vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে খালে ব্রীজ নির্মাণ, ক্ষতির আশঙ্কায় কয়েকশ একর বোরো ফসল

পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে খালে ব্রীজ নির্মাণ, ক্ষতির আশঙ্কায় কয়েকশ একর বোরো ফসল; পটিয়া; ইউনিয়ন; খাল; বড়লিয়া;  চাষাবাদ; বোরো; ধান; কৃষক; বাম্পার ফলন; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে খালে ব্রীজ নির্মাণ, ক্ষতির আশঙ্কায় কয়েকশ একর বোরো ফসল

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নে জোয়ার-ভাটার খালে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে ব্রীজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে উদ্বিগ্ন কৃষকরা। ক্ষতির আশঙ্কায় কয়েকশ একর বোরো ফসল। 
উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ওকন্যরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামানের বাড়ির পাশে কাটাখালী খালে একটি ব্রীজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে খালের উপর বাঁধ স্থাপনের মাধ্যমে পানি প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। সেচের পানি চলাচলের কোন ব্যবস্থা না রেখে ব্রীজ নির্মাণের জন্য বাঁধ দেয়া হলে কয়েকশ একর জমিতে রোপিত বোরো ফসলে সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এর ফলে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বড়লিয়া, কর্তালা, পূর্ব বাড়ৈকারা, পশ্চিম বাড়ৈকারা, বেলখাইন, ওকন্যরা সহ আশপাশের এলাকায় বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। 

ইতোমধ্যে বিষয়টি পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ হলে কৃষকদের চাষকৃত বোরো ফসল নষ্টের আশঙ্কা। জোয়ার-ভাটার খালের পানি আটকে রাখার চেষ্টার ঘটনায় শুক্রবার সকালে এলাকার কৃষকরা বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অধীনে বড়লিয়া ইউনিয়নের ওকন্যরা গ্রামে কাটাখালী খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মানাধীন ব্রীজের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে রয়েছে শত শত একর ফসলি জমি। ব্রীজ নির্মাণের জন্য উক্ত খালে বাঁধ স্থাপনের ফলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে ওই এলাকার পানি সেচের জন্য স্থাপিত প্রায় ১২টি স্কীম বন্ধ হয়ে বোরো চাষাবাদ বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। 

এ ব্যাপারে কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কাটাখালী খালটি চানখালী কেরিঞ্জা খালের সঙ্গে যুক্ত। জোয়ার-ভাটার এই খালের পানি দিয়ে অত্র এলাকার কৃষকরা ইরি, বোরো মওসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। ব্রীজ নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদার খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে কৃষকের বোরো চাষাবাদে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে কৃষক মোঃ আবু হাজী, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুস ছত্তার ও স্কীম ম্যানেজার মো. রফিক পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, ব্রীজ নির্মাণের ঠিকাদার খালের পানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে নিজের ইচ্ছেমত কাজ করার অপচেষ্টা করছে। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

পটিয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল হোসেন বলেন, কৃষকের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ ঠিকাদারকে করতে দেওয়া হবে না। জনগণের জন্য ব্রীজ নির্মাণ করাও জরুরী। খালের পানি নিয়ে কৃষক যাতে বোরো চাষাবাদ করতে পারেন সে ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, কৃষকদের নিয়ে বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান করবেন বলে তিনি জানান। 

এ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকেরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী’র সাথে সাক্ষাত করে তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বিষয়টি তদারকি করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন বলে সূত্র জানায়।
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

• আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন। ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না। কিছু বিষয় বিস্তৃত হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করছে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।