"চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; ঢাকা; কক্সবাজার; রেল; কক্সবাজার রেল; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Coxsbazar rail, Patiya; Chittagong; Chattogram
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ তৎকালীন আরাকানের রাজধানী পটিয়া, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার পটিয়া, বঙ্গবন্ধু ঘোষিত জেলা সাবেক মহকুমা পটিয়া, হালের দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজধানী পটিয়া - যুগ যুগ ধরে বঞ্চনার শিকার ব্রিটিশ আমলে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত জংশন পটিয়া, একবিংশ শতাব্দির উন্নয়নের মহীসোপানে এসে বারবার মুর্ছা যাওয়া পটিয়া এবারও অবহেলার শিকার।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সারাদেশের সাথে রেল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন। 

আগামী ০১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এর বাণিজ্যিক যাত্রা। শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে একটি করে দুটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় সবকয়টি রেল স্টেশনে স্টপেজ থাকলেও এবারও বঞ্চনার শিকার পটিয়া। 

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথের ভাড়া তালিকা ও সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, কক্সবাজারের রেলপথের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। 

ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, থামবে না পটিয়া!; Dhaka Coxsbazar rail fare
ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুটে চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা

তবে রেলের একটি সূত্র থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা থেকে শোভন চেয়ারের টিকিট ৫০০ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৯৬১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার ৭৭১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ/সিট ১১৫০ টাকা এবং এসি বার্থের টিকিট ১ হাজার ৭২৫ টাকা। 
আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে শোভন চেয়ারের টিকিট ২০৫ টাকা, প্রথম শ্রেণীর চেয়ার/সিট ৩১১ টাকা, প্রথম শ্রেণীর বার্থ ও এসি সিট ৪৬৬ টাকা, এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৩৮৬ টাকা এবং এসি বার্থ টিকিট ৬৯৬ টাকা। 

তবে ওই ভাড়ার চার্টে কম গুরুত্বপূর্ণ বেশকয়েকটি স্টেশনের নাম স্টপেজ হিসেবে উল্লেখ করলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ পটিয়া রেল স্টেশন জংশনে কোন স্টপেজ রাখা হয় নি। এমনকি মেইল এক্সপ্রেস/কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। 
পটিয়াবাসীকে বারবার এভাবে বঞ্চনার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। অবিলম্বে ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের পটিয়ায় স্টপেজ প্রদানের দাবি উঠেছে।
কর্ণফুলী নতুন ব্রীজের জয়েন্টে ত্রুটি, ঝুঁকি এড়াতে গতিরোধক!; পটিয়া; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার; বান্দরবান; কক্সবাজার; নতুন ব্রীজ; শাহ আমানত সেতু; কর্ণফুলী ব্রীজ; সেতু; সড়ক ও জনপথ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Bandarban; Coxsbazar; Highway; Karnaphuli Bridge; Shah Amanat Bridge; China
কর্ণফুলী নতুন ব্রীজের জয়েন্টে ত্রুটি, ঝুঁকি এড়াতে গতিরোধক!

ভয়েস অব পটিয়া-স্পেশাল ডেস্কঃ দক্ষিণ চট্টগ্রাম, পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত তৃতীয় কর্ণফুলী তথা শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ)। সম্প্রতি এই সেতুতে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের এক্সপানশন জয়েন্টে দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ত্রুটি ও ঝুঁকি চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশেষজ্ঞ দল সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। সতর্কতার অংশ হিসেবে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে গতিরোধক বসিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সহসাই যদি কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া না হয় এ সেতুটিতে বড় ধরনের কোন জটিলতা তৈরি হয়ে, চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আট উপজেলা, পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও পর্যটন নগরী কক্সবাজার তথা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যোগাযোগে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হতে পারে। 

সেতুটির নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বলছে, সেতুর দক্ষিণ অংশের এক্সপানশন জয়েন্টে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
চীনা প্রযুক্তিতে শত বছরের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে নির্মিত সেতুটি ২০১০ সালে উদ্বোধনের ১১ বছর না যেতেই এই ধরনের ত্রুটি-ঝুঁকি কেন তৈরি হলো এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেউ কথা বলতে রাজি হন নি। 
তবে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলো মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সেতুর উপর পারাপারের সময় সব ধরনের গাড়ির গতি বেড়ে যায়। মূলত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে আপাতত গতিরোধক বসানো হয়েছে।’ 

এদিকে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে স্পিড র‌্যাম্পিং স্ট্রিপ (গতিরোধক) বসানোয় সেতু থেকে নামার সময় দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারগামী যানবাহনের জটলা তৈরি হয়েছে। যানবাহন চালকরা জানান, সেতু থেকে নামার সময় অনেকগুলো গতিরোধক দেওয়ার কারণে প্রতিবারই বাস কিংবা পণ্যবাহী ভারী যানবাহন ব্রেক চাপতে থাকলে আরও বেশি ঝুঁকির তৈরি হবে। এখন যানবাহনের গতি বেশি থাকলেও তা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেমে যাচ্ছে। নামার সময় গতিরোধক থাকায় তাতে আরও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে বলে মন্তব্য করেন চালকরা। 

এদিকে যাত্রীরা জানান, গতিরোধকগুলো অতিক্রম করার সময় তীব্র ঝাঁকুনি তৈরি হয়। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন বয়স্ক ও প্রসূতি নারীরা। যার ফলো রোগী ও প্রসূতি মায়েদের বেশি দুভোর্গ পোহাতে হবে।


হযরত হামিদ আউলিয়া (রহিঃ)’র ওরশ ও সুন্নী সম্মেলনে সৈয়দ আবুল মনসুর আল মাইজভান্ডারী; বোয়ালখালী; ফটিকছড়ি; Boalkhali; Fatikchari; চট্টগ্রাম; Chattogram; Chittagong
হযরত হামিদ আউলিয়া (রহিঃ)’র ওরশ ও সুন্নী সম্মেলনে সৈয়দ আবুল মনসুর আল মাইজভান্ডারী

ভয়েস অব পটিয়া-সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ বোয়ালখালী হযরত হামিদ আউলিয়া (রহিঃ) এর ১১৯ তম বার্ষিক ওরশ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সুন্নী সম্মেলন ও ছেমা মাহফিল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের গাউছিয়া গায়েবীধন মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীল আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল মনসুর আল মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ.)। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ ইরফানুর রহমান মিজান আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ.)। অনুষ্ঠানে প্রধান ওয়াজীন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, প্রধান বক্তা মাওলানা সৈয়দ আহমদুল হক মাইজভান্ডারী। বিশেষ বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুফতি আব্দুল আজিজ রজভী, মুফতি জসিম উদ্দিন আল কাদেরী, আল্লামা মনছুর আলী আল কাদেরী, মাওলানা আরিফুল হোসাইন আশরাফী, হাফেজ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আল কাদেরী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম খালেদ। অনুষ্ঠানে নাত পরিবেশন করেন ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ তারেক আবেদীন কাদেরী।

ফ্রান্সে মহানবী (সাঃ)’র অবমাননার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ
ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর অবমাননার প্রতিবাদে পটিয়ায় বিক্ষোভ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এঁর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়ায় তৌহিদি জনতার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বাদে জুমা পটিয়া রেল স্টেশন চত্বর হতে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পটিয়ার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে থানার মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সাঃ) এঁর ব্যাঙ্গচিত্র অঙ্কনকারী ম্যাগাজিন শার্লি এব্দো ও এর সমর্থনকারী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। 

ফ্রান্সের ইসলাম বিদ্বেষ ও মহানবী (সাঃ) এর অবমাননায় বিশ্বের দুইশত কোটি মুসলমান ব্যথিত হয়েছে। ফ্রান্সের এহেন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। ইসলাম ও মহানবী (সাঃ) এঁর অবমাননা কোনভাবেই বিশ্ব মুসলিম বরদাস্ত করবে না। বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের হৃদয়ের ক্ষত মুছতে হলে ফ্রান্সকে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন।

কালুরঘাট সেতুঃ সংস্কার কাজের জন্য ২৩ জুলাই থেকে যান চলাচল বন্ধ; কালুঘাট সেতু; চট্টগ্রাম; বোয়ালখালী; পটিয়া; দক্ষিণ চট্টগ্রাম; রেলওয়ে; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার; Kalurghat; Boalkhali; Patiya; Chittagong-Coxsbazar
ছবিঃ কালুরঘাট সেতু

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ
সংস্কার কাজের জন্য আগামী ১৩ জুলাই হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ১০ দিন কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এর আগে রেলওয়ে ২৩ জুলাই থেকে সংস্কার কাজের ঘোষণা দেয়। তারিখ পরিবর্তন করায় দুঃখপ্রকাশ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সেতুতে যান চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জনসংযোগ কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘ঝুঁকিপূর্ণ কালুরঘাট সেতু মেরামতের জন্য কার্যাদেশ হয়েছে। প্রথমে ২৩ জুলাই থেকে সংস্কার কাজ শুরু করার কথা বলা হলেও, পরে তারিখ পরিবর্তন করা হয়। আগামী ১৩ জুলাই হতে ২৩ জুলাই টানা ১০ দিন এ সেতুর সংস্কার কাজ চলবে; যার ফলে এসময় সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে। 

কর্ণফুলি নদীর উপর নির্মিত ৯০ বছরের পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি ও নানান ভোগান্তি মাথায় নিয়ে দৈনিক পারাপার হচ্ছেন ১ লক্ষাধিকের উপর মানুষ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের গাড়িসহ বোয়ালখালী উপজেলা ও পটিয়া উপজেলার তিন ইউনিয়নের প্রায় ২০ লাখ মানুষের চলাচল সরাসরি নির্ভরশীল এ সেতুর উপর। সেতুর পূর্ব পাড়ে বোয়ালখালী উপজেলা অংশে প্রায় ৫০টি কলকারখানা রয়েছে। এসব কলকারখানার আমদানি-রপ্তানি সরাসরি এ সেতুর উপর নির্ভর। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ-নড়বড়ে হওয়ায় পণ্য পরিবহনে বেগ পোহাতে হচ্ছে এসব কারখানার। 

মেয়াদোত্তীর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণে যুগ যুগ ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছে বোয়ালখালী, পটিয়া’র মানুষ। কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণ হলে বোয়ালখালী-পটিয়া’সহ সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নতি সাধিত হবে।
পটিয়ার কিশোর গ্যাং লিডার ছিনতাইকারী ‘কিং সরশ’ জেলে; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবিঃ কিশোর গ্যাং লিডার ছিনতাইকারী সরওয়ার ওরফে ‘কিং সরশ’ 

ভয়েস অব পটিয়া
-নিউজ ডেস্কঃ
পটিয়ায় ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা ‘কিশোর গ্যাং’ লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে (২২) জেলে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বেশর সিং তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। 

সরওয়ার ওরফে কিং সরশ পটিয়া উপজেলার দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৌলভী রফিক আহমদের বাড়ির ফজল করিমের ছেলে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধ্যায় উপজেলার খানমোহনা এলাকা থেকে মোবাইল ছিনতাই এর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ কিশোর গ্যাং লিডার কিং সরশকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) বোরহান উদ্দিন জানান, ‘গ্রেপ্তারের পর ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। তাকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র কৌশলে ছিনতাই করে আসছিলো। এসব ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।’

দেখুন >> পটিয়ায় কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার  
                 পটিয়া পৌরসভার ছিনতাইকারী কিশোর গ্যাং গ্রুপ

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের শেখ রাসেল স্মৃতি পাঠাগার এলাকায় জায়গা পরিদর্শন করতে যান পটিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সার্ভেয়ার রবিন দাশ। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের কেচিয়াপাড়া বিনি ডাক্তারের বাড়ির সামনের রাস্তায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য সার্ভেয়ার রবিনের পথরোধ করে। তারা সার্ভেয়ার রবিনকে ডিশের তার দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা রবিনের সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সার্ভেয়ার রবিন দাশ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় খানমোহনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য কিশোর গ্যাং লিডার সরওয়ার ওরফে কিং সরশকে পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কিং সরশের শয়নকক্ষ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পটিয়া সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে থাকুন।
ওমরা হজ্বযাত্রীদের টাকা হাতিয়ে উধাও মাদ্রাসা অধ্যক্ষ!; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; কর্ণফুলি; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ওমরা হজ্বের নামে হজ্বযাত্রীদের ২৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পটিয়ার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। 
অভিযুক্ত মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আশিয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং আন্দরকিল্লাধীন আল জব্বার হজ্ব কাফেলার স্বত্বাধিকারী।

গত ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পবিত্র ওমরা হজ্ব পালন করতে যাওয়ার প্রাক্কালে ভুক্তভোগীরা চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তাদের ভিসা-টিকেট কোনকিছুই করা হয় নি। অভিযুক্ত ওমর ফারুক জব্বারীকে বিমানবন্দরে গিয়ে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত সকল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। যার ফলে বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হয় সৌদিআরবগামী ২৩ হজ্ব যাত্রীকে। তাদের মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সৈন্যেরটেক এলাকার একই পরিবারের ৯ জনসহ মোট ৩২ জন হজ্ব যাত্রী প্রতারণার শিকার হন।
আল জব্বার হজ্ব কাফেলা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায়। 

ভুক্তভোগী কয়েজন হজ্বযাত্রীর সাথে কথা বললে তারা জানান, “গত বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর পবিত্র ওমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে তারা বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে আসেন। বিমানবন্দরে এসে তারা জানতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। হজ্ব কাফেলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাউকে সেখানে না পেয়ে স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক জব্বারীকে দফায় দফায় ফোন দেয়া হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরে কোন সমাধান না পেয়ে পরে তারা বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফেরত চলে যান।”
তারা জানান, “পবিত্র ওমরা হজ্বব্রত পালনের জন্য পটিয়া উপজেলার শাহচাঁন্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা হামিদুল হকের মাধ্যমে আল-জব্বার হজ্ব কাফেলায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা করি। আল জব্বার হজ্ব কাফেলার স্বত্বাধিকারী মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন এলাকায় পুলিশ প্লাজার একটি হোটেলে আমাদের হজগমনকারীদের একটি কর্মশালা করান। পরে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার আমাদের হাতে ভিসা ও বিমানের টিকেট দেওয়ার কথা থাকলেও বুধবার রাতে অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী আমাদেরকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে টিকিট ও ভিসা প্রদান করা হবে। এই ভিত্তিতে আমরা বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর সকালে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সৌদিআরবগামী আমাদের ফ্লাইট বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওমর ফারুক জব্বারী। কিন্তু অধ্যক্ষ ওইদিন আমাদেরকে আমাদের পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট কিছু না দিয়ে মোবাইল বন্ধ রাখেন। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকার পর তার সাথে কোনরূপ যোগাযোগ করতে না পেরে আমরা যার যার বাড়িতে ফিরে যাই।’ 

এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত আল জব্বার হজ্ব কাফেলার স্বত্বাধিকারী দক্ষিণ আশিয়া গাউছিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওমর ফারুক জব্বারীর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুল হক রাশেদ জানান, “আমার দুই আত্মীয়ও ওমরা হজ্বের জন্য টাকা জমা দিয়ে এ মাওলানার কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মাওলানা ওমর ফারুক জব্বারী যিনি নিজের নামে রেজিস্ট্রেশনবিহীন হজ্ব কাফেলা খুলে ২৩ ওমরা হজ্ব গমণকারী হতে জনপ্রতি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে মোট ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পবিত্র ওমরা হজ্বের নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের প্রতারণাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” 
এ দিকে এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোস্যাল মিডিয়াতে, জাহাঙ্গীর আলম নামের এক কুসুমপুরা ইউপি সদস্য লিখেছেন, “যদি মৌলানা সাহেবরা এ ধরনের প্রতারণা করে বেড়ায় আমরা সাধারণ মানুষরা কোথায় যাব? আল্লাহ এদের হেদায়েত করুক।” জাহেদ চৌধুরী নামের আরেক ব্যক্তি লেখেন, “কিছুদিন যাবত বিভিন্ন এলাকার কিছু সংখ্যক মৌলভীর অপকর্ম সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, আজ নিজের এলাকারটাও দেখলাম। বিশ্বাসের জায়গাটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওকে ধরে আধ ঘণ্টা জুতাপিটা করা হোক।” 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান জানান, “এ ধরনের প্রতারক চক্র ধরার জন্য প্রশাসন সদা তৎপর রয়েছে। মৌখিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।” 

হজ্ব এজেন্সী এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (হাব) এর চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি মাহমুদুল হক পেয়ারু বলেন, “পবিত্র হজ্বের নামে প্রতরণাকারী এজেন্সীর বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব, প্রশাসনকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমরা বলেছি।”
পটিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেফতার; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ছিনতাইয়ের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু (২০) নামের এক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। 
গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম বাবু চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, মোঃ শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি গত ৩০ নভেম্বর বিকালে হাইদগাঁও ইউনিয়নের ওসমানপাড়া এলাকা থেকে ডেকোরেশনের কাজ শেষ করে দোকানে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কয়েকজন ছিনতাইকারী তাকে কুপিয়ে সাথে থাকা ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। 
এ ঘটনায় আহত মোঃ শাহজাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হল মোঃ সজিব (২০), মোঃ কাইয়ুম (২৩) ও মোঃ জাহেদ (২০)। 

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জব্বারুল ইসলাম জানান, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম বাবু নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ছিনতাইয়ে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) অনিয়ম-দুর্নীতি, গ্রাহকদের হয়রানী; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
ছবিঃ পিডিবি পটিয়া দালাল গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক মনছুর
 
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) অনিয়ম-দুর্নীতি, দালালদের দৌরাত্ম, সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানী বেড়েই চলছে।

মিটার রিডারদের মনগড়া বিল করার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকরা। ইচ্ছাকৃতভাবে মনগড়া বিল করার কারণে ব্যবহারের অতিরিক্ত বিলের বোঝা বইতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গেলে অবৈধভাবে মামলা দেয়ার হুমকিতে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এনালগ মিটারের পরিবর্তে ডিজিটাল মিটার স্থাপনের পরামর্শ দেয় রিডাররা। এতে নতুন মিটার স্থাপনে প্রতি মিটারে টেকনিশিয়ানরা হাতিয়ে নেয় ৫-১০ হাজার টাকা।

জানা যায়, পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানী করতে তৎপর একটি দালাল গ্রুপ। এই দালাল গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে মনছুর নামক এক দালাল, তার সাথে সহায়ক হিসেবে আছে লাইনম্যান এনাম। দালাল মনছুর ও লাইনম্যান এনামের নেতৃত্বে পিডিবি পটিয়ার কর্মকর্তা-কর্মচারী-প্রকৌশলীদের প্রত্যক্ষ মদদে পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা তার্গেট করে গ্রাহকদের মনগড়া বিল প্রদানপূর্বক তা মিটমাটে মোটা অংকের টাকা দাবি করে এই দালাল চক্রটি। কোন কারণ ছাড়াই মিটার খুলে নেয়া, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, পুনরায় সংযোগের জন্য বিপুল অংকের টাকা দাবি করা, টাকা না দিলে অবৈধভাবে মামলা দায়েরের হুমকি প্রদান করে জিম্মি করে বেড়াচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। 

এছাড়াও ঘুষ ছাড়া মেলে না নতুন সংযোগ, মেরামত হয় না বিদ্যুৎলাইনের ত্রুটি। নতুন সংযোগ নিতে হলে/এনালগের পরিবর্তে ডিজিটাল মিটার নিতে হলে পিডিবি পটিয়া অফিসের সামনে অবস্থিত দালাল মনছুরের মালিকানাধীন ‘সামি এন্টারপ্রাইজ’ থেকে দ্বিগুণ মূল্যে মিটার কিনতে বাধ্য করা হয় গ্রাহকদের, অন্যথায় সংযোগ মিলে না। সংযোগ নিতে দীর্ঘসূত্রিতা, ঠিকাদারের চাঁদাবাজি, সিস্টেমের মধ্যে বিদ্যুৎ চুরি, লো-ভোল্টেজ সাপ্লাই, মিটার রিডারদের অতিরিক্ত বিল দিয়ে ভোগান্তি, দালাল দিয়ে হয়রানি, ইলেকট্রিশিয়ান ও বিদ্যুৎ পরিদর্শকদের হয়রানি, বিভিন্ন বাসাবাড়ির ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় প্রাণহানির ঘটনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই।

দালাল গ্রুপের সমন্বয়ক মনছুরের নামে ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা রয়েছে, তা সত্ত্বেও পিডিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে নীরব। সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এসব দালালরা বনে গেছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি-বাড়ির মালিক। পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী-প্রকৌশলীদের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দফায় দফায় অভিযোগ জানালেও সুরাহা হয় নি কোনকিছুরই। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এর কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

পটিয়ার সাধারণ গ্রাহকরা অবিলম্বে পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) কর্মকর্তা-কর্মচারী-দালালদের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়াসহ গ্রাহক হয়রানী রোধের আবেদন জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন ইউএনও পটিয়া হাবিবুল হাসান

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-পটিয়া রুটে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আজ বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা হতে থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী বাসকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া রুটে চট্টগ্রাম শহর তথা নতুনব্রীজ হতে নির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা পরিবর্তে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দফায় দফার সংবাদ, মানববন্ধন-প্রতিবাদের পরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে প্রতি বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার পটিয়াগামী গাড়িগুলোর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় বাসমালিক-ড্রাইভারদের দৌরাত্ম অব্যহত রয়েছে। 
এসব অভিযোগের সূত্র ধরে বুধবার (১৭ অক্টোবর) পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসানের এক বিশেষ অভিযানে সাধারণ যাত্রীদের নজর কেড়েছে।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে ছয়টি যাত্রীবাহী বাসকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে তিনি যে কোন সময় অভিযান চালাবেন। সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের জরিমানা করা হচ্ছে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পরবর্তীতে কারাদন্ডও দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পটিয়ায় মানববন্ধন, ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পটিয়ায় মানববন্ধন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসতম হত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন, হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবিতে পটিয়ায় আজ বৃহষ্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করে পটিয়ার সর্বস্তরের সাধারণ ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণ।

সমাবেশে উপস্থিতিরা আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিসহ ৩ দফা দাবি উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিঃ- 
১। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যাকারী ও মদতদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে।
২। বাংলাদেশের সকল ছাত্রছাত্রীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শিক্ষাজীবনসহ জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।,
৩। ছাত্রবীর শহীদ আবরারের মতের পক্ষে ছাত্র ও জনতার সাধারণ আকাঙ্খা অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
মধ্যরাতে পটিয়া বাইপাসে ফের দূর্ঘটনা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; পটিয়া বাইপাস, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার; মহাসড়ক; Patiya; Chittagong; Chattogram; Patiya Bypass; Chittagong Coxsbazar Highway
মধ্যরাতে পটিয়া বাইপাসে ফের দূর্ঘটনা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস সড়কে ফের যাত্রীবাহী একটি বাস সড়কের আইল্যান্ডে উঠে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দূর্ঘটনা কবলিত শ্যামলী পরিবনের বাসটির বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা।

পটিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার লিডার মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, সম্প্রতি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া পটিয়া বাইপাস সড়কের আনোয়ারা রোডের মাথায় আজ রাত ২টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের উপর উঠে পড়ে। এর ফলে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম উদ্ধার তৎপরতা চালায়। দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পটিয়া বাইপাস : পথচারীকে বাঁচাতে বাস উল্টে খাদে; নিহত ১, আহত ১৭; পটিয়া; চট্টগ্রাম; পটিয়া বাইপাস, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার; ইন্দ্রপুল; মহাসড়ক; Patiya; Chittagong; Chattogram; Patiya Bypass; Chittagong Coxsbazar Highway; Indropul
পটিয়া বাইপাস : পথচারীকে বাঁচাতে বাস উল্টে খাদে; নিহত ১, আহত ১৭

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া বাইপাস সড়কের ইন্দ্রপুল অভিমুখে এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস উল্টে সড়কের পাশের ধানক্ষেতে পড়ে যায়।

পটিয়ার বাইপাস সড়কের ইন্দ্রপুল এলাকায় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত মৌলভি মোহাম্মদ শামসু (৫৫) চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার বিপণি বিতান ‘লাকি প্লাজা’র মেহেদি স্টোর নামের একটি দোকানের মালিক। তিনি সাতকানিয়ার বাসিন্দা। 

ফায়ার সার্ভিসের পটিয়া স্টেশনের স্টেশন অফিসার সৌমেন বড়ুয়া জানান, সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি দ্রুতগতিতে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে আসছিল। পটিয়া বাইপাস সড়কের ইন্দ্রপুল এলাকায় একজন পথচারী হঠাৎ সড়কে উঠে পড়ে। এসময় ওই পথচারীকে বাঁচাতে জোরে ব্রেক কষে বাসের চালক। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাশের ধানক্ষেতে উল্টে আছড়ে পড়ে। বাসে থাকা ব্যবসায়ী মৌলভি মোহাম্মদ শামসু ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা। 

পটিয়া বাইপাস : পথচারীকে বাঁচাতে বাস উল্টে খাদে; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; শ্রীমাই খাল; শ্রীমতি খাল; Voice of Patiya

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের উদ্ধারকারী টিম আহত ১৭ জনকে বাস থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও পটিয়া সহ চট্টগ্রামের বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেই কোন উদ্যোগ; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; রায়েরবাজার; মুক্তিযুদ্ধ; স্বাধীনতা; মুক্তিযোদ্ধা; রাজাকার; আল বদর; ১৯৭১; বুদ্ধিজীবী; শহীদ; স্মৃতিসৌধ
স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও পটিয়া সহ চট্টগ্রামের বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেই কোন উদ্যোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হতে চললেও পটিয়াসহ চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমি সংরক্ষণ করতে পারেনি প্রশাসন। ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক স্মৃতিচিহ্ন। এজন্য প্রশাসনের সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, নতুন প্রজম্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরতে শিগগিরই বধ্যভুমি সংরক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হবে।

মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বধ্যভূমি চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে ৮৯টি স্থান চিহ্নিতও করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরররা বাঙ্গালীদের নৃশংসভাবে হত্যার পর যেসব স্থানে গণকবর দেয়া হয় তার মধ্যে পাহাড়তলীর বধ্যভূমি অন্যতম। সেটিও বেদখল হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থান এবং বধ্যভূমি স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও সংরক্ষণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে চট্টগ্রামের পটিয়া এবং আনোয়ারায় দু’টি বধ্যভূমি নির্মাণের প্রস্তাব তৈরীর কথা জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের কার্যকর কোন উদ্যোগ এখনো নেয়া যায়নি বলে জানায় গণপূর্ত বিভাগ। যদিও বধ্যভুমি সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এসব স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী চট্টগ্রামবাসীর।
প্রবল বর্ষণে পটিয়া সদরে জলজট; চরম দূর্ভোগে বিপর্যস্ত জনজীবন; ভয়েস অব পটিয়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প, পটিয়া লবণ শিল্প, পটিয়া বাইপাস, চাঁনখালী খাল, কক্সবাজার; Voice of Patiya
প্রবল বর্ষণে পটিয়া সদরে জলজট; চরম দূর্ভোগে বিপর্যস্ত জনজীবন

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ টানা বৃষ্টিতে পটিয়া সদরে সৃষ্টি হয়েছে জলজট। তিন দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে পটিয়ার অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চরম দূর্ভোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে পটিয়া পোষ্ট অফিস মোড়, ছবুর রোড, মিশন রোড, স্টেশন রোড, ক্লাব রোড, থানার মোড়, ডাকবাংলো রোড, জামিয়া মাদ্রাসা রোড, আমির ভান্ডার রোডসহ পটিয়া পৌর সদরের বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এর ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের অপর্যাপ্ত ও অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা সরাসরি ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের পথে ফেলার কারণে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।’

পটিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘গত ৫ বছর আগেও পটিয়া পৌরসভার প্রধান সড়কগুলোতে এই ধরনের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি; পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ, ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে পটিয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মূল কারণ। যার ফলে দৈনন্দিন চলাফেরা, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। হিমশিম থেকে রক্ষা পেতে সঠিক পরিকল্পনার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন একাধিক ব্যবসায়ী।’

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই পটিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়; যার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে-আসতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’

এদিকে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে রাস্তায় জমে থাকা পানি সহজে নিষ্কাশনে বাধা পাচ্ছে। তাছাড়া বিগত ২ বছর যাবত ধীরগতিতে ড্রেন নির্মাণ এর একটি বড় কারণ।

পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বৃষ্টির পানি সরাসরি পটিয়া পৌর এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যার ফলে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া টানা তিন দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের ফলে পৌর সদরের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি কমার সাথে সাথে পানি নেমে যাবে। এছাড়া পৌর সদরের নির্মাণাধীন ড্রেনগুলোর কাজ শেষ হলে অচিরেই পৌরবাসী এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।’

এদিকে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই খালের বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ডুবে গেছে শখানেক পুকুর। কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের।
কোরবানি সামনে রেখে পটিয়ায় গরুচোরদের উৎপাত, নির্ঘুম খামারিরা; পটিয়া; চট্টগ্রাম; ইউনিয়ন; জিরি; কুসুমপুরা; বড়লিয়া; আশিয়া; কাশিয়াইশ; জঙ্গলখাইন; কোরবানি; গরু; খামার; Patiya; Chittagong; Chattogram
কোরবানি সামনে রেখে পটিয়ায় গরুচোরদের উৎপাত, নির্ঘুম খামারিরা

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পটিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু চোরচক্র। উপজেলা-পৌরসদরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। পটিয়া থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত একমাসে বিভিন্ন কৌশলে গরু চুরির ঘটনায় দশ চোর গ্রেপ্তার ও চারটি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া মালিক খুঁজে না পাওয়ায় বর্তমানে পটিয়া থানায় একটি গরু ও একটি মহিষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।

জানা যায়, পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের একটি ফার্ম থেকে ছয়টি গরু চুরির পর থেকে খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গরু চোরের ভয়ে খামারি ও এলাকার লোকজন রাতে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন। পাশাপাশি গরু চোরদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশের হাতে আটক হওয়া আল ওয়ালী খামারের নৈশপ্রহরীর কাছ থেকে গরু চোরদের সম্পর্কে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গরু চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন খোদ গরু ব্যবসায়ীর পুত্র তৌহিদ। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কটি পটিয়া উপজেলা সদর দিয়ে যাওয়ার কারণে চোরেরা গরু চুরি করে তা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। আসন্ন কোরবানি ঈদে বিক্রি করার জন্য পটিয়ার জিরি ইউনিয়নে আল ওয়ালী খামার ২৩টি গরু মোটাতাজা করে। তারা আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে গত ২৫ মে ১৪টি গরু ১৬লাখ ৬০হাজার টাকায় মৌখিক চুক্তিতে ক্রয় করেন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকার মধ্যে গত ঈদ-উল-ফিতরের আগের দিন আরো সাড়ে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু হঠাৎ করে ঈদের পর দিন রাতেই খামারের ১২ লাখ টাকার মূল্যের ছয়টি ষাঁড় গরু চুরি হয়। এ বিষয়ে খামারিরা পটিয়া থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ নৈশপ্রহরী মো. ইসহাককে আটক করে। নৈশপ্রহরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করে রাতে ছয়টি গরু আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে নৈশপ্রহরী ইসহাক ও গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদ জেলও খেটেছে। 

খামারি আবদুর রহমান আনোয়ার বলেন, ‘হঠাৎ করে পটিয়ায় গরু চুরি বেড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও ১৫ দিনেও তাদের গরু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘গরু চোরদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। ইতোমধ্যে একজন নৈশপ্রহরী, গরু ব্যবসায়ীর পুত্রসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে থানায় একটি গরু ও একটি মহিষ রয়েছে। মালিক খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশ এসব গরু ও মহিষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। চুরি বন্ধে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন ওসি বোরহান উদ্দিন।’
বুধবার থেকে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট; পটিয়া; চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা; চট্টগ্রাম; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক; জাতীয়; ধর্মঘট; সংবাদ; সারাদেশ; Patiya; Chittagong; Chattogram; Election; Voter List; National Identity Card; NID
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে চালককে নামিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বুধবার থেকে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে বাস থেকে চালককে নামিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।

ঢাকা-চট্টগ্রামসহ ৬৮টি আন্তঃজেলা ও ১৯টি স্থানীয় রুটে একসঙ্গে ২৪ ঘণ্টা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় আরও ২৪ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট চলবে।

পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ সভা শেষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পটিয়া ভেল্লাপাড়া সেতু এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ির চালক জালাল উদ্দিনকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। নিহত জালাল উদ্দিনের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।

পরিবহন সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করে জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের পথে রওনা দেয় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। পথে পটিয়া উপজেলাধীন ভেল্লাপাড়া খাল সংলগ্ন সেতু এলাকায় বাসটিকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে থামান অন্তত ৭ জন ব্যক্তি। এরপর তারা বাসে উঠে তল্লাশি শুরু করেন।
এক পর্যায়ে বাসের চালক জালালের হাতে হাতকড়া পরিয়ে ইয়াবা বের করে দিতে বলেন তারা। ইয়াবা নেই বলে জানালে চালককে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা। এমনকি রাস্তায় ফেলে লাথিও মারেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চালককে বাসের ভেতর ফেলে চলে যায় তারা। এরপর রাত আড়াইটার দিকে চালক জালালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্যামলী পরিবহনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক বাবুল আহমেদ বলেন, আমরা চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি কোন থানায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটা দেখে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা বলেন, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যদের দিয়ে শুধুমাত্র তদন্ত চালানো হয়, অভিযানে পাঠানো হয় না। ধারণা করা হচ্ছে, গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে পেশাদার অপরাধীরা এ কাজটি করেছে। জড়িতদের শার্টের ওপর ডিবির ইউনিফর্ম ছিল না বলে আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলের সেতুটি পটিয়া ও কর্ণফুলী থানার সীমানায় পড়েছে। ঘটনাস্থল পটিয়া থানার অধীনে হলে মামলা নিয়ে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেবে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, সোমবার রাতে কর্ণফুলী থানা এলাকায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের কোন দল অভিযানে যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
পটিয়ায় তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্র আহত; দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার; পটিয়া; চট্টগ্রাম; স্কুল ছাত্র; সড়ক দূর্ঘটনা; পটিয়া সদর; রাহাত আলী; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার; Patiya; Chittagong; Chattogram; Coxsbazar; Road; Highway
 পটিয়ায় তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্র আহত; দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া পৌর সদরে অবস্থিত দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করেছে পদ্মা অয়েলের তেলবাহী একটি ট্রাক (চট্টমেট্টো-ঢ-০১-০০১৮)। 

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হচ্ছে দুই সহোদর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মোঃ হানিফ ও ৯ম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রিয়াদ। তাদের বাড়ি উপজেলার পশ্চিম হাইদগাঁও গ্রামে।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া থানার সম্মুখ এলাকা হতে পটিয়া সরকারী কলেজ গেইট পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। অবরোধে সড়কের উভয় পাশ্বে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে পটিয়া থানা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ এক ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে ছাত্রদের দাবি মোতাবেক শীঘ্রই স্কুল গেইট সংলগ্ন মহাসড়কে গতিরোধক, স্কুল চলাকালীন ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন এবং আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসার বিষয়ে প্রশাসন আশ্বাস দিলে ছাত্ররা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব শরিফুল ইসলাম, পটিয়া থানার এসআই কামাল উদ্দিন, ছাত্রদের পক্ষে শহীদুল ইসলামসহ প্রমুখ। 

এ ব্যাপারে আহত শিক্ষার্থীদের পক্ষে শহীদুল ইসলাম বলেন, ’বর্তমানে আহত আমার দুই মামাতো ভাইয়ের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দ্রুত অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’ 

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন জানান, ’আহত দুই শিক্ষার্থী সহোদর। তারা বিদ্যালয়ের টিফিন ছুটির সময় বের হলে তেলবাহী একটি ট্রাক তাদেরকে ধাক্কা দেয়। তাদেরকে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চমেকে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তাদের পায়ে মারত্মক জখম হয়েছে। এখন তাদের সুস্থতা একমাত্র আল্লাহর হাতে।’
পরিবেশ দূষণের দায়ে ফুলকলিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা | Voice of Patiya; পটিয়া

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে পরিবেশ দূষণের দায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর।

বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) অকার্যকর রেখে অপরিশোধিত তরল বর্জ্য পার্শ্ববর্তী খালের মাধ্যমে নদী দূষণের দায়ে বুধবার (২৭ মার্চ) এ জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন এর নেতৃত্বে পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নাধীন নাইখাইন এলাকায় অবস্থিত ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ফ্যাক্টরী পরিদর্শন করে পরিবেশ দূষণের প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ইটিপি অকার্যকর রেখে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে বর্জ্য পার্শ্ববর্তী সার্জেন্ট মহিউল আলম খালে নির্গমন করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে আসছিল। খালে নির্গমন করে খালের পানি দূষণ করায় ফুলকলি ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে এক মাসের মধ্যে ইটিপি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।’

চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক যেন এক মরণফাঁদ!; চট্টগ্রাম; কক্সবাজার; পটিয়া; পটিয়া উপজেলা
চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক যেন এক মরণফাঁদ!

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী নদীর শাহ্‌ আমানত সেতু হতে দোহাজারী শঙ্খ নদী সেতু পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ৫০ বাঁক যেন এক মরণফাঁদ!

বান্দরবান, টেকনাফ, কক্সবাজারগামী পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কিন্তু এ সড়কের প্রশস্ততা বৃদ্ধি না করায় শাহ্‌ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ) হতে দোহাজারী পর্যন্ত ৫০টি বাঁকের কোন সংস্কার হয়নি। কক্সবাজার থেকে দোহাজারী সেতু পর্যন্ত সড়কটি ২ লেনের হওয়ায় এবং এর বাঁক কম থাকায় এ ১১৫ কিলোমিটার সড়কটি পাড়ি দিতে সময় লাগে মাত্র আড়াই ঘন্টা। অথচ দোহাজারী সেতু থেকে শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রীজ) চট্টগ্রাম অভিমুখ পর্যন্ত বাঁকি ৪৫ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘন্টা। এর মধ্যে পটিয়া বাস স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম যেতে প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও সড়কের দুই পাশ ঘেষে রাস্তার উচুঁ নিচু স্থান থাকায় প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দুর্ঘটনায় দিন দিন লাশের মিছিল বাড়ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পটিয়া ক্রসিং হতে মনসার টেক, বাদামতল, গৈড়লার টেক, আমজুর হাট মোড়, পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়, আদালত গেইট মোড়, থানার মোড়, ডাকবাংলোর মোড়, কমল মুন্সির হাট মিলে ৩০টি পয়েন্টে এবং চন্দনাইশের ২০ পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।

সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, পটিয়া মনসা থেকে দোহাজারী শঙ্খ সেতু পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়কে অদক্ষ চালকের দ্বারা অধিকাংশ ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে। এদের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে শিশু-কিশোরও রয়েছে। প্রায় সময় দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে শাহ্‌ আমানত সেতু থেকে পটিয়া ভেল্লাপাড়া ব্রীজ পর্যন্ত ৪ লেনের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া পটিয়া ভেল্লাপড়া ব্রীজ হতে চন্দনাইশের শঙ্খ ব্রীজ পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি এ মহাসড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত মহাসড়ক হওয়ায় যদি এ সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করা হয় তাহলে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। 

গাড়ির চালকরা জানান, মহাসড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে এতবেশি দোকানপাট, গাড়ির স্ট্যান্ড-গ্যারেজ গড়ে উঠেছে তা ছাড়া, সড়কটি এত বেশি আঁকাবাঁকা যে, প্রতিনিয়ত অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়। চট্টগ্রাম থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত ৬৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দেড় ঘন্টার স্থলে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আরকান সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী এ ব্যাপারে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এতোবেশি আঁকা-বাঁকা যে, অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়। দু’পাশে দোকানপাট গড়ে উঠার কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা লেগেই আছে।’

অপরদিকে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সড়কের চার লেনের কাজ শুরু হলে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো ঠিক করা হবে। সড়কের ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন যান-বাহনের স্ট্যান্ড-গ্যারেজ ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাজ বলে তিনি জানান।’

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বেশ কটি সেতু ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এর মধ্যে মাতামুহুরী ও সাঙ্গু সেতু ১৯৬০ সালে নির্মিত। দুটির একটি বিচ্ছিন্ন হলে কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এ বিবেচনায় সরকার অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় চারটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো হলো, পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু, চন্দনাইশের বরগুনি সেতু, দোহাজারীর সাঙ্গু সেতু ও চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৩০৮ কোটি টাকা অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সেতুগুলো নির্মাণে ফিজিবিলিটি স্টাডির পর ডিজাইন চূড়ান্ত করেছে। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিশীঘ্রই চার সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হবে। ঠিকাদার নির্বাচনে তিন থেকে চার মাস লাগবে। এর দুই বছরের মধ্যে সেতুগুলো নির্মিত হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে বাঁকখালী নদীর উপরও একটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ সেতু রয়েছে। নতুন এই প্রকল্পে সেটিকে কেন রাখা হয়নি জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ূয়া বলেন, ‘জাইকার প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সড়কপথে সীমান্ত বাণিজ্য বাড়ানো। তাই সেখানে কক্সবাজার শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সড়কটি রামু হয়ে ঘুনধুম ও মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত দুই বছরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ২ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে, আহতে হয়েছেন প্রায় ৫’শ। এ সড়কে ফিটনেস বিহীন যানবাহনের দৌরাত্মের কারণে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক আরিফুর রহমান ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘অদক্ষ চালক ও ফিটনেস বিহীন যানবাহনের সংখ্যা কমে আসলে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে।’