![বেসরকারী কলেজে থাকবে না অনার্স-মাস্টার্স : শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারী কলেজে থাকবে না অনার্স-মাস্টার্স : শিক্ষামন্ত্রী; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়; সংবাদ; সারাদেশ; বেসরকারী কলেজ; অনার্স; মাস্টার্স; ডিগ্রী; কারিগরী; টেকনিক্যাল; National University; Degree; Honors; Masters](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj6UIRt-u2-1pHs4StImJWHeh4jRsqhp-mGX3NlopycQcLdOnPAZTyxvNvxucJuh1PjMfXY2n_s8MeAf1irTPQumVD3Irk6TvoVq7NYD-aLjDC1AKbn_iBDp8Bhr__U8eIWi2HC8RELSyw_/s16000/dipu_moni-education_minister--bangladesh.jpg) |
বেসরকারী কলেজে থাকবে না অনার্স-মাস্টার্স : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি |
ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ ‘দেশব্যাপী ৩১৫ টি বেসরকারী কলেজ হতে ধাপে ধাপে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স তুলে নেবে সরকার। অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের বদলে এসব কলেজে ডিগ্রী পাস কোর্সের পাশাপাশি টেকনিক্যাল বিভিন্ন ট্রেড কোর্স খোলা হবে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়’- এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আর সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে দিচ্ছেন। কাজেই যারা অনার্স-মাস্টার্স করবেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করবেন। শিক্ষিত বেকার যাতে তৈরি না হয় সেজন্য বেসরকারী কলেজগুলোতে ডিগ্রী পাস কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন শর্টকোর্স চালু করতে পারি। বেসরকারী যেসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু আছে সেখান থেকে পাস করা বেশিরভাগ সনদধারী চাকরি পান না, ফলে বেকার থেকে যান। তাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট একটা ব্যবধান তৈরি হয়ে যায়, যারা এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান তাদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা তৈরি হয়। অভিভাবকদের জন্যেও এটি কোন সুখকর বিষয় নয়। অভিভাবকরা সন্তানকে কষ্ট করে পড়ালেন, তাদের একটি ভালো চাকরির প্রত্যাশা থাকে, চাকরি না হলে তখন হতাশা ঘিরে ধরে। কোনও একটা কিছু করবে সেটির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারে না। ফলে পিছিয়ে পড়ে বেকার বনে রয়ে যায়। এসব সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত বেসরকারী কলেজগুলোর ডিগ্রী স্তরের শিক্ষকরা সরকারীবেতন-ভাতার অংশ পেলেও অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা সে সুবিধা পান না। যার ফলে বিগত ২৮ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার তারা।
ডিগ্রী স্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত বেসরকারী কলেজগুলোয় ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের কোর্স চালুর অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এসব কলেজ কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় অনুমোদন নেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এর ফলে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকের পদ কলেজগুলোর জনবল কাঠামোয় স্থান পায়নি। যার কারণে সরকারী বিধিবিধান অনুযায়ী এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ বঞ্চিত তারা।
অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আমরা যদি এমপিওভুক্তিতে এক ধরনের সিদ্ধান্ত নিই, আবার যদি ভিন্ন নতুন সিস্টেম চালু করি, তখন সমন্বয়টা করাটা জটিল হয়ে যাবে। এ কারণে এসব বিষয়ে আরও বিস্তর বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’