vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়ায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক আইনজীবি

পটিয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা-ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ; Cross Fire; ক্রসফায়ার
পটিয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা-ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া থানার ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেছেন রিগ্যান আচার্য্য নামে এক আইনজীবী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দুর্নীতি দমন আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এই মামলা করেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেনের আদালতে এই মামলা হয়। মামলাটি গ্রহণ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, পটিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) খাজু মিয়া, মোঃ খোরশেদ, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মাসুম, মোঃ বশির ও কনস্টেবল হুমায়ুন। 

মামলায় বাদীর পক্ষে ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম উদ্দিন চৌধুরীসহ আইনজীবীগণ মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। 

বাদীর মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বকর্মাপূজা শেষ করে ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১টায় পটিয়ার ধলঘাটস্থ শ্বশুরবাড়ি থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য। এ সময় পটিয়া ধলঘাট ক্যাম্পের কাছে একটি গাড়িকে সিগন্যাল দেন তিনি। গাড়িটি থামলে দেখতে পান সেটি পুলিশের গাড়ি। এতে পুলিশ সদস্যরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত পুলিশের সদস্যরা রিগ্যানকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। তার পকেট থেকে ৮ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। রিগ্যানের পরিবারকে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে পটিয়া থানার সামনে আসতে বলার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা রিগ্যানকে চাপ দিতে থাকে। রিগ্যান পরিবারের সঙ্গে কথা বলার ভান করে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে ফোন দেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সেই ফোন থেকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। পরিচয় পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ। 
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা পরে রিগ্যানকে মাতাল সাজানোর জন্য জোরপূর্বক পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর ভোরে পটিয়া থানায় নিয়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে জোরপূর্বক দু’টি সাদাকাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাদী রিগ্যান আচার্য্য অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা রিগ্যানের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় রিগ্যান আচার্য্যকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

😀 আমাদের পোর্টালে মন্তব্য, আলোচনা-সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি, আপনারা তার যথাযথ অনুসরণ করে আপনাদের মন্তব্য প্রদান করবেন।

• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা ইত্যাদির ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, আক্রমণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় এরকম কোন মন্তব্য করা যাবে না।

পরামর্শের জন্য মেইল contact@voiceofpatiya.com