৯৩), ‘তবুও’ (১৯৯৪), ‘ঘুমন্ত শহরে’ (১৯৯৫), ‘ফেরারী মন’ (১৯৯৬), ‘স্বপ্ন’ (১৯৯৬), ‘যুদ্ধ’ (২০১১), ‘স্পর্শ’ (২০১৩)। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ‘রক্তগোলাপ’ হলো তার প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম। তার সাফল্যের শুরুটা হয় দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’র (১৯৮৮) মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে বাজারে আসে তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’। এর প্রায় সব গানই জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘অবাক হৃদয়’, ‘আমিও মানুষ’ গানগুলো। তার অন্য একক অ্যালবামগুলো হলো ‘সময়’ (১৯৯৮), ‘একা’ (১৯৯৯), ‘প্রেম তুমি কি’ (২০০২), ‘দুটি মন’ (২০০২), ‘কাফেলা’ (২০০২), ‘রিমঝিম বৃষ্টি’ (২০০৮), ‘বলিনি কখনো’ (২০০৯), ‘জীবনের গল্প’ (২০১৫)। আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া গানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘চলো বদলে যাই’। এর কথা ও সুর তারই। শ্রোতাপ্রিয় গানের তালিকায় আরও রয়েছে ‘শেষ চিঠি কেমন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’, ‘সুখ’, ‘চলো বদলে যাই’, ‘রূপালি গিটার’, ‘গতকাল রাতে’, ‘তারা ভরা রাতে’, ‘এখন অনেক রাত’ ইত্যাদি।

রক ঘরানার গানের এই শিল্পী আধুনিক আর লোকগীতিতেও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। বেশকিছু চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান ‘লুটতরাজ’ ছবির ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’। এছাড়া ‘আম্মাজান’ ছবির শিরোনাম গানও জনপ্রিয়।
শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন-সংস্কার না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের আতঙ্কে এলাকাবাসী; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
ছবিঃ শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধে ভাঙন কবলিত অংশ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পটিয়ার শ্রীমাই খাল বেড়িবাঁধের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশ ব্যাপক ভাঙনের সম্মুখীন হয়। বরাদ্দের অভাবে বেড়িবাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ মেরামত করা যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আরো বড় ধরনের ভাঙনের অাতঙ্ক বিরাজ করছে। পাহাড়ী ঢলের পানি থেকে রক্ষাকল্পে উক্ত বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অসময়ে বরাদ্দ পাওয়া ও বর্ষার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলায় ভাঙনের কবলে পড়া বেড়িবাঁধের কেবল ১টি স্পটে সামান্য কাজ করা হলেও বাকী আরও ৫টি অংশে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়।

প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে শ্রীমাই খালের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশে ব্যাপক অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে ছনহরা, ভাটিখাইন এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিতে পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যায়। এলাকাবাসীর অনেকের ঘরবাড়ি পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ও ছোট-বড় পোনার পুকুর ভেসে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত না করায় ২য় বারের বর্ষণেও পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।

এ ব্যাপারে কথা বললে, স্থানীয় ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী ও ভাটিখাইন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দীন ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর থেকে স্থানীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফর আহমদ চৌধুরী টিপুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অতি দ্রুত ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিলেও বরাদ্দের অভাবে তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও ভাটিখাইন এলাকার সামান্য অংশে দায়সাড়া গোছের মেরামত কাজ করে। ফলে গত অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়াতে যথাসময়ে কাজ না করায় বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত চলে যায়। এই বেড়িবাঁধ দিয়ে ছনহরা, ভাটিখাইন ও আশিয়া ইউনিয়নের শত শত লোকজন, স্কুল-কলেজের ছাত্র–ছাত্রী পটিয়া সদরে যাতায়াত করে থাকেন। বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণেকে চলাচলে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর চৌধুরী ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে মেরামত কাজ করতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন; কিন্তু চলতি অর্থ বছর শুরু হওয়াতে কোন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়ার মত কোন বরাদ্দ নেই। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে স্বেচ্ছাশ্রম কিংবা অংশীধারিত্বের ভিত্তিতে জরুরিভাবে এই ভাঙ্গন মেরামত করা সম্ভব হবে। অন্যথায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইউছুপের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, চলতি অর্থ বছরে শুরুতেই জরুরি ভিত্তিতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের মেরামত কাজ করার জন্য ডিজি মহোদয়ের সাথে আলাপ করে বরাদ্দ পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটিয়ায় কর্মরত এসডি মোহাম্মদ শওকত জানান, শ্রীমাই খালের ৫টি অংশে মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ টাকা বর্ষার কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। আগামী শুষ্ক মৌসুমে পুনরায় বরাদ্দ নিয়ে কাজ করা হবে। তাছাড়া সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের ঢলের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মেরামত কাজ করা সম্ভব হবে বলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান।
পটিয়া খরনা ইউনিয়ন সড়কের বেহালদশা-দুর্ভোগে সাধারণ জনগণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়া খরনা ইউনিয়ন সড়কের বেহালদশা-দুর্ভোগে সাধারণ জনগণ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে যানবাহন ও সাধারণ জনগণকে চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

জানা যায়, পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত খরনা ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক দিয়ে তৎকালীন ইংরেজরা পটিয়া চা বাগানে যাতায়াত করত। বর্তমানে চা বাগানটি বিলুপ্ত। চা বাগানের কারণে পটিয়া খরনা ইউনিয়ন পরিষদ সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ সড়কের সাথে লালারখীল, ফকিরপাড়া, মাঝিরপাড়া, কইস্যাপাড়া, ওয়াহিদুরপাড়া গ্রামের সাথে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যোগাযোগ রয়েছে। মুজাফফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, মুজাফরাবাদ কলেজ, দক্ষিণ খরনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। 

পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের মধ্যে সিংহভাগ শাক-সবজি খরনার বিভিন্ন গ্রাম হতে উৎপন্ন হয়। এখানে উৎপাদিত শাক-সবজি এ সড়ক দিয়ে পরিবহন করা হয়। খরনা ইউনিয়ন পরিষদ ও খরনা ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পেশার লোকের যাতায়তের একমাত্র পথ এ সড়ক।

এ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সংসদ সদস্য মরহুম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মন্টু খরনা ইউপি সড়কটিতে কার্পেটিং এর ব্যবস্থা করেন। ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এ সড়কের আরো কিছু অংশ বৃদ্ধি করে কার্পেটিং সহ সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়। 
২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে সড়কটিতে পুনরায় কার্পেটিং কাজে সংস্কার করা হয়। কিন্তু বিগত ১৪ বছর ধরে এই সড়কের আর কোন সংস্কার কাজ না করায় সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় সড়কটি প্রায় চলাচলের অযোগ্য। দু’পাশে রাস্তার মাটি সরে গিয়ে  চল বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগ আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছবে বলে এলাকার লোকজনের ধারণা। 

এ ব্যাপারে খরনা ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘সড়কটির বিষয়ে পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীকে  অবগত করা হয়েছে। আগামী বাজেটে বরাদ্দ পেলে সড়কটির সংস্কারের কাজ করা হবে।’
টানা বর্ষণে পটিয়ার মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ৫ শতাধিক মৎস্য চাষী ও ২০টি হ্যাচারী মালিকের মৎস্য পোনা পানিতে তলিয়ে গিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

পটিয়া পৌর সদরের প্রায় শতাধিক মৎস্য চাষী চলতি বছর পোনা উৎপাদনের জন্য হালদা নদীর মৎস্য প্রজননের ডিম সংগ্রহ করে এগুলো রেনুতে পরিনত করে। পোনা  উৎপাদন ও বিক্রয় মুহুর্তে বন্যার পানিতে মূল্যবান মাছের পোনা ভেসে যায় বলে মৎস্য চাষীরা জানান।

পটিয়া উপজেলার খরনা, কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, ধলঘাট, জঙ্গলখাইন ইত্যাদি ইউনিয়নগুলোতে প্রায় ৪ শতাধিক মৎস্য উৎপাদন পুকুর রয়েছে। পুকুর গুলোর রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুটি, কার্প জাতীয় মাছের চাষ সহ পোনা উৎপাদন প্রক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়।

জাতীয়ভাবে ২ বার পুরুস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী ও হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী (প্রাঃ লিঃ) এর পরিচালক এম.এম. এজাহার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘এবারের বন্যায় পটিয়ার মৎস্য চাষীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এমনকি তার নিজের হ্যাচারীর প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মৎস্য পোনা পানিতে ভেসে গেছে। তার হ্যাচারীতে রুই, কাতাল, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মিরর কার্প, সরপুঁটি, কার্পু, চিতল, পাবদা, রূপচাঁদা, মনোসেক্স নাইলেটিকা মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তিনি বছরে প্রায় কোটি টাকার পোনা উৎপাদন করেন বলে জানান। যার কারণে ২ বার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগঠন থেকে ১২টি পুরস্কারপ্রাপ্ত হন তিনি। তিনি আরো বলেন এ বছর যে ক্ষতি হয়েছে সে কারণে পোনা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারবেন না।’

পটিয়ায় উপজেলার উল্লেখ্যযোগ্য হ্যাচারীর মধ্যে রয়েছে হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী, ডেঙ্গাপাড়ার এস.জে. ফিশ, জমজম ফিশ, খরনা ইউনাইটেড এ্যকুয়া ফার্ম, শাহ আমানত ফার্ম, আমজুর হাট ফার্ম। এর মধ্যে শাহ আমানত ফার্ম ও জম জম ফিশ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কমলমুন্সির হাট এলাকায় অবস্থিত সরকারী মৎস্য খামারের পোনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।

জাতীয় মৎস্য চাষী এম.এম. এজাহার জানান মৎস্য পোনা উৎপাদন ও চাষীদের চাঙ্গা করতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের আর্থিক অনুদানসহ সহজ কিস্তিতে ঋন দেয়ার ব্যবস্থা করলে মৎস্য চাষীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়ার পাহাড়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কে কর্মজীবীরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ পাহাড়ী বাহিনীর আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে কর্মজীবীদের।

পাহাড়ে কাজ করতে আসা বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মজীবী বলেন, ‘অগ্নিছড়া, বুদবুদি ছড়া, হিলছিয়া খাল, শ্রীমাইয়ের আগা, দক্ষিনচালার মুখে পাহাড়ীরা বর্তমানে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। ফলে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।’

জানা যায়, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে প্রতিদিন অসংখ্য কর্মজীবী মানুষ বিভিন্ন সবজি, লেবু ও পেয়ারা বাগানে কাজ করতে আসেন। গত ৪/৫ দিন ধরে সেখানে পাহাড়ীয়া এলাকার কমলাছড়ির আবু তাহের ও নুরুল হকের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী অসংখ্য কর্মজীবীকে অপহরণ করে গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি বেঁধে রেখে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। যারা টাকা দেয় তাদেরকে দ্রুত ছেড়ে দিলেও ৪/৫ জনকে ১দিন ১ রাত বেঁধে রাখে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। 

গতবছরের এ সময়ে তারা খরনা থেকে এক মৌলভীকে অপহরণ করে গভীর অরণ্যে নিয়ে গিয়েছিল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রটি। পটিয়ার খরনা, কচুয়াই ও হাইদগাঁও থেকে পাহাড়ে কাজ করতে যাওয়া কর্মজীবীদের গত বছর এভাবে  বেঁধে রেখে টাকা আদায় করে চক্রটি।

এদিকে বনবিভাগের পাহাড়গুলো থেকে পাহাড়ীরা গাছ কেটে নেওয়ার জন্য সেখানে অস্থায়ী বসতী গড়ে তুললে বনবিভাগের লোকজনের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।এর পর তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্তমানে আবারো একই কায়দায় সাধারণ মানুষকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায়ের কৌশল নেওয়ায় পাহাড়ের নিকতবর্তী এলাকাগুলোতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, যারা সেখানে অপরাধের সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।