vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ ৩য় কর্ণফুলী ব্রীজ-শাহ আমানত সেতুতে সৃষ্টি হয়েছে বড় ধরনের গর্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়

কর্ণফুলী সেতুতে গর্ত! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়; কর্ণফুলী; কর্ণফুলী সেতু; নতুন ব্রীজ; শাহ আমানত সেতু; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram
কর্ণফুলী সেতুতে গর্ত! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ ৩য় কর্ণফুলী ব্রীজ-শাহ আমানত সেতুতে সৃষ্টি হয়েছে বড় ধরনের গর্ত। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। দেশের এমন একটি বৃহৎ স্থাপনার এহেন বেহাল দশা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, সেতুর দুই প্রান্তে ওজন পরিমাপক যন্ত্রের অভাবে এবং টোলবক্স এর সাথে স্থাপনকৃত যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে অকেজো থাকার প্রভাবে প্রতিনিয়ত সেতুর উপর দিয়ে অতিরিক্ত মালবোঝাই গাড়ি চলাচল করছে। যার ফলে সেতুটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এর আগে কয়েকবার শাহ আমানত সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কথা উঠলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কখনোই নেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুসহ যেকোনো স্থাপত্যশৈলীর ওজন বা চাপ সহনশীলতার একটি ব্যাপার থাকে। এটি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে দেশের অন্যতম মেঘনা সেতুতে। এ সেতুতে ৩০ টনের বেশি মালবোঝাই গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ, যা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকায় শাহ আমানত সেতুর রক্ষণব্যবস্থা সম্পূর্ণ অরক্ষিত।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলা, পার্বত্য জেলা বান্দরবান, পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও টেকনাফে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই সেতুর উপর দিয়ে। এসব এলাকার অর্থনীতিও পুরোপুরি এ সেতুর সাথে সংযুক্ত। কোনো কারণে এ সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে এসব এলাকার যোগাযোগ  ব্যবস্থা-অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সমগ্র দেশের অর্থনীতিতে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় ইতোমধ্যেই সেতুর বেশ কিছু মূল্যবান যন্ত্র খোয়া গেছে। ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকায় অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে পার হচ্ছে যানবাহন। ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ৪০.২৪ মিটার প্রস্থের কংক্রিটের এ সেতুটি বাংলাদেশ ও কুয়েত সরকারের যৌথ অর্থায়নে নির্মাণ করে চায়না মেজর ব্রীজ কোম্পানী। ২০০৬ সালের ৮ আগস্ট নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু উদ্বোধনের আট বছর পেরুলেও সেতুতে এক্সেল লোড কন্ট্রোল বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়নি। যার ফলে সেতুর উপর প্রতিনিয়ত মাত্রারিক্ত ভারী পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে।
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

• আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন। ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না। কিছু বিষয় বিস্তৃত হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করছে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।