 |
| পটিয়ায় দু'দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধন |
ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্ক: পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া দু’দিন ব্যাপী ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা’র মঙ্গলবার দুপুরে উদ্বোধন
করা হয়েছে।
ডিজিটাল
উদ্ভাবনী মেলার প্রথম দিন দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীদের নজর কেড়েছে পটিয়া
সরকারী কলেজের সাত শিক্ষার্থীর তৈরি করা ‘একটি সুপরিকল্পিত ও আদর্শ শহর’
প্রজেক্টটি। পটিয়া সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে তৈরি করা এ
প্রজেক্টটি ভবিষ্যতে সুন্দর নগর তৈরিতে কাজে লাগতে পারে বলে আশা প্রকাশ
করেছেন মেলায় আশা দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্কুল, কলেজ,
পটিয়া পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের
সমন্বয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এতে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জিডিটাল উদ্ভাবনী মেলার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পটিয়া
আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকেয়া
পারভিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক
মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু।
উক্ত মেলায় অংশগ্রহণ করে পটিয়া সরকারী কলেজ, পটিয়া
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, এনজিও সংস্থা
নওজোয়ান, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, লাভ দ্যা চিলড্রেন, ঘাসফুল, ইলমা, চক্রশালা
কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ ভূর্ষি উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনিয়ন কৃষি উচ্চ
বিদ্যালয়, মনসা স্কুল এন্ড কলেজ, খলিলুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আবদুর
রহমান সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, ইসলামী ব্যাংক,
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, পটিয়া হামীম
আইটি সোর্স, পটিয়া পৌরসভা, পটিয়া উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন ডিজিটাল, কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, লাখেরা উচ্চ বিদ্যালয়, রেঁনেসা কম্পিউটার।
মেলায় দেখতে আশা আবদুস সোবহান রাহাত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘প্রদর্শিত স্টল গুলোর মধ্যে পটিয়া সরকারী কলেজের
শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি সুপরিকল্পিত ও আদর্শ শহর প্রজেক্টটিই ভালো
লেগেছে।’
পটিয়া সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও একটি সুপরিকল্পিত ও আদর্শ শহর প্রজেক্টের
দলনেতা এমএ কে ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাত বন্ধু কেএম জুনায়েদ, সাফাউজ্জামান চয়ন, শাহরিয়ার রশিদ, নেওয়াজ কাদের খান, সৌমিক বড়ুয়া আপন, শাহরিয়ার আকবর এ প্রজেক্টটি তৈরি করেছি।
ভবিষ্যত ভাবনাকে কাজে লাগাতে মূলত আমাদের এ প্রচেষ্টা। এ মেলায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রজেক্টটির বিস্তৃতি ঘটবে বলে তারা আশাবাদী বলে জানান।’
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় চাঁদা বাণিজ্যের অভিযোগঃ
এদিকে দুইদিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় উপজেলা সরকারী প্রাথমিক
বিদ্যালয়গুলো থেকে ৩শ টাকা হারে চাঁদা বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছে কয়েকটি
স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।
তারা জানান, ‘নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উপজেলা প্রাথমিক
শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় হতে জানানো হয়েছে মেলা উপলক্ষে তিনশ টাকা
করে প্রত্যক স্কুলকে দিতে হবে ‘
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পটিয়া উপজেলার
সভাপতি ও পিঙ্গলা নবীন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম
বখতেয়ারুল হক ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘এর আগেও বৈশাখী মেলার জন্য বিভিন্ন স্কুল থেকে টাকা নেয়া
হয়েছিল। এবারও মেলার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা স্কুলে স্কুলে ডিজিটাল মেলার জন্য তিনশ টাকা করে
চাঁদা দেয়ার ব্যাপারে তাগিদ দেন। পরবর্তীতে শিক্ষকদের মাঝে এ নিয়ে মিশ্র
প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় শিক্ষকরা এখনো পর্যন্ত টাকা দেয়ার ব্যাপারে কোন
সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে সরকারী কোন নিয়ম ছাড়াই এ টাকা নিচ্ছে বলে তিনি
অভিযোগ করেন তিনি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহের বিল্লাহ ভয়েস অব পটিয়া’কে বলেন, ‘প্রথমে
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে টাকা নেয়ার আলোচনা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা
হয়েছে। মেলা উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে কোন ধরনের টাকা নেয়া
হয়নি এবং হবেও না।’