vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর পটিয়ার মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিনের পরিবারের দিন কাটছে অভাব-অনটন-অনাহারে

বঙ্গবন্ধুর সহচর পটিয়ার মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের পরিবারের দিন কাটে অভাব-অনাহারে; পটিয়া; চট্টগ্রাম; Patiya; Chittagong; Chattogram; বঙ্গবন্ধু; শেখ মুজিব; মুক্তিযুদ্ধ; মুক্তিবাহিনী; মুক্তিযোদ্ধা; Bangabandhu; Sheikh Mujib; Muktijoddha; Mukti; Mukti bahini
বঙ্গবন্ধুর সহচর পটিয়ার মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের পরিবারের দিন কাটে অভাব-অনাহারে


ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ পটিয়ার মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিনের পরিবারের দিন কাটছে অভাব-অনটন-অনাহারে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিত মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন পটিয়া পৌরসভার উত্তর গোবিন্দারখীল অলি মিস্ত্রি বাড়ি স্থায়ী বাসিন্দা। 

স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৩ বছর পার হলেও এখনও মিলেনি এ মুক্তিযোদ্ধার মরনোত্তর স্বীকৃতি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, যুদ্ধকালীন সময়ে চট্টগ্রামের ১নং সেক্টর কমান্ডার সাবেক স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। ঐ সময় কালে মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন টিটিআর সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি সরকারী দায়িত্ব পালনকালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে ২৬ মার্চ ভোর রাতে ডাঃ নুরুন্নাহার কর্তৃক টেলিফোনে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রিসিভ করেন এবং সলিমপুর ষ্টেশন থেকে সমুদ্রে অবস্থিত জাহাজে মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যাহা ১৯৯৯ সালে বিশিষ্ঠ কথা সাহিত্যিক, লেখক ও সাংবাদিক সামশুল হকের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি এবং বেতার ঘোষণা ইতিভুক্ত বইয়ে প্রকাশিত হয়। 

বাস্তব ইতিহাস ক্ষেত্রে দেখা যায় বর্তমানে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজে গেছে। যার ফলে বর্তমান আওয়ামী সরকারে বিভিন্ন সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহন করলেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার অনেক পরিবারের কেউ খোঁজ খবর কেউ রাখে না। এর মধ্যে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন আহমদ ১ জন। তার স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ২ ছেলে মৃত্যুবরণ করে। ছোট মেয়েটির বিবাহ হলেও তারা খুব করুণ অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সহ তার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে আসলেও কিন্তু কালের বিবর্তনে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে পটিয়ার উত্তর গোবিন্দারখীলের মরহুম মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহমদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কালের জীবন বৃত্তান্ত। 

মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহমদ ১৯৮৪ সালে সরকারী চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার পর ১৯৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় তার ছেলে মেয়েদেরকে স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিলেন। যার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের পর এম.এ. হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সরকারী উচ্চ মহল বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক ইতিহাস।

মুক্তিযোদ্ধা (মরহুম) মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহমদের স্ত্রী নূরজাহান বেগম, ছোট মেয়ে মোছাম্মৎ নূর জান্নাত বিনু আমাদের প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঐ সময় মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া বাবুল উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের হাতে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ একসাথে তাদের পিতার ছবি এবং প্রকাশিত সামশুল হকের বইটি। ঐ বইটির প্রতি লাইনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের কয়েক শত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়েছে। 
তার পিতার নামটি দেখিয়ে দিয়ে নূর জান্নাত বিনু বলেন, ’এ জন্যই কী আমার পিতা জালাল উদ্দিন সহ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত- ১০ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল? আমাদের কোথাও মাথা গোঁজার ঠায় নেই, অভাব অনটনে দিন কাটছে। দেশে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেলেও আমার বাবা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও আমরা কোনদিন কিছুই পাইনি। অনেককেই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শিক্ষা-চাকুরী সহ নানান সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে সরকার। আমার মরহুম পিতা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহমদ একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমরা চাই এ সরকারের আমলে তাঁর স্বীকৃতি’।
 
ঐ সময় মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের মেয়ে প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সাংবাদিক ভাই আপনি আমার পিতার সম্পর্কে একটু লিখুন। দেশের মানুষ জানুক আমার মরহুম পিতা জালাল উদ্দিন আহমদ কী অবদান রেখেছিল। আজ আমরা পথ হারা পথিক। এলোমেলোভাবে কাটছে আমাদের জীবন জীবিকা। এ বিষয়ে সরকারী উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে আমাদের জন্য একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকিব।’
Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

• আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন। ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না। কিছু বিষয় বিস্তৃত হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য পোস্ট করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করছে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।