vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ৫ শতাধিক মৎস্য চাষী ও ২০টি হ্যাচারী মালিকের মৎস্য পোনা পানিতে তলিয়ে গেছে।

টানা বর্ষণে পটিয়ার মৎস্য চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পটিয়া উপজেলার ৫ শতাধিক মৎস্য চাষী ও ২০টি হ্যাচারী মালিকের মৎস্য পোনা পানিতে তলিয়ে গিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

পটিয়া পৌর সদরের প্রায় শতাধিক মৎস্য চাষী চলতি বছর পোনা উৎপাদনের জন্য হালদা নদীর মৎস্য প্রজননের ডিম সংগ্রহ করে এগুলো রেনুতে পরিনত করে। পোনা  উৎপাদন ও বিক্রয় মুহুর্তে বন্যার পানিতে মূল্যবান মাছের পোনা ভেসে যায় বলে মৎস্য চাষীরা জানান।

পটিয়া উপজেলার খরনা, কেলিশহর, হাইদগাঁও, কচুয়াই, ধলঘাট, জঙ্গলখাইন ইত্যাদি ইউনিয়নগুলোতে প্রায় ৪ শতাধিক মৎস্য উৎপাদন পুকুর রয়েছে। পুকুর গুলোর রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুটি, কার্প জাতীয় মাছের চাষ সহ পোনা উৎপাদন প্রক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়।

জাতীয়ভাবে ২ বার পুরুস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী ও হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী (প্রাঃ লিঃ) এর পরিচালক এম.এম. এজাহার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘এবারের বন্যায় পটিয়ার মৎস্য চাষীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এমনকি তার নিজের হ্যাচারীর প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মৎস্য পোনা পানিতে ভেসে গেছে। তার হ্যাচারীতে রুই, কাতাল, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, মিরর কার্প, সরপুঁটি, কার্পু, চিতল, পাবদা, রূপচাঁদা, মনোসেক্স নাইলেটিকা মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। তিনি বছরে প্রায় কোটি টাকার পোনা উৎপাদন করেন বলে জানান। যার কারণে ২ বার জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংগঠন থেকে ১২টি পুরস্কারপ্রাপ্ত হন তিনি। তিনি আরো বলেন এ বছর যে ক্ষতি হয়েছে সে কারণে পোনা উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারবেন না।’

পটিয়ায় উপজেলার উল্লেখ্যযোগ্য হ্যাচারীর মধ্যে রয়েছে হযরত ওয়াশিল ফকির মৎস্য উন্নয়ন হ্যাচারী, ডেঙ্গাপাড়ার এস.জে. ফিশ, জমজম ফিশ, খরনা ইউনাইটেড এ্যকুয়া ফার্ম, শাহ আমানত ফার্ম, আমজুর হাট ফার্ম। এর মধ্যে শাহ আমানত ফার্ম ও জম জম ফিশ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কমলমুন্সির হাট এলাকায় অবস্থিত সরকারী মৎস্য খামারের পোনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।

জাতীয় মৎস্য চাষী এম.এম. এজাহার জানান মৎস্য পোনা উৎপাদন ও চাষীদের চাঙ্গা করতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের আর্থিক অনুদানসহ সহজ কিস্তিতে ঋন দেয়ার ব্যবস্থা করলে মৎস্য চাষীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

• আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন। ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না। কিছু বিষয় বিস্তৃত হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করছে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।