ভয়েস অব পটিয়াঃ লোকসানে পড়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
![]() |
| রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল বন্ধ ঘোষণা |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ লোকসানে পড়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সকল পাটকল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বাংলাদেশে পাট উৎপাদনের ইতিহাস ৩০০ বছরের। এক সময় গর্ব করে পাটকে বলা হতো ‘সোনালি আঁশ’। যুগের সাথে তাল মিলাতে না পেরে সময়ের বিবর্তনে গুরুত্ব হারাল পাট। যার ফলে লোকসানে ধুঁকতে ধুঁকতে অবশেষে দেশের সকল রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শ্রমিকদের পাওনা মজুরি বুঝিয়ে দিয়ে বন্ধ হচ্ছে সব পাটকলের উৎপাদন কার্যক্রম।
দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সংখ্যা ২৫টি।
তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাটকলগুলোতে কর্মরত শ্রমিকরা। তারা বলছেন, এতে হুমকির মুখে পড়বে তাদের জীবন-জীবিকা।
করোনার এই সংকটকালে পাটকল বন্ধকে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিরোধী রাজনীতিক ও শ্রমিক নেতারাও। তবে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) বলছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকলগুলো বন্ধের পর ফের, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীর (পিপিপি) ভিত্তিতে বা অন্য কোনোভাবে পাটকলগুলো চালানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। ব্যবস্থাপনাও ছেড়ে দেয়া হবে বেসরকারি হাতে। পাটকল করপোরেশন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, নতুন ব্যবস্থাপনায় এসব কারখানায় পুরনো শ্রমিকদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী কৌশল সাজাচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। শ্রমিকদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো এবং তাদের কাজের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য নতুন পিপিপি ব্যবস্থাপনায় পাটকল স্থাপন করার শর্ত দেয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে পাটকল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্ধের বিষয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বন্ধের। এরপর বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।
মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সরকারি খাতের পাটকলগুলোর সংস্কার ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে যে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদিত হয় তার ৯৫ শতাংশই বেসরকারি পাটকলে উৎপাদিত হয়। সরকারি খাতটি অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে গেছে, যা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছিল না। এগুলোকে আবার প্রতিযোগিতায় কীভাবে আনা যায় এবং কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিবেচনায় এখন পাটকলগুলো বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে। এসব পাটকল বন্ধ থাকলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয় চালু থাকলে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। কাজেই এসব পাটকলের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ভাইদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তার জন্য সরকার তাদের ২০১৫ সালের জাতীয় মজুরি কাঠামো অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ নির্দেশনাও দিয়েছেন, যে পাটকলগুলো বন্ধ আছে সেগুলো কীভাবে চালু করা যায়, যাতে সেগুলো বর্তমান এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এ সংক্রান্ত একটি কর্মপন্থা প্রস্তুত করে অতি দ্রুত তার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয়-আন্তর্জাতিক-চট্টগ্রামের সংবাদসহ পটিয়া সম্পর্কে জানতে ও জানাতে আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে থাকুন।



জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :
0 comments so far,add yours
~ মন্তব্য নীতিমালা ~
😀 আমাদের পোর্টালে মন্তব্য, আলোচনা-সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি, আপনারা তার যথাযথ অনুসরণ করে আপনাদের মন্তব্য প্রদান করবেন।
• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।
• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা ইত্যাদির ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।
• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।
• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।
• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।
• ঘৃণাত্মক, আক্রমণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় এরকম কোন মন্তব্য করা যাবে না।
পরামর্শের জন্য মেইল contact@voiceofpatiya.com