"সারাদেশ" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
সারাদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; কাউন্সিলর
পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন ও ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

পৃথক প্রজ্ঞাপনে তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের সদস্যদেরও অপসারণ করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রদের অপসারণ করা হয়েছিল। একই দিন অপসারণ করা হয়েছিল দেশের ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের। তারপর এসব পদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। 

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগের পেটোয়াবাহিনীর দমন-পীড়ন-গণহত্যায় আন্দোলন গণবিক্ষোভে রূপ নিলে গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা, পতন ঘটে টানা সাড়ে ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরশাসনের। 
এরপর থেকে আওয়ামীলীগ দলীয় দেশের বেশিরভাগ সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা এবং জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা পলাতক রয়েছেন। এতে এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে, ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রার্থীরা। 

জনগণের ভোগান্তি কমাতে এসব দপ্তরের পলাতক প্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী; army; magistracy; interim govt; bangladesh
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রুর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকা ব্যতীত সারাদেশে এ প্রজ্ঞাপনের আলোকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে এ দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা।

প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। 

আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে- 

ধারা ৬৪ : ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা। 

ধারা ৬৫ : গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা বা তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা যার জন্য তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। 

ধারা ৮৩/৮৪/৮৬ : ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা। 

ধারা ৯৫(২) : নথিপত্র ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা। 

ধারা ১০০ : ভুলভাবে বন্দি ব্যক্তিদের হাজির করার জন্য অনুসন্ধান-ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা। 

ধারা ১০৫ : সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যে কোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন। 

ধারা ১০৭ : শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১০৯ : ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীর ক্ষমতা। 

ধারা ১১০ : ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা। 

ধারা ১২৬ : জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা। ধারা ১২৭ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা। 

ধারা ১২৮ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা। ধারা ১৩০ : বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা।

ধারা ১৩৩ : স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা। 

ধারা ১৪২ : জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা। 

উল্লেখিত ক্ষমতা ছাড়াও, যে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না বলে ফৌজদারি কার্যবিধির আইনে বলা রয়েছে।
দেশের সকল মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ
দেশের সকল মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ


ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশের ৬০টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪২৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান-মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ৪৯৩টি পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। 

রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে অধিষ্টিত এসব চেয়ারম্যান-মেয়রদের অপসারণ করে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিশেষ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে শনিবার (১৭ আগস্ট) ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’; ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’; ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) অধ্যাদেশগুলোর খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ; বাংলাদেশ; ছাত্র আন্দোলন; সরকার; Bangladesh Government; Interim Government; Student Protest; Reform Quota Protest
ড. ইউনুসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এ সময় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ আরও ১৩ জন। 

আজ বৃহস্পতিবার (আগস্ট ০৮) রাত ৯টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। 

এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক–বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। পরে অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

তাঁরা হলেন— 

১. অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ 

২. সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন 

৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল 

৪. মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান 

৫. সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ 

৬. সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন 

৭. পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান 

৮. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম 

৯. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া 

১০. সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা 

১১. উন্নয়নকর্মী (উবিনীগ) ফরিদা আখতার 

১২. জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় 

১৩. চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মাওলানা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন 

১৪. গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম 

১৫. ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ 

১৬. ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। 

এই ১৬ জনের মধ্যে বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা ও ফারুক-ই-আজম ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাদের শপথ গ্রহণ পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।


শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান 

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন, দেশজুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস; শেখ হাসিনা; আওয়ামীলীগ; পলায়ন; ভারত; স্বৈরাচার; autocracy; sheikh hasina; bangladesh; india
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন, দেশজুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

ভয়েস অব পটিয়া-স্পেশাল ডেস্কঃ প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তুমুল ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ৩৬ দিন আগে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হলে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কার আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শেখ হাসিনার নির্দেশে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্যরা। এতে অফিসিয়াল হিসাবে প্রায় ৩০০ ছাত্রজনতা, আনঅফিসিয়াল প্রায় হাজারের কাছাকাছি মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৯৭১ এর মত ছাত্রদের ব্যাপক ধরপাকড়-গ্রেফতার-নির্যাতন চালায় শেখ হাসিনার বাহিনী। মানুষ আতঙ্কে তটস্থ হয়ে পড়ে, গোটা দেশে থমথমে অবস্থার বিরাজ করে। হেলিকপ্টার থেকে ছাত্রজনতার আন্দোলনের গুলি করে হত্যা করা অনেককে। বাদ যায়নি বারান্দায় খেলতে থাকা শিশুও। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে চলা শেখ হাসিনার স্বৈরাচার ব্যবস্থার সমাপ্তি ঘটে ০৫ আগস্ট দুপুরে। ছাত্রজনতা দখলে নেয় গণভবন। উল্লাসে মেতে উঠে সমগ্র দেশের দলমত নির্বিশেষ ছাত্রজনতা।

এর আগে (০৫ আগস্ট) দুপুরে গণভবন থেকে বোন শেখ রেহানাকে সাথে নিয়ে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা এবং সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে (ফ্লাইট নং AJAX 1431) কার্গো বিমানে ভারতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে বিমানটি ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। 

শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। তবে তা প্রত্যাখান করে যুক্তরাজ্যে সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, সেনাবাহিনী এবং দিল্লির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ জন্য। তার পরেই শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তিনি শিগগিরই লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলেও খবর এসেছে। 

মূলত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের হয়রানি, গণ-গ্ৰেফতার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ৩০০ এর অধিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হওয়ার প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের কাছে নয় দফা দাবি পেশ করে। উক্ত দাবিগুলো না মেনে পুনরায় গণগ্ৰেফতার ও আন্দোলনে বলপ্রয়োগ অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ মিনারে এক দফা দাবি তথা শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি তোলা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে আন্দোলনকারী কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সদস্যদের গণহত্যা, ২০১৪ থেকে টানা তিন দফা ভিন্নমত দমন-বিরোধীপক্ষকে হত্যা-গুম করে রাষ্ট্রীযন্ত্রের ব্যাপক দলীয়করণে ভোট চুরির বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার। দেশব্যাপী চলে হত্যাযজ্ঞ-গুম-খুনসহ ব্যাপক দুর্নীতি-ব্যাংক লুটসহ নানা অনিয়ম। এ দীর্ঘ সময়ে এই অনির্বাচিত সরকারের পতনে বিরোধীপক্ষগুলো থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখা না গেলেও গত একমাস ধরে চলা ছাত্রদের ডাকা বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কারে আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে ক্ষমতার দম্ভ দেখানো, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করে ছাত্রজনতার উপর দমন পীড়ন-গণহত্যা চালানোর কারণে শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হয়ে শেষমেশ দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
চাঁদ দেখা গেছে, রমযানুল মুবারক; ramadan; mubarak; ramadan kareem
চাঁদ দেখা গেছে, রমযানুল মুবারক

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমযান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে রমযান। 

আজ সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রমযানের চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। 

সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি মোঃ ফরিদুল হক খান জানান, ‘চট্টগ্রামের আকাশে রমযান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে রোযা শুরু হবে।’
সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ-পটিয়া এলডিপির ৪ নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা; LDP
সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ-পটিয়া এলডিপির ৪ নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ভয়েস অব পটিয়া-প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পটিয়া পৌরসভা এলডিপির আহ্বায়ক আবদুর রশীদ, উপজেলা এলডিপির সভাপতি মনছুর আলম, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী ও জেলা গণতান্ত্রিক যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল কুদ্দুছকে পটিয়া পৌরসভা এলডিপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পটিয়া পৌরসভা এলডিপির নেতা-কর্মীরা জানান, ‘এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে সারাদেশে যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত আছে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলছুট উল্লেখিত এলডিপির নামধারী নেতাগণ সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের একপেশে ভোট ডাকাতির সাথে জড়িত হয়ে বিএনএম এর প্রার্থী এম.এয়াকুব আলীর নোঙ্গর মার্কায় প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকায় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হইলাম।’ 
বিবৃতিদানকারীগণ হলেন, পটিয়া পৌরসভা এলডিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছৈয়দ, সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান, পটিয়া পৌরসভা গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল হক আমীর, পটিয়া পৌরসভা গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বেলাল, পটিয়া পৌরসভা এলডিপির সদস্য সচিব মুঃ সাদ্দাম হোসেন, সদস্য মু: ফারুক, অনিল চক্রবর্তী, মু: দেলোয়ার, মু: আলি, মু: আব্দুর রহিম প্রমুখগণ।
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; ঢাকা; কক্সবাজার; রেল; কক্সবাজার রেল; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Coxsbazar rail, Patiya; Chittagong; Chattogram
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ তৎকালীন আরাকানের রাজধানী পটিয়া, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার পটিয়া, বঙ্গবন্ধু ঘোষিত জেলা সাবেক মহকুমা পটিয়া, হালের দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজধানী পটিয়া - যুগ যুগ ধরে বঞ্চনার শিকার ব্রিটিশ আমলে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত জংশন পটিয়া, একবিংশ শতাব্দির উন্নয়নের মহীসোপানে এসে বারবার মুর্ছা যাওয়া পটিয়া এবারও অবহেলার শিকার।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সারাদেশের সাথে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন। 

আগামী ০১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এর বাণিজ্যিক যাত্রা। শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে একটি করে দুটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় সবকয়টি রেল স্টেশনে স্টপেজ থাকলেও এবারও বঞ্চনার শিকার পটিয়া। 

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথের ভাড়া তালিকা ও সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, কক্সবাজারের রেলপথের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। 

ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; Dhaka Coxsbazar rail fare
ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুটে চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা

তবে রেলের একটি সূত্র থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা থেকে শোভন চেয়ারের টিকিট ৫০০ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৯৬১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার ৭৭১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ/সিট ১১৫০ টাকা এবং এসি বার্থের টিকিট ১ হাজার ৭২৫ টাকা। 
আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের টিকিট ২০৫ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার/সিট ৩১১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ ও এসি সিট ৪৬৬ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৩৮৬ টাকা এবং এসি বার্থ টিকিট ৬৯৬ টাকা। 

তবে ওই ভাড়ার চার্টে কম গুরুত্বপূর্ণ বেশকয়েকটি স্টেশনের নাম স্টপেজ হিসেবে উল্লেখ করলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ পটিয়া রেল স্টেশন জংশনে কোন স্টপেজ রাখা হয় নি। এমনকি মেইল এক্সপ্রেস/কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। 
পটিয়াবাসীকে বারবার এভাবে বঞ্চনার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অবিলম্বে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের পটিয়ায় স্টপেজ প্রদানের দাবি উঠেছে।
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২৪; বাজেট ২০২৩-২৪; বাংলাদেশ; সংসদ
এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪



ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ  ‘স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে’ যাত্রার অভিপ্রায়ে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। 

এবারের এ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের (৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা) চেয়ে ১৫.৩৩ শতাংশ বেশি। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার। এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তারপরও আয় ও ব্যয়ের হিসাবে বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। 

বৃহস্পতিবার বিকালে (০১ জুন) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রীসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫.৫ শতাংশ। মোট বাজেটের শতাংশে ১৫.৭ ভাগ যা পূরণে নির্ভর করতে হবে ব্যাংক ঋণ থেকে। সেজন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার মত ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা। 

এবার দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অর্থমন্ত্রী হিসাব ধরেছেন, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ২০ শতাংশ। অনুন্নয়ন ব্যয়ের আরও প্রায় ১৬.২০ শতাংশ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যয় হয়ে, যার পরিমাণ অন্তত ৭৭ হাজার কোটি টাকা। 

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশে' মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার; দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ আর চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়; মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপরে; বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ।
“শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক স্বাক্ষরতা অর্জিত হবে। সকলের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেকসই নগরায়নসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা থাকবে হাতের নাগালে। তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। সবচেয়ে বড় কথা, স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।”


এক নজরে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; সংবাদ; সারাদেশ; ঢাকা; বাজেট; বাজেট ২০২৩; বাজেট ২০২৪; বাজেট ২০২৩-২৪; বাংলাদেশ; সংসদ
প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল

যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
  • মোবাইল সেট: স্থানীয় উৎপাদন ও সংযোজন পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তাই মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে।  
  • এলপি গ্যাস: উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিলিন্ডার বানানোর কাজে ব্যবহৃত স্টিল ও ওয়েল্ডিং ওয়্যার আমদানিতে শুল্ক আরোপ হয়েছে। এ কারণে এলপি গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।
  • কলম: কলম উৎপাদনে বর্তমানে ভ্যাট অব্যাহতি ছিল, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে শিক্ষা উপকরণ কলমের দাম বাড়তে পারে।
  • চশমা: চশমার ফ্রেম ও সানগ্লাস আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়াও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই বাড়তে পারে চশমার ফ্রেমের দামও।
  • টিস্যু: কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু/পকেট টিস্যু ও পেপার টাওয়াল উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে টিস্যু পেপারের দাম বাড়তে পারে।
  • সাইকেল: সাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তাই সাইকেলের দাম বাড়তে পারে।
  • প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজষপত্র: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজষপত্র উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে তৈজসপত্রের দাম বাড়তে পারে।
  • খেজুর: শুল্ক-ফাঁকি রোধে তাজা ও শুকনো খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে খেজুরের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • কাজুবাদাম: স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন বাড়াতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে আমদানি করা কাজুবাদামের দাম বাড়তে পারে। এছাড়াও ফল-বাদাম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
  • বাসমতি চাল: নন ফর্টিফাইড বাসমতি চাল আমদানিতে ভ্যাট বসানো হয়েছে। এতে এই চালের দাম বাড়তে পারে।
  • সিগারেট: এবার সিগারেটের মূল্যস্তর বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সব ধরনের সিগারেটের দামই বাড়তে পারে।
  • সিমেন্ট: সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে বর্তমানে টনপ্রতি ৫০০ টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্ক আছে। এটি বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে বিধায় সিমেন্টের দাম বাড়তে পারে।
এছাড়াও দাম বাড়তে পারে শিরিষ কাগজ, আঠা বা গ্লু, মাছের টুকরা, চিজ ও দই, চা-কফিমেট, গ্যাস লাইটার প্রভৃতি পণ্যের। হয়েছে।

যেসব পণ্যের দাম কমছে
  • মিষ্টি: বিপণন পর্যায়ে মিষ্টিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করায় মিষ্টির দাম কমতে পারে।
  • কীটনাশক: কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক, বালাইনাশক ও আগাছানাশকের দাম কমতে পারে। কারণ এসব উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
  • স্প্রেয়ার মেশিন: কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ড্রায়ার, স্প্রেয়ার মেশিনে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল ঈদ; ঈদ উল ফিতর; রমযান; শাওয়াল; Eid; Eid Al Fitr; Ramadan; Shawwal
চাঁদ দেখা গেছে, আগামীকাল ঈদ

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ঈদ মুবারক। আগামীকাল শনিবার (২২ এপ্রিল) দেশব্যাপী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে।

আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে  জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান।

সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র (স্পারসো) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরী ১৪৪৪ সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামীকাল শনিবার শাওয়াল মাসের প্রথম দিন দেশে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে।
বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামায দোয়া, নামল স্বস্তির বৃষ্টি
বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামায দোয়া, নামল স্বস্তির বৃষ্টি

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশব্যাপী প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। রোদ আর গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। 

বৃষ্টির আশায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘সালাতুল ইস্তিকারা’র নামায ও দোয়া করে মুসল্লিরা। মুসল্লিরা বলেন, প্রিয় নবীর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এদিকে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ সিলেট, ফেনী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে।

বৃষ্টিহীন এপ্রিলে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড গরমে গোটা দেশেই জনজীবন অসহনীয় করে তুলেছে। সোমবার পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়, যা গত পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চলমান তাপপ্রবাহ থাকবে আরও বেশ কয়েকদিন। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে বাড়বে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ। ফলে তাপমাত্রা কমলেও অস্বস্তিকর গরম সহসাই কাটছে না।
চাঁদ দেখা যায় নি, শুক্রবার রোযা শুরু;  রমযান; রমজান; রোজা; রোযা; Ramadan; Holy Ramadan
চাঁদ দেখা যায় নি, শুক্রবার রোযা শুরু

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ দেশের আকাশে পবিত্র রমযান মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রোযা রাখা।
 
আজ বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এ ঘোষণা দেন। 
তিনি বলেন, ‘দেশের আকাশে কোথাও চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। তাই বৃহস্পতিবার শেষ হবে শাবান মাস এবং শুক্রবার শুরু হবে রমযান মাস।
 
তিনি আরো জানান, ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে শবে কদর পালিত হবে। 

উল্লেখ্য, চন্দ্র মাসের পঞ্জিকা অনুসারে, ১২ মাসে ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে বছর হিসাব করা হয়। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ইসলামী পঞ্জিকার দশম মাস রমযানের শুরু হয়। আগের দিন মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সোদি আরবে বৃহস্পতিবার থেকে রোযা শুরুর ঘোষণা আসে। 

বাংলাদেশে শুক্রবার ১ম রোযা রাখার মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সিয়াম, সাধনা, সংযমের মাস রমযানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে যাচ্ছেন।
বাড়লো বিদ্যুতের দাম, এ মাস থেকেই কার্যকর; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
মার্চে বাড়লো বিদ্যুতের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ আরেক দফা বাড়লো বিদ্যুতের দাম; খুচরায় ৫ শতাংশ বাড়িয়ে মার্চ মাসের জন্য বিদ্যুতের নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর ফলে খুচরায় গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দাঁড়াবে ৮ টাকা ২৪ পয়সা, যা ফেব্রুয়ারীতে ছিল ৭ টাকা ৮৫ পয়সা। আর জানুয়ারীতে ছিল ৭ টাকা ৪৮ পয়সা।

মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে নতুন এই মূল্যহার কার্যকর হবে বলে আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। খুচরায় বাড়লেও পাইকারীতে এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। ফেব্রুয়ারীতে পাইকারী বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়।

দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে গত ২৯ জানুয়ারী (রোববার) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি) সংশোধন বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারী গ্রাহক পর্যায়ে দ্বিতীয় দফা দাম বাড়ানোর পর আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সংশোধিত এই আইনের মাধ্যমে তৃতীয় বারের মত বিদ্যুতের দাম বাড়ালো সরকার। 
বিদ্যুতের পর এবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম;  এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity; Gas; LPG
বিদ্যুতের পর এবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর এবার বাড়লো এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসেরও দাম। ২১.৫৭% দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি তরল পেট্রোলিয়াম (এলপিজি) সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ১০২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে এক ধাক্কায় ১২৪ টাকা ৮৫ পয়সা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের জন্য নির্ধারিত নতুন এ দরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি ওজনের একটি ‍সিলিন্ডারের দাম হবে ১৪৯৮ টাকা, যা আগের মাসে ছিল ১২৩২ টাকা। অর্থাৎ চলতি মাসে ১২ কেজির বোতল কিনতে ভোক্তার খরচ ২৬৬ টাকা বেড়ে গেল। তবে বিইআরসির দাম বৃদ্ধির ঘোষণার আগেই গত এক সপ্তাহ ধরে সারাদেশে এলপিজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রিটেইলাররা। ১২ কেজি ওজনের একটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে। 

নতুন দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডার ৬৮৭ টাকা, ১৫ কেজির সিলিন্ডার ১৮৭৩ টাকা, ১৬ কেজির সিলিন্ডার ১৯৯৮ টাকা, ১৮ কেজি ২২৪৮ টাকা, ২০ কেজি ২৪৯৭ টাকা, ২২ কেজি ২৭৪৭ টাকা, ২৫ কেজি ৩১২১ টাকা, ৩০ কেজি ৩৭৪৫ টাকা, ৩৩ কেজি ৪১২৪ টাকা, ৩৫ কেজি ৪৩৭০ টাকা, ৪৫ কেজি ৫৬১৮ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
মাস না যেতেই ফের বাড়লো বিদ্যুতের দাম; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
মাস না যেতেই ফের বাড়লো বিদ্যুতের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ মাস না যেতেই ১৮ দিনের মাথায় ফের গ্রাহক পর্যায়ে বাড়লো বিদ্যুতের দাম। গড়ে ১০ শতাংশের বেশি বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার, এতে ইউনিট প্রতি দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৩৯ পয়সা, সর্বোচ্চ ১ টাকা ১৪ পয়সা। নতুন এ দর ফেব্রুয়ারী মাস থেকে কার্যকর হবে। যাতে গ্রাহককে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দিতে হবে ইউনিটপ্রতি ০-৫০ ইউনিট পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৪ টাকা ১৪ পয়সা,  ৬০০ ইউনিটের বেশি ইউনিটিপ্রতি সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৫৩ পয়সা। 


আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব এস.এম মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক গেজেটে বিদ্যুতের বর্ধিত এই মূল্যহার জারি করা হয়। 

আইন সংশোধন করে গত ০১ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন), অধ্যাদেশ, ২০২২’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার। এর মধ্যদিয়ে বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা যায় সরকারের হাতে। যা এত দিন বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতো।
দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে গত ২৯ জানুয়ারী (রোববার) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সংশোধন বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। সর্বশেষ ১২ জানুয়ারী গ্রাহক পর্যায়ে আরেক দফা দাম বাড়ানোর পর ১৮ দিনের ব্যবধানে আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) সংশোধিত এই আইনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত বিদ্যুতের দাম বাড়ালো সরকার।
বাড়লো বিদ্যুতের দাম, এ মাস থেকেই কার্যকর; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
বাড়লো বিদ্যুতের দাম, এ মাস থেকেই কার্যকর

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ এবার গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার, এতে ইউনিট প্রতি দাম বাড়বে ৩৫ পয়সা। নতুন এ দর চলতি জানুয়ারী মাস থেকে কার্যকর করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। যাতে গ্রাহককে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম দিতে হবে ৭ টাকা ৪৮ পয়সা। 

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তুকি সমন্বয় করতে বিদ্যুতের মূল্য শতকরা ৫ ভাগ বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৩’ এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনস্বার্থে বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার ৫ শতাংশ সমন্বয় করেছে।’

জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি গত ০৮ জানুয়ারী গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়াতে গণশুনানির আয়োজন করলেও এবার দাম বাড়ানো হয়েছে সরকারের নির্বাহী আদেশে। 
দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধন করে গত ০১ ডিসেম্বর অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সংশোধনের সময় বলা হয়েছিল, বিশেষ পরিস্থিতিতে দাম বাড়াবে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রথমবারের মত এ ক্ষমতার প্রয়োগ করল সরকার।
এবার গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম; বিদ্যুৎ; দাম; বিইআরসি; পিজিসিবি; পিডিবি; পল্লী বিদ্যুৎ; ডেসকো; ডিপিডিসি; নেসকো; ওজোপাডিকো; PGCB; PDB; DPDC; DESCO; REB; WZPDC; Electricity
বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ নতুন বছরে গ্রাহক পর্যায়ে আরেক দফা বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। সম্প্রতি বিদ্যুতের পাইকারী দাম ১৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধির পর গ্রাহক পর্যায়ে ২০ শতাংশ দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নিকট আবেদন করে বিদ্যুৎ বিতরণকারী ৬টি প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে সঞ্চালন চার্জ ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির আবেদন করে পিজিসিবি। 

গতকাল রাজধানীতে এ নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করে বিইআরসি। 

শুনানি শেষে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের কমিশনের মেয়াদ রয়েছে আগামী ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বর্ধিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

শুনানিতে বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫.৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে। সেই সাথে সঞ্চালন চার্জ ১৩.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য বলেছে। 

শুনানিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংস্থা (ক্যাব) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জ্বালানী বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সমন্বয় করার অনেক বিকল্প রয়েছে। সারাবিশ্ব ২০২৩ সালকে মূল্যস্ফীতি চ্যালেঞ্জের বছর মনে করছে। এরকম সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে নেতিবাচক অবস্থার তৈরি হবে।’

উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারী দাম ১৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বিইআরসি।
উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’; cyclone; sitrang
উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। সিত্রাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। 
মনিটরিং সেলের হটলাইন নাম্বার 01769010986, 0255029550, 0258153022
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আজ সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ পটুয়াখালীর কলাপাড়া-খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়তে শুরু করে। রাত আটটা নাগাদ ঝড়টির কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে, হচ্ছে প্রচুর বৃষ্টিপাত। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছানাউল হক মন্ডল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলে এমনকি ঢাকায়ও দমকা বাতাস রেকর্ড হচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্র এখনও সাগরে। কক্সবাজারে ৭৪ কি.মি প্রতি ঘন্টা গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া রেকর্ড হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিত্রাং বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব অনেক বেশি হতে পারে। এ জন্য তারা তিনটি কারণের কথা বলছে। কারণ তিনটি হলো, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য। 
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেনীর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে পাঁচ থেকে আট ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৭ নং বিপদসংকেত; cyclone; sitrang
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৭ নং বিপদসংকেত

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সাথে উপকূলীয় এলাকায় ভারী ভর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে। মঙ্গলবার ভোররাত বা সকাল নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।

এর আগে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ পরিণত হয়। সেই সময় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ (চার) নং হুঁশিয়ারিং সংকেত দেখাতে বলা হয়। 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূল থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে থাকলেও এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে চলছে তুমুল বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া। দেশের উপকূলীয় সব জেলাতেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর উপকূলীয় তিন উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বড় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকলীয় এলাকার ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা/ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সাথে ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।  

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। 
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। 
তিনি আরো বলেন, সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানবে। ভারতে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালী। 
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৪ নং হুঁশিয়ারি সংকেত; cyclone; sitrang
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৪ নং হুঁশিয়ারি সংকেত

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এ পরিণত হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ (চার) নং হুঁশিয়ারিং সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর ফলে রোববার দিনভর উপকূলীয় জেলাগুলোর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। এদিকে, উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন ওইসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। 

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর অশান্ত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।