দুর্গম পাহাড়ের সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে অস্ত্র-ড্রোন-জ্যামার উদ্ধার |
ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবান পাহাড়ে জেএসএস সন্ত্রাসীদের হাতে খুন নও মুসলিম ইমাম ওমর ফারুক |
ভয়েস অব পটিয়া-পার্বত্য চট্টগ্রাম ডেস্কঃ ইসলাম প্রচার করায় বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম এক ইমামকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার এশার নামায শেষ করে মসজিদ থেকে বের হলে তাকে গুলি করে হত্যা করে জেএসএস সন্ত্রাসীরা।
হত্যার শিকার নওমুসলিম ইমাম ওমর ফারুক ত্রিপুরা (৫৪) ইতিপূর্বে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছিলেন। মুসলিম হওয়ার পর তিনি পাহাড়ে অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতেন। তাঁর এ দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে অনেক পরিবার স্ব-ইচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
ওমর ফারুক ২০১৪ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। বান্দরবানের রোয়াংছড়ির দুর্গম পার্বত্য এলাকা তুলাছড়িতে নওমুসলিম ওমর ফারুক নিজের জমিতে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম চর্চা করতে শুরু করেন। এ কারণে পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা একের পর এক তাঁকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু ওমর ফারুক হত্যার হুমকি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলামের দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যহত রাখেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় শুধু নিজের পরিবার নয়, রোয়াংছড়ি এলাকায় তাঁর দাওয়াতে প্রায় ৩২টি উপজাতীয় পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ কারণে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাঁকে থামাতে গত ১৮ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতে মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে ফেরার পথে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে বলে জানায় এলাকাবাসীরা। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাজ করছে শোকের ছায়া । তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। হত্যাকারী উপজাতি সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে শাস্তি দাবি করেছেন তারা। পাশাপাশি সরকার ও পাহাড়ে আইন-শৃংখলা ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত সদস্যদের প্রতি অনতিবিলম্বে এসব শান্তিবিনষ্টকারী দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।