ব্যাংক চেক নমুনা |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ এখন থেকে ‘চেকের মাধ্যমে চেকদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে কোন লেনদেন হলে এ সম্পর্কিত কোন বৈধ চুক্তিপত্র প্রমাণ করতে না পারলেও সাজা হবে না’- মর্মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
এ রায়ের ফলে এখন থেকে বাদীকেই প্রমাণ করতে হবে কী চুক্তিমূলে বা বিবেচনায় চেকদাতা চেক ইস্যু করেছিলেন এবং সেই চুক্তিটি ভঙ্গ হয়নি যার কারণেই বিবাদীর কাছে বাদীর পাওনা বলবৎ রয়েছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চের বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ওই রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এক আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
চেক ডিজঅনার হলেই এর আগে চেকদাতাকে সাজা ভোগ করতে হতো। চেকমূলে চেকগ্রহীতার টাকা পাওয়ার কোনও কারণ আছে কিনা, কিংবা চেকটি আসল নাকি জাল সেটি তেমন একটা দেখা হতো না।
বর্তমান রায়ের ফলে এখন থেকে চেকগ্রহীতাকে প্রমাণ করতে হবে যে, চেকদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে লেনদেন সম্পর্কিত কোনও বৈধ চুক্তিপত্র ছিল কিনা। চেক প্রাপ্তির বৈধ কোনও কারণ প্রমাণ করতে না পারলে এখন আর চেকদাতাকে সাজা দেওয়া যাবে না।