vop-ad1

ভয়েস অব পটিয়াঃ শতবর্ষের ইতিহাস - ‘আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় নামক আলোর শিখা বিকীরণকারী বিদ্যায়তনটির - ৩য় পর্ব

শতবর্ষের ইতিহাসঃ আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়; ‍asrahs; patiya; chittagong; chattogram; abdus sobhan; school; historical; পটিয়া; চট্টগ্রাম; মাওলানা আবদুস সোবহান; বিদ্যালয়; স্কুল; পটিয়ার স্কুল; চট্টগ্রামের স্কুল; ঐতিহ্যবাহী; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শতবর্ষের ইতিহাসঃ আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় - ৩য় পর্ব

শতবর্ষের ইতিহাস সিরিজ - ‘আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়’

১ম পর্ব২য় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন

৩য় পর্ব

১১. আবদুস সোবহান সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা দেশ ও বিদেশের মাটিতে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখে খ্যাতিমান ও যশস্বী হয়েছেন তাঁদের তালিকা অনেক বড়। 
শুধুমাত্র প্রেরণাদায়ক কিছু নাম তুলে ধরা হলো যারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে এই স্কুল থেকে পাশ করেছিলেন। 
১৯১৮ সালে ১ম বার ১ম বিভাগ পাওয়া ৭ জনের মধ্যে বিখ্যাত ৪ জন ছিলেন তৎকালীন স্কুল পরিদর্শক আবদুর রহমান, চিকিৎসক ডাঃ আমিনুল হক, আইনজীবি এড. মোখলেছুর রহমান, চিকিৎসক ডাঃ বিনোদ বিহারী ভট্টাচার্য্য। অতঃপর এ বিদ্যালয় থেকে পাশ করে শিক্ষাবিস্তার ও মানবসেবায় যাঁরা সুবিশেষ অবদান রেখেছিলেন সর্বশ্রদ্ধেয় তাঁরা হলেন, আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র পিতা নুরুজ্জামান চৌধুরী (১৯২১), সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (১৯২২), সাবেক শিক্ষক আলী আহমদ (১৯২২), পটিয়া আদর্শ স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র গুপ্ত (১৯২৪), উকিল আলী আহমদ এম.এ.বি.এল (১৯২৫), ইঞ্জিনিয়ার ফজল আহমদ (১৯৪১), সাবেক কলেজ পরিদর্শক শিক্ষাবিদ শামশুল আলম এম.এ.বি.টি.এম.এড (১৯৪২), ঢাকা মেডিকেলের সাবেক সুপার ডাঃ এম. এ ছবুর (১৯৪৩), সাবেক চীফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামাল উদ্দিন খাঁন (১৯৪৩), সাবেক আণবিক বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার সুলতান আহমদ (১৯৫১), সাবেক ব্যাংক ডিজিএম মোঃ ইউসুফ (১৯৫২), অধ্যাপক (কানাডা) এ.বি.এম শাহাদাৎ হোসাইন (১৯৫৪), প্রিন্সিপাল খায়রুল বশর (১৯৫৭), প্রিন্সিপাল ফরিদুল আলম (১৯৫৯), প্রধান শিক্ষক আবদুর রহমান মাস্টার (১৯৬১), সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম (১৯৬১), প্রফেসর আহমদ ছৈয়দ (১৯৬২), সাবেক প্রধান শিক্ষক এস.এম. মুছা (১৯৬২), অধ্যাপক রহমত আলী (১৯৬২), সাবেক ডীন (চবি) ড. কাজী আহমদ নবী (১৯৬৪), অধ্যক্ষ প্রফেসর সফিকুল আলম (১৯৬৪), অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শহীদুল্লাহ (১৯৬৬), অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল আলীম (১৯৬৬), দুবাই কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. নুরুল আলম (১৯৬৭), সাবেক ঔষধ প্রশাসক মুহাম্মদ এনামুল হক (১৯৬৭), সাবেক টি.ও. হাশমত আলী (১৯৬৭) প্রমুখ। সকলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগে পাশ করা। 

স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী যাঁরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিক্ষা-গবেষণায় অবদান রেখেছেন এবং রাখছেন তাঁদের সকলের সর্বশেষ অবস্থানসহ নামের হালনাগাদ তালিকা এতো বড় যে, নামগুলো প্রকাশ আলাদা আরেকটা নিবন্ধ ছাড়া সম্ভব নয়। তবে, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণের মধ্যে প্রশংসনীয় সফলতার দাবীদারগণের তালিকা বিশাল হলেও, তাঁদের নামগুলি ভিন্নভাবে সামনে আনা বাঞ্চনীয় এবং প্রেরণাদায়ক হবে বলে স্বীকার করছি। 

১২. আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় ‘শুধুমাত্র মুসলমান ছাত্রদের স্কুল’ নামক অপবাদ আর রটনা ঘুচিয়ে যে বিখ্যাত প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণ এই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে কীর্তি ও সুনাম অর্জন করেছিলেনঃ- 
বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. বিনোদ বিহারী চৌধুরী (১৯১৮), সাবেক প্রধান শিক্ষক জানকী রঞ্জন বিশ্বাংগ্রী (১৯২২), দোহাজারী স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক হরিপদ নন্দী (১৯২৩), বার্মাতে (মিয়ানমার) সাবেক প্রঃ কাব্যতীর্থ বীরেশ্বর ভট্টাচার্য্য (১৯২৪), পটিয়া হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র গুপ্ত (১৯২৪), দোহাজারী হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক রুহিনী মজুমদার (১৯২৮), হাবিলাসদ্বীপ হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক বিমলেন্দু চক্রবর্তী (১৯২৮) প্রমুখগণসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বগণ।
আরো একটি স্মরণীয় ঘটনা হচ্ছে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঐ সময়ে স্কুলের মঞ্জুরী পেতে উনাইনপুরা নিবাসী ভিক্ষু কৃপাশরণ মহাস্থবির মহোদয় সার্বিক সহযোগীতা করেছিলেন বলে, সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছগীর মোহাম্মদ সাহেবের নিকট রক্ষিত থাকা তথ্য থেকে জানা যায়। 

১৩. আমার স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা অনুসারে, আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যাঁরা বিভিন্ন এলাকায় জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন এবং করছেন তাঁরা হলেনঃ- 
পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আইয়ুব বাবুল, সাবেক মেয়র শামশুল আলম মাস্টার, সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম সওদাগর, ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মহিউদ্দিন, সাইফুদ্দিন খালেদ বাবুল, মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশুল আলম এম.কম, আজমল হোসেন জামাল প্রমুখ। স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী যাঁরা পটিয়া পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরগণ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের বর্তমান ও সাবেক ওয়ার্ড সদস্যগণ দেশ ও জনগণের জন্যে সেবা করছেন বলে দাবীদার তাঁদের সংখ্যাও অনেক বড়। দেশের মানুষ এ সকল জনপ্রতিনিধিদেরকে তাঁদের কাজ ও সেবা অনুযায়ীই শ্রদ্ধা করবে। জনপ্রতিনিধিদের নাম ঠিকঠাক মতো দিতে না পারলে, অনেকের মনোকষ্টের কারণও হতে পারে। অনেকের নাম খুঁজে না পাওয়াতে এবং ঠিকমতো তথ্য না পাওয়ায় প্রকাশ করতে না পারাটাও কষ্টের ব্যাপার।

চলবে..

৪র্থ পর্ব পড়তে ক্লিক করুন

লেখকঃ- স.ম ইউনুচ
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন ছাত্র


বিঃদ্রঃ
(লেখাটি আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন স্মারকগ্রন্থের জন্য প্রস্তুতকৃত ছিলো। অনেকগুলো তথ্য সম্পাদন করে নতুনভাবে প্রকাশ করা হলো। ইতিহাসের সত্য অস্বীকার করা যায় না। যে কারো মতামত গ্রহণযোগ্য। - লেখক) 


আপনার মতামত জানাতে পারেন কমেন্টবক্সে কিংবা মেসেজ করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে 

Share To:

Voice of Patiya

জানাতে পারেন আপনার মন্তব্য :

0 comments so far,add yours

~ মন্তব্য নীতিমালা ~

😀 আমাদের প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনা বজায় রাখার জন্য আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। আমরা আশা করি যে, কোন মন্তব্য পোস্ট করার সময় আপনারা তার অনুসরণ করবেন।

• ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃপক্ষ ভিজিটর কর্তৃক নির্দেশিকা লঙ্ঘন করে এমন মন্তব্যগুলো মুছে ফেলার অধিকার সংরক্ষণ করে।

• জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, চেহারা বা অক্ষমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি আপত্তিকর বা আক্রমণ করে এমন ভাষায় মন্তব্য করা যাবে না।

• আলোচনার বিষয়ের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না। কিছু বিষয় ব্যতিক্রমী হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, তবে আলোচনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন কোনো বিষয় ভয়েস অব পটিয়া কর্তৃক অনুমোদন করা হবে না।

• কোনো পক্ষকে আইনি ঝামেলায় ফেলতে পারে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• বাণিজ্যিক প্রকৃতির কিংবা বিজ্ঞাপনীয় উপাদান/লিঙ্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করা যাবে না।

• যেসব মন্তব্য স্প্যামিং বলে মনে হচ্ছে এবং একাধিক পোস্ট জুড়ে অভিন্ন মন্তব্য করলে সেগুলো মুছে ফেলা হবে।

• ঘৃণাত্মক, সহিংসতার প্ররোচনা দেয় অথবা ধর্মকে আক্রমণ করে এমন কোন মন্তব্য করা যাবে না।