vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ ৬৩ বছর পর এবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া বুদবুদিছড়ার গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ।

অবশেষে পটিয়া-বাঁশখালী-সীতাকুন্ডের পাহাড়ের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ; বুদবুদিছড়া; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
অবশেষে পটিয়া-বাঁশখালী-সীতাকুন্ডের পাহাড়ের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ; বুদবুদিছড়া গ্যাসক্ষেত্র

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ৬৩ বছর পর এবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া ও বাঁশখালীর জলদিসহ সীতাকুণ্ডের সীতাপাহাড় ও কাছালংয়ের আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের প্রাথমিক জরিপ কাজ শেষে গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

চট্টগ্রামের ২২এ, ২২বি ব্লকের চারটি গ্যাসক্ষেত্র যথাক্রমে- পটিয়ার বুদবুদি ছড়া, বাঁশখালীর জলদি, সীতাকুণ্ডের সীতাপাহাড় ও কাছালং।

বাপেক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) আতিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘চট্টগ্রামের ২২এ ও ২২বি ব্লকের চারটি গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারী পাওয়া গেলেই এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে।’

২০০৮ সালে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জলদি ও পটিয়ার হাইদগাঁও গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে পুনরায় শুরু হয় জরিপ কাজ। পর্যায়ক্রমে ২০১২ সালের শেষদিকে প্রাথমিক জরিপ কাজ শেষ করে বাপেক্স।পরবর্তীতে আবারও বাপেক্সের একটি বিশেষজ্ঞ দল জরিপ কাজ চালায়। বাপেক্সের এই জরিপের ওপর নির্ভর করে বর্তমান সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এই গ্যাসক্ষেত্রেগুলোর গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ গ্রহণ করে বলে জানা গেছে।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁওয়ের পাহাড়ি এলাকার শ্রীমাই বুদবুদিছড়া নামক স্থানে প্রথম এই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়। ওই বছর থেকেই পর্যায়ক্রমে কয়েক দফা প্রাথমিক জরিপ ও খনন কাজ চালানো হয় এবং গ্যাস প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে ১৯৫৩ সালের দিকে খননকৃত গ্যাস কূপের নাভিপথে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সীসা ঢালাই করে দেয় সংশ্লিষ্ট ব্রিটিশ বিদেশি কোম্পানিটি।

পটিয়ার হাইদগাঁওয়ে অবস্থিত বুদবুদিছড়া গ্যাসক্ষেত্রে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়বেষ্টিত গ্যাসক্ষেত্রে পূর্বে খননকৃত স্থান থেকে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে, যাতে একটু আগুন লাগালেই ঝলছে। তাছাড়া ওই গ্যাসক্ষেত্রের পাহাড়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়ার পানিতে বুদবুদ করে গ্যাস বের হতে দেখা গেছে।

১৯৬০ সালে বাঁশখালীর জলদির আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ গ্রহণ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ও কোরিয়া এবং রাশিয়ার সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল। ঐ দলটি প্রাথমিক জরিপ কাজ চালিয়ে উক্ত এলাকায় খনন করে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেলও পায়। এ সময় বিশেষজ্ঞ দলটি তেল ও গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা সংবলিত একটি রিপোর্টও তৎকালীন সময়ে জমা দেয়।

Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

• আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন। ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না। কিছু বিষয় বিস্তৃত হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করছে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।