vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে পৌর সদরে যানজট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, দূর্ভোগ চরমে, মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়।

পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ, দূর্ভোগ চরমে; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ : দূর্ভোগ চরমে

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়া পৌরসভায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে পৌর সদরে যানজট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগে থাকায় যাত্রী সাধারণ নিদারুণ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। মহাসড়কের দুই পার্শ্বের গাছপালা কেটে ফেলার দরুণ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে। এ ড্রেন নির্মাণের ফলে একদিকে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে পৌরসভার মহাসড়ক এলাকার মহাসড়ক সংকোচনপূর্বক দুই পার্শ্বের অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স এন্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (MGSP) প্রকল্পের আওতায় পটিয়া পৌরসভাস্থ মহাসড়কের পার্শ্বে মাজার গেইট থেকে মুন্সেফবাজার কালিবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ড্রেন, ফুটপাত, স্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য ১২ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নেজাম আলী চৌধুরী (জেবি) কনস্ট্রাকশন কাজটির টেন্ডার প্রাপ্তি সহ কার্যাদেশ পেয়ে বিগত ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে পটিয়া বাস স্টেশন থেকে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে। মহাসড়কের দুই প্রান্তে কাজের জন্য খুঁড়ে ফেলার দরুণ মহাসড়কের উপর বিশাল মাটির স্তুপ, বালি, কনক্রিট, ইট, সিমেন্ট ও ভাঙ্গা পিলার রাখা হয়। যার ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদরের ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ ১১ মাস ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণের ফলে ড্রেনের কোন দিকে উঁচু কোন দিকে নিচু হয়ে ঢেউ আকারের সৃষ্টি হয়েছে। 

পটিয়া থানার মোড় থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত অধিকাংশ বানিজ্যিক ভবন সরকারী জমি দখল করে মহাসড়ক ঘেষে গঁড়ে উঠায় এখানে ড্রেন সৃষ্টি করা দুষ্কর ব্যাপার। যে নিয়মে ড্রেন হচ্ছে এ নিয়মে ড্রেন করতে গেলে মহাসড়কের সরকারী জমি উদ্ধারপূর্বক ভবনগুলোর প্রায় অংশ ভাঙতে হবে। নয়তো ড্রেন মহাসড়কের উপর দিতে হবে। কোন কোন স্থানে আরসিসি ওয়াল নিষ্প্রয়োজনভাবে উঁচু করা হয়েছে। মহাসড়কের মাজার গেইট, বৈলতলী রোড, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আনোয়ারা রোড, ডাকবাংলোর মোড়, ছবুর রোড, দেওয়ানী আদালত রোড, পোষ্ট অফিস মোড় সহ আঞ্চলিক সড়কের সংযোগস্থল পাহাড়সম উঁচু করায় স্বাভাবিক যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনটির সাথে কোন খালের সংযোগ নেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এতে প্রকল্পের অর্থ অপচয় এবং মহাসড়কের দুই পার্শ্বের অবকাঠামো নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ‘অপরিকল্পিতভাবে পটিয়া পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনসহ নান্দনিক ড্রেন নির্মাণের কাজ করায় সরকারের উদ্দেশ্য মুখ থুবড়ে পড়বে। ড্রেনটি পৌরবাসীর কোন কাজে আসবে না। এটি পৌর ও জনস্বার্থ বিরোধী। এতে কিছু লোকের পকেট ভারী হচ্ছে। ড্রেনস্থলস্থ মহাসড়কের পার্শ্বে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য দুই পার্শ্বে লেভেল সাইড দিয়ে রাস্তা প্রশস্থ না করায় সড়ক সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দুই পার্শ্বের বৃক্ষ নিধনের ফলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।’ 

এদিকে MGSP প্রকল্পে থানার মোড় থেকে তালতলাচৌকি পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের জন্য আরো ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। 
এ ড্রেন পরিকল্পিতভাবে না হলে জনভোগান্তি বাড়বে বলে পটিয়া পৌর ব্যবসায়ীদের অভিমত। 

এ ব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার ভয়েস অব পটিয়া’কে জানান, ‘যানজট সৃষ্টির জন্য তাদের কার্যক্রম দায়ী নয়। তবে ড্রেন নিয়ে যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা ড্রেনের কাজ সমাপ্তি হলে সমাধান হবে।’

Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

😀 আমাদের পোর্টালে মন্তব্য, আলোচনা-সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি, আপনারা তার যথাযথ অনুসরণ করে আপনাদের মন্তব্য প্রদান করবেন।

• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা ইত্যাদির ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, আক্রমণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় এরকম কোন মন্তব্য করা যাবে না।

পরামর্শের জন্য মেইল contact@voiceofpatiya.com