"ভারত" ক্যাটাগরীর সকল আর্টিকেল
ভারত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো, পানি বন্দী মানুষের বাঁচার আকুতি; সিলেট; সুনামগঞ্জ; বাংলাদেশ; বন্যা; ভারত; আসাম; মেঘালয়; চেরাপুঞ্জি; Sylhet; Sunamganj; Bangladesh; India; Assam; Meghalaya; Cherrapunji; Flood
ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো, পানি বন্দী মানুষের বাঁচার আকুতি

ভয়েস অব পটিয়া-ন্যাশনাল ডেস্কঃ টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো। হঠাৎ শুরু পাহাড়ী ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে এই বিভাগের প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা। পানির তোড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে সিলেটসহ এর আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। 

বন্যা পরিস্থিতি অবনতির মধ্যেই সিলেটে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা বন্যা পরিস্থিতিকে আরো অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহীনুল ইসলাম জানান, আগামী ২২ জুন পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল অতি ভারী বর্ষণের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। 

সিলেট ও সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা বলছেন, বহু বছরের মধ্যে তারা এতো ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হননি।

ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো, পানি বন্দী মানুষের বাঁচার আকুতি; সিলেট; সুনামগঞ্জ; বাংলাদেশ; বন্যা; ভারত; আসাম; মেঘালয়; চেরাপুঞ্জি; Sylhet; Sunamganj; Bangladesh; India; Assam; Meghalaya; Cherrapunji; Flood
সিলেট বন্যা: পানিবন্দী মানুষ

সবমিলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেট-নেত্রকোনার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রেল যোগাযোগ। এর পাশাপাশি রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারীসহ দেশের আরও অন্তত ৩৩টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

 
ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো, পানি বন্দী মানুষের বাঁচার আকুতি; সিলেট; সুনামগঞ্জ; বাংলাদেশ; বন্যা; ভারত; আসাম; মেঘালয়; চেরাপুঞ্জি; Sylhet; Sunamganj; Bangladesh; India; Assam; Meghalaya; Cherrapunji; Flood
সিলেট বন্যা: নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বানভাসী মানুষজন

গত রাত থেকে সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, সেই সাথে বন্যার পানি বাড়তে থাকায় জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে উদ্ধার কাজ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে সেনাবাহিনীর সহযোগীতা চাওয়া হয়। এতে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। নগর এলাকারও প্রায় অধিকাংশ স্থান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় সেসব স্থানে বিভিন্নভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন তারা। 

ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো, পানি বন্দী মানুষের বাঁচার আকুতি; সিলেট; সুনামগঞ্জ; বাংলাদেশ; বন্যা; ভারত; আসাম; মেঘালয়; চেরাপুঞ্জি; Sylhet; Sunamganj; Bangladesh; India; Assam; Meghalaya; Cherrapunji; Flood
সিলেট বন্যা: সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল

আজ শনিবার সিলেট ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। 
তিনি জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩৫ জন ডুবুরির একটি দল উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে, আরো ৬০ জন সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। নৌবাহিনীর একটি দল জালালাবাদে এবং আরেকটি কোম্পানীগঞ্জে কাজ করছে বলে জানান তিনি। 

এদিকে বন্যাদূর্গত এলাকায় পানিবন্দী মানুষকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সাধারণ মানুষসহ বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর পাশাপাশি ১১টি জেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এক কোটি ৭২০ মেট্রিক টন চাল, দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা নগদ সহায়তা ও ৫৮ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রাণ কর্মসূচি-১ অধিশাখার উপ-সচিব লুৎফুন নাহার। 

এদিকে বিদ্যুৎ উপগ্রিডে বন্যার পানি ঢুকায় বন্যাদুর্গত সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবাও। 

এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগকালীন জরুরী টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপনে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড (বিএসসিএল)-এর চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ শনিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্যোগকালীন জরুরী টেলিযোগাযোগ সেবায় এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সেবা দিতে যাচ্ছে, যা এই স্যাটেলাইটের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ১২ সেট ভিস্যাট যন্ত্রপাতি দিয়েছে বিএসসিএল, যার মাধ্যমে জরুরী টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা হবে। এছাড়াও বিএসসিএল সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরকেও আরো ২৩ সেট ভিস্যাট যন্ত্রপাতি দেওয়ার কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যার মাধ্যমে আরো ২৩টি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় জরুরী টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা হবে।

ইতিমধ্যে টেলিকম অপারেটরগুলো তিনটি করে টোল ফ্রি নাম্বার চালু করেছে বানভাসী মানুষদের জন্য।

গ্রামীণফোন- 01769177266, 01769177267, 01769177268 
রবি- 01852788000, 01852798800, 01852804477
বাংলালিংক- 01987781144, 01993781144, 01995781144 
টেলিটক- 01513918096, 01513918097, 01513918098 

বন্যার কারণ 

নাব্যতা নষ্ট 

নদী গবেষকরা বলছেন, এবারের আকস্মিক বন্যার পেছনে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে অতিবৃষ্টি একটি বড় কারণ হলেও নদীর নাব্যতা নষ্ট একটি বিরাট কারণ, যা নষ্টের জন্য ভারত অংশে অপরিকল্পিত পাথর উত্তোলনকে দায়ী করছেন গবেষকরা।

ভারতের উজানে পাথর উত্তোলনের ফলে মাটি আলগা হয়ে নদীতে চলে আসে। ফলে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে সেখানে নাব্যতা সংকট তৈরি হচ্ছে। সেই সাথে বৃক্ষ নিধন তো চলছেই। 

এর পাশাপাশি নদীগুলো ঠিকমতো ড্রেজিং না হওয়া, ময়লা-আবর্জনায় নদীর তলদেশ ভরে যাওয়া, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে জলাভূমি ভরাট হয়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন গবেষকরা। এই কারণে মেঘালয় বা আসামে বেশি বৃষ্টিপাত হলেই সিলেট বা কুড়িগ্রাম এলাকায় বন্যার তৈরি হচ্ছে বলে গবেষকরা মনে করছেন। 

অপরিকল্পিত উন্নয়ন 

জলবায়ু গবেষক অধ্যাপক ইসলাম বলছেন, এবারের হঠাৎ বন্যার পেছনে মানুষের নিজেদের তৈরি কতগুলো কারণ রয়েছে। সিলেট বা সুনামগঞ্জ এলাকায় আগে ভূমি যেরকম ছিল, নদীতে নাব্যতা ছিল, এতো রাস্তাঘাট ছিল না বা স্থাপনা তৈরি হয়নি। ফলে বন্যার পানি এখন নেমে যেতেও সময় লাগে। আগে হয়তো জলাভূমি, ডোবা থাকায় অনেক স্থানে বন্যার পানি থেকে যেতে পারতো। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না। এছাড়া হাওরে বিভিন্ন জায়গায় পকেট পকেট আমরা রোড করে ফেলেছি। ফলে পানি প্রবাহে বাধার তৈরি হচ্ছে। শহর এলাকায় বাড়িঘর তৈরির ফলে পানি আর গ্রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। যার ফলে বন্যার তীব্রতা আমরা বেশি অনুভব করছি। এসব কারণে আগাম বন্যা হচ্ছে এবং অনেক তীব্র বন্যা হচ্ছে। 

বাঁধ না থাকা 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ বা নেত্রকোনা হাওর এলাকায় বেশিরভাগ জনপদে কংক্রিটের তৈরি শহর রক্ষা বাঁধ নেই। ফলে কোন কারণে হাওরে বা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করলে তার খুব দ্রুত শহরে বা আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ে। 

বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের পরিচালক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলছেন, হাওরে এসব এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হয়নি। সেটা করা না হলে বাড়িঘর উঁচু করে তৈরি করতে হবে, আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। সেটাও করা হয়নি। ফলে যখন এভাবে আকস্মিক বন্যা দেখা দিচ্ছে, সেটার ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হচ্ছে।
ভারতে মহানবী (সাঃ)-কে কটূক্তি, প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক; হযরত মুহাম্মদ (সাঃ); হযরত আয়েশা (রাঃ); ভারত; মুসলমান; হিন্দুত্ববাদ; হিন্দু জঙ্গি; হিন্দু সন্ত্রাস; মুসলিম নির্যাতন; বিজেপি; নূপুর শর্মা; Prophet Muhammod; Prophet Muhammad; Hazrat Muhammod; Hazrat Muhammad; Hazrat Ayesha; BJP; India; Muslim; Nurpur sharma; Hindutva; Hindu Terror;
ভারতে মহানবী (সাঃ)-কে কটূক্তি, প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক


ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দু সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির দুই নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)’কে নিয়ে কটূক্তির পর মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চরম ইসলাম-বিদ্বেষী ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে মুসলিমরা। দেশে দেশে শুরু হয়েছে ভারতীয় পণ্য বয়কটের হিড়িক।

মহানবী (ﷺ)'কে কটূক্তির প্রতিবাদে ইতোমধ্যে সৌদি আরব, কাতার, ইরান, কুয়েত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্র দপ্তরে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। 

দীর্ঘদিন ধরে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থক কর্তৃক সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর বর্বর নির্যাতনের মধ্যে সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রাঃ)’কে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল। তাদের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব। দেশে দেশে কোটি কোটি মানুষ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে #BoycottIndianProducts হ্যাশট্যাগ।  
ফেসবুক-টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ছবিও-ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরবের সুপারস্টোরগুলো থেকে ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অনেক স্টোরে ভারতীয় পণ্যগুলো প্লাস্টিক মুড়িয়ে পণ্য বয়কটের পোস্টার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। দোকানপাট-বাজার থেকে ভারতীয় পণ্য সরিয়ে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতেও দেখা যায় বেশ কিছু ছবিতে। 

এদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় পণ্য বয়কটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বানের কারণে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রোববার তাদের দুজন মুখপাত্র ইসলামদ্রোহী নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। 

রাসূল (ﷺ)’কে কটূক্তির প্রতিবাদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশের আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ইসলামবিদ্বেষী ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানোরও আহ্বান জানান। পাশাপাশি সকলের প্রতি ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিতর্কিত কৃষি সংস্কার আইন : প্রতিবাদে ভারতজুড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ


ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতে বিতর্কিত নতুন কৃষি সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান হয়নি এখনো। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকে কোনো ফল না হওয়ায় পুনরায় অচলাবস্থার ডাক। 
বিতর্কিত এ কৃষি সংস্কার আইনগুলো বাতিলের দাবিতে ভারতের হাজার হাজার কৃষক বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজধানী নয়াদিল্লির প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়েছেন। যার ফলে মহাসড়কে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। 

ভারতীয় কৃষকদের মতে, ‘বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের নতুন পাশকৃত কৃষি সংস্কার আইনগুলো তাদের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার বলছে, মান্ধাতা আমলের বিপণন পদ্ধতি সংস্কারের লক্ষ্যেই নতুন এ আইনগুলো করা হয়েছে। এসব আইনের ফলে কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে আগের তুলনায় বেশি বিকল্প পাবেন বলেও ভাষ্য সরকারের।
কৃষকরা আরো জানান, ‘সরকারকে অবিলম্বে এ আইনগুলো বাতিল করতে হবে।’

দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আসা কৃষকদের বেশিরভাগই ভারতের শস্য উৎপাদক দুই রাজ্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বাসিন্দা। ভারতের ২ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশই কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশটির ১৩০ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। 
সংশ্লিষ্ট কৃষকদের আশঙ্কা, বিতর্কিত নতুন এ কৃষি সংস্কার আইনগুলো ভারতের নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থাকে ভেঙে দেবে, যার ফলে সরকারও ধীরে ধীরে নির্ধারিত মূল্যে গম ও ধান কেনা বন্ধ করে দেবে, এর ফলশ্রুতিতে তাদেরকে ফসল বেচতে বেসরকারি ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে প্রতিযোগিতা করতে হবে। এ  আইনগুলো কৃষকদের জীবন-জীবিকাকে অনিশ্চিত অবস্থার দিকে ঠেলে দেবে বলে দাবি করে আইনগুলো বাতিলসহ উৎপাদিত ফসল সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনতে সরকারের বাধ্যবাধকতা বহালসহ আরও বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা ।

রয়টার্স অবলম্বনে
ভারত নোংরা দেশ! : ট্রাম্প; ভারত; আমেরিকা; যুক্তরাষ্ট্র; ট্রাম্প; India; US; America'; Trump; Pollution; most polluted country; পৃথিবীর নোংরা দেশ
ভারত নোংরা দেশ! : ট্রাম্প

ভয়েস অব পটিয়া-ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতকে নোংরা দেশ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বন্ধু বলে উল্লেখ করলেও সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সর্বশেষ বিতর্কে ভারতের বদনাম করতে ছাড়েন নি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কে অংশ নিয়ে ভারতকে নোংরা দেশ ও এর বাতাস নোংরা বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি চীন ও রাশিয়াকেও নোংরা বলেছেন। 

ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ঝড় বইছে। 

ট্রাম্প বলেন, “ভারতের দিকে তাকান, কি নোংরা! চীনের দিকে তাকান, কী নোংরা! রাশিয়ার দিকে তাকান,  কি নোংরা! নোংরা বাতাস!” 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েকদফা ভারত ও চীনের ব্যাপক সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারেও দূষণ পর্ব নিয়ে দেশ দুটির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার নির্বাচনী বিতর্কে  ট্রাম্প বলেন, “প্যারিস অ্যাকর্ডের জন্য আমি কোটি কোটি চাকরী, কোম্পানিকে পথে বসাতে পারি না। ভারত ও চীনের কলকারখানাগুলো দূষণ ছড়ালেও সেগুলো বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক কোন তৎপরতা নেই। তারপরও পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে আমেরিকাকে চাপে ফেলার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি বিতর্কে দাবি করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর আগে অনেকবার মিডিয়ার সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সখ্যতার বার্তা দিলেও, ভারতকে নিয়ে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তারই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন এবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত বিতর্কেও।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার শুরু ভারতের, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসাম-ত্রিপুরায় যাচ্ছে ভারতীয় পণ্য; চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম, ভারত, বাংলাদেশ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রাম বন্দর

ভয়েস অব পটিয়া-নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য পৌঁছে দিতে কলকাতার বন্দর থেকে একটি জাহাজ রওনা হয়েছে। আগামী সোমবার এটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। একই দিনে একটি বাংলাদেশি পণ্য বোঝাই জাহাজ ও ভারতের পণ্য বোঝাই জাহাজ বন্দরে এলে চুক্তি অনুযায়ী ভারতের পণ্যবাহী জাহাজটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুবিধা পাবে। দেশীয় ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীরা বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ী মহলে।

বৃহস্পতিবার ভারতের কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর থেকে চারটি কনটেইনারে রড ও ডালের একটি চালান নিয়ে যাত্রা করেছে এমভি সেঁজুতি নামের ভারতীয় জাহাজ। 
বাংলাদেশে নিযুক্ত  ভারতের হাই কমিশনার ও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত বাংলাদেশ ট্রান্সশিপমেন্ট এর চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো এ জাহাজটি ১০৮ টি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এরপর, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাভার্ড ভ্যানে করে চারটি কনটেইনার আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে প্রবেশ করবে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে।

ভারতীয় হাইকমিশন ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির সূত্রে জানা গেছে, এ চারটি কনটেইনারের মধ্যে দুটি কনটেইনারের রড ত্রিপুরার জিরানিয়ার এস এম করপোরেশনের। বাকি দুই কনটেইনারের ডাল যাবে আসামের জেইন প্রতিষ্ঠানের কাছে। 
এ চালানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ও সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যেগুলোতে পরিবহনের প্রথম পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হলো। 

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এখন বন্দরে কোন জাহাজের জট নেই। ফলে ভারতীয় জাহাজটি আসা মাত্রই আমরা বার্থিং কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।’ বাংলাদেশের অন্যান্য আমদানিকারকদের মতোই নির্ধারিত হারে মাশুল আদায় করে জাহাজটিকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাত ধরনের মাশুল আদায় করবে। এই সাতটি হলো প্রতি চালানের প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা, প্রতি টনের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট ফি ৩০ টাকা, নিরাপত্তা মাশুল ১০০ টাকা, এসকর্ট মাশুল ৫০ টাকা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল ১০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কনটেইনার স্ক্যানিং ফি ২৫৪ টাকা এবং বিধি অনুযায়ী ইলেকট্রিক সিল ও লক মাশুল প্রযোজ্য হবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের চুক্তি হয়। চুক্তির আর্টিক্যাল-৪ (পোর্ট এন্ড আদার্স ফ্যাসিলিটিজ) এ বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে যে ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পরিবাহিত ইন্ডিয়ার পণ্যের ক্ষেত্রেও একই সুবিধা প্রদান করবে। এছাড়াও এ ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘প্রায়োরিটি’র ভিত্তিতে ‘স্পেস’ প্রদান করবে ‘ডেডিকেটেড’ নয়। 

ভারতীয় পণ্য অগ্রাধিকার (প্রায়োরিটি) দেয়ার প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, এর অর্থ এই নয়, ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ানোর জন্য আমরা দেশীয় জাহাজকে জেটি থেকে বের করে দেবো। বন্দরের জেটি ও ইয়ার্ড খালি থাকা সাপেক্ষেই তাদের এ সুবিধা দেয়া হবে। একই দিনে একটি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পণ্য বোঝাই জাহাজ ও ভারতের পণ্য বোঝাই জাহাজ বন্দরে এলে কোনটি আগে বন্দরে ভিড়বে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী অবশ্যই ভারতের পণ্যবাহী জাহাজটিকেই আগে প্রায়োরিটি দিতে হবে।’ এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে হওয়া একটি চুক্তিকে সবারই সম্মান করা উচিত।’ 
চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভারতের পণ্যের ক্ষেত্রে যে প্রায়োরিটি দেয়ার কথা বলা হয়েছে তাতে বন্দরের কিছু করার নেই। চুক্তি অনুযায়ী তা আমাদের করতে হবে। যদিও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাড়ার কারণে বছরে কয়েক দফা, প্রায় ৫-৬ মাস জাহাজ জটে পড়তে হয়।’ তিনি বলেন, ‘শুরুতে ভারতের পক্ষ থেকে তাদের পণ্যবাহী জাহাজের জন্য একটি ডেডিকেটেড জেটি ও ইয়ার্ড দাবি করা হয়েছিল। বন্দর বিভিন্ন চেষ্টার মাধ্যমে ‘ডেডিকেটেড’ এর পরিবর্তে ‘প্রায়োরিটি’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 

দেশীয় ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীরা বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলে। তবে ভারতীয় পণ্যের এ সুবিধার পক্ষেও মত দিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। 
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আপনার বাড়িতে কোন মেহমান এলে নিজে খাওয়ার আগে অবশ্যই মেহমানদের খাওয়ানো উচিত। সে হিসাবে ভারতীয় পণ্য বেশি প্রায়োরিটি পেতে পারে। এতে দেশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের তেমন কোন সমস্যা হবে না বলে দাবি করেন তিনি।’

তবে তৈরি পোশাক শিল্পের সংগঠন বিজিএমইএর সহ সভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্দরে যেহেতু জাহাজ জট ও কনটেইনার জট নেই সেহেতু আপাতত কোন সমস্যা হবে না। তবে যখন বন্দরের জাহাজ জট শুরু হবে এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহন আস্তে আস্তে বাড়বে তখন দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। একজন ব্যবসায়ী যখন নিজ দেশে প্রায়োরিটি পাবেন না তখন তিনি কোথাও ভালো কিছু করতে পারবেন না।’

বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমদানি পণ্য হাতে বুঝে পেতে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের। ঈদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাজেটের আগে-পরে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট তীব্র হয়ে পড়ে। তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক মাস সময় লাগে। এমন অবস্থায় ভারতীয় পণ্য অগ্রাধিকার পেলে দেশের অর্থনীতিতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তৈরি পোশাক ক্রেতাদের কাছে জাহাজের গড় অবস্থান ও পণ্য খালাসের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ভবিষ্যতে তা আরো বাড়বে এবং রপ্তানিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।’ 

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না বছরে ভারত থেকে কী পরিমান পণ্য এ বন্দর দিয়ে পরিবহন করা হবে। ফলে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। যদি ভারতের পণ্য পরিবহন বাড়ার পাশাপাশি আমাদের বন্দরের অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ না হয় তাহলে তা দেশের আমদানি-রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (অপারেশন) এনামুল হক বলেন, ‘বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কোন জাহাজ জট কিংবা কনটেইনার জট নেই। ফলে এখন প্রায়োরিটি দেয়া না দেয়া একই কথা। করোনার শুরুতে প্রতিটি জাহাজের গড় অবস্থান চার দিন হলেও তা কমে এখন একদিনে চলে এসেছে বলেও জানান তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ জট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
দিল্লিতে মুসলিমদের চোখে ঢালা হয়েছে এসিড, অন্ধ অনেকেই
দিল্লীতে মুসলমানদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা

ভয়েস অব পটিয়া-আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দিল্লিতে মুসলমানদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হামলায় টানা চার দিনে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। 

এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নতুন এক তথ্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আহত অনেকের চোখে ঢালা হয়েছে এসিড। যার ফলে অন্ধ হয়ে গেছেন অনেকেই। কারো পুরো মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে। অনেকের মাথায় গুরুতর চোট। আহতদের মধ্যে থেকে অন্তত ৪৬ জনের শরীরে বুলেটের ক্ষত মিলেছে। 
ভারতের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, মুস্তাফাবাদ থেকে বেশ কিছু আহত মানুষ চিকিৎসার জন্য এসেছেন হাসপাতালে। তাদের অনেকের চোখে এসিড ঢালা হয়েছে। এরইমধ্যে দৃষ্টি হারিয়েছেন চার জন। খুরশীদ নামে এক জনের দুচোখই নষ্ট হয়ে গেছে এসিডের প্রভাবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধায় টেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে আসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবাও পাননি তিনি। রিকশায় এসেছেন। দুই চোখসহ পুরো মুখ ঝলসে গেছে ওয়াকিল নামের আরেক জনের। 
দিল্লির জাফরাবাদ-মৌজপুর এখন ফাঁকা হয়ে গেলেও উত্তেজনা থামেনি। এলাকা থমথমে। ফাঁকা রাস্তায় পাথর, ইট, ভাঙা কাচ, ভাঙা লোহার রড পড়ে আছে। দেখা গেছে, বেছে বেছে মুসলিমদের দোকানগুলো পোড়ানো হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ভারতে কট্টর উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হামলায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে শত শত মুসলিম পরিবার। তারা শহরের নিরাপদ এলাকাগুলোতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন মহল্লায় ঢুকে বেছে বেছে মুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। দেদারসে করা হচ্ছে লুটপাট। বাদ যায়নি মসজিদ-মাদরাসাও। এমনকি মসজিদের ভেতরে ঢুকে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের বেধড়ক পেটানো হয়েছে। গুলিও করা হয়েছে মসজিদের ইমামসহ মুসল্লিদের। মসজিদ আগুন দিয়ে পুঁড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা, মসজিদের মিনারে হিন্দুদের দেবতা হনুমানের পতাকা টাঙানো হয়েছে। আক্রান্ত মুসলিমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশে খবর দিলেও পুলিশ এতে সায় দেয়নি বরংচ হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে জোরালো হামলা করেছে। 

এদিকে সহিংসতার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লির আদালত। 

বৃহস্পতিবার ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন বলেছে, দিল্লিতে বেছে বেছে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে এবং গুজরাট মডেলের ন্যায় দিল্লীতেও মুসলিম গণহত্যা চালানো হচ্ছে। নির্লিপ্ত থেকে উগ্রহিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের সায় দেয়ায় মোদী সরকারের সমালোচনা করেছে সংস্থাটি।

* আল-জাজিরা, সিএনএন, দ্যা ওয়্যার , হিন্দুস্থান টাইমস অবলম্বনে