"আফগানিস্তান" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
আফগানিস্তান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯২০; ভূমিকম্প; আফগানিস্তান; পাকতিকা; খোস্ত; পাহাড়; দুর্গম; Afghanistan; Earthquake; Paktika; Khost; Hill; impassable
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯২০ [ছবি : Bakhtar News Agency/ AP]

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২০ জনে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ছয় শতাধিক। 
বুধবার (২২ জুন) ভোর রাতে দেশটির পাকতিকা অঞ্চলে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। 

ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) ও পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৫ দশমিক ৯ রেকর্ড করেছে। 

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের খোস্ত শহরে এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৪ কিলোমিটার গভীরে। 

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপমন্ত্রী মাওলানা শরাফুদ্দিন মুসলিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে অন্তত ৯২০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ৬০০ জন আহত হয়েছেন।’ 
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবী জানিয়েছিলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি এলাকার গ্রামগুলোতে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে ও সম্পূর্ণ তথ্য পেতে আরও সময় লাগবে।’ 

ভূকম্পন জরিপ সংস্থা ইএমএসসি জানায়, প্রায় ৫০০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে এই ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে। এতে আফগানিস্তানের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং ভারতও। 

ভোর রাতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানায় সেসময় ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে পড়া বাড়িঘরের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান অনেকে।

আফগান সাংবাদিক আলী এম লাতিফির বরাতে বার্তা সংস্থা আল জাজিরা জানায়, দুর্গম পাকতিকা অঞ্চলে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলোকে ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে উদ্ধারে সাহায্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। যদিও এটি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং পৌঁছানো অনেক কঠিনতর হবে। 

উল্লেখ্য, গত ২০ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প এটি।
পশ্চিমাদের পলায়ন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় তালেবান
আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি দেশ ছেড়ে পালানোর পর তালেবান যোদ্ধারা কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নেয় [ছবি: জাবি করিমি/এপি]

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ আফগানিস্তানের স্বাধীনতাকামী সংগঠন তালেবান সেদেশে গত দু’দশক ধরে পশ্চিমাদের সাথে চলা যুদ্ধ শেষ বলে ঘোষণা করেছে। গতকাল তালেবান সদস্যরা রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের প্রধান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এর পরপরি তালেবান প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে প্রবেশ করে যুদ্ধ শেষ বলে ঘোষণা দেয়।

বার্তাসংস্থা আল জাজিরা ও রয়টার্স জানায়, তালেবান কাবুলে প্রবেশের পর সেখানের রাস্তাঘাটে কোনধরনের বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায় নি। তবে কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শত শত আফগানি দেশ ছাড়তে মরিয়া ছিল, যাতে বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্কজনক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলিও তাদের কূটনীতিক এবং নাগরিকদের কাবুল থেকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। 

তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র মুহাম্মদ নাঈম আল জাজিরাকে বলেন, ‘স্বাধীনতাকামী গ্রুপটি বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে চায় না এবং তারা আফগানিস্তানে নতুন সরকারের ধরন এবং রূপরেখা শীঘ্রই স্পষ্ট করবে।’ মুহাম্মদ নাঈম আরো বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কেরও আহ্বান জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, দেশে যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আমরা যা চেয়েছিলাম আমাদের দেশের স্বাধীনতা এবং আমাদের জনগণের স্বাধীনতা; তা আমরা অর্জন করেছি। আমরা কাউকে টার্গেট করার জন্য আমাদের জমি ব্যবহার করতে দেব না এবং আমরা অন্যের ক্ষতি করতে চাই না।’

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়,  শত শত লোক আফগান রাজধানী কাবুল ছেড়ে জোরপূর্বক প্লেনে উঠার চেষ্টা করেছিল। এতে পদদলিত হয়ে কাবুল বিমানবন্দরে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি একটি গাড়িতে পাঁচজনের লাশ নিয়ে যেতে দেখেছেন। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, এটা স্পষ্ট নয় যে, ভুক্তভোগীরা বন্দুকের গুলিতে মারা গেছে নাকি কোনো পদদলিত হয়েছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনারা আগে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাতাসে গুলি ছোড়ে।