ভয়েস অব পটিয়াঃ কাগজপত্র যাচাই বাছাই ছাড়া টিএসপি সার জব্দ করার অভিযোগে পটিয়ার ইউএনওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
![]() |
| পটিয়ার ইউএনওসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাঃ কাগজপত্র না দেখে সার জব্দের অভিযোগ |
ভয়েস অব পটিয়া-হোসাইন আমিরীঃ কাগজপত্র যাচাই বাছাই ছাড়া টিএসপি সার জব্দ করার অভিযোগে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদেরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিবাদী অন্যরা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ.জ.ম মঈনউদ্দিন ও পটিয়া থানার ওসি শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহ।
মঙ্গলবার পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মেসার্স আমানত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ ইউনুচ তালুকদার। মামলা নং-৬৪।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মার্চ ব্যবসায়ী ইউনুচের সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় দারোয়ান আবু বক্করকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দকৃত কোটি টাকার এসব সার ধ্বংস করতে গত ৬ মার্চ ফায়ার সার্ভিস, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও থানা পুলিশকে পৃথক পৃথকভাবে চিঠি প্রদান করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বহিনোঙ্গরে ‘এম.ভি মাইমেরি মাদার ভেসেল’ নামের একটি সার বোঝাই জাহাজ শুল্ক পরিশোধের পর খালাসের অপেক্ষায় ছিল। ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অন্য একটি জাহাজের ধাক্কায় সার বোঝাই জাহাজের একটি অংশ ফুটো হয়ে যায়। ওই সময় পানির আর্দ্রতায় ৭ হাজার ৪শ মেট্রিক টন টিএসপি সার নষ্ট হয়ে যায়। বন্দরের পরিবেশ ও নদীর পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনায় শিপিং এজেন্ট এইচ.সি মেরিন লিমিটেড নষ্ট হওয়া সার সরিয়ে নিয়ে মেসার্স আমানত ট্রেডার্সকে কর্ণফুলী নদীর যে কোন সুবিধাজনক স্থানে রাখার জন্য একটি ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে ইউনুচ তালুকদার নষ্ট টিএসপি সার কর্ণফুলী নদীর শাখা খাল ভেল্লাপাড়া খালের পাড়ে এনে মজুদ করেন। এসব টিএসপি সারের গুনগতমান কমে যাওয়ায় তা খামার বাড়ি মাছের ঘের ও চা বাগানে দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। ওইসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐসব টিএসপি সার জব্দ করেন।
ব্যবসায়ী ইউনুচ তালুকদার অভিযোগ করেছেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার কোটি টাকা মূল্যের সার অবৈধভাবে জব্দ করে হয়রানি শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ওই সার ধ্বংস করতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সড়ক জনপথ বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র থাকার ফলে ওই সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস কাজে এগিয়ে আসেনি। ইউএনও সম্পূর্ণ নিজ ইচ্ছায় এসব সার ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী ইউনুচের।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘নষ্ট টিএসপি সার বাজারজাত করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সাড়ে ৭ হাজার মেট্রিক টন সার এখনো খোলা পড়ে রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। সারগুলো ধ্বংস করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সহযোগীতা পেলেই নষ্ট এসব সার ধ্বংস করা হবে।’
এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের এডভোকেট কাজী জসিম উদ্দীন বলেন, তার মক্কেলের কোটি টাকার টিএসপি সার ধ্বংসের নামে হয়রানির অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। বিচারক শুনানি শেষে ইউএনওসহ তিনজনকে আদালতে স্বশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।



জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের পোর্টালে মন্তব্য, আলোচনা-সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি, আপনারা তার যথাযথ অনুসরণ করে আপনাদের মন্তব্য প্রদান করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা ইত্যাদির ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, আক্রমণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় এরকম কোন মন্তব্য করা যাবে না।
পরামর্শের জন্য মেইল contact@voiceofpatiya.com